আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
২৮. রোগ-ব্যধি ও চিকিৎসা সম্পর্কিত শরয়ী বিধান - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ২০৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ২০৬৩
রোগ-ব্যধি ও চিকিৎসা সম্পর্কিত শরয়ী বিধান
তা’বীযের পারিশ্রমিক গ্রহণ করা।
২০৬৯. হান্নাদ (রাহঃ) .... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে এক অভিযানে পাঠিয়েছিলেন। অনন্তর আমরা এক সম্প্রদায়ের এখানে মনযিল করলাম এবং তাদের নিকট আতিথ্য প্রার্থনা করলাম। কিন্তু তারা আমাদের মেহমানদারী করল না। পরে তাদের সর্দারকে বিচ্ছু দংশন করে। তখন তারা আমাদের কাছে এসে বললঃ তোমাদের কেউ কি বিচ্ছু কাটার মন্ত্র জানে? আমি বললামঃ হ্যাঁ, আমি জানি কিন্তু আমাদেরকে অনেক বকরী না দেওয়া পর্যন্ত আমি ঝাড়বনা। তারা বললঃ আমরা তোমাদেরকে ত্রিশটি বকরী দিব। অনন্তর আমরা রাযী হয়ে গেলাম। সাতবার আলহামদু লিল্লাহ সূরাটি পড়ে তাকে ঝাড়লাম। ফলে লোকটি ভাল হয়ে গেল এবং বকরী গুলোও আমাদের কবযায় নিয়ে এলাম।
আবু সাঈদ (রাযিঃ) বলেনঃ কিন্তু এ বিষয়ে আমাদের মনে কিছু সন্দেহের উদ্রেক হয়। তাই আমরা বললাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত তোমরা কেউ এগুলোর বিষয়ে ব্যস্ততা করবে না। পরে আমরা যখন তাঁর কাছে আসলাম তখন আমি যা করেছিলাম সব কিছু তাঁকে বললাম। তিনি বললেনঃ তুমি কেমন করে জানলে যে এটিও ঝাড়-ফুঁকের বিষয়? বকরীগুলো নিয়ে নাও। আর তোমাদের সাথে আমাকেও একটি হিস্যা দিও।
আবু সাঈদ (রাযিঃ) বলেনঃ কিন্তু এ বিষয়ে আমাদের মনে কিছু সন্দেহের উদ্রেক হয়। তাই আমরা বললাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত তোমরা কেউ এগুলোর বিষয়ে ব্যস্ততা করবে না। পরে আমরা যখন তাঁর কাছে আসলাম তখন আমি যা করেছিলাম সব কিছু তাঁকে বললাম। তিনি বললেনঃ তুমি কেমন করে জানলে যে এটিও ঝাড়-ফুঁকের বিষয়? বকরীগুলো নিয়ে নাও। আর তোমাদের সাথে আমাকেও একটি হিস্যা দিও।
أبواب الطب عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب ما جاء في أخذ الأجر على التعويذ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ إِيَاسٍ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَرِيَّةٍ فَنَزَلْنَا بِقَوْمٍ فَسَأَلْنَاهُمُ الْقِرَى فَلَمْ يَقْرُونَا فَلُدِغَ سَيِّدُهُمْ فَأَتَوْنَا فَقَالُوا هَلْ فِيكُمْ مَنْ يَرْقِي مِنَ الْعَقْرَبِ قُلْتُ نَعَمْ أَنَا وَلَكِنْ لاَ أَرْقِيهِ حَتَّى تُعْطُونَا غَنَمًا . قَالُوا فَإِنَّا نُعْطِيكُمْ ثَلاَثِينَ شَاةً . فَقَبِلْنَا فَقَرَأْتُ عَلَيْهِ (الْحَمْدُ لِلَّهِ ) سَبْعَ مَرَّاتٍ فَبَرَأَ وَقَبَضْنَا الْغَنَمَ . قَالَ فَعَرَضَ فِي أَنْفُسِنَا مِنْهَا شَيْءٌ فَقُلْنَا لاَ تَعْجَلُوا حَتَّى تَأْتُوا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ فَلَمَّا قَدِمْنَا عَلَيْهِ ذَكَرْتُ لَهُ الَّذِي صَنَعْتُ قَالَ " وَمَا عَلِمْتَ أَنَّهَا رُقْيَةٌ اقْبِضُوا الْغَنَمَ وَاضْرِبُوا لِي مَعَكُمْ بِسَهْمٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو نَضْرَةَ اسْمُهُ الْمُنْذِرُ بْنُ مَالِكِ بْنِ قُطَعَةَ . وَرَخَّصَ الشَّافِعِيُّ لِلْمُعَلِّمِ أَنْ يَأْخُذَ عَلَى تَعْلِيمِ الْقُرْآنِ أَجْرًا وَيَرَى لَهُ أَنْ يَشْتَرِطَ عَلَى ذَلِكَ . وَاحْتَجَّ بِهَذَا الْحَدِيثِ . وَرَوَى شُعْبَةُ وَأَبُو عَوَانَةَ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ أَبِي بِشْرٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২০৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ২০৬৪
রোগ-ব্যধি ও চিকিৎসা সম্পর্কিত শরয়ী বিধান
তা’বীযের পারিশ্রমিক গ্রহণ করা।
২০৭০ আবু মুসা মুহাম্মাদ ইবনে মুছান্না (রাহঃ) .... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) এর সাহাবীদরে এক দল এক আরব কবীলার পাশ দিয়ে যচ্ছিলেন। কিন্তু তারা তাদের কোনরূপ মেহমানদারী বা আতিথ্য করল না। পরে তাদের সর্দার অসুস্থ হয়ে পড়ে। রাবী বলেন, তখন তারা আমাদের কাছে এসে বললঃ তোমাদের কাছে কোন প্রতিষেধক আছে কি? আমরা বললামঃ হ্যাঁ আছে। কিন্তু তোমরা কোনরূপ মেহমানদারী বা আতিথ্য করনি। সুতরাং আমাদেরকে পারিশ্রমিক না দিলে আমরা চিকিৎসা করব না। তারা এক পাল বকরী এর পারিশ্রমিক নির্ধারণ করল। তখন আমাদের একজন সূরা-ফাতিয়া পড়ে তাকে ঝাড়ল। ফলে লোকটি সুস্থ হয়ে গেল। পরে আমরা যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট ফিরে এলাম তখন তাঁর নিকট বিষয়টি উল্লেখ করলাম তিনি বললেন, এ দিয়ে ঝাড়-ফুঁক করা যায় তা কি করে জানলে! কিন্তু তার পক্ষ থেকে তিনি এই বিষয়ে কোন নিষেধাজ্ঞার উল্লেখ করেন নি। বরং বললেনঃ তোমরা তা ভোগ কর এবং তোমাদের সাথে আমার জন্য একটি হিস্যা রেখ।
أبواب الطب عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب ما جاء في أخذ الأجر على التعويذ
حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنِي عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا الْمُتَوَكِّلِ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، أَنَّ نَاسًا، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَرُّوا بِحَىٍّ مِنَ الْعَرَبِ فَلَمْ يَقْرُوهُمْ وَلَمْ يُضَيِّفُوهُمْ فَاشْتَكَى سَيِّدُهُمْ فَأَتَوْنَا فَقَالُوا هَلْ عِنْدَكُمْ دَوَاءٌ قُلْنَا نَعَمْ وَلَكِنْ لَمْ تَقْرُونَا وَلَمْ تُضَيِّفُونَا فَلاَ نَفْعَلُ حَتَّى تَجْعَلُوا لَنَا جُعْلاً . فَجَعَلُوا عَلَى ذَلِكَ قَطِيعًا مِنَ الْغَنَمِ . قَالَ فَجَعَلَ رَجُلٌ مِنَّا يَقْرَأُ عَلَيْهِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ فَبَرَأَ فَلَمَّا أَتَيْنَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ذَكَرْنَا ذَلِكَ لَهُ قَالَ " وَمَا يُدْرِيكَ أَنَّهَا رُقْيَةٌ " . وَلَمْ يَذْكُرْ نَهْيًا مِنْهُ وَقَالَ " كُلُوا وَاضْرِبُوا لِي مَعَكُمْ بِسَهْمٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ الأَعْمَشِ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ إِيَاسٍ . وَهَكَذَا رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي بِشْرٍ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي وَحْشِيَّةَ عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ . وَجَعْفَرُ بْنُ إِيَاسٍ هُوَ جَعْفَرُ بْنُ أَبِي وَحْشِيَّةَ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী: