আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

১৫. শাসনকার্য পরিচালনা ও আদালত-বিচার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ১৩৬১
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৬১
শাসনকার্য পরিচালনা ও আদালত-বিচার অধ্যায়
পুরুষ ও নারীর সাবালক হওয়ার বয়স।
১৩৬৫. মুহাম্মাদ ইবনে ওয়াযীর আল-ওয়াসিতী (রাহঃ) ..... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক সমর অভিযানকালে আমাকে নবী (ﷺ)-এর সামনে পেশ করা হয়। তখন আমার বয়স ছিল চৌদ্দ। কিন্তু তিনি আমাকে গ্রহণ করলেন না। সামনের বছর আরেক অভিযানকালে আমাকে তাঁর সামনে পেশ করা হয়। তখন আমার বয়স পনের। এই বার তিনি আমাকে গ্রহণ করলেন। নাফি (রাহঃ) বলেন, আমি এই হাদীসটি উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ)-এর নিকট বর্ণনা করি। তিনি বললেন, এই বয়সটিই হল বালেগ ও নাবালেগের বয়সসীমা। এরপর তিনি পনের বছর বয়সের লোকদের ভাতা নিরূপণের জন্য ফরমান লিখে জারি করে দিলেন। ইবনে আবী উমর (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এতে এরূপভাবে উমর ইবনে আব্দুল আযীযের বক্তব্যের উল্লেখ নাই। ইবনে উয়াইনা (রাহঃ)-তার রিওয়ায়াতে উল্লেখ করেছেন যে, নাফি‘ (রাহঃ) বলেন, আমি এই হাদীস উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ)-এর নিকট বর্ণনা করলে তিনি বলেন, এই হল শিশু ও যোদ্ধা হওয়ার মাঝে বয়স সীমা। - বুখারি ২৬৬৪, ৬/৩০

ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ। এতদনুসারে আলিমগণ আমল করেছেন। এ হল সুফিয়ান ছাওরী, ইবনে মুবারক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ)-এর অভিমত। তাদের রায় হল, কোন বালকের বয়স পনের বছর পূর্ণ হলে তাকে পুরুষ বলে গণ্য করা হবে। আর পনের বছরের পূর্বে যদি স্বপ্নদোষ হয় তবেও তাকে পুরুষ বলে গণ্য করা হবে। ইমাম আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ) বলেন, সাবালকত্বের বিষয় তিনটিঃ পনের বছর বয়স হওয়া অথবা স্বপ্নদোষ হওয়া, যদি বয়স চেনা না যায় বা স্বপ্নদোষও না হয় তবে এর পরিচয় হল নাভির নীচে চুল উঠা।
كتاب الأحكام عن رسول الله ﷺ
باب مَا جَاءَ فِي حَدِّ بُلُوغِ الرَّجُلِ وَالْمَرْأَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ وَزِيرٍ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ الأَزْرَقُ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ عُرِضْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي جَيْشٍ وَأَنَا ابْنُ أَرْبَعَ عَشْرَةَ فَلَمْ يَقْبَلْنِي فَعُرِضْتُ عَلَيْهِ مِنْ قَابِلٍ فِي جَيْشٍ وَأَنَا ابْنُ خَمْسَ عَشْرَةَ فَقَبِلَنِي . قَالَ نَافِعٌ وَحَدَّثْتُ بِهَذَا الْحَدِيثِ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَقَالَ هَذَا حَدُّ مَا بَيْنَ الصَّغِيرِ وَالْكَبِيرِ . ثُمَّ كَتَبَ أَنْ يُفْرَضَ لِمَنْ يَبْلُغُ الْخَمْسَ عَشْرَةَ .
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ كَتَبَ أَنَّ هَذَا حَدُّ مَا بَيْنَ الصَّغِيرِ وَالْكَبِيرِ . وَذَكَرَ ابْنُ عُيَيْنَةَ فِي حَدِيثِهِ . قَالَ نَافِعٌ فَحَدَّثْنَا بِهِ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَقَالَ هَذَا حَدُّ مَا بَيْنَ الذُّرِّيَّةِ وَالْمُقَاتِلَةِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ يَرَوْنَ أَنَّ الْغُلاَمَ إِذَا اسْتَكْمَلَ خَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً فَحُكْمُهُ حُكْمُ الرِّجَالِ وَإِنِ احْتَلَمَ قَبْلَ خَمْسَ عَشْرَةَ فَحُكْمُهُ حُكْمُ الرِّجَالِ . وَقَالَ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ الْبُلُوغُ ثَلاَثَةُ مَنَازِلَ بُلُوغُ خَمْسَ عَشْرَةَ أَوْ الاِحْتِلاَمُ فَإِنْ لَمْ يُعْرَفْ سِنُّهُ وَلاَ احْتِلاَمُهُ فَالإِنْبَاتُ يَعْنِي الْعَانَةَ .