আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

৪১. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত ইলমের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ২৬৬২
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৬২
নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত ইলমের অধ্যায়
মিথ্যা মনে করার পরও যদি কেউ হাদীস রিওয়ায়াত করে।
২৬৬২. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ..... মুগীরা ইবনে শু’বা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ কেউ যদি আমার নিকট থেকে কোন হাদীস বর্ণনা করে অথচ সে জানে যে, এটি মিথ্যা, তবে সে দুই মিথ্যাবাদীর একজন।

এ বিষয়ে আলী ইবনে আবু তালিব এবং সামুরা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।

হাদীসটি হাসান-সহীহ। শু’বা (রাহঃ) এই হাদীসটি আব্দুর রহমান ইবনে আবু লায়লা-সামুরা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন। আ’মাশ ও ইবনে আবু লায়লা (রাহঃ) রিওয়ায়াত করেছেন হাকাম-আব্দুর রহমান ইবনে আবু লায়লা-আলী (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণিত হাদীসটি যেন অধিক সহীহ।

ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেন, আমি আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্দুর রহামন (রাহঃ)-কে নবী (ﷺ) এর হাদীস- ‘‘কেউ যদি আমার নিকট থেকে কোন হাদীস বর্ণনা করে অথচ সে জানে যে তা মিথ্যা তবে সে হল দুই মিথ্যাবাদীর একজন’’ -সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। বলেছিলাম, কেউ যদি কোন হাদীস বর্ণনা করে এবং সে এই কথা জানে যে, এটির সনদ ভুল। তবে কি এর উপর এই হাদীসটি যদি কেউ মুসনাদ রূপে বর্ণনা করে অথবা তার সনদের মাঝে কোন উলট-পালট করে ফেলে, তবে কি তা এই হাদীসের অন্তর্ভুক্ত হবে?

তিনি বললেন, না। এই হাদীসটির মর্ম হল, কেউ যদি কোন হাদীস বর্ণনা করে আর নবী (ﷺ) থেকে এটির কোন ভিত্তি আছে বলে জানা না থাকা সত্ত্বেও তা বিবৃত করে তবে আমার আশঙ্কা হয় যে, তা এই হাদীসের অন্তর্ভূক্ত হবে।
أبواب العلم عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مَا جَاءَ فِيمَنْ رَوَى حَدِيثًا، وَهُوَ يَرَى أَنَّهُ كَذِبٌ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ مَيْمُونِ بْنِ أَبِي شَبِيبٍ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ حَدَّثَ عَنِّي حَدِيثًا وَهُوَ يَرَى أَنَّهُ كَذِبٌ فَهُوَ أَحَدُ الْكَاذِبِينَ " . وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَسَمُرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَرَوَى شُعْبَةُ عَنِ الْحَكَمِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ سَمُرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم هَذَا الْحَدِيثَ وَرَوَى الأَعْمَشُ وَابْنُ أَبِي لَيْلَى عَنِ الْحَكَمِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ عَلِيٍّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَكَأَنَّ حَدِيثَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ سَمُرَةَ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ أَصَحُّ . قَالَ سَأَلْتُ أَبَا مُحَمَّدٍ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ حَدِيثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " مَنْ حَدَّثَ عَنِّي حَدِيثًا وَهُوَ يَرَى أَنَّهُ كَذِبٌ فَهُوَ أَحَدُ الْكَاذِبِينَ " . قُلْتُ لَهُ مَنْ رَوَى حَدِيثًا وَهُوَ يَعْلَمُ أَنَّ إِسْنَادَهُ خَطَأٌ أَيَخَافُ أَنْ يَكُونَ قَدْ دَخَلَ فِي حَدِيثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَوْ إِذَا رَوَى النَّاسُ حَدِيثًا مُرْسَلاً فَأَسْنَدَهُ بَعْضُهُمْ أَوْ قَلَبَ إِسْنَادَهُ يَكُونُ قَدْ دَخَلَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ . فَقَالَ لاَ إِنَّمَا مَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ إِذَا رَوَى الرَّجُلُ حَدِيثًا وَلاَ يُعْرَفُ لِذَلِكَ الْحَدِيثِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَصْلٌ فَحَدَّثَ بِهِ فَأَخَافُ أَنْ يَكُونَ قَدْ دَخَلَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ .