আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৩৩. ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের বিবরণ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
হাদীস নং: ২২৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ২২৪৬
ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের বিবরণ
ইবনে সাইয়্যাদ প্রসঙ্গে বর্ণনা।
২২৪৯. সুফিয়ান ইবনে ওয়াকী (রাহঃ) ...... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজ্জ (কিংবা উমরা) এর সফরে ইবনে সাইয়্যাদ আমার সঙ্গী হয়। লোকেরা চলে গেলে আমি এবং সে রয়ে গেলাম। আমি তার সাথে একা হয়ে গেলে তার সম্পর্কে লোকেরা যা বলাবলি করত তা ভেবে আমি ভীত ও সন্ত্রস্ত হয়ে পড়লাম। এক স্থানে বিশ্রামের জন্য আমি অবতরণ করলে তাকে বললামঃ ঐ গাছটার কাছে তোমার সামান-পত্র রাখ।
আবু সাঈদ (রাযিঃ) বলেনঃ সে কিছু বকরী দেখতি পেয়ে একটি পেয়ালা নিয় গিয়ে সেদিকে গেল এবং কিছু দুধ দোহন করে আমার কাছে তা নিয়ে এল। আমাকে বললঃ আবু সাঈদ, পান কর। মানুষ যেহেতু তার সম্পর্কে নানা কথা বলত তাই তার হাতে কিছু পান করতে আমার ভাল লাগছিল না। তাই আমি তাকে বললামঃ আজকের দিনটি খুব গরম, এমন দিনে আমি দুধ পছন্দ করি না।
সে বললঃ হে আবু সাঈদ, লোকেরা যে আমাকে এবং আমার সম্পর্কে নানা কথা বলে সেই জন্য আমার ইচ্ছা হয় একটি দড়ি নিয়ে একটি গাছে বেধে ফাসি লাগিয়ে আত্মহত্য করে ফেলি। তুমি কি মনে কর, আমার বিষয়টি কারো কাছে অস্পষ্ট থাকলেও তোমরা আনসারীদের কাছে তো আর কখনো অস্পষ্ট থাকার কথা নয়। হে আনসার সম্প্রদায়, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হাদীস সম্পর্কে তোমরা কি সবচেয়ে বেশী জ্ঞাত নও? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি বলেননি যে দাজ্জাল হল কাফির আথচ আমি মুসলমান। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি আরো বলেন নি যে, সে হবে নিঃসন্তান তার কোন সন্তান থাকবে না। আর আমি তো মদীনায় আমার সন্তান রেখে এসেছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি বলেন নি যে, মক্কা এবং মদীনা তার জন্য হালাল নয়। (সে মক্কায় প্রবেশ করতে পারবে না)। আমি কি নিজে মদীনাবাসী নই? আর এই তো এখন তোমার সঙ্গে মক্কায় চলছি।
আবু সাঈদ (রাযিঃ) বলেনঃ আল্লাহর কসম, সে এমনভাবে একটার পর একটা যুক্তি উত্থাপন করতে লাগল যে আমি মনে মনে বললাম, হয়ত লোকটির সম্পর্কে লোকেরা মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। এরপর সে বললঃ হে আবু সাঈদ, আল্লাহর কসম, তোমাকে অবশ্যই আমি একটি সত্য খবর দিচ্ছি। আল্লাহর কসম, আমি অবশ্যই তাকে (দাজ্জালকে) জানি, তার পিতাকে চিনি এবং এখন সে পৃথিবীর কোথায় আছে তা-ও আমি জানি। আমি বললামঃ তোর জন্য ধ্বংস আসুক সারা দিন।
আবু সাঈদ (রাযিঃ) বলেনঃ সে কিছু বকরী দেখতি পেয়ে একটি পেয়ালা নিয় গিয়ে সেদিকে গেল এবং কিছু দুধ দোহন করে আমার কাছে তা নিয়ে এল। আমাকে বললঃ আবু সাঈদ, পান কর। মানুষ যেহেতু তার সম্পর্কে নানা কথা বলত তাই তার হাতে কিছু পান করতে আমার ভাল লাগছিল না। তাই আমি তাকে বললামঃ আজকের দিনটি খুব গরম, এমন দিনে আমি দুধ পছন্দ করি না।
সে বললঃ হে আবু সাঈদ, লোকেরা যে আমাকে এবং আমার সম্পর্কে নানা কথা বলে সেই জন্য আমার ইচ্ছা হয় একটি দড়ি নিয়ে একটি গাছে বেধে ফাসি লাগিয়ে আত্মহত্য করে ফেলি। তুমি কি মনে কর, আমার বিষয়টি কারো কাছে অস্পষ্ট থাকলেও তোমরা আনসারীদের কাছে তো আর কখনো অস্পষ্ট থাকার কথা নয়। হে আনসার সম্প্রদায়, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হাদীস সম্পর্কে তোমরা কি সবচেয়ে বেশী জ্ঞাত নও? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি বলেননি যে দাজ্জাল হল কাফির আথচ আমি মুসলমান। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি আরো বলেন নি যে, সে হবে নিঃসন্তান তার কোন সন্তান থাকবে না। আর আমি তো মদীনায় আমার সন্তান রেখে এসেছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি বলেন নি যে, মক্কা এবং মদীনা তার জন্য হালাল নয়। (সে মক্কায় প্রবেশ করতে পারবে না)। আমি কি নিজে মদীনাবাসী নই? আর এই তো এখন তোমার সঙ্গে মক্কায় চলছি।
আবু সাঈদ (রাযিঃ) বলেনঃ আল্লাহর কসম, সে এমনভাবে একটার পর একটা যুক্তি উত্থাপন করতে লাগল যে আমি মনে মনে বললাম, হয়ত লোকটির সম্পর্কে লোকেরা মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। এরপর সে বললঃ হে আবু সাঈদ, আল্লাহর কসম, তোমাকে অবশ্যই আমি একটি সত্য খবর দিচ্ছি। আল্লাহর কসম, আমি অবশ্যই তাকে (দাজ্জালকে) জানি, তার পিতাকে চিনি এবং এখন সে পৃথিবীর কোথায় আছে তা-ও আমি জানি। আমি বললামঃ তোর জন্য ধ্বংস আসুক সারা দিন।
أبواب الفتن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابُ مَا جَاءَ فِي ذِكْرِ ابْنِ صَيَّادٍ
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ صَحِبَنِي ابْنُ صَائِدٍ إِمَّا حُجَّاجًا وَإِمَّا مُعْتَمِرِينَ فَانْطَلَقَ النَّاسُ وَتُرِكْتُ أَنَا وَهُوَ فَلَمَّا خَلَصْتُ بِهِ اقْشَعْرَرْتُ مِنْهُ وَاسْتَوْحَشْتُ مِنْهُ مِمَّا يَقُولُ النَّاسُ فِيهِ فَلَمَّا نَزَلْتُ قُلْتُ لَهُ ضَعْ مَتَاعَكَ حَيْثُ تِلْكَ الشَّجَرَةِ . قَالَ فَأَبْصَرَ غَنَمًا فَأَخَذَ الْقَدَحَ فَانْطَلَقَ فَاسْتَحْلَبَ ثُمَّ أَتَانِي بِلَبَنٍ فَقَالَ لِي يَا أَبَا سَعِيدٍ اشْرَبْ . فَكَرِهْتُ أَنْ أَشْرَبَ مِنْ يَدِهِ شَيْئًا لِمَا يَقُولُ النَّاسُ فِيهِ فَقُلْتُ لَهُ هَذَا الْيَوْمُ يَوْمٌ صَائِفٌ وَإِنِّي أَكْرَهُ فِيهِ اللَّبَنَ . قَالَ لِي يَا أَبَا سَعِيدٍ هَمَمْتُ أَنْ آخُذَ حَبْلاً فَأُوثِقَهُ إِلَى شَجَرَةٍ ثُمَّ أَخْتَنِقُ لِمَا يَقُولُ النَّاسُ لِي وَفِيَّ أَرَأَيْتَ مَنْ خَفِيَ عَلَيْهِ حَدِيثِي فَلَنْ يَخْفَى عَلَيْكُمْ أَلَسْتُمْ أَعْلَمَ النَّاسِ بِحَدِيثِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَا مَعْشَرَ الأَنْصَارِ أَلَمْ يَقُلْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّهُ كَافِرٌ وَأَنَا مُسْلِمٌ أَلَمْ يَقُلْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّهُ عَقِيمٌ لاَ يُولَدُ لَهُ وَقَدْ خَلَّفْتُ وَلَدِي بِالْمَدِينَةِ أَلَمْ يَقُلْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاَ يَدْخُلُ أَوْ لاَ تَحِلُّ لَهُ مَكَّةُ وَالْمَدِينَةُ أَلَسْتُ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ وَهُوَ ذَا أَنْطَلِقُ مَعَكَ إِلَى مَكَّةَ . فَوَاللَّهِ مَا زَالَ يَجِيءُ بِهَذَا حَتَّى قُلْتُ فَلَعَلَّهُ مَكْذُوبٌ عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ يَا أَبَا سَعِيدٍ وَاللَّهِ لأُخْبِرَنَّكَ خَبَرًا حَقًّا وَاللَّهِ إِنِّي لأَعْرِفُهُ وَأَعْرِفُ وَالِدَهُ وَأَعْرِفُ أَيْنَ هُوَ السَّاعَةَ مِنَ الأَرْضِ . فَقُلْتُ تَبًّا لَكَ سَائِرَ الْيَوْمِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ.
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২২৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ২২৪৭
ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের বিবরণ
ইবনে সাইয়্যাদ প্রসঙ্গে বর্ণনা।
২২৫০. সুফিয়ান ইবনে ওয়াকী (রাহঃ) ...... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মদীনার কোন এক রাস্তায় ইবনে সাইয়্যাদের সাথে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাক্ষাত হয়। তখন তিনি তাঁকে থামালেন। সে ছিল এক ইয়াহুদী বালক। তার চুল ছিল বেণীবদ্ধ। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে আবু বকর এবং উমর (রাযিঃ)ও ছিলেন। তাকে রাসয়ূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে, আমি আল্লাহর রাসূল?
সে বললঃ আপনি কি সাক্ষ্য দেন যে, আমি আল্লাহর রাসূল?
নবী (ﷺ) বললেনঃ আমি তো আল্লাহ, তাঁর ফিরিশতাগণ, তাঁর কিতাবসমূহ, তাঁর রাসূলগণ এবং শেষ দিনের উপর ঈমান এনেছি।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে আরো বললেনঃ তুমি কি দেখতে পাও?
সে বললঃ পানির উপর একটি সিংহাসন দেখতে পাচ্ছি।
নবী (ﷺ) বললেনঃ সাগরের উপর ইবলীশের আসন দেখতে পাচ্ছ।
তিনি বললেনঃ আর কি দেখ?
সে বলল একজন সত্যবাদী ও দুইজন মিথ্যাবাদী কিংবা দুইজন সত্যবাদী ও একজন মিথ্যাবাদীকে দেখি।
নবী (ﷺ) বললেনঃ তার উপর বিষয়টি অস্পষ্ট হয়ে পড়েছে। অতএব তোমরা একে ছেড়ে দাও।
সে বললঃ আপনি কি সাক্ষ্য দেন যে, আমি আল্লাহর রাসূল?
নবী (ﷺ) বললেনঃ আমি তো আল্লাহ, তাঁর ফিরিশতাগণ, তাঁর কিতাবসমূহ, তাঁর রাসূলগণ এবং শেষ দিনের উপর ঈমান এনেছি।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে আরো বললেনঃ তুমি কি দেখতে পাও?
সে বললঃ পানির উপর একটি সিংহাসন দেখতে পাচ্ছি।
নবী (ﷺ) বললেনঃ সাগরের উপর ইবলীশের আসন দেখতে পাচ্ছ।
তিনি বললেনঃ আর কি দেখ?
সে বলল একজন সত্যবাদী ও দুইজন মিথ্যাবাদী কিংবা দুইজন সত্যবাদী ও একজন মিথ্যাবাদীকে দেখি।
নবী (ﷺ) বললেনঃ তার উপর বিষয়টি অস্পষ্ট হয়ে পড়েছে। অতএব তোমরা একে ছেড়ে দাও।
أبواب الفتن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابُ مَا جَاءَ فِي ذِكْرِ ابْنِ صَيَّادٍ
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ لَقِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ابْنَ صَائِدٍ فِي بَعْضِ طُرُقِ الْمَدِينَةِ فَاحْتَبَسَهُ وَهُوَ غُلاَمٌ يَهُودِيٌّ وَلَهُ ذُؤَابَةٌ وَمَعَهُ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ " . فَقَالَ أَتَشْهَدُ أَنْتَ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " آمَنْتُ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ " . قَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " مَا تَرَى " . قَالَ أَرَى عَرْشًا فَوْقَ الْمَاءِ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " تَرَى عَرْشَ إِبْلِيسَ فَوْقَ الْبَحْرِ . قَالَ " فَمَا تَرَى " . قَالَ أَرَى صَادِقًا وَكَاذِبَيْنِ أَوْ صَادِقَيْنِ وَكَاذِبًا . قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لُبِّسَ عَلَيْهِ " . فَدَعَاهُ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ وَابْنِ عُمَرَ وَأَبِي ذَرٍّ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَجَابِرٍ وَحَفْصَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২২৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ২২৪৮
ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের বিবরণ
ইবনে সাইয়্যাদ প্রসঙ্গে বর্ণনা।
২২৫১. আব্দুল্লাহ ইবনে মুআবিয়া জুমাহী (রাহঃ) ..... আব্দুর রহমান ইবনে আবু বাকরা তার পিতা আবু বাকরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ দাজ্জালের পিতা-মাতা ত্রিশ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে তাদের কোন সন্তান হবে না। পরে তাদের এক কানা শিশুর জন্ম হবে। যা হবে সবচেয়ে ক্ষতিকর এবং অত্যন্ত অনুপোকারী। তার চোখ তো হবে নিদ্রিত কিন্তু অন্তর হবে না।
এরপর নবী (ﷺ) তার পিতা-মাতার বিবরণ দিলেন। বললেনঃ তার পিতা হবে লম্বা, পাতলা গড়নের। তার নাকটা যেন পাখির ঠোট। তার মা হবে স্থুলকায়, সুদীর্ঘ স্তন বিশিষ্টা মহিলা।
আবু বাকরা (রাযিঃ) বলেনঃ মদীনায় ইয়াহুদীদের একটি সন্তানের কথা শুনে আমি এবং যুবাইর ইবনে আওয়াম সেখানে গেলাম। আমরা তার পিতা-মাতার কাছে গিয়ে দেখলাম রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যা বলেছিলেন এরা ঠিক তদ্রূপ। আমরা বললামঃ তোমাদের কোন সন্তান আছে কি? তারা বললঃ ত্রিশ বছর আমাদের কোন সন্তান হয় নাই। এরপর একটি কানা বাচ্চা হয়েছে। সে সবচেয়ে ক্ষতিকর এবং কম উপকারী। তার দুচোখ তো ঘুমায় কিন্তু তার অন্তর ঘুমায় না।
আবু বাকরা (রাযিঃ) বললেনঃ আমরা তাদের ওখান থেকে বের হয়ে এলাম। হঠাত দেখি বালকটি একটি চাঁদর লেপটে রোদে শুয়ে আছে আর বিড় বিড় করছে। সে তার মাথা থেকে কাপড় সরাল, বলল, তোমরা কি বলছ?
আমরা বললামঃ আমরা কি বলেছি তুমি শুনেছ নাকি?
সে বললঃ হ্যাঁ, আমার দু’চোখ ঘুমায়, আমার অন্তর ঘুমায় না।
এরপর নবী (ﷺ) তার পিতা-মাতার বিবরণ দিলেন। বললেনঃ তার পিতা হবে লম্বা, পাতলা গড়নের। তার নাকটা যেন পাখির ঠোট। তার মা হবে স্থুলকায়, সুদীর্ঘ স্তন বিশিষ্টা মহিলা।
আবু বাকরা (রাযিঃ) বলেনঃ মদীনায় ইয়াহুদীদের একটি সন্তানের কথা শুনে আমি এবং যুবাইর ইবনে আওয়াম সেখানে গেলাম। আমরা তার পিতা-মাতার কাছে গিয়ে দেখলাম রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যা বলেছিলেন এরা ঠিক তদ্রূপ। আমরা বললামঃ তোমাদের কোন সন্তান আছে কি? তারা বললঃ ত্রিশ বছর আমাদের কোন সন্তান হয় নাই। এরপর একটি কানা বাচ্চা হয়েছে। সে সবচেয়ে ক্ষতিকর এবং কম উপকারী। তার দুচোখ তো ঘুমায় কিন্তু তার অন্তর ঘুমায় না।
আবু বাকরা (রাযিঃ) বললেনঃ আমরা তাদের ওখান থেকে বের হয়ে এলাম। হঠাত দেখি বালকটি একটি চাঁদর লেপটে রোদে শুয়ে আছে আর বিড় বিড় করছে। সে তার মাথা থেকে কাপড় সরাল, বলল, তোমরা কি বলছ?
আমরা বললামঃ আমরা কি বলেছি তুমি শুনেছ নাকি?
সে বললঃ হ্যাঁ, আমার দু’চোখ ঘুমায়, আমার অন্তর ঘুমায় না।
أبواب الفتن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابُ مَا جَاءَ فِي ذِكْرِ ابْنِ صَيَّادٍ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْجُمَحِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَمْكُثُ أَبُو الدَّجَّالِ وَأُمُّهُ ثَلاَثِينَ عَامًا لاَ يُولَدُ لَهُمَا وَلَدٌ ثُمَّ يُولَدُ لَهُمَا غُلاَمٌ أَعْوَرُ أَضَرُّ شَيْءٍ وَأَقَلُّهُ مَنْفَعَةً تَنَامُ عَيْنَاهُ وَلاَ يَنَامُ قَلْبُهُ " . ثُمَّ نَعَتَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَبَوَيْهِ فَقَالَ " أَبُوهُ طِوَالٌ ضَرْبُ اللَّحْمِ كَأَنَّ أَنْفَهُ مِنْقَارٌ وَأُمُّهُ امْرَأَةٌ فَرْضَاخِيَّةٌ طَوِيلَةُ الْيَدَيْنِ " . فَقَالَ أَبُو بَكْرَةَ فَسَمِعْنَا بِمَوْلُودٍ فِي الْيَهُودِ بِالْمَدِينَةِ فَذَهَبْتُ أَنَا وَالزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى أَبَوَيْهِ فَإِذَا نَعْتُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيهِمَا فَقُلْنَا هَلْ لَكُمَا وَلَدٌ فَقَالاَ مَكَثْنَا ثَلاَثِينَ عَامًا لاَ يُولَدُ لَنَا وَلَدٌ ثُمَّ وُلِدَ لَنَا غُلاَمٌ أَعْوَرُ أَضَرُّ شَيْءٍ وَأَقَلُّهُ مَنْفَعَةً تَنَامُ عَيْنَاهُ وَلاَ يَنَامُ قَلْبُهُ . قَالَ فَخَرَجْنَا مِنْ عِنْدِهِمَا فَإِذَا هُوَ مُنْجَدِلٌ فِي الشَّمْسِ فِي قَطِيفَةٍ لَهُ وَلَهُ هَمْهَمَةٌ فَكَشَفَ عَنْ رَأْسِهِ فَقَالَ مَا قُلْتُمَا قُلْنَا وَهَلْ سَمِعْتَ مَا قُلْنَا قَالَ نَعَمْ تَنَامُ عَيْنَاىَ وَلاَ يَنَامُ قَلْبِي . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২২৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ২২৪৯
ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের বিবরণ
ইবনে সাইয়্যাদ প্রসঙ্গে বর্ণনা।
২২৫২. ’আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ..... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, সাহাবীগণের এক দলসহ একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইবনে সাইয়াদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এই দলে উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)ও ছিলেন। বনু মাগালায় উচুমহলের পাশে ইবনে সাইয়্যাদ তখন কিছু বালকের সাথে খেলছিল। সেও ছিল একজন বালক। সে টের পাওয়ার আগেই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গিয়ে তার পিঠে হাত-চাপড় দিলেন। পরে বললেনঃ তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে, আমি আল্লাহর রাসূল?
ইবনে সাইয়্যাদ তাঁর দিকে তাকিয়ে বললঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি উম্মীদের রাসূল।
আবু সাঈদ (রাযিঃ) বলেনঃ এরপর ইবনে সাইয়্যাদ নবী (ﷺ)-কে বললঃ আপনি কি সাক্ষ্য দেন যে, আমি আল্লাহর রাসূল?
নবী (ﷺ) বললেনঃ আমি তো আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের উপর ঈমান এনেছি।
তারপর নবী (ﷺ) তাকে বললেনঃ কি আসে তোমার কাছে?
ইবনে সাইয়্যাদ বললঃ আমার কাছে সত্যও আসে মিথ্যাও আসে। নবী (ﷺ) বললেনঃ বিষয়টি তোমার কাছে মিশ্রিত হয়ে গেছে।
এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আমি তোমার জন্য একটি বিষয় ধ্যানে লুকিয়ে রাখলাম বল তো কি? তিনি (يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ) আয়াতটি গোপনে পাঠ করেছিলেন।
ইবনে সাইয়্যাদ বললঃ তা হল ’‘দুখ’’
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ দূর হ, তুই কখনো তোর তাকদীর অতিক্রম করতে পারবি না।
উমর (রাযিঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, অনুমতি দিন, আমি এর গর্দান উড়িয়ে দিই।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ সে যদি সত্যই (দাজ্জাল) হয়ে থাকে তবে তো তার উপর তোমার ক্ষমতা হবে না। আর যদি (দাজ্জাল) না হয়ে থাকে তবে একে হত্যা করা তো তোমার জন্য কল্যাণকর নয়।
ইবনে সাইয়্যাদ তাঁর দিকে তাকিয়ে বললঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি উম্মীদের রাসূল।
আবু সাঈদ (রাযিঃ) বলেনঃ এরপর ইবনে সাইয়্যাদ নবী (ﷺ)-কে বললঃ আপনি কি সাক্ষ্য দেন যে, আমি আল্লাহর রাসূল?
নবী (ﷺ) বললেনঃ আমি তো আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের উপর ঈমান এনেছি।
তারপর নবী (ﷺ) তাকে বললেনঃ কি আসে তোমার কাছে?
ইবনে সাইয়্যাদ বললঃ আমার কাছে সত্যও আসে মিথ্যাও আসে। নবী (ﷺ) বললেনঃ বিষয়টি তোমার কাছে মিশ্রিত হয়ে গেছে।
এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আমি তোমার জন্য একটি বিষয় ধ্যানে লুকিয়ে রাখলাম বল তো কি? তিনি (يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ) আয়াতটি গোপনে পাঠ করেছিলেন।
ইবনে সাইয়্যাদ বললঃ তা হল ’‘দুখ’’
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ দূর হ, তুই কখনো তোর তাকদীর অতিক্রম করতে পারবি না।
উমর (রাযিঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, অনুমতি দিন, আমি এর গর্দান উড়িয়ে দিই।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ সে যদি সত্যই (দাজ্জাল) হয়ে থাকে তবে তো তার উপর তোমার ক্ষমতা হবে না। আর যদি (দাজ্জাল) না হয়ে থাকে তবে একে হত্যা করা তো তোমার জন্য কল্যাণকর নয়।
أبواب الفتن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابُ مَا جَاءَ فِي ذِكْرِ ابْنِ صَيَّادٍ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّ بِابْنِ صَيَّادٍ فِي نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِهِ فِيهِمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَهُوَ يَلْعَبُ مَعَ الْغِلْمَانِ عِنْدَ أُطُمِ بَنِي مَغَالَةَ وَهُوَ غُلاَمٌ فَلَمْ يَشْعُرْ حَتَّى ضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ظَهْرَهُ بِيَدِهِ ثُمَّ قَالَ " أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ " . فَنَظَرَ إِلَيْهِ ابْنُ صَيَّادٍ فَقَالَ أَشْهَدُ أَنَّكَ رَسُولُ الأُمِّيِّينَ . ثُمَّ قَالَ ابْنُ صَيَّادٍ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَتَشْهَدُ أَنْتَ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " آمَنْتُ بِاللَّهِ وَبِرُسُلِهِ " . ثُمَّ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " مَا يَأْتِيكَ " . قَالَ ابْنُ صَيَّادٍ يَأْتِينِي صَادِقٌ وَكَاذِبٌ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " خُلِّطَ عَلَيْكَ الأَمْرُ " . ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنِّي خَبَأْتُ لَكَ خَبِيئًا " . وَخَبَأَ لَهُ : (يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ) فَقَالَ ابْنُ صَيَّادٍ هُوَ الدُّخُّ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اخْسَأْ فَلَنْ تَعْدُوَ قَدْرَكَ " . قَالَ عُمَرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ائْذَنْ لِي فَأَضْرِبَ عُنُقَهُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنْ يَكُ حَقًّا فَلَنْ تُسَلَّطَ عَلَيْهِ وَإِنْ لاَ يَكُنْهُ فَلاَ خَيْرَ لَكَ فِي قَتْلِهِ " . قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ يَعْنِي الدَّجَّالَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
তাহকীক: