আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
২০. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত শপথ ও মান্নতের বিধান - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ১৫৩১
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৩১
 নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত  শপথ ও মান্নতের বিধান
কসমের ক্ষেত্রে ইনশাআল্লাহ বলা।
১৫৩৭। মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কেউ যদি কোন বিষয়ে কসম করতে ইনশাআল্লাহ বলে তবে তার উপর কসম ভাঙ্গার বিষয় প্রযোজ্য হবে না। (কেননা, তা কসম বলেই গণ্য হবে না।)  ইবনে মাজাহ ২১০৫
এই বিষয়ে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনে উমর (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান। উবাইদুল্লাহ ইবনে উমর প্রমুখ (রাহঃ) এটিকে নাফি‘ - ইবনে উমর (রাযিঃ) সূত্রে মাউকুফ রূপে বর্ণনা করেছেন। এমনিভাবে সালিম (রাহঃ)-ও এটিকে ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে মাউকুফ রূপে বর্ণনা করেছেন। আইয়ুব সাখতিয়ানী ছাড়া এটিকে আর কেউ মারফু’রূপে বর্ণনা করেছেন বলে আমাদের জানা নাই। ইসমাঈল ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) বলেন, আইয়ুব (রাহঃ) এটিকে কখনো মারফু‘ রূপে বর্ণনা করেছেন আর কখনো কখনো মারফু‘ রূপে বর্ণনা করেন নি। অধিকাংশ সাহাবী ও অপরাপর আলিম এতদনুসারে আমল করেছেন যে, ইনশাআল্লাহ যদি কসমের সঙ্গে একত্রিত করে বলে তবে তার উপর কসম ভাঙ্গার বিষয় প্রযোজ্য হবে না এ হল সুফিয়ান ছাওরী, আওযাঈ, মালিক ইবনে আনাস, আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ)-এর অভিমত।
এই বিষয়ে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনে উমর (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান। উবাইদুল্লাহ ইবনে উমর প্রমুখ (রাহঃ) এটিকে নাফি‘ - ইবনে উমর (রাযিঃ) সূত্রে মাউকুফ রূপে বর্ণনা করেছেন। এমনিভাবে সালিম (রাহঃ)-ও এটিকে ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে মাউকুফ রূপে বর্ণনা করেছেন। আইয়ুব সাখতিয়ানী ছাড়া এটিকে আর কেউ মারফু’রূপে বর্ণনা করেছেন বলে আমাদের জানা নাই। ইসমাঈল ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) বলেন, আইয়ুব (রাহঃ) এটিকে কখনো মারফু‘ রূপে বর্ণনা করেছেন আর কখনো কখনো মারফু‘ রূপে বর্ণনা করেন নি। অধিকাংশ সাহাবী ও অপরাপর আলিম এতদনুসারে আমল করেছেন যে, ইনশাআল্লাহ যদি কসমের সঙ্গে একত্রিত করে বলে তবে তার উপর কসম ভাঙ্গার বিষয় প্রযোজ্য হবে না এ হল সুফিয়ান ছাওরী, আওযাঈ, মালিক ইবনে আনাস, আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ)-এর অভিমত।
أبواب النذور والأيمان عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مَا جَاءَ فِي الاِسْتِثْنَاءِ فِي الْيَمِينِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنِي أَبِي وَحَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ  " مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ فَقَالَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ فَقَدِ اسْتَثْنَى فَلاَ حِنْثَ عَلَيْهِ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ رَوَاهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ وَغَيْرُهُ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ مَوْقُوفًا . وَهَكَذَا رُوِيَ عَنْ سَالِمٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رضى الله عنهما مَوْقُوفًا . وَلاَ نَعْلَمُ أَحَدًا رَفَعَهُ غَيْرَ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ وَقَالَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ وَكَانَ أَيُّوبُ أَحْيَانًا يَرْفَعُهُ وَأَحْيَانًا لاَ يَرْفَعُهُ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَنَّ الاِسْتِثْنَاءَ إِذَا كَانَ مَوْصُولاً بِالْيَمِينِ فَلاَ حِنْثَ عَلَيْهِ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَالأَوْزَاعِيِّ وَمَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৩২
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৩২
 নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত  শপথ ও মান্নতের বিধান
কসমের ক্ষেত্রে ইনশাআল্লাহ বলা।
১৫৩৮। ইয়াহয়া ইবনে মুসা (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কেউ যদি কসম করে আর ইনশাআল্লাহ বলে তবে তার জন্য কসম ভাঙ্গার বিষয় নেই।  ইবনে মাজাহ ২১০৪
আমি মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল বুখারী (রাহঃ)-কে হাদীসটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি বললেন, এই হাদীসটি ভুল। এতে রাবী আব্দুর রাযযাক ভুল করেছেন। তিনি মা‘মার-ইবনে তাউস-তৎপিতা তাউস আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াতটিকে সংক্ষিপ্ত করে ফেলেছেন।
রিওয়ায়াতটি হল নবী (ﷺ) বলেছেন, সুলাইমান ইবনে দাউদ (আলাইহিস সালাম) একবার বলেছিলেন, আমি আজ রাতে অবশ্যই সত্তর জন স্ত্রীর শয্যা পরিভ্রমণ করব। প্রত্যেক মহিলাই একজন করে সন্তান প্রসব করবে। অনন্তর তিনি উক্ত স্ত্রীদের শয্যা পরিভ্রমণ করেন। কিন্তু তাদের মাঝে কেউ কোন সন্তান প্রসব করতে পারল না। কেবল একজন একটি অর্ধ বিকলাঙ্গ শিশু প্রসব করল। অনন্তর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যদি তিনি এতদসঙ্গে ইনশাআল্লাহ বলতেন তবে তার কথা অনুসারেই বিষয়টি ঘটত।
আব্দুর রাযযাক (রাহঃ) মা‘মার-ইবনে তাউস-তৎপিতা তাউস (রাহঃ) সূত্রে বিস্তারিতভাবে হাদীসটিকে শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন। তিনি এতে সত্তর জন স্ত্রীর কথা উল্লেখ করেছেন। হাদীসটি একাধিক সূত্রে আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর বরাতে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত আছে। তিনি বলেছেন, সুলাইমান ইবনে দাউদ (আলাইহিস সালাম) বলেছেন, আজ রাতে একশত স্ত্রীর শয্যা পরিভ্রমণ করব।
আমি মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল বুখারী (রাহঃ)-কে হাদীসটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি বললেন, এই হাদীসটি ভুল। এতে রাবী আব্দুর রাযযাক ভুল করেছেন। তিনি মা‘মার-ইবনে তাউস-তৎপিতা তাউস আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াতটিকে সংক্ষিপ্ত করে ফেলেছেন।
রিওয়ায়াতটি হল নবী (ﷺ) বলেছেন, সুলাইমান ইবনে দাউদ (আলাইহিস সালাম) একবার বলেছিলেন, আমি আজ রাতে অবশ্যই সত্তর জন স্ত্রীর শয্যা পরিভ্রমণ করব। প্রত্যেক মহিলাই একজন করে সন্তান প্রসব করবে। অনন্তর তিনি উক্ত স্ত্রীদের শয্যা পরিভ্রমণ করেন। কিন্তু তাদের মাঝে কেউ কোন সন্তান প্রসব করতে পারল না। কেবল একজন একটি অর্ধ বিকলাঙ্গ শিশু প্রসব করল। অনন্তর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যদি তিনি এতদসঙ্গে ইনশাআল্লাহ বলতেন তবে তার কথা অনুসারেই বিষয়টি ঘটত।
আব্দুর রাযযাক (রাহঃ) মা‘মার-ইবনে তাউস-তৎপিতা তাউস (রাহঃ) সূত্রে বিস্তারিতভাবে হাদীসটিকে শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন। তিনি এতে সত্তর জন স্ত্রীর কথা উল্লেখ করেছেন। হাদীসটি একাধিক সূত্রে আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর বরাতে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত আছে। তিনি বলেছেন, সুলাইমান ইবনে দাউদ (আলাইহিস সালাম) বলেছেন, আজ রাতে একশত স্ত্রীর শয্যা পরিভ্রমণ করব।
أبواب النذور والأيمان عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مَا جَاءَ فِي الاِسْتِثْنَاءِ فِي الْيَمِينِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ فَقَالَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ لَمْ يَحْنَثْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى سَأَلْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ عَنْ هَذَا فَقَالَ هَذَا حَدِيثٌ خَطَأٌ أَخْطَأَ فِيهِ عَبْدُ الرَّزَّاقِ اخْتَصَرَهُ مِنْ حَدِيثِ مَعْمَرٍ عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ سُلَيْمَانَ بْنَ دَاوُدَ قَالَ لأَطُوفَنَّ اللَّيْلَةَ عَلَى سَبْعِينَ امْرَأَةً تَلِدُ كُلُّ امْرَأَةٍ غُلاَمًا . فَطَافَ عَلَيْهِنَّ فَلَمْ تَلِدِ امْرَأَةٌ مِنْهُنَّ إِلاَّ امْرَأَةٌ نِصْفَ غُلاَمٍ " . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَوْ قَالَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ لَكَانَ كَمَا قَالَ " . هَكَذَا رُوِيَ عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ عَنْ مَعْمَرٍ عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ هَذَا الْحَدِيثُ بِطُولِهِ وَقَالَ " سَبْعِينَ امْرَأَةً " . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " قَالَ سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ لأَطُوفَنَّ اللَّيْلَةَ عَلَى مِائَةِ امْرَأَةٍ " .

তাহকীক:
