আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
১১- সূর্য-চন্দ্র গ্রহনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
হাদীস নং: ১৯৭০
আন্তর্জাতিক নং: ৯০৩-১
- সূর্য-চন্দ্র গ্রহনের অধ্যায়
১. সূর্যগ্রহণের নামাযে কবরের আযাবের উল্লেখ
১৯৭০। আব্দুল ইবনে মাসলামা কা’নবী (রাহঃ) ......... জনৈকা ইয়াহুদী মহিলা আয়িশা (রাযিঃ) এর নিকট প্রশ্ন করতে এসে বলল, ″আল্লাহ তোমাকে কবরের আযাব হতে রক্ষা করুন।″ আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! মানুষকে কবরে আযাব দেয়া হবে কি? আমর বলেন, আয়িশা (রাযিঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। এরপর একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সওয়ারীতে আরোহণ করলেন তখন সূর্যগ্রহণ দেখা দিল। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমি কয়েকজন মহিলাসহ বের হয়ে মসজিদের সে অংশে গেলাম যা হুজরার পাশ্চাৎভাগে ছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সওয়ারী হতে নেমে যেখানে তিনি নামায আদায় করতেন সে মুসল্লায় পৌছলেন এবং নামাযে দাঁড়িয়ে গেলেন। লোকেরাও তাঁর পিছনে দাঁড়ালেন।
আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, তিনি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেন। তারপর রুকু করলেন এবং রুকু করলেন অতি দীর্ঘ। তারপর মাথা তুললেন এবং দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেন। কিন্তু এটা ছিল প্রথম দাঁড়ান হতে কিছু কম। আবার রুকু’ করলেন এবং দীর্ঘক্ষণ রুকু’ করলেন। কিন্তু পূর্বের তুলনায় কিছু কম। এরপর মাথা তুললেন। তখন সূর্য পরিস্কার হয়ে গিয়েছে।
তখন তিনি বললেন, আমি দেখেছি তোমরা কবরে মহা পরীক্ষার সম্মুর্খীন হবে। যেমন তোমরা দাজ্জালের ফিতনার সম্মুখীন হবে। আমর বলেন, আমি আয়িশা (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি তিনি বলতেন, এরপর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে জাহান্নামের আযাব এবং কবরের আযাব হতে আল্লাহর নিকট পানাহ চাইতে শুনতাম।
আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, তিনি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেন। তারপর রুকু করলেন এবং রুকু করলেন অতি দীর্ঘ। তারপর মাথা তুললেন এবং দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেন। কিন্তু এটা ছিল প্রথম দাঁড়ান হতে কিছু কম। আবার রুকু’ করলেন এবং দীর্ঘক্ষণ রুকু’ করলেন। কিন্তু পূর্বের তুলনায় কিছু কম। এরপর মাথা তুললেন। তখন সূর্য পরিস্কার হয়ে গিয়েছে।
তখন তিনি বললেন, আমি দেখেছি তোমরা কবরে মহা পরীক্ষার সম্মুর্খীন হবে। যেমন তোমরা দাজ্জালের ফিতনার সম্মুখীন হবে। আমর বলেন, আমি আয়িশা (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি তিনি বলতেন, এরপর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে জাহান্নামের আযাব এবং কবরের আযাব হতে আল্লাহর নিকট পানাহ চাইতে শুনতাম।
كتاب الكسوف
باب ذِكْرِ عَذَابِ الْقَبْرِ فِي صَلاَةِ الْخُسُوفِ
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، - يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ - عَنْ يَحْيَى، عَنْ عَمْرَةَ، أَنَّ يَهُودِيَّةً، أَتَتْ عَائِشَةَ تَسْأَلُهَا فَقَالَتْ أَعَاذَكِ اللَّهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ . قَالَتْ عَائِشَةُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ يُعَذَّبُ النَّاسُ فِي الْقُبُورِ قَالَتْ عَمْرَةُ فَقَالَتْ عَائِشَةُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَائِذًا بِاللَّهِ ثُمَّ رَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ غَدَاةٍ مَرْكَبًا فَخَسَفَتِ الشَّمْسُ . قَالَتْ عَائِشَةُ فَخَرَجْتُ فِي نِسْوَةٍ بَيْنَ ظَهْرَىِ الْحُجَرِ فِي الْمَسْجِدِ فَأَتَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ مَرْكَبِهِ حَتَّى انْتَهَى إِلَى مُصَلاَّهُ الَّذِي كَانَ يُصَلِّي فِيهِ فَقَامَ وَقَامَ النَّاسُ وَرَاءَهُ - قَالَتْ عَائِشَةُ - فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلاً ثُمَّ رَكَعَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً ثُمَّ رَفَعَ فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلاً وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً وَهُوَ دُونَ ذَلِكَ الرُّكُوعِ ثُمَّ رَفَعَ وَقَدْ تَجَلَّتِ الشَّمْسُ فَقَالَ  " إِنِّي قَدْ رَأَيْتُكُمْ تُفْتَنُونَ فِي الْقُبُورِ كَفِتْنَةِ الدَّجَّالِ " . قَالَتْ عَمْرَةُ فَسَمِعْتُ عَائِشَةَ تَقُولُ فَكُنْتُ أَسْمَعُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ ذَلِكَ يَتَعَوَّذُ مِنْ عَذَابِ النَّارِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৭১
আন্তর্জাতিক নং: ৯০৩-২
- সূর্য-চন্দ্র গ্রহনের অধ্যায়
১. সূর্যগ্রহণের নামাযে কবরের আযাবের উল্লেখ
১৯৭১। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ......... ইয়াহয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) থেকে সুলাইমান ইবনে বিলালের হাদীসের অনুরূপ অর্থবিশিষ্ট হাদীস বর্ণনা করেছেন।
كتاب الكسوف
باب ذِكْرِ عَذَابِ الْقَبْرِ فِي صَلاَةِ الْخُسُوفِ
وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، جَمِيعًا عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ بِمِثْلِ مَعْنَى حَدِيثِ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلاَلٍ.

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৭২
আন্তর্জাতিক নং: ৯০৪-১
- সূর্য-চন্দ্র গ্রহনের অধ্যায়
১. সূর্যগ্রহণের নামাযে কবরের আযাবের উল্লেখ
১৯৭২। ইয়াকুব ইবনে ইবরাহীম আদ দাওরাকী (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যুগে একবার সূর্য গ্রহণ হয়েছিল। দিনটি ছিল ভীষণ গরম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাহাবীদের নিয়ে নামায আদায় করলেন। কিয়াম অত্যন্ত দীর্ঘ করলেন, অনেক সাহাবী দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ানোর কারণে ঘুরে পড়ে যেতে শুরু করলেন। তারপর তিনি রুকু’তে গেলেন এবং দীর্ঘক্ষণ রুকুতে থাকলেন। এরপর মাথা উঠালেন এবং অনেকক্ষণ দাঁড়ালেন। তারপর দুটি সিজদা করলেন। আবার দাঁড়িয়ে পূর্বের ন্যায় (কিয়াম ও রুকু) করলেন। এমতাবস্থায় দু’রাকআতে মোটি চার রুকু ও চার সিজদা হয়েছিল।
এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমরা সেসব স্থানে প্রবেশ করবে যেসব স্থান আমাকে দেখান হয়েছে। আমার সামনে জান্নাত পেশ করা হয়েছিল। আমি সেখান থেকে একটি আঙ্গুর ধরতে চেয়েছিলাম। অথবা তিনি বলেছেন, একটি শাখা ধরতে চাইলে আমার হাত সে পর্যন্ত পৌছতে পারেনি এবং আমার সম্মুখে জাহান্নামও পেশ করা হয়েছিল।
সেখানে আমি বনী ইসরাঈলের জনৈকা মহিলাকে দেখতে পেলাম। বিড়ালের কারণে তাকে আযাব দেয়া হচ্ছিল। সে বিড়ালটি বেঁধে রেখেছিল। তাকে খেতে দেয় নি ও ছেড়েও দেয় নি যাতে সে নিজে যমীনের কীট-পতঙ্গ খেয়ে বাঁচতে পারে। আর আমি দেখেছি আবু সূমামা আমর ইবনে মালিককে। সে জাহান্নামের মধ্যে নিজের নাড়ি ভূড়ি নিয়ে হেচড়িয়ে চলেছে। আর লোক বলতো, কোন মহান ব্যক্তির মৃত্যু ব্যতীত চন্দ্র ও সূর্য গ্রহণ হয় না। অথচ এ দুটি হল আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যকার দুটি নিদর্শন। যা তোমাদেরকে দেখান হয়। যখনই এ দুটি গ্রহণ দেখা দেয়, তখন পরিস্কার না হওয়া পর্যন্ত তোমরা নামায আদায় করতে থাকবে।
এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমরা সেসব স্থানে প্রবেশ করবে যেসব স্থান আমাকে দেখান হয়েছে। আমার সামনে জান্নাত পেশ করা হয়েছিল। আমি সেখান থেকে একটি আঙ্গুর ধরতে চেয়েছিলাম। অথবা তিনি বলেছেন, একটি শাখা ধরতে চাইলে আমার হাত সে পর্যন্ত পৌছতে পারেনি এবং আমার সম্মুখে জাহান্নামও পেশ করা হয়েছিল।
সেখানে আমি বনী ইসরাঈলের জনৈকা মহিলাকে দেখতে পেলাম। বিড়ালের কারণে তাকে আযাব দেয়া হচ্ছিল। সে বিড়ালটি বেঁধে রেখেছিল। তাকে খেতে দেয় নি ও ছেড়েও দেয় নি যাতে সে নিজে যমীনের কীট-পতঙ্গ খেয়ে বাঁচতে পারে। আর আমি দেখেছি আবু সূমামা আমর ইবনে মালিককে। সে জাহান্নামের মধ্যে নিজের নাড়ি ভূড়ি নিয়ে হেচড়িয়ে চলেছে। আর লোক বলতো, কোন মহান ব্যক্তির মৃত্যু ব্যতীত চন্দ্র ও সূর্য গ্রহণ হয় না। অথচ এ দুটি হল আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যকার দুটি নিদর্শন। যা তোমাদেরকে দেখান হয়। যখনই এ দুটি গ্রহণ দেখা দেয়, তখন পরিস্কার না হওয়া পর্যন্ত তোমরা নামায আদায় করতে থাকবে।
كتاب الكسوف
باب ذِكْرِ عَذَابِ الْقَبْرِ فِي صَلاَةِ الْخُسُوفِ
وَحَدَّثَنِي يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ هِشَامٍ الدَّسْتَوَائِيِّ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي يَوْمٍ شَدِيدِ الْحَرِّ فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِأَصْحَابِهِ فَأَطَالَ الْقِيَامَ حَتَّى جَعَلُوا يَخِرُّونَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ ثُمَّ رَفَعَ فَأَطَالَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ ثُمَّ رَفَعَ فَأَطَالَ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ قَامَ فَصَنَعَ نَحْوًا مِنْ ذَاكَ فَكَانَتْ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ ثُمَّ قَالَ " إِنَّهُ عُرِضَ عَلَىَّ كُلُّ شَىْءٍ تُولَجُونَهُ فَعُرِضَتْ عَلَىَّ الْجَنَّةُ حَتَّى لَوْ تَنَاوَلْتُ مِنْهَا قِطْفًا أَخَذْتُهُ - أَوْ قَالَ تَنَاوَلْتُ مِنْهَا قِطْفًا - فَقَصُرَتْ يَدِي عَنْهُ وَعُرِضَتْ عَلَىَّ النَّارُ فَرَأَيْتُ فِيهَا امْرَأَةً مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ تُعَذَّبُ فِي هِرَّةٍ لَهَا رَبَطَتْهَا فَلَمْ تُطْعِمْهَا وَلَمْ تَدَعْهَا تَأْكُلُ مِنْ خَشَاشِ الأَرْضِ وَرَأَيْتُ أَبَا ثُمَامَةَ عَمْرَو بْنَ مَالِكٍ يَجُرُّ قُصْبَهُ فِي النَّارِ . وَإِنَّهُمْ كَانُوا يَقُولُونَ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَخْسِفَانِ إِلاَّ لِمَوْتِ عَظِيمٍ وَإِنَّهُمَا آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ يُرِيكُمُوهُمَا فَإِذَا خَسَفَا فَصَلُّوا حَتَّى تَنْجَلِيَ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ৯০৪-২
- সূর্য-চন্দ্র গ্রহনের অধ্যায়
১. সূর্যগ্রহণের নামাযে কবরের আযাবের উল্লেখ
১৯৭৩। আবু গাসসান মিসমায়ী (রাহঃ) ......... হিশাম (রাহঃ) থেকে এ সনদে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে তিনি বলেছেন যে, (রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন), আমি হিমাইয়ারী গোত্রের কালো দীর্ঘদেহী এক মহিলাকে জাহান্নামে দেখলাম। মহিলা বনী ইসরাঈলী ছিল এ কথা তিনি বলেন নি।
كتاب الكسوف
باب ذِكْرِ عَذَابِ الْقَبْرِ فِي صَلاَةِ الْخُسُوفِ
وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ الصَّبَّاحِ، عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ " وَرَأَيْتُ فِي النَّارِ امْرَأَةً حِمْيَرِيَّةً سَوْدَاءَ طَوِيلَةً " . وَلَمْ يَقُلْ " مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ৯০৪-৩
- সূর্য-চন্দ্র গ্রহনের অধ্যায়
১. সূর্যগ্রহণের নামাযে কবরের আযাবের উল্লেখ
১৯৭৪। আবু বকর ইবনে আবু শায়রা ও মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যুগে একদিন সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। সেদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পূত্র ইবরাহীমের ইন্তিকাল হয়েছিল। তখন লোকেরা বলল, নিশ্চয়ই ইবরাহীমের ইন্তিকালের কারণে সূর্যগ্রহণ লেগেছে। এতে নবী (ﷺ) দাঁড়িয়ে গেলেন এবং লোকদের নিয়ে ছয় রুকু ও চার সিজদায় নামায আদায় করলেন।
নামায তাকবীর বলে আরম্ভ করলেন এবং কিরা’আত অত্যন্ত দীর্ঘ করলেন। এরপর রুকু’ করলেন। প্রায় কিয়ামের সমপরিমাণ সময় রুকুতে থাকলেন। এরপর রুকু থেকে মাথা উঠালেন এবং কিরাআত পড়লেন যা পূর্বাপেক্ষা কিছু কম। তারপর আবার রুকু করলেন, যা ছিল কিয়ামের সমপরিমাণ। এরপর তিনি রুকু হতে মাথা তুললেন এবং দ্বিতীয়বার হতে কিছু কম সময় কিরা’আত পড়লেন। আবার রুকু করলেন এবং কিয়ামের সমপরিমাণ সময় রুকুতে থাকলেন।
এরপর রুকু থেকে মাথা উঠালেন ও সিজদায় গেলেন এবং দুটি সিজদা করলেন। এরপর দাঁড়ালেন এবং তিনটি রুকু’ করলেন এবং প্রতি আগের রুকু পরের রুকু অপেক্ষা দীর্ঘ হত। রুকু ছিল সিজদার সমপরিমাণ।
অতঃপর পিছনের দিকে সরে এলেন কাতারগুলো ও পিছনে সরে গেল শেষ সীমা পর্যন্ত। [আবু বকর (রাযিঃ) বলেন, মহিলাদের কাতার পর্যন্ত গেলেন অতঃপর পূর্বের স্থানে এলেন] লোকেরাও তাঁর সাথে এলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর পূর্ব স্থানে এসে দাঁড়ালেন। নামায শেষ করে তিনি যখন ফিরে এলেন তখন সূর্য পরিষ্কার হয়ে গেছে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে লোক সকল! সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে দুঁটি নিদর্শন। এ দুটি গ্রহণ কোন ব্যক্তির মৃত্যুর কারণে হয় না। [আবু বকর (রাযিঃ) বলেছেন, (রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ″কোন মানুষের মৃত্যুর কারণে″ (এ দুটো গ্রহণ হয় না)]। যখন তোমরা এরূপ কিছু দেখ, তখন সূর্য পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত নামায আদায় করতে থাক।
তোমাদের প্রতি যা কিছু ওয়াদা করা হয়েছে আমি এ নামাযে দেখতে পেয়েছি। আমার কাছে জাহান্নাম উপস্থিত করা হয়েছিল এবং তা ঘটেছিল যখন তোমরা আমাকে দেখেছ পেছনের দিকে সরে আসতে। কেননা আমার ভয় ছিল যে, আগুনের লেলিহান শিখা আমাকে স্পর্শ করবে। তাছাড়া আমি সেখানে লৌহ শলাকাধারী ব্যক্তিকে দেখেছি, সে জাহান্নামে তার নাড়িভূড়ি হেচড়িয়ে চলছে। সে ব্যক্তি লৌহ শলীকা দিয়ে হাজীদের মালামাল চুরি করত। যদি মালিক টের পেত তাহলে সে বলত, আমার লৌহশলাকায় আটকা পড়েছো আর টের না পেলে নিয়ে চলে যেত। আমি জাহান্নামে দেখেছি মহিলাকে যে বিড়াল বেঁধে রেখেছিল। সে বিড়ালটিকে খেতে দেয় নি, ছেড়েও দেয় নি, যাতে সে যমীনের কীট-পতঙ্গ খেতে পারে। এভাবে ক্ষুধায় সে মারা যায়।
এরপর আমার সম্মুখে জান্নাত হাযির করা হল। যখন তোমরা আমাকে সম্মুখে অগ্রসর হতে এবং পূর্ব স্থানে দাঁড়ান অবস্থায় দেখেছ। তখন আমি আমার হাত প্রসারিত করেছিলাম। আমি ফল আনতে ইচ্ছা করেছিলাম, যেন তোমরা দেখতে পার। এরপর মনে হল এমনটি না করাই উচিত। তোমাদেরকে যত জিনিসের ওয়াদা করা হয়েছে, সবই এ নামাযের সময় আমি দেখেছি।
নামায তাকবীর বলে আরম্ভ করলেন এবং কিরা’আত অত্যন্ত দীর্ঘ করলেন। এরপর রুকু’ করলেন। প্রায় কিয়ামের সমপরিমাণ সময় রুকুতে থাকলেন। এরপর রুকু থেকে মাথা উঠালেন এবং কিরাআত পড়লেন যা পূর্বাপেক্ষা কিছু কম। তারপর আবার রুকু করলেন, যা ছিল কিয়ামের সমপরিমাণ। এরপর তিনি রুকু হতে মাথা তুললেন এবং দ্বিতীয়বার হতে কিছু কম সময় কিরা’আত পড়লেন। আবার রুকু করলেন এবং কিয়ামের সমপরিমাণ সময় রুকুতে থাকলেন।
এরপর রুকু থেকে মাথা উঠালেন ও সিজদায় গেলেন এবং দুটি সিজদা করলেন। এরপর দাঁড়ালেন এবং তিনটি রুকু’ করলেন এবং প্রতি আগের রুকু পরের রুকু অপেক্ষা দীর্ঘ হত। রুকু ছিল সিজদার সমপরিমাণ।
অতঃপর পিছনের দিকে সরে এলেন কাতারগুলো ও পিছনে সরে গেল শেষ সীমা পর্যন্ত। [আবু বকর (রাযিঃ) বলেন, মহিলাদের কাতার পর্যন্ত গেলেন অতঃপর পূর্বের স্থানে এলেন] লোকেরাও তাঁর সাথে এলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর পূর্ব স্থানে এসে দাঁড়ালেন। নামায শেষ করে তিনি যখন ফিরে এলেন তখন সূর্য পরিষ্কার হয়ে গেছে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে লোক সকল! সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে দুঁটি নিদর্শন। এ দুটি গ্রহণ কোন ব্যক্তির মৃত্যুর কারণে হয় না। [আবু বকর (রাযিঃ) বলেছেন, (রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ″কোন মানুষের মৃত্যুর কারণে″ (এ দুটো গ্রহণ হয় না)]। যখন তোমরা এরূপ কিছু দেখ, তখন সূর্য পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত নামায আদায় করতে থাক।
তোমাদের প্রতি যা কিছু ওয়াদা করা হয়েছে আমি এ নামাযে দেখতে পেয়েছি। আমার কাছে জাহান্নাম উপস্থিত করা হয়েছিল এবং তা ঘটেছিল যখন তোমরা আমাকে দেখেছ পেছনের দিকে সরে আসতে। কেননা আমার ভয় ছিল যে, আগুনের লেলিহান শিখা আমাকে স্পর্শ করবে। তাছাড়া আমি সেখানে লৌহ শলাকাধারী ব্যক্তিকে দেখেছি, সে জাহান্নামে তার নাড়িভূড়ি হেচড়িয়ে চলছে। সে ব্যক্তি লৌহ শলীকা দিয়ে হাজীদের মালামাল চুরি করত। যদি মালিক টের পেত তাহলে সে বলত, আমার লৌহশলাকায় আটকা পড়েছো আর টের না পেলে নিয়ে চলে যেত। আমি জাহান্নামে দেখেছি মহিলাকে যে বিড়াল বেঁধে রেখেছিল। সে বিড়ালটিকে খেতে দেয় নি, ছেড়েও দেয় নি, যাতে সে যমীনের কীট-পতঙ্গ খেতে পারে। এভাবে ক্ষুধায় সে মারা যায়।
এরপর আমার সম্মুখে জান্নাত হাযির করা হল। যখন তোমরা আমাকে সম্মুখে অগ্রসর হতে এবং পূর্ব স্থানে দাঁড়ান অবস্থায় দেখেছ। তখন আমি আমার হাত প্রসারিত করেছিলাম। আমি ফল আনতে ইচ্ছা করেছিলাম, যেন তোমরা দেখতে পার। এরপর মনে হল এমনটি না করাই উচিত। তোমাদেরকে যত জিনিসের ওয়াদা করা হয়েছে, সবই এ নামাযের সময় আমি দেখেছি।
كتاب الكسوف
باب ذِكْرِ عَذَابِ الْقَبْرِ فِي صَلاَةِ الْخُسُوفِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ - وَتَقَارَبَا فِي اللَّفْظِ - قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ انْكَسَفَتِ الشَّمْسُ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ مَاتَ إِبْرَاهِيمُ ابْنُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ النَّاسُ إِنَّمَا انْكَسَفَتْ لِمَوْتِ إِبْرَاهِيمَ . فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى بِالنَّاسِ سِتَّ رَكَعَاتٍ بِأَرْبَعِ سَجَدَاتٍ بَدَأَ فَكَبَّرَ ثُمَّ قَرَأَ فَأَطَالَ الْقِرَاءَةَ ثُمَّ رَكَعَ نَحْوًا مِمَّا قَامَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ فَقَرَأَ قِرَاءَةً دُونَ الْقِرَاءَةِ الأُولَى ثُمَّ رَكَعَ نَحْوًا مِمَّا قَامَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ فَقَرَأَ قِرَاءَةً دُونَ الْقِرَاءَةِ الثَّانِيَةِ ثُمَّ رَكَعَ نَحْوًا مِمَّا قَامَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ ثُمَّ انْحَدَرَ بِالسُّجُودِ فَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ قَامَ فَرَكَعَ أَيْضًا ثَلاَثَ رَكَعَاتٍ لَيْسَ فِيهَا رَكْعَةٌ إِلاَّ الَّتِي قَبْلَهَا أَطْوَلُ مِنَ الَّتِي بَعْدَهَا وَرُكُوعُهُ نَحْوًا مِنْ سُجُودِهِ ثُمَّ تَأَخَّرَ وَتَأَخَّرَتِ الصُّفُوفُ خَلْفَهُ حَتَّى انْتَهَيْنَا - وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ حَتَّى انْتَهَى إِلَى النِّسَاءِ - ثُمَّ تَقَدَّمَ وَتَقَدَّمَ النَّاسُ مَعَهُ حَتَّى قَامَ فِي مَقَامِهِ فَانْصَرَفَ حِينَ انْصَرَفَ وَقَدْ آضَتِ الشَّمْسُ فَقَالَ  " يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّمَا الشَّمْسُ وَالْقَمَرُ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ وَإِنَّهُمَا لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ مِنَ النَّاسِ - وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ لِمَوْتِ بَشَرٍ - فَإِذَا رَأَيْتُمْ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ فَصَلُّوا حَتَّى تَنْجَلِيَ مَا مِنْ شَىْءٍ تُوعَدُونَهُ إِلاَّ قَدْ رَأَيْتُهُ فِي صَلاَتِي هَذِهِ لَقَدْ جِيءَ بِالنَّارِ وَذَلِكُمْ حِينَ رَأَيْتُمُونِي تَأَخَّرْتُ مَخَافَةَ أَنْ يُصِيبَنِي مِنْ لَفْحِهَا وَحَتَّى رَأَيْتُ فِيهَا صَاحِبَ الْمِحْجَنِ يَجُرُّ قُصْبَهُ فِي النَّارِ كَانَ يَسْرِقُ الْحَاجَّ بِمِحْجَنِهِ فَإِنْ فُطِنَ لَهُ قَالَ إِنَّمَا تَعَلَّقَ بِمِحْجَنِي . وَإِنْ غُفِلَ عَنْهُ ذَهَبَ بِهِ وَحَتَّى رَأَيْتُ فِيهَا صَاحِبَةَ الْهِرَّةِ الَّتِي رَبَطَتْهَا فَلَمْ تُطْعِمْهَا وَلَمْ تَدَعْهَا تَأْكُلُ مِنْ خَشَاشِ الأَرْضِ حَتَّى مَاتَتْ جُوعًا ثُمَّ جِيءَ بِالْجَنَّةِ وَذَلِكُمْ حِينَ رَأَيْتُمُونِي تَقَدَّمْتُ حَتَّى قُمْتُ فِي مَقَامِي وَلَقَدْ مَدَدْتُ يَدِي وَأَنَا أُرِيدُ أَنْ أَتَنَاوَلَ مِنْ ثَمَرِهَا لِتَنْظُرُوا إِلَيْهِ ثُمَّ بَدَا لِي أَنْ لاَ أَفْعَلَ فَمَا مِنْ شَىْءٍ تُوعَدُونَهُ إِلاَّ قَدْ رَأَيْتُهُ فِي صَلاَتِي هَذِهِ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ৯০৫-১
- সূর্য-চন্দ্র গ্রহনের অধ্যায়
১. সূর্যগ্রহণের নামাযে কবরের আযাবের উল্লেখ
১৯৭৫। মুহাম্মাদ ইবনে আলা আল-হামদানী (রাহঃ) ......... আসমা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যুগে একবার সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। আমি আয়িশার গৃহে গমন করলাম। তিনি তখন নামায আদায় করছিলেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, মানুষের কি হয়েছে তারা সবাই নামায আদায় করছে? তিনি মাথা নেড়ে আকাশের দিকে ইঙ্গিত করলেন। আমি বললাম, কোন বিশেষ ঘটনা ঘটেছে কি? তিনি ইশারা করলেন, হ্যাঁ।
ঐ সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামায আদায় করছিলেন এবং কিয়াম অত্যন্ত দীর্ঘ করছিলেন। এমনকি আমি প্রায় বেহুশ হয়ে গিয়েছিলাম। তখন আমার পাশে একটি পানি পাত্র নিলাম এবং তা থেকে আমার মাথায় ও মুখে পানি ছিটিয়ে দিচ্ছিলাম। আসমা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন প্রত্যাবর্তন করলেন তখন সূর্য পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) লোকদের উদ্দেশ্যে খুতবা দিলেন। আল্লাহ পাকের হামদ ও সানা বর্ণনা করার পর বললেন, আমি যে সব জিনিস দেখি নি, সবই আজ এ স্থানে দেখেছি। জান্নাত ও জাহান্নাম দেখেছি। আর আমাকে জানানো হয়েছে যে, তোমরা কবরে ভীষণ পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। মাসীহ দাজ্জালের ফিতনার কাছাকাছি বা এর অনুরূপ।
(রাবী বলেন), আমি জানি না আসমা (রাযিঃ) কোনটি বলেছিলেন। তোমাদের প্রত্যেকের কাছে ফিরিশতা আসবেন এবং বলবেন, ঐ ব্যক্তি (নবী (ﷺ)) সম্পর্কে তুমি কি জান? রাবী বলেছেন আসমা (রাযিঃ) মুমিন অথবা মু’কিন (বিশ্বাসী) কোনটি বলেছেন তা আমার জানা নাই। সে বলবে, তিনি মুহাম্মাদ (ﷺ), তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)। আমাদের জন্য হিদায়াত ও নিদর্শনাবলী নিয়ে এসেছিলেন। আমরা তাঁর দাওয়াত গ্রহণ ও আনুগত্য স্বীকার করেছিলাম। এ কথা তিনবার বললেন। তখন তাকে বলা হবে নিদ্রায় থাক। আমরা জানতাম তুমি তার উপর ঈমান এনেছিলে। তুমি উত্তমরূপে ঘুমিয়ে থাক। আর মুনাফিক অথবা সন্দেহ পোষণকারী বলবে, আমি জানি না। [রাবী বলেন, আসমা (রাযিঃ) যে কোন শব্দ বলেছিলেন, তা আমার জানা নেই।] মানুষকে একটি কথা বলতে শুনেছি তাই আমিও বলেছি।
ঐ সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামায আদায় করছিলেন এবং কিয়াম অত্যন্ত দীর্ঘ করছিলেন। এমনকি আমি প্রায় বেহুশ হয়ে গিয়েছিলাম। তখন আমার পাশে একটি পানি পাত্র নিলাম এবং তা থেকে আমার মাথায় ও মুখে পানি ছিটিয়ে দিচ্ছিলাম। আসমা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন প্রত্যাবর্তন করলেন তখন সূর্য পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) লোকদের উদ্দেশ্যে খুতবা দিলেন। আল্লাহ পাকের হামদ ও সানা বর্ণনা করার পর বললেন, আমি যে সব জিনিস দেখি নি, সবই আজ এ স্থানে দেখেছি। জান্নাত ও জাহান্নাম দেখেছি। আর আমাকে জানানো হয়েছে যে, তোমরা কবরে ভীষণ পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। মাসীহ দাজ্জালের ফিতনার কাছাকাছি বা এর অনুরূপ।
(রাবী বলেন), আমি জানি না আসমা (রাযিঃ) কোনটি বলেছিলেন। তোমাদের প্রত্যেকের কাছে ফিরিশতা আসবেন এবং বলবেন, ঐ ব্যক্তি (নবী (ﷺ)) সম্পর্কে তুমি কি জান? রাবী বলেছেন আসমা (রাযিঃ) মুমিন অথবা মু’কিন (বিশ্বাসী) কোনটি বলেছেন তা আমার জানা নাই। সে বলবে, তিনি মুহাম্মাদ (ﷺ), তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)। আমাদের জন্য হিদায়াত ও নিদর্শনাবলী নিয়ে এসেছিলেন। আমরা তাঁর দাওয়াত গ্রহণ ও আনুগত্য স্বীকার করেছিলাম। এ কথা তিনবার বললেন। তখন তাকে বলা হবে নিদ্রায় থাক। আমরা জানতাম তুমি তার উপর ঈমান এনেছিলে। তুমি উত্তমরূপে ঘুমিয়ে থাক। আর মুনাফিক অথবা সন্দেহ পোষণকারী বলবে, আমি জানি না। [রাবী বলেন, আসমা (রাযিঃ) যে কোন শব্দ বলেছিলেন, তা আমার জানা নেই।] মানুষকে একটি কথা বলতে শুনেছি তাই আমিও বলেছি।
كتاب الكسوف
باب ذِكْرِ عَذَابِ الْقَبْرِ فِي صَلاَةِ الْخُسُوفِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ فَاطِمَةَ، عَنْ أَسْمَاءَ، قَالَتْ خَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَدَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ وَهِيَ تُصَلِّي فَقُلْتُ مَا شَأْنُ النَّاسِ يُصَلُّونَ فَأَشَارَتْ بِرَأْسِهَا إِلَى السَّمَاءِ فَقُلْتُ آيَةٌ قَالَتْ نَعَمْ . فَأَطَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْقِيَامَ جِدًّا حَتَّى تَجَلاَّنِي الْغَشْىُ فَأَخَذْتُ قِرْبَةً مِنْ مَاءٍ إِلَى جَنْبِي فَجَعَلْتُ أَصُبُّ عَلَى رَأْسِي أَوْ عَلَى وَجْهِي مِنَ الْمَاءِ - قَالَتْ - فَانْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ تَجَلَّتِ الشَّمْسُ فَخَطَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم النَّاسَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ  " أَمَّا بَعْدُ مَا مِنْ شَىْءٍ لَمْ أَكُنْ رَأَيْتُهُ إِلاَّ قَدْ رَأَيْتُهُ فِي مَقَامِي هَذَا حَتَّى الْجَنَّةَ وَالنَّارَ وَإِنَّهُ قَدْ أُوحِيَ إِلَىَّ أَنَّكُمْ تُفْتَنُونَ فِي الْقُبُورِ قَرِيبًا أَوْ مِثْلَ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ - لاَ أَدْرِي أَىَّ ذَلِكَ قَالَتْ أَسْمَاءُ - فَيُؤْتَى أَحَدُكُمْ فَيُقَالُ مَا عِلْمُكَ بِهَذَا الرَّجُلِ فَأَمَّا الْمُؤْمِنُ أَوِ الْمُوقِنُ - لاَ أَدْرِي أَىَّ ذَلِكَ قَالَتْ أَسْمَاءُ - فَيَقُولُ هُوَ مُحَمَّدٌ هُوَ رَسُولُ اللَّهِ جَاءَنَا بِالْبَيِّنَاتِ وَالْهُدَى فَأَجَبْنَا وَأَطَعْنَا . ثَلاَثَ مِرَارٍ فَيُقَالُ لَهُ نَمْ قَدْ كُنَّا نَعْلَمُ إِنَّكَ لَتُؤْمِنُ بِهِ فَنَمْ صَالِحًا وَأَمَّا الْمُنَافِقُ أَوِ الْمُرْتَابُ - لاَ أَدْرِي أَىَّ ذَلِكَ قَالَتْ أَسْمَاءُ - فَيَقُولُ لاَ أَدْرِي سَمِعْتُ النَّاسَ يَقُولُونَ شَيْئًا فَقُلْتُ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ৯০৫-২
- সূর্য-চন্দ্র গ্রহনের অধ্যায়
১. সূর্যগ্রহণের নামাযে কবরের আযাবের উল্লেখ
১৯৭৬। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... আসমা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাযিঃ) এর কাছে এলাম। আমি লোকদের নামাযে দাঁড়ানো দেখলাম। আয়িশাকেও নামাযে দেখলাম। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, মানুষের কি হয়েছে? এর পর তিনি হিশাম সূত্রে ইবনে নূমায়েরের হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করলেন।
كتاب الكسوف
باب ذِكْرِ عَذَابِ الْقَبْرِ فِي صَلاَةِ الْخُسُوفِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ فَاطِمَةَ، عَنْ أَسْمَاءَ، قَالَتْ أَتَيْتُ عَائِشَةَ فَإِذَا النَّاسُ قِيَامٌ وَإِذَا هِيَ تُصَلِّي فَقُلْتُ مَا شَأْنُ النَّاسِ وَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ بِنَحْوِ حَدِيثِ ابْنِ نُمَيْرٍ عَنْ هِشَامٍ

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ৯০৫-৩
- সূর্য-চন্দ্র গ্রহনের অধ্যায়
১. সূর্যগ্রহণের নামাযে কবরের আযাবের উল্লেখ
১৯৭৭। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... উরওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, [সূর্যগ্রহণ বুঝানোর জন্য] ″কাসাফাতিশ শামস″ না বলে তোমরা বলতে ″খাসাফাতিশ শামস″।
كتاب الكسوف
باب ذِكْرِ عَذَابِ الْقَبْرِ فِي صَلاَةِ الْخُسُوفِ
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، قَالَ لاَ تَقُلْ كَسَفَتِ الشَّمْسُ وَلَكِنْ قُلْ خَسَفَتِ الشَّمْسُ

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ৯০৬-১
- সূর্য-চন্দ্র গ্রহনের অধ্যায়
১. সূর্যগ্রহণের নামাযে কবরের আযাবের উল্লেখ
১৯৭৮। ইয়াহয়া ইবনে হাবিব হারিসী (রাহঃ) ......... আসমা বিনতে আবু বকর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন নবী (ﷺ) আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়লেন। রাবী বলেন, অর্থাৎ সে দিন যে দিন সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। তিনি [তাড়াহুড়া করে] একটি লৌহবর্ম নিলেন। পরে তাঁকে পরিধানের জন্য একটি চাঁদর দেয়া হল। এরপর তিনি লোকদের নিয়ে দীর্ঘক্ষণ নামাযের দাঁড়ালেন যে, যদি কোন আগন্তুক আসে তাহলে সে বুঝতে পারত না যে, নবী (ﷺ) রুকু’ করেছেন। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ানোর কারণে মনে হবে না যে তিনি রুকু’ করেছেন।
كتاب الكسوف
باب ذِكْرِ عَذَابِ الْقَبْرِ فِي صَلاَةِ الْخُسُوفِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ الْحَارِثِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي مَنْصُورُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أُمِّهِ، صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّهَا قَالَتْ فَزِعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا - قَالَتْ تَعْنِي يَوْمَ كَسَفَتِ الشَّمْسُ - فَأَخَذَ دِرْعًا حَتَّى أُدْرِكَ بِرِدَائِهِ فَقَامَ لِلنَّاسِ قِيَامًا طَوِيلاً لَوْ أَنَّ إِنْسَانًا أَتَى لَمْ يَشْعُرْ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَكَعَ مَا حَدَّثَ أَنَّهُ رَكَعَ مِنْ طُولِ الْقِيَامِ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ৯০৬-২
- সূর্য-চন্দ্র গ্রহনের অধ্যায়
১. সূর্যগ্রহণের নামাযে কবরের আযাবের উল্লেখ
১৯৭৯। সাঈদ ইবনে ইয়াহয়া আল উমাবী (রাহঃ) ......... ইবনে জুরায়জ (রাহঃ) পূর্বোক্ত সনদে তদ্রূপ বর্ণনা করেছেন এবং তিনি এও বলেছেন, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ালেন তারপর রুকু থেকে উঠে দাঁড়ালেন, তারপর আবার রুকু করলেন। তবে রাবী অতিরিক্ত বলেছেন যে, (ঐ সময়ে) আমার চেয়েও অধিক বয়স্ক মহিলাদেরকে এবং রোগাক্রান্ত মহিলাদেরকে দেখতে পেলাম।
كتاب الكسوف
باب ذِكْرِ عَذَابِ الْقَبْرِ فِي صَلاَةِ الْخُسُوفِ
وَحَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى الأُمَوِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ وَقَالَ قِيَامًا طَوِيلاً يَقُومُ ثُمَّ يَرْكَعُ وَزَادَ فَجَعَلْتُ أَنْظُرُ إِلَى الْمَرْأَةِ أَسَنَّ مِنِّي وَإِلَى الأُخْرَى هِيَ أَسْقَمُ مِنِّي .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৮০
আন্তর্জাতিক নং: ৯০৬-৩
- সূর্য-চন্দ্র গ্রহনের অধ্যায়
১. সূর্যগ্রহণের নামাযে কবরের আযাবের উল্লেখ
১৯৮০। আহমাদ ইবনে সাঈদ আদ দারিমী (রাহঃ) ......... আসমা বিনতে আবু বকর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যুগে সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। তিনি তা দেখে শংকিত হয়ে পড়েছিলেন। তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়তে তিনি ভুলক্রমে লৌহবর্ম নিয়ে নিলেন। অবশেষে চাদর দিয়ে তাঁর ভুল শোধরানো হল। আসমা (রাযিঃ) বলেন, আমি তাড়াতাড়ি আমার প্রয়োজনাদি পূরণ করে নিলাম। এরপর এসে মসজিদে প্রবেশ করে দেখতে পেলাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামাযে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। আমিও দাঁড়িয়ে নামাযে শামিল হলাম। এরপর আমি (সেখানে) দুর্বল মহিলা দেখতে পেয়ে মনে মনে বললাম, এসব মহিলা তো আমার চেয়েও দুর্বল, কাজেই আমি দাঁড়িয়ে থাকলাম। এরপর তিনি রুকু করলেন এবং দীর্ঘ সময় রুকু করলেন। এরপর তিনি মাথা উঠিয়ে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলেন। (অবস্থা এমন দাঁড়াল যে) কেউ যদি বাহির হতে আসে তবে তার কাছে মনে হবে যে, তিনি রুকুই করেননি।
كتاب الكسوف
باب ذِكْرِ عَذَابِ الْقَبْرِ فِي صَلاَةِ الْخُسُوفِ
وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا حَبَّانُ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا مَنْصُورٌ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَتْ كَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَفَزِعَ فَأَخْطَأَ بِدِرْعٍ حَتَّى أُدْرِكَ بِرِدَائِهِ بَعْدَ ذَلِكَ قَالَتْ فَقَضَيْتُ حَاجَتِي ثُمَّ جِئْتُ وَدَخَلْتُ الْمَسْجِدَ فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمًا فَقُمْتُ مَعَهُ فَأَطَالَ الْقِيَامَ حَتَّى رَأَيْتُنِي أُرِيدُ أَنْ أَجْلِسَ ثُمَّ أَلْتَفِتُ إِلَى الْمَرْأَةِ الضَّعِيفَةِ فَأَقُولُ هَذِهِ أَضْعَفُ مِنِّي . فَأَقُومُ فَرَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَأَطَالَ الْقِيَامَ حَتَّى لَوْ أَنَّ رَجُلاً جَاءَ خُيِّلَ إِلَيْهِ أَنَّهُ لَمْ يَرْكَعْ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৮১
আন্তর্জাতিক নং: ৯০৭-১
- সূর্য-চন্দ্র গ্রহনের অধ্যায়
১. সূর্যগ্রহণের নামাযে কবরের আযাবের উল্লেখ
১৯৮১। সুয়ায়দ ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যুগে সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামায আদায় করলেন। লোকেরা তার সঙ্গে ছিলেন। তিনি এত দীর্ঘক্ষণ কিয়াম করলেন যে, এ সময়ের মধ্যে সূরা বাকারা তিলাওয়াত করা যায়। এরপর তিনি দীর্ঘ রুকু’ করলেন। এরপর তিনি মাথা উঠালেন এবং দীর্ঘক্ষণ কিয়াম করলেন। কিন্তু পূর্বের কিয়াম হতে কিছু কম। এর পর আবার দীর্ঘক্ষণ রুকু’ করলেন। কিন্তু পূর্ব রুকু হতে কিছু কম।
এরপর সিজদা করলেন ও দীর্ঘ কিয়াম করলেন। কিন্তু পূর্বপেক্ষা কিছু কম। আবার দীর্ঘ রুকু করলেন কিন্তু প্রথম রুকু হতে কিছু কম। এরপর মাথা উঠালেন এবং দীর্ঘক্ষণ কিয়াম করলেন। কিন্তু প্রথম কিয়ামের তুলনায় কিছু কম। আবার রুকু’ করলেন কিন্তু পূর্বের তুলনায় কম। তারপর সিজদা করলেন ও নামায থেকে প্রত্যাবর্তন করলেন। তখন সূর্য পরিষ্কার হয়ে গেছে। তিনি বললেন, সূর্য এবং চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে হতে দুটি নিদর্শন। কারো মৃত্যু ও জন্মের কারণে এগুলোতে গ্রহণ হয় না। যখন তোমরা গ্রহণ দেখতে পাও তখন আল্লাহর যিক্র কর।
সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনার এ অবস্থান থেকে আপনাকে কিছু নিতে দেখলাম। আবার আপনাকে দেখলাম, হাত গুটিয়ে নিতে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি জান্নাত দেখতে পেলাম এবং আঙ্গুর নিতে নিতে চাইলাম। যদি আমি তা নিতাম, তবে যত দিন দুনিয়া থাকত ততদিন তোমরা এ থেকে খেতে পারতে। এরপর জাহান্নাম দেখতে পেলাম। আজকের দিনের মত দৃশ্য আমি আর কখনো দেখিনি। আমি অধিক সংখ্যায়ে মহিলাদের জাহান্নামে দেখেছি। (উপস্থিত) মহিলাগণ বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তা কেন? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তাদের কুফরের কারণে। মহিলাগণ জিজ্ঞাসা করলেন, তারা কি আল্লাহর সাথে কুফর করে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, না বরং তারা জীবন সহচরদের সাথেও কুফর করে এবং অনুগ্রহের প্রতি অকৃতজ্ঞ থাকে। তুমি যদি তাদের একজনের প্রতি সারা যুগ ধরে অনুগ্রহ কর, তারপর কখনো সামান্য ক্রটি দেখতে পায়, তখন সে বলে উঠে তোমার থেকে কখনো কোন ভাল ব্যবহার পাই নি।
এরপর সিজদা করলেন ও দীর্ঘ কিয়াম করলেন। কিন্তু পূর্বপেক্ষা কিছু কম। আবার দীর্ঘ রুকু করলেন কিন্তু প্রথম রুকু হতে কিছু কম। এরপর মাথা উঠালেন এবং দীর্ঘক্ষণ কিয়াম করলেন। কিন্তু প্রথম কিয়ামের তুলনায় কিছু কম। আবার রুকু’ করলেন কিন্তু পূর্বের তুলনায় কম। তারপর সিজদা করলেন ও নামায থেকে প্রত্যাবর্তন করলেন। তখন সূর্য পরিষ্কার হয়ে গেছে। তিনি বললেন, সূর্য এবং চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে হতে দুটি নিদর্শন। কারো মৃত্যু ও জন্মের কারণে এগুলোতে গ্রহণ হয় না। যখন তোমরা গ্রহণ দেখতে পাও তখন আল্লাহর যিক্র কর।
সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনার এ অবস্থান থেকে আপনাকে কিছু নিতে দেখলাম। আবার আপনাকে দেখলাম, হাত গুটিয়ে নিতে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি জান্নাত দেখতে পেলাম এবং আঙ্গুর নিতে নিতে চাইলাম। যদি আমি তা নিতাম, তবে যত দিন দুনিয়া থাকত ততদিন তোমরা এ থেকে খেতে পারতে। এরপর জাহান্নাম দেখতে পেলাম। আজকের দিনের মত দৃশ্য আমি আর কখনো দেখিনি। আমি অধিক সংখ্যায়ে মহিলাদের জাহান্নামে দেখেছি। (উপস্থিত) মহিলাগণ বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তা কেন? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তাদের কুফরের কারণে। মহিলাগণ জিজ্ঞাসা করলেন, তারা কি আল্লাহর সাথে কুফর করে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, না বরং তারা জীবন সহচরদের সাথেও কুফর করে এবং অনুগ্রহের প্রতি অকৃতজ্ঞ থাকে। তুমি যদি তাদের একজনের প্রতি সারা যুগ ধরে অনুগ্রহ কর, তারপর কখনো সামান্য ক্রটি দেখতে পায়, তখন সে বলে উঠে তোমার থেকে কখনো কোন ভাল ব্যবহার পাই নি।
كتاب الكسوف
باب ذِكْرِ عَذَابِ الْقَبْرِ فِي صَلاَةِ الْخُسُوفِ
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ، بْنِ يَسَارٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ انْكَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالنَّاسُ مَعَهُ فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلاً قَدْرَ نَحْوِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً ثُمَّ رَفَعَ فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلاً وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ ثُمَّ سَجَدَ ثُمَّ قَامَ قِيَامًا طَوِيلاً وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَفَعَ فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلاً وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ ثُمَّ سَجَدَ ثُمَّ انْصَرَفَ وَقَدِ انْجَلَتِ الشَّمْسُ فَقَالَ " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ فَإِذَا رَأَيْتُمْ ذَلِكَ فَاذْكُرُوا اللَّهَ " . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ رَأَيْنَاكَ تَنَاوَلْتَ شَيْئًا فِي مَقَامِكَ هَذَا ثُمَّ رَأَيْنَاكَ كَفَفْتَ . فَقَالَ " إِنِّي رَأَيْتُ الْجَنَّةَ فَتَنَاوَلْتُ مِنْهَا عُنْقُودًا وَلَوْ أَخَذْتُهُ لأَكَلْتُمْ مِنْهُ مَا بَقِيَتِ الدُّنْيَا وَرَأَيْتُ النَّارَ فَلَمْ أَرَ كَالْيَوْمِ مَنْظَرًا قَطُّ وَرَأَيْتُ أَكْثَرَ أَهْلِهَا النِّسَاءَ " . قَالُوا بِمَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " بِكُفْرِهِنَّ " . قِيلَ أَيَكْفُرْنَ بِاللَّهِ قَالَ " بِكُفْرِ الْعَشِيرِ وَبِكُفْرِ الإِحْسَانِ لَوْ أَحْسَنْتَ إِلَى إِحْدَاهُنَّ الدَّهْرَ ثُمَّ رَأَتْ مِنْكَ شَيْئًا قَالَتْ مَا رَأَيْتُ مِنْكَ خَيْرًا قَطُّ " .
হাদীস নং: ১৯৮২
আন্তর্জাতিক নং: ৯০৭-২
- সূর্য-চন্দ্র গ্রহনের অধ্যায়
১. সূর্যগ্রহণের নামাযে কবরের আযাবের উল্লেখ
১৯৮২। মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ......... যায়দ ইবনে আসলাম (রাহঃ) থেকে উক্ত সনদে অনুরূপ বর্ণিত রয়েছে। তবে তিনি বলেন, ″আমরা আপনাকে পিছু সরতে দেখলাম।″
كتاب الكسوف
باب ذِكْرِ عَذَابِ الْقَبْرِ فِي صَلاَةِ الْخُسُوفِ
وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، - يَعْنِي ابْنَ عِيسَى - أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ ثُمَّ رَأَيْنَاكَ تَكَعْكَعْتَ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ৯০৮
- সূর্য-চন্দ্র গ্রহনের অধ্যায়
১. সূর্যগ্রহণের নামাযে কবরের আযাবের উল্লেখ
১৯৮৩। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সূর্যগ্রহণকালে আট রুকু ও চার সিজদায় দু’ রাক’আত নামায আদায় করলেন। আলী (রাযিঃ) হতেও অনুরূপ বর্ণনা রয়েছে।
كتاب الكسوف
باب ذِكْرِ عَذَابِ الْقَبْرِ فِي صَلاَةِ الْخُسُوفِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ حَبِيبٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ كَسَفَتِ الشَّمْسُ ثَمَانَ رَكَعَاتٍ فِي أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ . وَعَنْ عَلِيٍّ مِثْلُ ذَلِكَ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ৯০৯
- সূর্য-চন্দ্র গ্রহনের অধ্যায়
১. সূর্যগ্রহণের নামাযে কবরের আযাবের উল্লেখ
১৯৮৪। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও আবু বকর ইবনে খাল্লাদ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) সূর্যগ্রহণকালে নামায আদায় করলেন। কিরা’আত পড়লেন তারপর রুকু’ করলেন। আবার কিরা’আত পড়লেন এবং রুকু’ করলেন। আবার কিরা’আত পড়লেন এবং রুকু’ করলেন। তারপর সিজদায় গেলেন। রাবী বলেন পরবর্তী রাকআতও অনুরূপ।
كتاب الكسوف
باب ذِكْرِ عَذَابِ الْقَبْرِ فِي صَلاَةِ الْخُسُوفِ
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ كِلاَهُمَا عَنْ يَحْيَى الْقَطَّانِ، - قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا يَحْيَى، - عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ حَدَّثَنَا حَبِيبٌ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ صَلَّى فِي كُسُوفٍ قَرَأَ ثُمَّ رَكَعَ ثُمَّ قَرَأَ ثُمَّ رَكَعَ ثُمَّ قَرَأَ ثُمَّ رَكَعَ ثُمَّ قَرَأَ ثُمَّ رَكَعَ ثُمَّ سَجَدَ . قَالَ وَالأُخْرَى مِثْلُهَا .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ৯১০
- সূর্য-চন্দ্র গ্রহনের অধ্যায়
১. সূর্যগ্রহণের নামাযে কবরের আযাবের উল্লেখ
১৯৮৫। মুহাম্মাদ ইবনে রাফি ও আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান দারিমী (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আ’স (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যুগে যখন সূর্যগ্রহণ হয়েছিল, তখন নামায অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে ঘোষণা দেয়া হল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক রাক’আতে দু’ রুকু করলেন। তারপর দাঁড়িয়ে দু’ রুকু করে আরেক রাকআত পড়লেন। এরপর সূর্য পরিস্কার হয়ে যায়। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, এর চেয়ে দীর্ঘ রুকু ও দীর্ঘ সিজদা আমি আর কখনো করি নি।
كتاب الكسوف
باب ذِكْرِ عَذَابِ الْقَبْرِ فِي صَلاَةِ الْخُسُوفِ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، - وَهُوَ شَيْبَانُ النَّحْوِيُّ - عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، ح . وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، بْنُ سَلاَّمٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ خَبَرِ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ أَنَّهُ قَالَ لَمَّا انْكَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نُودِيَ بِـ ( الصَّلاَةَ جَامِعَةً ) فَرَكَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَكْعَتَيْنِ فِي سَجْدَةٍ ثُمَّ قَامَ فَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ فِي سَجْدَةٍ ثُمَّ جُلِّيَ عَنِ الشَّمْسِ فَقَالَتْ عَائِشَةُ مَا رَكَعْتُ رُكُوعًا قَطُّ وَلاَ سَجَدْتُ سُجُودًا قَطُّ كَانَ أَطْوَلَ مِنْهُ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ৯১১-১
- সূর্য-চন্দ্র গ্রহনের অধ্যায়
১. সূর্যগ্রহণের নামাযে কবরের আযাবের উল্লেখ
১৯৮৬। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আবু মাসউদ আনসারী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে দুটি নিদর্শন। এরদ্বারা আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের সতর্ক করে থাকেন। এ দুটির গ্রহণ কারো জন্ম বা মৃত্যুর কারণে হয় না। যখন তোমরা এ গ্রহণ দেখতে পাবে, তখন নামায আদায় করে দুআ করবে তোমাদের দুর্যোগ না কেটে যাওয়া পর্যন্ত।
كتاب الكسوف
باب ذِكْرِ عَذَابِ الْقَبْرِ فِي صَلاَةِ الْخُسُوفِ
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم  " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ يُخَوِّفُ اللَّهُ بِهِمَا عِبَادَهُ وَإِنَّهُمَا لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ مِنَ النَّاسِ فَإِذَا رَأَيْتُمْ مِنْهَا شَيْئًا فَصَلُّوا وَادْعُوا اللَّهَ حَتَّى يُكْشَفَ مَا بِكُمْ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ৯১১-২
- সূর্য-চন্দ্র গ্রহনের অধ্যায়
১. সূর্যগ্রহণের নামাযে কবরের আযাবের উল্লেখ
১৯৮৭। উবাইদুল্লাহ ইবনে মু’আয আম্বারি (রাহঃ) ও ইয়াহয়া হাবীব (রাহঃ) ......... আবু মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, সূর্য ও চন্দ্রের গ্রহণ কোন বিশেষ ব্যক্তির জন্ম বা মৃত্যুর কারণে হয় না। বরং এ হল আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে দুটি নিদর্শন। যখন তোমরা গ্রহণ দেখতে পাও তখন দাঁড়িয়ে নামায আদায় কর।
كتاب الكسوف
باب ذِكْرِ عَذَابِ الْقَبْرِ فِي صَلاَةِ الْخُسُوفِ
وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، وَيَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ قَيْسٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ  " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لَيْسَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ مِنَ النَّاسِ وَلَكِنَّهُمَا آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَقُومُوا فَصَلُّوا " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ৯১১-৩
- সূর্য-চন্দ্র গ্রহনের অধ্যায়
১. সূর্যগ্রহণের নামাযে কবরের আযাবের উল্লেখ
১৯৮৮। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা, ইসহাক ইবনে ইবরাহীম ও ইবনে আবু উমর (রাহঃ) সকলেই ইসমাঈল (রাহঃ) থেকে ঐ সনদে বর্ণনা করেছেন। তবে সুফিয়ান ও ওয়াকী (রাহঃ) এর বর্ণনায় আছে যে, যেদিন ইবরাহীম এর ইন্তিকাল হয় সেদিন সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। তখন মানুষ বলতে লাগল, সূর্যগ্রহণ হয়েছে, ইবরাহীম এর মৃত্যুর কারণে।
كتاب الكسوف
باب ذِكْرِ عَذَابِ الْقَبْرِ فِي صَلاَةِ الْخُسُوفِ
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَأَبُو أُسَامَةَ وَابْنُ نُمَيْرٍ ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، وَوَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، وَمَرْوَانُ، كُلُّهُمْ عَنْ إِسْمَاعِيلَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . وَفِي حَدِيثِ سُفْيَانَ وَوَكِيعٍ انْكَسَفَتِ الشَّمْسُ يَوْمَ مَاتَ إِبْرَاهِيمُ فَقَالَ النَّاسُ انْكَسَفَتْ لِمَوْتِ إِبْرَاهِيمَ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ৯১২
- সূর্য-চন্দ্র গ্রহনের অধ্যায়
১. সূর্যগ্রহণের নামাযে কবরের আযাবের উল্লেখ
১৯৮৯। আবু আমির আশ-আরী আব্দুল্লাহ ইবনে বাররাদ, মুহাম্মাদ ইবনুল আলী (রাহঃ) ......... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যুগে সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। তিনি দাঁড়ালেন এ আশঙ্কায় যে, কিয়ামতের মহাপ্রলয় বুঝি সংঘটিত হবে। তিনি (তাড়াতাড়ি) মসজিদে এলেন। অত্যন্ত দীর্ঘ কিয়াম, দীর্ঘ রুকু ও দীর্ঘ সিজদার সঙ্গে নামায আদায় করলেন। আমি আর কোন নামাযে কখনো এরূপ দেখিনি। এরপর তিনি (রাসুল) বলেন, আল্লাহর প্রেরিত এসব নিদর্শনাবলী কারো মৃত্যুর জন্য হয় না, কারো জন্মের জন্যও হয় না। তিনি এগুলো প্রেরণ করেন তাঁর বান্দাদের সতর্ক করার জন্য। যখন তোমরা এসব নিদর্শনাবলীর কিছু দেখতে পাও তখন তোমরা আতঙ্কিত হৃদয়ে আল্লাহর যিক্র, দুআ ও ইস্তিগফারে মশগুল হও।
كتاب الكسوف
باب ذِكْرِ عَذَابِ الْقَبْرِ فِي صَلاَةِ الْخُسُوفِ
حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الأَشْعَرِيُّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَرَّادٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ بُرَيْدٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ خَسَفَتِ الشَّمْسُ فِي زَمَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَامَ فَزِعًا يَخْشَى أَنْ تَكُونَ السَّاعَةُ حَتَّى أَتَى الْمَسْجِدَ فَقَامَ يُصَلِّي بِأَطْوَلِ قِيَامٍ وَرُكُوعٍ وَسُجُودٍ مَا رَأَيْتُهُ يَفْعَلُهُ فِي صَلاَةٍ قَطُّ ثُمَّ قَالَ " إِنَّ هَذِهِ الآيَاتِ الَّتِي يُرْسِلُ اللَّهُ لاَ تَكُونُ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ وَلَكِنَّ اللَّهَ يُرْسِلُهَا يُخَوِّفُ بِهَا عِبَادَهُ فَإِذَا رَأَيْتُمْ مِنْهَا شَيْئًا فَافْزَعُوا إِلَى ذِكْرِهِ وَدُعَائِهِ وَاسْتِغْفَارِهِ " . وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ الْعَلاَءِ كَسَفَتِ الشَّمْسُ وَقَالَ " يُخَوِّفُ عِبَادَهُ " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
