আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৫- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭ টি
হাদীস নং: ১৩৪০
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৮-১
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৪১. নামাযের বৈধ সময় থেকে বিলম্বে নামায আদায় মাকরূহ আর ইমাম বিলম্ব করলে মুক্তাদী কি করবে?
১৩৪০। খালাফ ইবনে হিশাম, আবু রাবী আয যাহরানী ও আবু কামিল আল জাহদারী (রাহঃ) ......... আবু যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, যখন তোমার উপর এমন সব আমীর হবেন, যারা নির্ধারিত সময় থেকে বিলম্বে নামায আদায় করবে অথবা নামাযের সময় ফাওত করে নামায আদায় করবে তখন তুমি কি করবে? আবু যর (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম, আপনি আমাকে কি করতে বলেন? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তুমি নামায যথা সময়ে আদায় করে নিবে। তারপর তাদের সঙ্গে যদি পাও তবে তুমি আবার আদায় করে নিবে এবং তা হবে তোমার জন্য নফল। বর্ণনাকারী খালাফ তাঁর বর্ণনায়عَنْ وَقْتِهَا শব্দ উল্লেখ করেন নি।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب كَرَاهِيَةِ تَأْخِيرِ الصَّلاَةِ عَنْ وَقْتِهَا الْمُخْتَارِ وَمَا يَفْعَلُهُ الْمَأْمُومُ إِذَا أَخَّرَهَا الإِمَامُ
حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، ح قَالَ وَحَدَّثَنِي أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، وَأَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ " كَيْفَ أَنْتَ إِذَا كَانَتْ عَلَيْكَ أُمَرَاءُ يُؤَخِّرُونَ الصَّلاَةَ عَنْ وَقْتِهَا أَوْ يُمِيتُونَ الصَّلاَةَ عَنْ وَقْتِهَا " . قَالَ قُلْتُ فَمَا تَأْمُرُنِي قَالَ " صَلِّ الصَّلاَةَ لِوَقْتِهَا فَإِنْ أَدْرَكْتَهَا مَعَهُمْ فَصَلِّ فَإِنَّهَا لَكَ نَافِلَةٌ " . وَلَمْ يَذْكُرْ خَلَفٌ عَنْ وَقْتِهَا .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১৩৪১
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৮-২
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৪১. নামাযের বৈধ সময় থেকে বিলম্বে নামায আদায় মাকরূহ আর ইমাম বিলম্ব করলে মুক্তাদী কি করবে?
১৩৪১। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আবু যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, হে আবু যর! আমার পরে এমন সব শাসক আসবে, যারা নামাযকে মেরে ফেলবে। তখন তুমি তোমার নামায যথাসময়ে আদায় করে নিবে। আর সময়মত যদি তাদের সঙ্গে পড়তে পার, তবে তা হবে তোমার জন্য নফল। নতুবা তুমি তো তোমার নামায হিফাযত করেই ফেলেছ।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب كَرَاهِيَةِ تَأْخِيرِ الصَّلاَةِ عَنْ وَقْتِهَا الْمُخْتَارِ وَمَا يَفْعَلُهُ الْمَأْمُومُ إِذَا أَخَّرَهَا الإِمَامُ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم  " يَا أَبَا ذَرٍّ إِنَّهُ سَيَكُونُ بَعْدِي أُمَرَاءُ يُمِيتُونَ الصَّلاَةَ فَصَلِّ الصَّلاَةَ لِوَقْتِهَا فَإِنْ صَلَّيْتَ لِوَقْتِهَا كَانَتْ لَكَ نَافِلَةً وَإِلاَّ كُنْتَ قَدْ أَحْرَزْتَ صَلاَتَكَ " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১৩৪২
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৮-৩
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৪১. নামাযের বৈধ সময় থেকে বিলম্বে নামায আদায় মাকরূহ আর ইমাম বিলম্ব করলে মুক্তাদী কি করবে?
১৩৪২। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আবু যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার খলীল (বন্ধু) আমাকে এই অসিয়্যত করেছেন যে, আমি যেন (আমীরের) কথা শুনি ও মানি, যদিও তিনি হাত-পা কাটা দাস হন এবং আমি যেন যথাসময়ে নামায আদায় করি। অতএব যদি দেখতে পাও যে লোকেরাও নামায আদায় করে ফেলেছে, তাহলে তুমি তো তোমার নামায আদায় করেই নিয়েছ অন্যথায় (তুমি তাদের সঙ্গে নামায আদায় করলে) তা তোমার জন্য নফল হবে।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب كَرَاهِيَةِ تَأْخِيرِ الصَّلاَةِ عَنْ وَقْتِهَا الْمُخْتَارِ وَمَا يَفْعَلُهُ الْمَأْمُومُ إِذَا أَخَّرَهَا الإِمَامُ
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ إِنَّ خَلِيلِي أَوْصَانِي أَنْ أَسْمَعَ وَأُطِيعَ وَإِنْ كَانَ عَبْدًا مُجَدَّعَ الأَطْرَافِ وَأَنْ أُصَلِّيَ الصَّلاَةَ لِوَقْتِهَا  " فَإِنْ أَدْرَكْتَ الْقَوْمَ وَقَدْ صَلَّوْا كُنْتَ قَدْ أَحْرَزْتَ صَلاَتَكَ وَإِلاَّ كَانَتْ لَكَ نَافِلَةً " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১৩৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৮-৪
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৪১. নামাযের বৈধ সময় থেকে বিলম্বে নামায আদায় মাকরূহ আর ইমাম বিলম্ব করলে মুক্তাদী কি করবে?
১৩৪৩। ইয়াহয়া ইবনে হাবীব আল হারিসী (রাহঃ) ......... আবু যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার উরু স্পর্শ করে বললেন, তুমি কি করবে, যখন এমন এক সমাজ থাকবে যারা যথাসময় থেকে বিলম্ব করে নামায আদায় করবে? আবু যর (রাযিঃ) বললেন, আপনি আমাকে কি নির্দেশ করেন? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি যথাসময় নামায আদায় করে নিজের প্রয়োজনে বেরিয়ে যাবে। এরপর যদি নামাযের ইকামত হয় এবং তুমি মসজিদে উপস্থিত থাক, তাহলে তুমিও নামায আদায় করে নিবে।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب كَرَاهِيَةِ تَأْخِيرِ الصَّلاَةِ عَنْ وَقْتِهَا الْمُخْتَارِ وَمَا يَفْعَلُهُ الْمَأْمُومُ إِذَا أَخَّرَهَا الإِمَامُ
وَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ الْحَارِثِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ بُدَيْلٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا الْعَالِيَةِ، يُحَدِّثُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَضَرَبَ فَخِذِي " كَيْفَ أَنْتَ إِذَا بَقِيتَ فِي قَوْمٍ يُؤَخِّرُونَ الصَّلاَةَ عَنْ وَقْتِهَا " . قَالَ قَالَ مَا تَأْمُرُ قَالَ " صَلِّ الصَّلاَةَ لِوَقْتِهَا ثُمَّ اذْهَبْ لِحَاجَتِكَ فَإِنْ أُقِيمَتِ الصَّلاَةُ وَأَنْتَ فِي الْمَسْجِدِ فَصَلِّ " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১৩৪৪
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৮-৫
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৪১. নামাযের বৈধ সময় থেকে বিলম্বে নামায আদায় মাকরূহ আর ইমাম বিলম্ব করলে মুক্তাদী কি করবে?
১৩৪৪। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আবুল আলিয়া বাররা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদিন ইবনে যিয়াদ নামায আদায়ে দেরী করলেন। তারপর আব্দুল্লাহ ইবনুস সামিত (রাযিঃ) আমার কাছে আসলেন। আমি তার জন্য একটি কুরসী রাখলাম এবং তিনি তাতে বসলেন। আমি তার কাছে ইবনে যিয়াদের এ ব্যাপারটি উল্লেখ করলাম। (তা শুনে) তিনি তার ঠৌটে কামড় দিলেন এবং আমার রানে হাত মেরে বললেন, তুমি যেমন আমাকে জিজ্ঞাসা করছ, আমিও তেমনি আবু যর (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। আর তিনিও আমার রানে হাত মারলেন যেমনভাবে আমি তোমার রানে হাত মেরেছি।
তারপর বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে প্রশ্ন করেছিলাম, যেমনভাবে তুমি আমাকে প্রশ্ন করেছ এবং তিনিও আমার রানে হাত মেরেছিলেন। যেমনভাবে আমি তোমার রানে হাত মেরেছি। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি নামায যথাসময় আদায় করে নাও। তারপর যদি তাদের সঙ্গে নামায পাও তাহলে তুমিও আদায় করে নিও। আর এমন বলোনা যে, আমি নামায আদায় করে ফেলেছি, তাই আবার নামায আদায় করব না।
তারপর বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে প্রশ্ন করেছিলাম, যেমনভাবে তুমি আমাকে প্রশ্ন করেছ এবং তিনিও আমার রানে হাত মেরেছিলেন। যেমনভাবে আমি তোমার রানে হাত মেরেছি। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি নামায যথাসময় আদায় করে নাও। তারপর যদি তাদের সঙ্গে নামায পাও তাহলে তুমিও আদায় করে নিও। আর এমন বলোনা যে, আমি নামায আদায় করে ফেলেছি, তাই আবার নামায আদায় করব না।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب كَرَاهِيَةِ تَأْخِيرِ الصَّلاَةِ عَنْ وَقْتِهَا الْمُخْتَارِ وَمَا يَفْعَلُهُ الْمَأْمُومُ إِذَا أَخَّرَهَا الإِمَامُ
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ الْبَرَّاءِ، قَالَ أَخَّرَ ابْنُ زِيَادٍ الصَّلاَةَ فَجَاءَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الصَّامِتِ فَأَلْقَيْتُ لَهُ كُرْسِيًّا فَجَلَسَ عَلَيْهِ فَذَكَرْتُ لَهُ صَنِيعَ ابْنِ زِيَادٍ فَعَضَّ عَلَى شَفَتِهِ وَضَرَبَ فَخِذِي وَقَالَ إِنِّي سَأَلْتُ أَبَا ذَرٍّ كَمَا سَأَلْتَنِي فَضَرَبَ فَخِذِي كَمَا ضَرَبْتُ فَخِذَكَ وَقَالَ إِنِّي سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَمَا سَأَلْتَنِي فَضَرَبَ فَخِذِي كَمَا ضَرَبْتُ فَخِذَكَ وَقَالَ  " صَلِّ الصَّلاَةَ لِوَقْتِهَا فَإِنْ أَدْرَكَتْكَ الصَّلاَةُ مَعَهُمْ فَصَلِّ وَلاَ تَقُلْ إِنِّي قَدْ صَلَّيْتُ فَلاَ أُصَلِّي " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৮-৬
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৪১. নামাযের বৈধ সময় থেকে বিলম্বে নামায আদায় মাকরূহ আর ইমাম বিলম্ব করলে মুক্তাদী কি করবে?
১৩৪৫। আসিম ইবনে নযর আত তায়মী (রাহঃ) ......... আবু যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যখন তোমরা এমন এক সমাজে থাকবে যারা যথাসময় থেকে বিলম্ব করে নামায আদায় করবে তখন কি করবে? অথবা বলেছেন, তুমি কি করবে? অতঃপর বললেন, যথাসময়ে নামায আদায় করবে। এরপর যদি নামাযের ইকামত হয়, তাহলে তাদের সঙ্গেও নামায আদায় করবে এবং তা হবে তোমার জন্য অতিরিক্ত সাওয়াব।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب كَرَاهِيَةِ تَأْخِيرِ الصَّلاَةِ عَنْ وَقْتِهَا الْمُخْتَارِ وَمَا يَفْعَلُهُ الْمَأْمُومُ إِذَا أَخَّرَهَا الإِمَامُ
وَحَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ النَّضْرِ التَّيْمِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي نَعَامَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ  " كَيْفَ أَنْتُمْ - أَوْ قَالَ كَيْفَ أَنْتَ - إِذَا بَقِيتَ فِي قَوْمٍ يُؤَخِّرُونَ الصَّلاَةَ عَنْ وَقْتِهَا فَصَلِّ الصَّلاَةَ لِوَقْتِهَا ثُمَّ إِنْ أُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَصَلِّ مَعَهُمْ فَإِنَّهَا زِيَادَةُ خَيْرٍ " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১৩৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৮-৭
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৪১. নামাযের বৈধ সময় থেকে বিলম্বে নামায আদায় মাকরূহ আর ইমাম বিলম্ব করলে মুক্তাদী কি করবে?
১৩৪৬। আবু গাসসান আল মিসমাঈ (রাহঃ) ......... আবুল আলিয়া বাররা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনুস সামিত কে বললাম, আমরা জুমআর দিন এমন শাসকদের পেছনে নামায আদায় করি, যারা বিলম্ব করে। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর আব্দুল্লাহ ইবনুস সামিত (রাযিঃ) আমার রানে এমনভাবে চাপড় মারলেন যে, আমি ব্যথা পেলাম। তারপর বললেন, আমিও আবু যর (রাযিঃ) এর নিকট সেই সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম এবং তিনি আমার রানে চাপড় মেরে বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে সেই সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি বলেছিলেন যে, তোমরা যথা সময়ে নামায আদায় করে নিও এবং তাদের সঙ্গে আদায়কৃত নামায কে নফল ধরে নিও। বর্ণনাকারী বলেন, আব্দুল্লাহ অপর এক বর্ণনায় বলেছেন, আমার কাছে বর্ণনা করা হয়েছে যে, নবী (ﷺ) আবু যর (রাযিঃ)-এর রানে চাপড় মেরেছিলেন।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب كَرَاهِيَةِ تَأْخِيرِ الصَّلاَةِ عَنْ وَقْتِهَا الْمُخْتَارِ وَمَا يَفْعَلُهُ الْمَأْمُومُ إِذَا أَخَّرَهَا الإِمَامُ
وَحَدَّثَنِي أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، حَدَّثَنَا مُعَاذٌ، - وَهْوَ ابْنُ هِشَامٍ - حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ مَطَرٍ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ الْبَرَّاءِ، قَالَ قُلْتُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ نُصَلِّي يَوْمَ الْجُمُعَةِ خَلْفَ أُمَرَاءَ فَيُؤَخِّرُونَ الصَّلاَةَ - قَالَ - فَضَرَبَ فَخِذِي ضَرْبَةً أَوْجَعَتْنِي وَقَالَ سَأَلْتُ أَبَا ذَرٍّ عَنْ ذَلِكَ فَضَرَبَ فَخِذِي وَقَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ  " صَلُّوا الصَّلاَةَ لِوَقْتِهَا وَاجْعَلُوا صَلاَتَكُمْ مَعَهُمْ نَافِلَةً " . قَالَ وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ ذُكِرَ لِي أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ضَرَبَ فَخِذَ أَبِي ذَرٍّ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী: