আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
হাদীস নং: ৩২২২
আন্তর্জাতিক নং: ৩২২২
কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
সূরা সাবা
৩২২২. আবু কুরায়ব ও আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ...... ফারওয়া ইবনে মুসায়ক মুরাদী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) এর কাছে আমি এসে বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল, আমার সম্প্রদায়ের যারা ইসলামের দিকে অগ্রসর হবে তাদের নিয়ে, যারা ইসলাম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করব কি?
তিনি আমাকে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে অনুমতি দিলেন এবং আমাকে এর আমীর নিযুক্ত করলেন। আমি তাঁর দরবার থেকে বের হয়ে আসলে তিনি আমার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে বললেনঃ গুতায়ফী লোকটি কোথায়? তাঁকে অবহিত করা হলো যে, আমি রওয়ানা হয়ে গেছি। তিনি আমাকে ফিরিয়ে আনতে আমার পেছন পেছন লোক পাঠালেন, আমি এলাম। তিনি তখন সাহাবীদের এক দলের মাঝে উপবিষ্ট ছিলেন। তিনি আমাকে বললেনঃ তোমার কওমকে ইসলামের দাওয়াত দিবে। তাদের মাঝে যে ইসলাম গ্রহণ করবে তুমি তার ইসলাম গ্রহণ করা মেনে নিবে। আর যে ইসলাম গ্রহণ করবে না তার সম্পর্কে আমার নতুন কোন নির্দেশ তোমার কাছে না পৌঁছা পর্যন্ত তুমি সে বিষয়ে কোন তাড়াহুড়া করবে না।
ফারওয়া (রাযিঃ) বলেনঃ সাবা সম্পর্কে যা নাযিল হওয়ার নাযিল হলে এক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! সাবা কি, একি কোন ভূ-অঞ্চলের নাম না কোন মহিলার নাম?
তিনি বললেনঃ ভূমিও নয়, মহিলাও নয়। সে ছিল এক ব্যক্তি তার ঔরসে দশজন আরব সন্তান জন্ম হয়। এদের মাঝে ছয়জন ইয়ামানে এবং চারজন শামে অধিবাস গ্রহণ করে। শামে যারা অধিবাস গ্রহণ করে তারা হল লাখম, জুযাম, গাসসান ও আমিলা। আর যারা ইয়ামানে অধিবাস গ্রহণ করে তারা হল আযদ, আশআরী, হিময়ার, কিনদা, মাযহিজ ও আনমার।
এক ব্যক্তি বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আনমার কারা? তিনি বললেনঃ যাদের থেকে খাছআম ও বাজীলা গোত্রের উদ্ভব হয়েছে তারা।
তিনি আমাকে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে অনুমতি দিলেন এবং আমাকে এর আমীর নিযুক্ত করলেন। আমি তাঁর দরবার থেকে বের হয়ে আসলে তিনি আমার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে বললেনঃ গুতায়ফী লোকটি কোথায়? তাঁকে অবহিত করা হলো যে, আমি রওয়ানা হয়ে গেছি। তিনি আমাকে ফিরিয়ে আনতে আমার পেছন পেছন লোক পাঠালেন, আমি এলাম। তিনি তখন সাহাবীদের এক দলের মাঝে উপবিষ্ট ছিলেন। তিনি আমাকে বললেনঃ তোমার কওমকে ইসলামের দাওয়াত দিবে। তাদের মাঝে যে ইসলাম গ্রহণ করবে তুমি তার ইসলাম গ্রহণ করা মেনে নিবে। আর যে ইসলাম গ্রহণ করবে না তার সম্পর্কে আমার নতুন কোন নির্দেশ তোমার কাছে না পৌঁছা পর্যন্ত তুমি সে বিষয়ে কোন তাড়াহুড়া করবে না।
ফারওয়া (রাযিঃ) বলেনঃ সাবা সম্পর্কে যা নাযিল হওয়ার নাযিল হলে এক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! সাবা কি, একি কোন ভূ-অঞ্চলের নাম না কোন মহিলার নাম?
তিনি বললেনঃ ভূমিও নয়, মহিলাও নয়। সে ছিল এক ব্যক্তি তার ঔরসে দশজন আরব সন্তান জন্ম হয়। এদের মাঝে ছয়জন ইয়ামানে এবং চারজন শামে অধিবাস গ্রহণ করে। শামে যারা অধিবাস গ্রহণ করে তারা হল লাখম, জুযাম, গাসসান ও আমিলা। আর যারা ইয়ামানে অধিবাস গ্রহণ করে তারা হল আযদ, আশআরী, হিময়ার, কিনদা, মাযহিজ ও আনমার।
এক ব্যক্তি বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আনমার কারা? তিনি বললেনঃ যাদের থেকে খাছআম ও বাজীলা গোত্রের উদ্ভব হয়েছে তারা।
أبواب تفسير القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ سَبَأٍ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا أَخْبَرَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ الْحَكَمِ النَّخَعِيِّ، حَدَّثَنَا أَبُو سَبْرَةَ النَّخَعِيُّ، عَنْ فَرْوَةَ بْنِ مُسَيْكٍ الْمُرَادِيِّ، قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلاَ أُقَاتِلُ مَنْ أَدْبَرَ مِنْ قَوْمِي بِمَنْ أَقْبَلَ مِنْهُمْ فَأَذِنَ لِي فِي قِتَالِهِمْ وَأَمَّرَنِي فَلَمَّا خَرَجْتُ مِنْ عِنْدِهِ سَأَلَ عَنِّي مَا فَعَلَ الْغُطَيْفِيُّ فَأُخْبِرَ أَنِّي قَدْ سِرْتُ قَالَ فَأَرْسَلَ فِي أَثَرِي فَرَدَّنِي فَأَتَيْتُهُ وَهُوَ فِي نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِهِ فَقَالَ " ادْعُ الْقَوْمَ فَمَنْ أَسْلَمَ مِنْهُمْ فَاقْبَلْ مِنْهُ وَمَنْ لَمْ يُسْلِمْ فَلاَ تَعْجَلْ حَتَّى أُحْدِثَ إِلَيْكَ " . قَالَ وَأُنْزِلَ فِي سَبَإٍ مَا أُنْزِلَ فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا سَبَأٌ أَرْضٌ أَوِ امْرَأَةٌ قَالَ " لَيْسَ بِأَرْضٍ وَلاَ امْرَأَةٍ وَلَكِنَّهُ رَجُلٌ وَلَدَ عَشَرَةً مِنَ الْعَرَبِ فَتَيَامَنَ مِنْهُمْ سِتَّةٌ وَتَشَاءَمَ مِنْهُمْ أَرْبَعَةٌ فَأَمَّا الَّذِينَ تَشَاءَمُوا فَلَخْمٌ وَجُذَامٌ وَغَسَّانُ وَعَامِلَةٌ وَأَمَّا الَّذِينَ تَيَامَنُوا فَالأَزْدُ وَالأَشْعَرِيُّونَ وَحِمْيَرُ وَمَذْحِجٌ وَأَنْمَارُ وَكِنْدَةُ " . فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا أَنْمَارُ قَالَ " الَّذِينَ مِنْهُمْ خَثْعَمُ وَبَجِيلَةُ " . وَرُوِيَ هَذَا عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩২২৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩২২৩
কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
সূরা সাবা
৩২২৩. ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ্ তাআলা আসমানে যখন কোন বিষয়ের ফয়সালা করেন তখন ফিরিশতারা আল্লাহ্ তাআলার বাণীর সামনে বিনয়াবনত হয়ে তাদের পাখনাসমূহ ছড়িয়ে দেন। বাণীসমূহ যেন সাফওয়ান পাথরে জিঞ্জির পড়ার মত গুঞ্জরিত হয়। পরে তাদের হৃদয় থেকে ভয় কেটে গেলে তারা পরস্পর বলাবলি করেন, তোমাদের রব কি ইরশাদ করেছেন?
তাঁরা বলেনঃ তিনি সত্য বলেছেন, তিনিই তো সমুন্নত এবং সুমহান। নবী (ﷺ) বলেনঃ শয়তান জিনরা তখন একজনের উপর আরেকজন উঠে (চুরি করে আলোচনা শোনার জন্য ঘাপটি মেরে) বসে থাকে।
তাঁরা বলেনঃ তিনি সত্য বলেছেন, তিনিই তো সমুন্নত এবং সুমহান। নবী (ﷺ) বলেনঃ শয়তান জিনরা তখন একজনের উপর আরেকজন উঠে (চুরি করে আলোচনা শোনার জন্য ঘাপটি মেরে) বসে থাকে।
أبواب تفسير القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ سَبَأٍ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا قَضَى اللَّهُ فِي السَّمَاءِ أَمْرًا ضَرَبَتِ الْمَلاَئِكَةُ بِأَجْنِحَتِهَا خُضْعَانًا لِقَوْلِهِ كَأَنَّهَا سِلْسِلَةٌ عَلَى صَفْوَانٍ فَإِذَا فُزِّعَ عَنْ قُلُوبِهِمْ قَالُوا مَاذَا قَالَ رَبُّكُمْ قَالُوا الْحَقَّ وَهُوَ الْعَلِيُّ الْكَبِيرُ قَالَ وَالشَّيَاطِينُ بَعْضُهُمْ فَوْقَ بَعْضٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২২৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩২২৪
কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
সূরা সাবা
৩২২৪. নসর ইবনে আলী জাহযামী (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদিন নবী (ﷺ) তাঁর কয়েকজন সাহাবী নিয়ে বসা ছিলেন। এমন সময় হঠাৎ একটি নক্ষত্র ছিটকে পড়ল। এতে চতুর্দিক আলোকিত হয়ে উঠল। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ জাহিলী যুগে যখন এমন হতে দেখতে তখন তোমরা কি বলতে?
তারা বললেনঃ আমরা বলতাম, বিরাট কোন ব্যক্তি মারা যাবেন কিংবা বিরাট কেউ জন্ম গ্রহণ করবেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ কারো মৃত্যুতে কিংবা কারো জন্মগ্রহণে নক্ষত্র ছুঁড়ে মারা হয় না। বস্তত বিষয় হল বরকতময় নাম সম্পন্ন আমাদের মহান প্রভু যখন কিছুর ফায়সালা দেন তখন আরশ বহনকারী ফিরিশতাগণ তাসবীহ পাঠ করতে থাকেন। এরপর তাদের নিকটস্থ আসমানের ফিরিশতাগণ তাসবীহ পাঠ করেন। এরপর তাদের নিকটস্থ যারা তাসবীহ পাঠ করেন। এই ভাবে এই আসমানে এসে তা শেষ হয় তারপর ষষ্ঠ আসমানের ফিরিশতাগণ সপ্তম আসমানবাসীদের জিজ্ঞাসা করেনঃ আপনাদের রব কি বলেছেন?
তাঁরা তাদেরকে এ বিষয়ে অবহিত করেন। এইভাবে প্রত্যেক আসমানবাসীগণ তাদের নিকটস্থ আসমানবাসীগণের নিকট জিজ্ঞাসা করে এই বিষয়ে অবহিত হন। শেষে দুনিয়ার এই আসমানে এসে ঐ খবর পৌঁছে। শয়তানরা সে খবর চুরি করে শোনার তৎপরতা চালায়। তখন তাদের বিরুদ্ধে উল্কা পিন্ড ছুঁড়ে মারা হয় তারা তা তাদের বন্ধুদের (জ্যোতিষী, যাদুকর ইত্যাদি) কাছে দ্রুত নিক্ষেপ করে। এর ঠিক ঠিক যা নিয়ে আসতে পারে তা হয় সত্য। কিন্তু এর সাথে তারা বিকৃতি ঘটায় এবং অনেক কিছু (নিজেদের থেকে) বাড়িয়ে দেয়।
তারা বললেনঃ আমরা বলতাম, বিরাট কোন ব্যক্তি মারা যাবেন কিংবা বিরাট কেউ জন্ম গ্রহণ করবেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ কারো মৃত্যুতে কিংবা কারো জন্মগ্রহণে নক্ষত্র ছুঁড়ে মারা হয় না। বস্তত বিষয় হল বরকতময় নাম সম্পন্ন আমাদের মহান প্রভু যখন কিছুর ফায়সালা দেন তখন আরশ বহনকারী ফিরিশতাগণ তাসবীহ পাঠ করতে থাকেন। এরপর তাদের নিকটস্থ আসমানের ফিরিশতাগণ তাসবীহ পাঠ করেন। এরপর তাদের নিকটস্থ যারা তাসবীহ পাঠ করেন। এই ভাবে এই আসমানে এসে তা শেষ হয় তারপর ষষ্ঠ আসমানের ফিরিশতাগণ সপ্তম আসমানবাসীদের জিজ্ঞাসা করেনঃ আপনাদের রব কি বলেছেন?
তাঁরা তাদেরকে এ বিষয়ে অবহিত করেন। এইভাবে প্রত্যেক আসমানবাসীগণ তাদের নিকটস্থ আসমানবাসীগণের নিকট জিজ্ঞাসা করে এই বিষয়ে অবহিত হন। শেষে দুনিয়ার এই আসমানে এসে ঐ খবর পৌঁছে। শয়তানরা সে খবর চুরি করে শোনার তৎপরতা চালায়। তখন তাদের বিরুদ্ধে উল্কা পিন্ড ছুঁড়ে মারা হয় তারা তা তাদের বন্ধুদের (জ্যোতিষী, যাদুকর ইত্যাদি) কাছে দ্রুত নিক্ষেপ করে। এর ঠিক ঠিক যা নিয়ে আসতে পারে তা হয় সত্য। কিন্তু এর সাথে তারা বিকৃতি ঘটায় এবং অনেক কিছু (নিজেদের থেকে) বাড়িয়ে দেয়।
أبواب تفسير القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ سَبَأٍ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسٌ فِي نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِهِ إِذْ رُمِيَ بِنَجْمٍ فَاسْتَنَارَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا كُنْتُمْ تَقُولُونَ لِمِثْلِ هَذَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ إِذَا رَأَيْتُمُوهُ " . قَالُوا كُنَّا نَقُولُ يَمُوتُ عَظِيمٌ أَوْ يُولَدُ عَظِيمٌ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " فَإِنَّهُ لاَ يُرْمَى بِهِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ وَلَكِنَّ رَبَّنَا عَزَّ وَجَلَّ إِذَا قَضَى أَمْرًا سَبَّحَ لَهُ حَمَلَةُ الْعَرْشِ ثُمَّ سَبَّحَ أَهْلُ السَّمَاءِ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ حَتَّى يَبْلُغَ التَّسْبِيحُ إِلَى هَذِهِ السَّمَاءِ ثُمَّ سَأَلَ أَهْلُ السَّمَاءِ السَّادِسَةِ أَهْلَ السَّمَاءِ السَّابِعَةِ مَاذَا قَالَ رَبُّكُمْ قَالَ فَيُخْبِرُونَهُمْ ثُمَّ يَسْتَخْبِرُ أَهْلُ كُلِّ سَمَاءٍ حَتَّى يَبْلُغَ الْخَبَرُ أَهْلَ السَّمَاءِ الدُّنْيَا وَتَخْتَطِفُ الشَّيَاطِينُ السَّمْعَ فَيُرْمَوْنَ فَيَقْذِفُونَهَا إِلَى أَوْلِيَائِهِمْ فَمَا جَاءُوا بِهِ عَلَى وَجْهِهِ فَهُوَ حَقٌّ وَلَكِنَّهُمْ يُحَرِّفُونَ وَيَزِيدُونَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ رِجَالٍ، مِنَ الأَنْصَارِ رضى الله عنهم قَالُوا كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَرَوَى الأَوْزَاعِيُّ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ رِجَالٍ مِنَ الأَنْصَارِ قَالُوا كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . فَذَكَرَ نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ حَدَّثَنَا بِذَلِكَ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ .
وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ رِجَالٍ، مِنَ الأَنْصَارِ رضى الله عنهم قَالُوا كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَرَوَى الأَوْزَاعِيُّ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ رِجَالٍ مِنَ الأَنْصَارِ قَالُوا كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . فَذَكَرَ نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ حَدَّثَنَا بِذَلِكَ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ .
তাহকীক: