আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৩৬. যুহদ-দুনিয়া বিমুখতার বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ২৩২৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৩২৫
যুহদ-দুনিয়া বিমুখতার বর্ণনা
দুনিয়ার দৃষ্টান্ত চার জন লোকের উদাহরণ স্বরূপ।
২৩২৮. মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ...... আবু কাবশা আনমারী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ তিনটি বিষয়ে আমি কসম করছি এবং সেগুলির বিষয়ে তোমাদের বলছি। তোমরা এগুলোর সংরক্ষণ করবে।
অনন্তর তিনি বললেনঃ দান-সাদ্কার কারণে কোন বান্দার সম্পদ হ্রাস পায় না। কোন বান্দা যদি কোন বিষয়ে মযলুম হয় আর তাতে সে সবর অবলম্বন করে তবে এতে আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তার ইযযত বাড়িয়ে দেন। কোন বান্দা যখন যাঞ্ছার দরজা খুলে তখন আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তার অভাবের দরজাও খুলে দেন। অথবা তিনি এ ধরণের কোন কথা বলেছেন।
তোমাদের আমি একটি কথা বলছি, তোমরা সেটির খুব হেফাযত করবে। এই দুনিয়া হল চারজনেরঃ যে বান্দাকে আল্লাহ তাআলা সম্পদ ও ইলম দান করেছেন আর সে এই ক্ষেত্রে তার রবের ভয় করে এবং এর মাধ্যমে সে আত্মীয়তার বন্ধন অক্ষুণ্ণ রাখে ও তাতে আল্লাহর হক সম্পর্কেও সজ্ঞান, সেই বান্দার মর্যাদা হল সর্বোচ্চ স্তরে।
আরেক বান্দা হল যাকে আল্লাহ তাআলা ইলম দান করেছেন কিন্তু তাকে সম্পদ দেন নি অথচ সে সৎ নিয়তের অধিকারী, সে বলে, আমার যদি সম্পদ থাকত তবে তাতে অমুক (প্রথমোক্ত) ব্যক্তির আমলের ন্যায় আমল করতাম। নিয়ত অনুসারেই এই ব্যক্তির মর্যাদা নির্ধারণ হবে। সুতরাং এদের উভয়ের সাওয়াব হবে এক বরাবর।
অপর এক বান্দা হল যাকে আল্লাহ তাআলা সম্পদ দিয়েছেন কিন্তু ইলম দেননি। সে তার সম্পদের ইলম ছাড়াই বিভ্রান্তভাবে খায়িশাত অনুসারে ব্যয় করে, এই বিষয়ে তার রবের ভয় করে না, তা দিয়ে আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করে না এবং এই ক্ষেত্রে আল্লাহর হক সম্পর্কেও সজ্ঞান নয় এই ব্যক্তির স্থান হল সবচেয়ে নিম্নস্তরে।
অন্য এক বান্দা হল যাকে আল্লাহ তাআলা সম্পদও দেননি ইলমও দেননি, কিন্তু সে বলেঃ আমার যদি সম্পদ থাকত তবে অমুক ব্যক্তির ন্যায় (প্রবৃদ্ধি অনুসারে) আমল করতাম। তার স্থান নির্ধারিত হবে তার নিয়ত অনুসারে। সুতরাং এদের উভয়েরই গুনাহ হবে এক বরাবর।
অনন্তর তিনি বললেনঃ দান-সাদ্কার কারণে কোন বান্দার সম্পদ হ্রাস পায় না। কোন বান্দা যদি কোন বিষয়ে মযলুম হয় আর তাতে সে সবর অবলম্বন করে তবে এতে আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তার ইযযত বাড়িয়ে দেন। কোন বান্দা যখন যাঞ্ছার দরজা খুলে তখন আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তার অভাবের দরজাও খুলে দেন। অথবা তিনি এ ধরণের কোন কথা বলেছেন।
তোমাদের আমি একটি কথা বলছি, তোমরা সেটির খুব হেফাযত করবে। এই দুনিয়া হল চারজনেরঃ যে বান্দাকে আল্লাহ তাআলা সম্পদ ও ইলম দান করেছেন আর সে এই ক্ষেত্রে তার রবের ভয় করে এবং এর মাধ্যমে সে আত্মীয়তার বন্ধন অক্ষুণ্ণ রাখে ও তাতে আল্লাহর হক সম্পর্কেও সজ্ঞান, সেই বান্দার মর্যাদা হল সর্বোচ্চ স্তরে।
আরেক বান্দা হল যাকে আল্লাহ তাআলা ইলম দান করেছেন কিন্তু তাকে সম্পদ দেন নি অথচ সে সৎ নিয়তের অধিকারী, সে বলে, আমার যদি সম্পদ থাকত তবে তাতে অমুক (প্রথমোক্ত) ব্যক্তির আমলের ন্যায় আমল করতাম। নিয়ত অনুসারেই এই ব্যক্তির মর্যাদা নির্ধারণ হবে। সুতরাং এদের উভয়ের সাওয়াব হবে এক বরাবর।
অপর এক বান্দা হল যাকে আল্লাহ তাআলা সম্পদ দিয়েছেন কিন্তু ইলম দেননি। সে তার সম্পদের ইলম ছাড়াই বিভ্রান্তভাবে খায়িশাত অনুসারে ব্যয় করে, এই বিষয়ে তার রবের ভয় করে না, তা দিয়ে আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করে না এবং এই ক্ষেত্রে আল্লাহর হক সম্পর্কেও সজ্ঞান নয় এই ব্যক্তির স্থান হল সবচেয়ে নিম্নস্তরে।
অন্য এক বান্দা হল যাকে আল্লাহ তাআলা সম্পদও দেননি ইলমও দেননি, কিন্তু সে বলেঃ আমার যদি সম্পদ থাকত তবে অমুক ব্যক্তির ন্যায় (প্রবৃদ্ধি অনুসারে) আমল করতাম। তার স্থান নির্ধারিত হবে তার নিয়ত অনুসারে। সুতরাং এদের উভয়েরই গুনাহ হবে এক বরাবর।
أبواب الزهد عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مَا جَاءَ مَثَلُ الدُّنْيَا مَثَلُ أَرْبَعَةِ نَفَرٍ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا عُبَادَةُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ خَبَّابٍ، عَنْ سَعِيدٍ الطَّائِيِّ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، أَنَّهُ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو كَبْشَةَ الأَنْمَارِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " ثَلاَثَةٌ أُقْسِمُ عَلَيْهِنَّ وَأُحَدِّثُكُمْ حَدِيثًا فَاحْفَظُوهُ " . قَالَ " مَا نَقَصَ مَالُ عَبْدٍ مِنْ صَدَقَةٍ وَلاَ ظُلِمَ عَبْدٌ مَظْلِمَةً فَصَبَرَ عَلَيْهَا إِلاَّ زَادَهُ اللَّهُ عِزًّا وَلاَ فَتَحَ عَبْدٌ بَابَ مَسْأَلَةٍ إِلاَّ فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ بَابَ فَقْرٍ أَوْ كَلِمَةً نَحْوَهَا وَأُحَدِّثُكُمْ حَدِيثًا فَاحْفَظُوهُ قَالَ " إِنَّمَا الدُّنْيَا لأَرْبَعَةِ نَفَرٍ عَبْدٍ رَزَقَهُ اللَّهُ مَالاً وَعِلْمًا فَهُوَ يَتَّقِي فِيهِ رَبَّهُ وَيَصِلُ فِيهِ رَحِمَهُ وَيَعْلَمُ لِلَّهِ فِيهِ حَقًّا فَهَذَا بِأَفْضَلِ الْمَنَازِلِ وَعَبْدٍ رَزَقَهُ اللَّهُ عِلْمًا وَلَمْ يَرْزُقْهُ مَالاً فَهُوَ صَادِقُ النِّيَّةِ يَقُولُ لَوْ أَنَّ لِي مَالاً لَعَمِلْتُ بِعَمَلِ فُلاَنٍ فَهُوَ بِنِيَّتِهِ فَأَجْرُهُمَا سَوَاءٌ وَعَبْدٍ رَزَقَهُ اللَّهُ مَالاً وَلَمْ يَرْزُقْهُ عِلْمًا فَهُوَ يَخْبِطُ فِي مَالِهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ لاَ يَتَّقِي فِيهِ رَبَّهُ وَلاَ يَصِلُ فِيهِ رَحِمَهُ وَلاَ يَعْلَمُ لِلَّهِ فِيهِ حَقًّا فَهَذَا بِأَخْبَثِ الْمَنَازِلِ وَعَبْدٍ لَمْ يَرْزُقْهُ اللَّهُ مَالاً وَلاَ عِلْمًا فَهُوَ يَقُولُ لَوْ أَنَّ لِي مَالاً لَعَمِلْتُ فِيهِ بِعَمَلِ فُلاَنٍ فَهُوَ بِنِيَّتِهِ فَوِزْرُهُمَا سَوَاءٌ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .