আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৩৬. যুহদ-দুনিয়া বিমুখতার বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
হাদীস নং: ২৩৮১
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৮১
যুহদ-দুনিয়া বিমুখতার বর্ণনা
রিয়া এবং যশ কামনা।
২৩৮৪. আবুূ কুরায়ব (রাহঃ) ..... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন যে, লোক দেখানোর জন্য আমল করে আল্লাহ তার এই রিয়াকে প্রকাশ করে দেন। যে ব্যক্তি যশ লাভের জন্য আমল করে আল্লাহ তাআলা মানুষের সামনে তা প্রকাশ করে দেন।
তিনি আরো বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মানুষকে রহম করে না আল্লাহ তাকে রহম করেন না।
তিনি আরো বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মানুষকে রহম করে না আল্লাহ তাকে রহম করেন না।
أبواب الزهد عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مَا جَاءَ فِي الرِّيَاءِ وَالسُّمْعَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ فِرَاسٍ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ يُرَائِي يُرَائِي اللَّهُ بِهِ وَمَنْ يُسَمِّعْ يُسَمِّعِ اللَّهُ بِهِ " . قَالَ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ لاَ يَرْحَمُ النَّاسَ لاَ يَرْحَمُهُ اللَّهُ " . وَفِي الْبَابِ عَنْ جُنْدَبٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
হাদীস নং: ২৩৮২
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৮২
যুহদ-দুনিয়া বিমুখতার বর্ণনা
রিয়া এবং যশ কামনা।
২৩৮৫. সুওয়ায়দ ইবনে নসর (রাহঃ) ..... শুফাইয়া আসবাহী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি একবার মদীনায় উপস্থিত হয়ে দেখলেন এক ব্যক্তিকে ঘিরে লোকেরা সমবেত হয়ে আছে। তিনি বললেনঃ ইনি কে? লোকেরা বললঃ ইনি আবু হুরায়রা (রাযিঃ)।
(শুফাইয়া বলেনঃ) আমি তাঁর কাছে গেলাম এবং তাঁর সামনে গিয় বসে পড়লাম। তিনি তখনো লোকদের হাদীস শুনাচ্ছিলেন। তিনি যখন নিরব এবং একা হলেন আমি তাঁকে বললামঃ আমি আপনার কাছে সত্যিকার ভাবেই যাঞ্ছা করছি যে আপনি আমাকে হাদীস শুনাবেন যা আপনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছ থেকে শুনেছেন, বুঝেছেন এবং জেনেছেন।
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বললেনঃ আমি তা করব। আমি অবশ্যই তোমাকে হাদীস বর্ণনা করব যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বর্ণনা করেছেন এবং আমি যা বুঝেছি ও জেনেছি। এরপর আবু হুরায়রা (রাযিঃ) কেমন জানি ভাব-তন্ময়গ্রস্ত হয়ে পড়লেন। আমরা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম। এরপর তিনি সম্বিত ফিরে পেলেন এবং বললেনঃ অবশ্যই আমি তোমাকে হাদীস বর্ণনা করব যে হাদীস রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এই ঘরে বর্ণনা করেছিলেন। আমাদের সঙ্গে তখন তিনি এবং আমি ছাড়া আর কেউ সেখানে ছিল না।
এরপর আবু হুরায়রা (রাযিঃ) আরো গভীরভাবে উন্মনা হয়ে পড়লেন। তারপর তিনি সম্বিত ফিরে পেলেন এবং মুখমণ্ডল মুছলেন। বললেনঃ আমি তা করব। অবশ্যই তোমাকে এমন হাদীস বর্ণনা করব যে হাদীস রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বর্ণনা করেছেন। তিনি এবং আমি এই ঘরে ছিলাম। তিনি এবং আমি ছাড়া সেখানে আমাদের সঙ্গে আর কেউ ছিল না।
তারপর আবু হুরায়রা (রাযিঃ) গভীরভাবে তন্ময়াভিভূত হয়ে পড়লেন এবং বেহুশ হয়ে উপুড় হয়ে পড়ে যাচ্ছিলেন। আমি তাঁকে দীর্ঘক্ষণ ঠেস দিয়ে রাখলাম। তারপর তাঁর হুশ হল। বললেনঃ রাসয়ূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা বান্দাদের মাঝে ফায়সালার জন্য নাযিল হবেন। প্রত্যেক উম্মতই সেদিন থাকবে নতজানু। প্রথম যাদের তলব হবে তারা হল কুরআনের হাফিজ, আল্লাহর পথে শহীদ এবং প্রচুর ধন-সম্পদের অধিকারী একব্যক্তি। এরপর আল্লাহ তাআলা কুরআনের পাঠক সেই ব্যক্তিকে বলবেনঃ আমার উপর যে বিষয় নাযিল করেছিলাম তোমাকে আমি কি সেই বিষয়ের জ্ঞান দেই নাই?
সে বলবেঃ হ্যাঁ, অবশ্যই দিয়েছিলেন, হে আমার রব। আল্লাহ তাআলা বলবেনঃ যে জ্ঞান তুমি লাভ করেছিলে তদনুসারে কি আমল করেছিলে? লোকটি বলবেঃ আমি তো রাত-দিন এই কুরআন নিয়েই কায়েম থেকেছি।
আল্লাহ বলবেনঃ তুমি মিথ্যা বলছ, ফিরিশতাগণও বলবেনঃ তুমি মিথ্যা বলছ, পরে আল্লাহ তাআলা তাকে বলবেনঃ তোমার নিয়ত ছিল তোমাকে যেন বলা হয় ’‘অমুক ক্বারী’’। আর তোমাকে তা বলাও হয়েছে।
এরপর ধনাঢ্য ব্যক্তিটিকে আনা হবে। আল্লাহ তাআলা তাকে বলবেনঃ তোমাকে কি আমি প্রচুর বিত্ত-বৈভব দেই নি? এমনকি কারো প্রতিই তোমাকে মুখাপেক্ষী হিসাবে রাখিনি? লোকটি বলবেঃ হ্যাঁ, অবশ্যই হে আমার রব। আল্লাহ বলবেনঃ তোমাকে আমি যা দিয়েছিলাম তা দিয়ে কি আমল করেছ তুমি?
লোকটি বলবেঃ তা দিয়ে আমি আত্মীয়তার বন্ধন অক্ষুণ্ণ রেখেছি এবং সাদ্কা-খয়রাত করেছি। আল্লাহ বলবেনঃ তুমি মিথ্যা বলছ, ফিরিশতাগণও বলবেনঃ তুমি মিথ্যা বলছ। পরে আল্লাহ বলবেনঃ তোমার ইচ্ছা ছিল তোমাকে যেন বলা হয়, ’‘অমুক ব্যক্তি খুব দানশীল’’। আর তোমাকে তা বলা হয়েছে।
আল্লাহর পথে নিহত এক ব্যক্তিকে আনা হবে। আল্লাহ তাআলা তাকে বলবেনঃ কিসে তুমি নিহত হয়েছিলে? লোকটি বলবেঃ আপনি আপনার পথে জিহাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাই আমি লড়াই করলাম। শেষে আপনার পথে নিহত হলাম। আল্লাহ তাআলা বলবেনঃ তোমার কামনা ছিল যে, ’‘তোমাকে যেন বলা হয়,’‘অমুক ব্যক্তি বাহাদুর’’। আর তা তোমাকে বলা হয়েছে।
তারপর নবী (ﷺ) আমার হাটুতে হাত চাপড়ালেন এবং বললেনঃ হে আবু হুরায়রা, এই তিনজই হল আল্লাহর প্রথম মাখলুক যাদের দিয়ে কিয়ামতের দিন জাহান্নামের আগুন প্রজ্জ্বলিত করা হবে।
মুআবিয়া (রাযিঃ)-এর তলোয়ার বরদার আলা‘ ইবনে হাকীম (রাহঃ) বর্ণনা করেন যে, এক ব্যক্তি মুআবিয়া (রাযিঃ)-এর কাছে এল এবং আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর বরাতেই এই হাদীসটি বর্ণনা করল। তখন মুআবিয়া (রাযিঃ) বললেনঃ এই তিন ব্যক্তির যদি এই অবস্থা হয় তবে অন্যান্য লোকদের কি হাল হবে? এরপর তিনি এত প্রবলভাবে কাঁদতে লাগলেন যে, আমাদের ধারণা হল তিনি বুঝি হালাক হয়ে যাবেন। আমরা বললামঃ এই লোকটি আজ অমঙ্গল নিয়ে এসেছে।
পরে মুআবিয়া (রাযিঃ) আত্মসংবরণ করলেন এবং চেহারা থেকে অশ্রু মুছে বললেনঃ আল্লাহ তাআলা ও তাঁর রাসূল (ﷺ) সত্য বলেছেনঃ
مَنْ كَانَ يُرِيدُ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا وَزِينَتَهَا نُوَفِّ إِلَيْهِمْ أَعْمَالَهُمْ فِيهَا وَهُمْ فِيهَا لاَ يُبْخَسُونَ * أُولَئِكَ الَّذِينَ لَيْسَ لَهُمْ فِي الآخِرَةِ إِلاَّ النَّارُ وَحَبِطَ مَا صَنَعُوا فِيهَا وَبَاطِلٌ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
যে কেউ পার্থিব জীবন ও এর শোভা কামনা করে তবে দুনিয়াতে আমি তাদের পূর্ণ প্রতিদান প্রদান করি এবং সেখানে তাদের কোন কম দেওয়া হবে না। তাদের জন্য আখিরাতে জাহান্নাম ব্যতীত কিছুই নাই এবং তারা যা করে আখিরাতে তা নিষ্ফল গণ্য হবে আর তাদের কর্ম হবে নিরর্থক। (সূরা হূদ ১১ঃ ১৫, ১৬)।
(শুফাইয়া বলেনঃ) আমি তাঁর কাছে গেলাম এবং তাঁর সামনে গিয় বসে পড়লাম। তিনি তখনো লোকদের হাদীস শুনাচ্ছিলেন। তিনি যখন নিরব এবং একা হলেন আমি তাঁকে বললামঃ আমি আপনার কাছে সত্যিকার ভাবেই যাঞ্ছা করছি যে আপনি আমাকে হাদীস শুনাবেন যা আপনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছ থেকে শুনেছেন, বুঝেছেন এবং জেনেছেন।
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বললেনঃ আমি তা করব। আমি অবশ্যই তোমাকে হাদীস বর্ণনা করব যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বর্ণনা করেছেন এবং আমি যা বুঝেছি ও জেনেছি। এরপর আবু হুরায়রা (রাযিঃ) কেমন জানি ভাব-তন্ময়গ্রস্ত হয়ে পড়লেন। আমরা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম। এরপর তিনি সম্বিত ফিরে পেলেন এবং বললেনঃ অবশ্যই আমি তোমাকে হাদীস বর্ণনা করব যে হাদীস রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এই ঘরে বর্ণনা করেছিলেন। আমাদের সঙ্গে তখন তিনি এবং আমি ছাড়া আর কেউ সেখানে ছিল না।
এরপর আবু হুরায়রা (রাযিঃ) আরো গভীরভাবে উন্মনা হয়ে পড়লেন। তারপর তিনি সম্বিত ফিরে পেলেন এবং মুখমণ্ডল মুছলেন। বললেনঃ আমি তা করব। অবশ্যই তোমাকে এমন হাদীস বর্ণনা করব যে হাদীস রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বর্ণনা করেছেন। তিনি এবং আমি এই ঘরে ছিলাম। তিনি এবং আমি ছাড়া সেখানে আমাদের সঙ্গে আর কেউ ছিল না।
তারপর আবু হুরায়রা (রাযিঃ) গভীরভাবে তন্ময়াভিভূত হয়ে পড়লেন এবং বেহুশ হয়ে উপুড় হয়ে পড়ে যাচ্ছিলেন। আমি তাঁকে দীর্ঘক্ষণ ঠেস দিয়ে রাখলাম। তারপর তাঁর হুশ হল। বললেনঃ রাসয়ূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা বান্দাদের মাঝে ফায়সালার জন্য নাযিল হবেন। প্রত্যেক উম্মতই সেদিন থাকবে নতজানু। প্রথম যাদের তলব হবে তারা হল কুরআনের হাফিজ, আল্লাহর পথে শহীদ এবং প্রচুর ধন-সম্পদের অধিকারী একব্যক্তি। এরপর আল্লাহ তাআলা কুরআনের পাঠক সেই ব্যক্তিকে বলবেনঃ আমার উপর যে বিষয় নাযিল করেছিলাম তোমাকে আমি কি সেই বিষয়ের জ্ঞান দেই নাই?
সে বলবেঃ হ্যাঁ, অবশ্যই দিয়েছিলেন, হে আমার রব। আল্লাহ তাআলা বলবেনঃ যে জ্ঞান তুমি লাভ করেছিলে তদনুসারে কি আমল করেছিলে? লোকটি বলবেঃ আমি তো রাত-দিন এই কুরআন নিয়েই কায়েম থেকেছি।
আল্লাহ বলবেনঃ তুমি মিথ্যা বলছ, ফিরিশতাগণও বলবেনঃ তুমি মিথ্যা বলছ, পরে আল্লাহ তাআলা তাকে বলবেনঃ তোমার নিয়ত ছিল তোমাকে যেন বলা হয় ’‘অমুক ক্বারী’’। আর তোমাকে তা বলাও হয়েছে।
এরপর ধনাঢ্য ব্যক্তিটিকে আনা হবে। আল্লাহ তাআলা তাকে বলবেনঃ তোমাকে কি আমি প্রচুর বিত্ত-বৈভব দেই নি? এমনকি কারো প্রতিই তোমাকে মুখাপেক্ষী হিসাবে রাখিনি? লোকটি বলবেঃ হ্যাঁ, অবশ্যই হে আমার রব। আল্লাহ বলবেনঃ তোমাকে আমি যা দিয়েছিলাম তা দিয়ে কি আমল করেছ তুমি?
লোকটি বলবেঃ তা দিয়ে আমি আত্মীয়তার বন্ধন অক্ষুণ্ণ রেখেছি এবং সাদ্কা-খয়রাত করেছি। আল্লাহ বলবেনঃ তুমি মিথ্যা বলছ, ফিরিশতাগণও বলবেনঃ তুমি মিথ্যা বলছ। পরে আল্লাহ বলবেনঃ তোমার ইচ্ছা ছিল তোমাকে যেন বলা হয়, ’‘অমুক ব্যক্তি খুব দানশীল’’। আর তোমাকে তা বলা হয়েছে।
আল্লাহর পথে নিহত এক ব্যক্তিকে আনা হবে। আল্লাহ তাআলা তাকে বলবেনঃ কিসে তুমি নিহত হয়েছিলে? লোকটি বলবেঃ আপনি আপনার পথে জিহাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাই আমি লড়াই করলাম। শেষে আপনার পথে নিহত হলাম। আল্লাহ তাআলা বলবেনঃ তোমার কামনা ছিল যে, ’‘তোমাকে যেন বলা হয়,’‘অমুক ব্যক্তি বাহাদুর’’। আর তা তোমাকে বলা হয়েছে।
তারপর নবী (ﷺ) আমার হাটুতে হাত চাপড়ালেন এবং বললেনঃ হে আবু হুরায়রা, এই তিনজই হল আল্লাহর প্রথম মাখলুক যাদের দিয়ে কিয়ামতের দিন জাহান্নামের আগুন প্রজ্জ্বলিত করা হবে।
মুআবিয়া (রাযিঃ)-এর তলোয়ার বরদার আলা‘ ইবনে হাকীম (রাহঃ) বর্ণনা করেন যে, এক ব্যক্তি মুআবিয়া (রাযিঃ)-এর কাছে এল এবং আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর বরাতেই এই হাদীসটি বর্ণনা করল। তখন মুআবিয়া (রাযিঃ) বললেনঃ এই তিন ব্যক্তির যদি এই অবস্থা হয় তবে অন্যান্য লোকদের কি হাল হবে? এরপর তিনি এত প্রবলভাবে কাঁদতে লাগলেন যে, আমাদের ধারণা হল তিনি বুঝি হালাক হয়ে যাবেন। আমরা বললামঃ এই লোকটি আজ অমঙ্গল নিয়ে এসেছে।
পরে মুআবিয়া (রাযিঃ) আত্মসংবরণ করলেন এবং চেহারা থেকে অশ্রু মুছে বললেনঃ আল্লাহ তাআলা ও তাঁর রাসূল (ﷺ) সত্য বলেছেনঃ
مَنْ كَانَ يُرِيدُ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا وَزِينَتَهَا نُوَفِّ إِلَيْهِمْ أَعْمَالَهُمْ فِيهَا وَهُمْ فِيهَا لاَ يُبْخَسُونَ * أُولَئِكَ الَّذِينَ لَيْسَ لَهُمْ فِي الآخِرَةِ إِلاَّ النَّارُ وَحَبِطَ مَا صَنَعُوا فِيهَا وَبَاطِلٌ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
যে কেউ পার্থিব জীবন ও এর শোভা কামনা করে তবে দুনিয়াতে আমি তাদের পূর্ণ প্রতিদান প্রদান করি এবং সেখানে তাদের কোন কম দেওয়া হবে না। তাদের জন্য আখিরাতে জাহান্নাম ব্যতীত কিছুই নাই এবং তারা যা করে আখিরাতে তা নিষ্ফল গণ্য হবে আর তাদের কর্ম হবে নিরর্থক। (সূরা হূদ ১১ঃ ১৫, ১৬)।
أبواب الزهد عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مَا جَاءَ فِي الرِّيَاءِ وَالسُّمْعَةِ
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، أَخْبَرَنِي الْوَلِيدُ بْنُ أَبِي الْوَلِيدِ أَبُو عُثْمَانَ الْمَدَنِيُّ، أَنَّ عُقْبَةَ بْنَ مُسْلِمٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ شُفَيًّا الأَصْبَحِيَّ حَدَّثَهُ أَنَّهُ، دَخَلَ الْمَدِينَةَ فَإِذَا هُوَ بِرَجُلٍ قَدِ اجْتَمَعَ عَلَيْهِ النَّاسُ فَقَالَ مَنْ هَذَا فَقَالُوا أَبُو هُرَيْرَةَ . فَدَنَوْتُ مِنْهُ حَتَّى قَعَدْتُ بَيْنَ يَدَيْهِ وَهُوَ يُحَدِّثُ النَّاسَ فَلَمَّا سَكَتَ وَخَلاَ قُلْتُ لَهُ أَنْشُدُكَ بِحَقٍّ وَبِحَقٍّ لَمَا حَدَّثْتَنِي حَدِيثًا سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَقَلْتَهُ وَعَلِمْتَهُ . فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَفْعَلُ لأُحَدِّثَنَّكَ حَدِيثًا حَدَّثَنِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَقَلْتُهُ وَعَلِمْتُهُ . ثُمَّ نَشَغَ أَبُو هُرَيْرَةَ نَشْغَةً فَمَكَثَ قَلِيلاً ثُمَّ أَفَاقَ فَقَالَ لأُحَدِّثَنَّكَ حَدِيثًا حَدَّثَنِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي هَذَا الْبَيْتِ مَا مَعَنَا أَحَدٌ غَيْرِي وَغَيْرُهُ . ثُمَّ نَشَغَ أَبُو هُرَيْرَةَ نَشْغَةً أُخْرَى ثُمَّ أَفَاقَ فَمَسَحَ وَجْهَهُ فَقَالَ لأُحَدِّثَنَّكَ حَدِيثًا حَدَّثَنِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا وَهُوَ فِي هَذَا الْبَيْتِ مَا مَعَنَا أَحَدٌ غَيْرِي وَغَيْرُهُ . ثُمَّ نَشَغَ أَبُو هُرَيْرَةَ نَشْغَةً أُخْرَى ثُمَّ أَفَاقَ وَمَسَحَ وَجْهَهُ فَقَالَ أَفْعَلُ لأُحَدِّثَنَّكَ حَدِيثًا حَدَّثَنِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا مَعَهُ فِي هَذَا الْبَيْتِ مَا مَعَهُ أَحَدٌ غَيْرِي وَغَيْرُهُ . ثُمَّ نَشَغَ أَبُو هُرَيْرَةَ نَشْغَةً شَدِيدَةً ثُمَّ مَالَ خَارًّا عَلَى وَجْهِهِ فَأَسْنَدْتُهُ عَلَىَّ طَوِيلاً ثُمَّ أَفَاقَ فَقَالَ حَدَّثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ يَنْزِلُ إِلَى الْعِبَادِ لِيَقْضِيَ بَيْنَهُمْ وَكُلُّ أُمَّةٍ جَاثِيَةٌ فَأَوَّلُ مَنْ يَدْعُو بِهِ رَجُلٌ جَمَعَ الْقُرْآنَ وَرَجُلٌ قُتِلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَرَجُلٌ كَثِيرُ الْمَالِ فَيَقُولُ اللَّهُ لِلْقَارِئِ أَلَمْ أُعَلِّمْكَ مَا أَنْزَلْتُ عَلَى رَسُولِي قَالَ بَلَى يَا رَبِّ . قَالَ فَمَاذَا عَمِلْتَ فِيمَا عُلِّمْتَ قَالَ كُنْتُ أَقُومُ بِهِ آنَاءَ اللَّيْلِ وَآنَاءَ النَّهَارِ . فَيَقُولُ اللَّهُ لَهُ كَذَبْتَ وَتَقُولُ لَهُ الْمَلاَئِكَةُ كَذَبْتَ وَيَقُولُ اللَّهُ لَهُ بَلْ أَرَدْتَ أَنْ يُقَالَ إِنَّ فُلاَنًا قَارِئٌ فَقَدْ قِيلَ ذَاكَ . وَيُؤْتَى بِصَاحِبِ الْمَالِ فَيَقُولُ اللَّهُ لَهُ أَلَمْ أُوَسِّعْ عَلَيْكَ حَتَّى لَمْ أَدَعْكَ تَحْتَاجُ إِلَى أَحَدٍ قَالَ بَلَى يَا رَبِّ . قَالَ فَمَاذَا عَمِلْتَ فِيمَا آتَيْتُكَ قَالَ كُنْتُ أَصِلُ الرَّحِمَ وَأَتَصَدَّقُ . فَيَقُولُ اللَّهُ لَهُ كَذَبْتَ وَتَقُولُ لَهُ الْمَلاَئِكَةُ كَذَبْتَ وَيَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى بَلْ أَرَدْتَ أَنْ يُقَالَ فُلاَنٌ جَوَادٌ فَقَدْ قِيلَ ذَاكَ . وَيُؤْتَى بِالَّذِي قُتِلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَيَقُولُ اللَّهُ لَهُ فِي مَاذَا قُتِلْتَ فَيَقُولُ أُمِرْتُ بِالْجِهَادِ فِي سَبِيلِكَ فَقَاتَلْتُ حَتَّى قُتِلْتُ . فَيَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى لَهُ كَذَبْتَ وَتَقُولُ لَهُ الْمَلاَئِكَةُ كَذَبْتَ وَيَقُولُ اللَّهُ بَلْ أَرَدْتَ أَنْ يُقَالَ فُلاَنٌ جَرِيءٌ فَقَدْ قِيلَ ذَاكَ " . ثُمَّ ضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى رُكْبَتِي فَقَالَ " يَا أَبَا هُرَيْرَةَ أُولَئِكَ الثَّلاَثَةُ أَوَّلُ خَلْقِ اللَّهِ تُسَعَّرُ بِهِمُ النَّارُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " . وَقَالَ الْوَلِيدُ أَبُو عُثْمَانَ فَأَخْبَرَنِي عُقْبَةُ بْنُ مُسْلِمٍ أَنَّ شُفَيًّا هُوَ الَّذِي دَخَلَ عَلَى مُعَاوِيَةَ فَأَخْبَرَهُ بِهَذَا . قَالَ أَبُو عُثْمَانَ وَحَدَّثَنِي الْعَلاَءُ بْنُ أَبِي حَكِيمٍ أَنَّهُ كَانَ سَيَّافًا لِمُعَاوِيَةَ فَدَخَلَ عَلَيْهِ رَجُلٌ فَأَخْبَرَهُ بِهَذَا عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ فَقَالَ مُعَاوِيَةُ قَدْ فُعِلَ بِهَؤُلاَءِ هَذَا فَكَيْفَ بِمَنْ بَقِيَ مِنَ النَّاسِ ثُمَّ بَكَى مُعَاوِيَةُ بُكَاءً شَدِيدًا حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ هَالِكٌ وَقُلْنَا قَدْ جَاءَنَا هَذَا الرَّجُلُ بِشَرٍّ ثُمَّ أَفَاقَ مُعَاوِيَةُ وَمَسَحَ عَنْ وَجْهِهِ وَقَالَ صَدَقَ اللَّهُ وَرَسُولُهُْ : (مَنْ كَانَ يُرِيدُ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا وَزِينَتَهَا نُوَفِّ إِلَيْهِمْ أَعْمَالَهُمْ فِيهَا وَهُمْ فِيهَا لاَ يُبْخَسُونَ * أُولَئِكَ الَّذِينَ لَيْسَ لَهُمْ فِي الآخِرَةِ إِلاَّ النَّارُ وَحَبِطَ مَا صَنَعُوا فِيهَا وَبَاطِلٌ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৮৩
যুহদ-দুনিয়া বিমুখতার বর্ণনা
রিয়া এবং যশ কামনা।
২৩৮৬. আবু কুরায়ব (রাহঃ) ...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ জুব্বুল হুজন থেকে তোমরা আল্লাহর কাছে পানাহ চাও। সাহাবীগণ বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, জুব্বুল হুজন কি? তিনি বললেনঃ জাহান্নামের একটি উপত্যকা। এ থেকে খোদ জাহান্নামও প্রতিদিন একশ’ বার পানাহ চায়। বলা হলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, কে তাতে দাখেল হবে। তিনি বললেনঃ ঐসব ক্বারী যারা লোকদের দেখানোর জন্য আমল করে।
أبواب الزهد عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مَا جَاءَ فِي الرِّيَاءِ وَالسُّمْعَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنِي الْمُحَارِبِيُّ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ سَيْفٍ الضَّبِّيِّ، عَنْ أَبِي مُعَانٍ الْبَصْرِيِّ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " تَعَوَّذُوا بِاللَّهِ مِنْ جُبِّ الْحُزْنِ " . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا جُبُّ الْحُزْنِ قَالَ " وَادٍ فِي جَهَنَّمَ تَتَعَوَّذُ مِنْهُ جَهَنَّمُ كُلَّ يَوْمٍ مِائَةَ مَرَّةٍ " . قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَنْ يَدْخُلُهُ قَالَ " الْقُرَّاءُ الْمُرَاءُونَ بِأَعْمَالِهِمْ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ.
তাহকীক: