আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৮. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৭৩০
আন্তর্জাতিক নং: ৭৩০
 নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত রোযার অধ্যায়
রাত্রি  থেকে  সংকল্প না করলে রোযা হয়না।
৭২৮. ইসহাক ইবনে মানসুর (রাহঃ) ...... হাফসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ ফজরের পূর্বেই যে ব্যক্তি রোযার সিদ্ধান্ত না নেয় তার রোযাই নেই। - ইবনে মাজাহ ১৭০০
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই সূত্র ছাড়া হাফসা (রাযিঃ) বর্ণিত এই হাদীসটির মারফু হওয়া সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। নাফি‘ থেকে ইবনে উমর (রাযিঃ) এর উক্তি হিসাবে এই হাদীসটি বর্ণিত আছে। আর এটাই অধিকতর সহীহ। কোন কোন আলিমের মতে এই হাদীসটির অর্থ হল, রমযানের রোযা বা কাযা বা মানতের রোযা হলে রাত থেকে অর্থাৎ ফজর উদিত হওয়ার পূর্বেই যদি কেউ নিয়াত না করে তবে তার রোযা হবে না। কিন্তু নফল রোযার ক্ষেত্রে ভোর হওয়ার পর নিয়াত করা তার জন্য মুবাহ ও জায়েয। এ হল ইমাম শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ)-এর অভিমত।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই সূত্র ছাড়া হাফসা (রাযিঃ) বর্ণিত এই হাদীসটির মারফু হওয়া সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। নাফি‘ থেকে ইবনে উমর (রাযিঃ) এর উক্তি হিসাবে এই হাদীসটি বর্ণিত আছে। আর এটাই অধিকতর সহীহ। কোন কোন আলিমের মতে এই হাদীসটির অর্থ হল, রমযানের রোযা বা কাযা বা মানতের রোযা হলে রাত থেকে অর্থাৎ ফজর উদিত হওয়ার পূর্বেই যদি কেউ নিয়াত না করে তবে তার রোযা হবে না। কিন্তু নফল রোযার ক্ষেত্রে ভোর হওয়ার পর নিয়াত করা তার জন্য মুবাহ ও জায়েয। এ হল ইমাম শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ)-এর অভিমত।
أبواب الصوم عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مَا جَاءَ لاَ صِيَامَ لِمَنْ لَمْ يَعْزِمْ مِنَ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حَفْصَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ  " مَنْ لَمْ يُجْمِعِ الصِّيَامَ قَبْلَ الْفَجْرِ فَلاَ صِيَامَ لَهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ حَفْصَةَ حَدِيثٌ لاَ نَعْرِفُهُ مَرْفُوعًا إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَوْلُهُ وَهُوَ أَصَحُّ وَهَكَذَا أَيْضًا رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنِ الزُّهْرِيِّ مَوْقُوفًا وَلاَ نَعْلَمُ أَحَدًا رَفَعَهُ إِلاَّ يَحْيَى بْنَ أَيُّوبَ . وَإِنَّمَا مَعْنَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ صِيَامَ لِمَنْ لَمْ يُجْمِعِ الصِّيَامَ قَبْلَ طُلُوعِ الْفَجْرِ فِي رَمَضَانَ أَوْ فِي قَضَاءِ رَمَضَانَ أَوْ فِي صِيَامِ نَذْرٍ إِذَا لَمْ يَنْوِهِ مِنَ اللَّيْلِ لَمْ يُجْزِهِ وَأَمَّا صِيَامُ التَّطَوُّعِ فَمُبَاحٌ لَهُ أَنْ يَنْوِيَهُ بَعْدَ مَا أَصْبَحَ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ .


