আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৮. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৭২০
আন্তর্জাতিক নং: ৭২০
 নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত রোযার অধ্যায়
(রোযাদার অবস্থায়) যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে বমি করে।
৭১৮. আলী ইবনে হুজর (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ কারো (রোযাকালে) অনিচ্ছকৃত বমি হলে তাকে কাযা করতে হবে না। কিন্তু কেউ যদি ইচ্ছাকৃত বমি করে তবে সে কাযা করবে। - ইবনে মাজাহ ১৬৭৬
এই বিষয়ে আবু দারদা, সাওবান ও ফাযালা ইবনে উবাইদ (রাযিঃ) থেকে হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসটি হাসান গরীব। ঈসা ইবনে ইউনুসের বরাত ছাড়া, হিশাম ইবনে সীরীন, আবু হুরায়রা সূত্রে এই হাদীসটি বর্ণিত আছে বলে আমাদের জানা নাই। মুহাম্মাদ (বুখারী) (রাহঃ) বলেন, ঈসা ইবনে ইউনুসকে আমি বারী হিসাবে নির্ভরযোগ্য বলে মনে করি না। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, নবী (ﷺ) আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর বর্ণিত হাদীসটি একাধিক সূত্রে বর্ণিত আছে। কিন্তু এর সনদগুলো সহীহ নয়।
আবুদ দারদা, সাওবান ও ফাযালা ইবনু উবাইদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী (ﷺ) একবার (রোযা কালে) বমি করলেন এবং রোযা ছেড়ে দিলেন।এ হাদীসটির র্মম হল, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নফল রোযা পালন করছিলেন। বমি হওয়ার পর দুর্বল হয়ে পড়লে তিনি রোযা ভেঙ্গে ফেলেন। কোন কোন হাদীসে এই বিষয়টি বিস্তারিতভাবে বর্ণিত রয়েছে। নবী (ﷺ) থেকে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণিত এই হাদীস অনুসারে আলিমগণের আমল রয়েছে যে, রোযাদারের অনিচ্ছাকৃত বমি হলে তার কোন কাযা নেই। কিন্তু ইচ্ছা করে বমি করলে সে কাযা করবে। এ হলো শাফিঈ, সুফিয়ান সাওরী, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ) এর অভিমত।
এই বিষয়ে আবু দারদা, সাওবান ও ফাযালা ইবনে উবাইদ (রাযিঃ) থেকে হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসটি হাসান গরীব। ঈসা ইবনে ইউনুসের বরাত ছাড়া, হিশাম ইবনে সীরীন, আবু হুরায়রা সূত্রে এই হাদীসটি বর্ণিত আছে বলে আমাদের জানা নাই। মুহাম্মাদ (বুখারী) (রাহঃ) বলেন, ঈসা ইবনে ইউনুসকে আমি বারী হিসাবে নির্ভরযোগ্য বলে মনে করি না। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, নবী (ﷺ) আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর বর্ণিত হাদীসটি একাধিক সূত্রে বর্ণিত আছে। কিন্তু এর সনদগুলো সহীহ নয়।
আবুদ দারদা, সাওবান ও ফাযালা ইবনু উবাইদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী (ﷺ) একবার (রোযা কালে) বমি করলেন এবং রোযা ছেড়ে দিলেন।এ হাদীসটির র্মম হল, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নফল রোযা পালন করছিলেন। বমি হওয়ার পর দুর্বল হয়ে পড়লে তিনি রোযা ভেঙ্গে ফেলেন। কোন কোন হাদীসে এই বিষয়টি বিস্তারিতভাবে বর্ণিত রয়েছে। নবী (ﷺ) থেকে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণিত এই হাদীস অনুসারে আলিমগণের আমল রয়েছে যে, রোযাদারের অনিচ্ছাকৃত বমি হলে তার কোন কাযা নেই। কিন্তু ইচ্ছা করে বমি করলে সে কাযা করবে। এ হলো শাফিঈ, সুফিয়ান সাওরী, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ) এর অভিমত।
أبواب الصوم عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مَا جَاءَ فِيمَنِ اسْتَقَاءَ عَمْدًا
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ  " مَنْ ذَرَعَهُ الْقَىْءُ فَلَيْسَ عَلَيْهِ قَضَاءٌ وَمَنِ اسْتَقَاءَ عَمْدًا فَلْيَقْضِ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ وَثَوْبَانَ وَفَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ هِشَامٍ عَنِ ابْنِ سِيرِينَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عِيسَى بْنِ يُونُسَ . وَقَالَ مُحَمَّدٌ لاَ أَرَاهُ مَحْفُوظًا . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَلاَ يَصِحُّ إِسْنَادُهُ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ وَثَوْبَانَ وَفَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَاءَ فَأَفْطَرَ . وَإِنَّمَا مَعْنَى هَذَا أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ صَائِمًا مُتَطَوِّعًا فَقَاءَ فَضَعُفَ فَأَفْطَرَ لِذَلِكَ . هَكَذَا رُوِيَ فِي بَعْضِ الْحَدِيثِ مُفَسَّرًا . وَالْعَمَلُ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ عَلَى حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ الصَّائِمَ إِذَا ذَرَعَهُ الْقَىْءُ فَلاَ قَضَاءَ عَلَيْهِ وَإِذَا اسْتَقَاءَ عَمْدًا فَلْيَقْضِ . وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ .


