আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৩৩. ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের বিবরণ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ২১৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ২১৭৯
ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের বিবরণ
আমানত উঠিয়ে নেয়া প্রসঙ্গে।
২১৮২. হান্নাদ (রাহঃ) ...... হুযাইফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে দু’টো হাদীস বলেছিলেন। একটি তো দেখেছি আরেকটির জন্য আমি অপেক্ষা করছি। তিনি আমাদের বলেছিলেন, আমানত মানুষের অন্তরমূলে নাযিল হয়। এরপর কুরআন নাযিল হয় আর তারা কুরআন সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে আবার সুন্নাহ সম্পর্কেও জ্ঞান লাভ করে।
তারপর তিনি আমানত উঠিয়ে নেয়া সম্পর্কেও বলেছিলেন। তিনি বলেছেনঃ এক ব্যক্তি ঘুমিয়ে পড়বে আর তার অন্তর থেকে আমানত কবয করে নেয়া হবে। এতে এর চিহ্ন থেকে যাবে ফোটার মত। তারপর সে আবার নিদ্রা যাবে আর তার অন্তর থেকে আমানত কবয করে নেয়া হবে। এতে এর আছর থেকে যাবে একটা ফোসকার মত। যেমন কোন পাথরের টুকরা যদি তোমার পায়ে ঘসাও আর যখন এতে ফোসকা পড়ে যায় তখন তুমি এটিকে ফোলা দেখতে পাও। অথচ এর ভেতর কিছুই নেই।
তারপর তিনি একটি কংকর নিয়ে এটি তাঁর পায়ে ঘসে দেখালেন, তিনি আরো বললেনঃ লোকেরা বেচা-কেনা করবে কিন্তু হয়ত একজনও এমন হবে না যে আমানতদারী করছে, এমনকি বলা হবে অমুক গোত্রে একজন আমানতদার ব্যক্তি আছে। এমন অবস্থা হবে যে, কোন ব্যক্তি সম্পর্কে বলা হবে সে কত সাহসী, কত হুশিয়ার কত বুদ্ধিমান অথচ তার অন্তরে রাইয়ের দানা পরিমাণও ঈমান নাই।
(হুযাইফা (রাযিঃ)) বলেন, এমন এক সময় আমার উপর অতিবাহিত হয়েছে যে, কার সঙ্গে আমি ক্রয়-বিক্রয় করছি সে বিষয়ে কোন পরওয়া করতাম না। কারণ, সে যদি মুসলিম হত তবে তার দ্বীনী দায়িত্ব বোধই তা আমাকে ফিরিয়ে দিত। আর যদি ইয়াহুদী বা খৃষ্টান হত তবে তার প্রশাসকই আমাকে তা ফিরিয়ে দিত। কিন্তু আজ অমুক অমুক ব্যক্তি ছাড়া তোমাদের কারো সাথে আমি ক্রয়-বিক্রয় করার মত নই।
তারপর তিনি আমানত উঠিয়ে নেয়া সম্পর্কেও বলেছিলেন। তিনি বলেছেনঃ এক ব্যক্তি ঘুমিয়ে পড়বে আর তার অন্তর থেকে আমানত কবয করে নেয়া হবে। এতে এর চিহ্ন থেকে যাবে ফোটার মত। তারপর সে আবার নিদ্রা যাবে আর তার অন্তর থেকে আমানত কবয করে নেয়া হবে। এতে এর আছর থেকে যাবে একটা ফোসকার মত। যেমন কোন পাথরের টুকরা যদি তোমার পায়ে ঘসাও আর যখন এতে ফোসকা পড়ে যায় তখন তুমি এটিকে ফোলা দেখতে পাও। অথচ এর ভেতর কিছুই নেই।
তারপর তিনি একটি কংকর নিয়ে এটি তাঁর পায়ে ঘসে দেখালেন, তিনি আরো বললেনঃ লোকেরা বেচা-কেনা করবে কিন্তু হয়ত একজনও এমন হবে না যে আমানতদারী করছে, এমনকি বলা হবে অমুক গোত্রে একজন আমানতদার ব্যক্তি আছে। এমন অবস্থা হবে যে, কোন ব্যক্তি সম্পর্কে বলা হবে সে কত সাহসী, কত হুশিয়ার কত বুদ্ধিমান অথচ তার অন্তরে রাইয়ের দানা পরিমাণও ঈমান নাই।
(হুযাইফা (রাযিঃ)) বলেন, এমন এক সময় আমার উপর অতিবাহিত হয়েছে যে, কার সঙ্গে আমি ক্রয়-বিক্রয় করছি সে বিষয়ে কোন পরওয়া করতাম না। কারণ, সে যদি মুসলিম হত তবে তার দ্বীনী দায়িত্ব বোধই তা আমাকে ফিরিয়ে দিত। আর যদি ইয়াহুদী বা খৃষ্টান হত তবে তার প্রশাসকই আমাকে তা ফিরিয়ে দিত। কিন্তু আজ অমুক অমুক ব্যক্তি ছাড়া তোমাদের কারো সাথে আমি ক্রয়-বিক্রয় করার মত নই।
أبواب الفتن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب ما جاء في رفع الأمانة
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ، حَدَّثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَدِيثَيْنِ قَدْ رَأَيْتُ أَحَدَهُمَا وَأَنَا أَنْتَظِرُ الآخَرَ حَدَّثَنَا " أَنَّ الأَمَانَةَ نَزَلَتْ فِي جَذْرِ قُلُوبِ الرِّجَالِ ثُمَّ نَزَلَ الْقُرْآنُ فَعَلِمُوا مِنَ الْقُرْآنِ وَعَلِمُوا مِنَ السُّنَّةِ " . ثُمَّ حَدَّثَنَا عَنْ رَفْعِ الأَمَانَةِ فَقَالَ " يَنَامُ الرَّجُلُ النَّوْمَةَ فَتُقْبَضُ الأَمَانَةُ مِنْ قَلْبِهِ فَيَظَلُّ أَثَرُهَا مِثْلَ الْوَكْتِ ثُمَّ يَنَامُ نَوْمَةً فَتُقْبَضُ الأَمَانَةُ مِنْ قَلْبِهِ فَيَظَلُّ أَثَرُهَا مِثْلَ الْمَجْلِ كَجَمْرٍ دَحْرَجْتَهُ عَلَى رِجْلِكَ فَنَفِطَتْ فَتَرَاهُ مُنْتَبِرًا وَلَيْسَ فِيهِ شَيْءٌ " . ثُمَّ أَخَذَ حَصَاةً فَدَحْرَجَهَا عَلَى رِجْلِهِ قَالَ " فَيُصْبِحُ النَّاسُ يَتَبَايَعُونَ لاَ يَكَادُ أَحَدُهُمْ يُؤَدِّي الأَمَانَةَ حَتَّى يُقَالَ إِنَّ فِي بَنِي فُلاَنٍ رَجُلاً أَمِينًا وَحَتَّى يُقَالَ لِلرَّجُلِ مَا أَجْلَدَهُ وَأَظْرَفَهُ وَأَعْقَلَهُ وَمَا فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ حَبَّةٍ مِنْ خَرْدَلٍ مِنْ إِيمَانٍ " . قَالَ وَلَقَدْ أَتَى عَلَىَّ زَمَانٌ وَمَا أُبَالِي أَيُّكُمْ بَايَعْتُ فِيهِ لَئِنْ كَانَ مُسْلِمًا لَيَرُدَّنَّهُ عَلَىَّ دِينُهُ وَلَئِنْ كَانَ يَهُودِيًّا أَوْ نَصْرَانِيًّا لَيَرُدَّنَّهُ عَلَىَّ سَاعِيهِ فَأَمَّا الْيَوْمَ فَمَا كُنْتُ لأُبَايِعَ مِنْكُمْ إِلاَّ فُلاَنًا وَفُلاَنًا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .