আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

১১. নবীজী ﷺ থেকে বিবাহ শাদী সম্পর্কিত বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ১১২১
আন্তর্জাতিক নং: ১১২১
নবীজী ﷺ থেকে বিবাহ শাদী সম্পর্কিত বর্ণনা
মুত’আ বিবাহ হারাম।
১১২২. ইবনে আবী উমর (রাহঃ) .... আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) খায়বর যুদ্ধকালে মেয়েদের সাথে মুতআ বিাবাহ, গৃহ পালিত গাধার গোশত নিষিদ্ধ করেছেন। - ইবনে মাজাহ, বুখারি, মুসলিম

এই বিষয়ে সাবরা জুহানী ও আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা বলেন, আলী (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। সাহাবী ও অন্যান্য আলিমগণের এই হাদীস অনুসারে আমল রয়েছে। মুতআ বিষয়ে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে কিছু অবকাশ আছে বলে বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণিত এই সব হাদীসের প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে তিনি স্বীয় মত প্রত্যাহার করেন। অধিকাংশ আলিম মুতআ হারাম হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এ হলো ইমাম ছাওরী, ইবনে মুবারক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ)-এর অভিমত।
أبواب النكاح عن رسول الله ﷺ
باب مَا جَاءَ فِي تَحْرِيمِ نِكَاحِ الْمُتْعَةِ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، وَالْحَسَنِ، ابْنَىْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ عَنْ أَبِيهِمَا، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ مُتْعَةِ النِّسَاءِ وَعَنْ لُحُومِ الْحُمُرِ الأَهْلِيَّةِ زَمَنَ خَيْبَرَ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ سَبْرَةَ الْجُهَنِيِّ وَأَبِي هُرَيْرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَلِيٍّ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ وَإِنَّمَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ شَيْءٌ مِنَ الرُّخْصَةِ فِي الْمُتْعَةِ ثُمَّ رَجَعَ عَنْ قَوْلِهِ حَيْثُ أُخْبِرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَمْرُ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ عَلَى تَحْرِيمِ الْمُتْعَةِ وَهُوَ قَوْلُ الثَّوْرِيِّ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ .
হাদীস নং: ১১২২
আন্তর্জাতিক নং: ১১২২
নবীজী ﷺ থেকে বিবাহ শাদী সম্পর্কিত বর্ণনা
মুত’আ বিবাহ হারাম।
১১২৩. মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) ...... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, মুতআ বিষয়টি ছিল ইসলামের প্রাথমিক যুগে। কোন ব্যক্তি কার্য ব্যাপদেশে এমন অঞ্চলে বা শহরেও যেত সেখানে তার কোন পরিচিত জন থাকত না। তখন সে যতদিন সেখানে থাকবে বলে মনে করত ততদিনের জন্য বিয়ে করে নিত। সেই মহিলা তার মাল-সামান হিফাযত করত ও তার জিনিস-পত্তর তত্ত্বাবধান করত। শেষে স্বীয় স্ত্রী বা মালিকানাভূক্ত দাসী ব্যতীত তোমাদের জন্য হালাল নয়’’- মর্মে আয়াত নাযিল হলো। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, ফলে এই দুইটি ছাড়া আর সব লজ্জাস্থান হারাম।
أبواب النكاح عن رسول الله ﷺ
باب مَا جَاءَ فِي تَحْرِيمِ نِكَاحِ الْمُتْعَةِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُقْبَةَ، أَخُو قَبِيصَةَ بْنِ عُقْبَةَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ إِنَّمَا كَانَتِ الْمُتْعَةُ فِي أَوَّلِ الإِسْلاَمِ كَانَ الرَّجُلُ يَقْدَمُ الْبَلْدَةَ لَيْسَ لَهُ بِهَا مَعْرِفَةٌ فَيَتَزَوَّجُ الْمَرْأَةَ بِقَدْرِ مَا يَرَى أَنَّهُ يُقِيمُ فَتَحْفَظُ لَهُ مَتَاعَهُ وَتُصْلِحُ لَهُ شَيْئَهُ حَتَّى إِذَا نَزَلَتِ الآيَةُ : ( إِلاَّ عَلَى أَزْوَاجِهِمْ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ ) قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَكُلُّ فَرْجٍ سِوَى هَذَيْنِ فَهُوَ حَرَامٌ .