আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
১৭. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত দন্ড বিধি - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ১৪৩০
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৩০
নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত দন্ড বিধি
হদ প্রতিহত করা প্রসঙ্গে।
১৪৩০. হাননাদ (রাহঃ) ...... ইয়াযীদ ইবনে যিয়াদ (রাহঃ) থেকে মুহাম্মাদ ইবনে রাবিআ এর অনুরূপ (১৪২৯ নং) হাদীস বর্ণিত আছে। কিন্তু তিনি তা মারফুরূপে বর্ণনা করেন নি।
এই বিষয়ে আবু হুরায়রা ও আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। মুহাম্মাদ ইবনে রাবীআ-ইয়াযীদ ইবনে যিয়াদ আদ-দিমাশকী-যুহরী-উরওয়া-আয়িশা (রাযিঃ) -নবী (ﷺ) সূত্র ব্যতিরেকে আয়িশা (রাযিঃ) বর্ণিত এই হাদীসটি (১৪২৯ নং) মারফু‘রূপে বর্ণিত আছে বলে আমাদের জানা নেই। ওয়াকী (রাহঃ) ও ইয়াযীদ ইবনে যিয়াদ (রাহঃ)-এর বরাতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন তবে তিনি এটিকে মারফু‘ হিসাবে রিওয়ায়াত করেন নি। ওয়াকি (রাহঃ) এর রিওয়ায়াতটই অধিকতর সহীহ। একাধিক সাহাবী (রাযিঃ) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত আছে। তারাও এরূপ কথা বলেছেন। ইয়াযীদ ইবনে যিয়াদ দিমাশকী হাদীসের ক্ষেত্রে যঈফ। আর ইয়াযীদ ইবনে আবী যিয়াদ কুফী হলেন এই ইয়াযীদের তুলনায় অধিকতর আস্থাশীল ও অগ্রগণ্য।
এই বিষয়ে আবু হুরায়রা ও আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। মুহাম্মাদ ইবনে রাবীআ-ইয়াযীদ ইবনে যিয়াদ আদ-দিমাশকী-যুহরী-উরওয়া-আয়িশা (রাযিঃ) -নবী (ﷺ) সূত্র ব্যতিরেকে আয়িশা (রাযিঃ) বর্ণিত এই হাদীসটি (১৪২৯ নং) মারফু‘রূপে বর্ণিত আছে বলে আমাদের জানা নেই। ওয়াকী (রাহঃ) ও ইয়াযীদ ইবনে যিয়াদ (রাহঃ)-এর বরাতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন তবে তিনি এটিকে মারফু‘ হিসাবে রিওয়ায়াত করেন নি। ওয়াকি (রাহঃ) এর রিওয়ায়াতটই অধিকতর সহীহ। একাধিক সাহাবী (রাযিঃ) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত আছে। তারাও এরূপ কথা বলেছেন। ইয়াযীদ ইবনে যিয়াদ দিমাশকী হাদীসের ক্ষেত্রে যঈফ। আর ইয়াযীদ ইবনে আবী যিয়াদ কুফী হলেন এই ইয়াযীদের তুলনায় অধিকতর আস্থাশীল ও অগ্রগণ্য।
أبواب الحدود عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مَا جَاءَ فِي دَرْءِ الْحُدُودِ .
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ زِيَادٍ، نَحْوَ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ رَبِيعَةَ وَلَمْ يَرْفَعْهُ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ لاَ نَعْرِفُهُ مَرْفُوعًا إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ رَبِيعَةَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ زِيَادٍ الدِّمَشْقِيِّ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَرَوَاهُ وَكِيعٌ عَنْ يَزِيدَ بْنِ زِيَادٍ نَحْوَهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ وَرِوَايَةُ وَكِيعٍ أَصَحُّ . وَقَدْ رُوِيَ نَحْوُ هَذَا عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُمْ قَالُوا مِثْلَ ذَلِكَ . وَيَزِيدُ بْنُ زِيَادٍ الدِّمَشْقِيُّ ضَعِيفٌ فِي الْحَدِيثِ وَيَزِيدُ بْنُ أَبِي زِيَادٍ الْكُوفِيُّ أَثْبَتُ مِنْ هَذَا وَأَقْدَمُ .
হাদীস নং: ১৪৩০
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৩০
নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত দন্ড বিধি
হদের ব্যাপারে সুপারিশ করা ঠিক নয়।
১৪৩৬। কুতায়বা (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, মাখযুমী গোত্রের যে মহিলাটি চুরি করেছিল তার বিষয়টি কুরাইশদের খুবই উদ্বিগ্ন করে তোলে। তারা নিজেদের মধ্যে বলল, এই বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে কথা বলবার মত কে আছে? কেউ কেউ বলল, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর একান্ত প্রিয় পাত্র উসামা ইবনে যায়দ ব্যতীত আর কেউ সাহস পাবে না। তারপর উসামা এই বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে কথা বললেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি আমার কাছে আল্লাহ নির্ধরিত হদসমূহের অন্যতম হদ সম্পর্কে সুপারিশ করছ? এরপর তিনি দাঁড়ালেন এবং খুতবা দিয়ে বললেন, তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেরা এই জন্যই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল যে, তাদের মধ্যে প্রতিপত্তিশালী ভদ্র ঘরের কেউ যদি চুরি করত তবে তারা তাকে ছেড়ে দিত আর দুর্বল কোন ব্যক্তি চুরি করলে তার উপর হদ প্রয়োগ করত। আল্লাহর কসম, মুহাম্মাদের মেয়ে ফাতিমাও যদি চুরি করত তবুও আমি অবশ্যই তার হাত কাটতাম। ইবনে মাজাহ ২৫৪৭, নাসাঈ
এই বিষয়ে মাসউদ ইবনুল আজমা ইনি বর্ণনান্তরে ইবনুল আ‘জাম বলে কথিত-ইবনে উমর ও জাবির (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, আয়িশা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ।
এই বিষয়ে মাসউদ ইবনুল আজমা ইনি বর্ণনান্তরে ইবনুল আ‘জাম বলে কথিত-ইবনে উমর ও জাবির (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, আয়িশা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ।
أبواب الحدود عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ أَنْ يُشْفَعَ فِي الْحُدُودِ .
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ قُرَيْشًا، أَهَمَّهُمْ شَأْنُ الْمَرْأَةِ الْمَخْزُومِيَّةِ الَّتِي سَرَقَتْ فَقَالُوا مَنْ يُكَلِّمُ فِيهَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا مَنْ يَجْتَرِئُ عَلَيْهِ إِلاَّ أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ حِبُّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَكَلَّمَهُ أُسَامَةُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَتَشْفَعُ فِي حَدٍّ مِنْ حُدُودِ اللَّهِ " . ثُمَّ قَامَ فَاخْتَطَبَ فَقَالَ " إِنَّمَا أَهْلَكَ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ أَنَّهُمْ كَانُوا إِذَا سَرَقَ فِيهِمُ الشَّرِيفُ تَرَكُوهُ وَإِذَا سَرَقَ فِيهِمُ الضَّعِيفُ أَقَامُوا عَلَيْهِ الْحَدَّ وَايْمُ اللَّهِ لَوْ أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ مُحَمَّدٍ سَرَقَتْ لَقَطَعْتُ يَدَهَا " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ مَسْعُودِ ابْنِ الْعَجْمَاءِ وَيُقَالُ مَسْعُودُ بْنُ الأَعْجَمِ وَابْنِ عُمَرَ وَجَابِرٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَيُقَالُ مَسْعُودُ بْنُ الأَعْجَمِ وله هذا الحديث.
তাহকীক: