আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ৩২৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৭৩
কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
সূরা আয-যারিয়াত
৩২৭৩. ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ...... রাবীআ গোত্রের জনৈক ব্যক্তি থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মদীনায় এসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর কাছে গেলাম। তাঁর কাছে আদ জাতির প্রতিনিধির কথা আলোচনা করা হয়। আমি বললামঃ আদ প্রতিনিধির মত হওয়া থেকে আমি আল্লাহর পানাহ চাই। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ আদ প্রতিনিধির বিষয়টি কি?
আমি বললামঃ অবহিত একজনের কাছেই জিজ্ঞাসা করেছেন। আদ জাতি যখন অনাবৃষ্টিতে নিপতিত হল তখন তারা কায়লকে তাদের প্রতিনিধি হিসাবে (মক্কায় প্রার্থনার জন্য) প্রেরণ করে। সে মক্কার বকর ইবনে মুআবিয়ার আতিথ্য গ্রহণ করে। বকর তাকে মদ পান করায় এবং জারাদা নমের দুই গায়িকা তাদের গান গেয়ে শোনায়। পরে সে মোহরা পাহাড়ের দিকে রওয়ানা দেয় সেখানে গিয়ে সে বললঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে কোন অসুস্থ ব্যক্তির বিষয়ে আসিনি যে তাকে চিকিৎসা করাব, কোন বন্দীর বিষয়ে আসিনি যে তার মুক্তপণের ব্যবস্থা করব। আপনার বান্দাদের পানি বর্ষণ করুন, যাদের আপনি পানি সিঞ্চন করছেন না।
মদ্য পান করানোর জন্য বকর ইবনে ওয়াইলের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ বললঃ এতদসঙ্গে বকর ইবনে ওয়াইলের জন্যও পানি বর্ণন করুন। আকাশে বহু মেঘ দেখা দিল। বলা হলঃ এগুলোর একটিকে গ্রহণ কর। সে নিকষ কাল একটি মেঘ গ্রহণ করল। বলা হলঃ বিচূর্ণ ভস্ম নাও। আদ জাতির আর কাউকে ছাড়বে না। নবীজী (ﷺ) উল্লেখ করেছেন যে, এই আংটিটির পরিমাণ বায়ূ তাদের বিরুদ্ধে প্রেরিত হয়েছিল। এরপর তিনি তিলাওয়াত করলেনঃ
إذْ أَرْسَلْنَا عَلَيْهِمُ الرِّيحَ الْعَقِيمَ * مَا تَذَرُ مِنْ شَيْءٍ أَتَتْ عَلَيْهِ إِلاَّ جَعَلَتْهُ كَالرَّمِيمِ
যখন আমি তাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করলাম অকল্যাণকর বায়ূ। যা কিছুর উপর দিয়ে তা প্রবাহিত হল তা সব কিছূই চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিল (সূরা যারিয়াত ৫১ঃ৪১-৪২)।
আমি বললামঃ অবহিত একজনের কাছেই জিজ্ঞাসা করেছেন। আদ জাতি যখন অনাবৃষ্টিতে নিপতিত হল তখন তারা কায়লকে তাদের প্রতিনিধি হিসাবে (মক্কায় প্রার্থনার জন্য) প্রেরণ করে। সে মক্কার বকর ইবনে মুআবিয়ার আতিথ্য গ্রহণ করে। বকর তাকে মদ পান করায় এবং জারাদা নমের দুই গায়িকা তাদের গান গেয়ে শোনায়। পরে সে মোহরা পাহাড়ের দিকে রওয়ানা দেয় সেখানে গিয়ে সে বললঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে কোন অসুস্থ ব্যক্তির বিষয়ে আসিনি যে তাকে চিকিৎসা করাব, কোন বন্দীর বিষয়ে আসিনি যে তার মুক্তপণের ব্যবস্থা করব। আপনার বান্দাদের পানি বর্ষণ করুন, যাদের আপনি পানি সিঞ্চন করছেন না।
মদ্য পান করানোর জন্য বকর ইবনে ওয়াইলের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ বললঃ এতদসঙ্গে বকর ইবনে ওয়াইলের জন্যও পানি বর্ণন করুন। আকাশে বহু মেঘ দেখা দিল। বলা হলঃ এগুলোর একটিকে গ্রহণ কর। সে নিকষ কাল একটি মেঘ গ্রহণ করল। বলা হলঃ বিচূর্ণ ভস্ম নাও। আদ জাতির আর কাউকে ছাড়বে না। নবীজী (ﷺ) উল্লেখ করেছেন যে, এই আংটিটির পরিমাণ বায়ূ তাদের বিরুদ্ধে প্রেরিত হয়েছিল। এরপর তিনি তিলাওয়াত করলেনঃ
إذْ أَرْسَلْنَا عَلَيْهِمُ الرِّيحَ الْعَقِيمَ * مَا تَذَرُ مِنْ شَيْءٍ أَتَتْ عَلَيْهِ إِلاَّ جَعَلَتْهُ كَالرَّمِيمِ
যখন আমি তাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করলাম অকল্যাণকর বায়ূ। যা কিছুর উপর দিয়ে তা প্রবাহিত হল তা সব কিছূই চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিল (সূরা যারিয়াত ৫১ঃ৪১-৪২)।
أبواب تفسير القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الذَّارِيَاتِ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ سَلاَّمٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ رَبِيعَةَ قَالَ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فَدَخَلْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذُكِرْتُ عِنْدَهُ وَافِدَ عَادٍ فَقُلْتُ أَعُوذُ بِاللَّهِ أَنْ أَكُونَ مِثْلَ وَافِدِ عَادٍ . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَمَا وَافِدُ عَادٍ " . قَالَ فَقُلْتُ عَلَى الْخَبِيرِ سَقَطْتَ إِنَّ عَادًا لَمَّا أُقْحِطَتْ بَعَثَتْ قَيْلاً فَنَزَلَ عَلَى بَكْرِ بْنِ مُعَاوِيَةَ فَسَقَاهُ الْخَمْرَ وَغَنَّتْهُ الْجَرَادَتَانِ ثُمَّ خَرَجَ يُرِيدُ جِبَالَ مَهْرَةَ فَقَالَ اللَّهُمَّ إِنِّي لَمْ آتِكَ لِمَرِيضٍ فَأُدَاوِيَهِ وَلاَ لأَسِيرٍ فَأُفَادِيَهُ فَاسْقِ عَبْدَكَ مَا كُنْتَ مُسْقِيَهُ وَاسْقِ مَعَهُ بَكْرَ بْنَ مُعَاوِيَةَ . يَشْكُرْ لَهُ الْخَمْرَ الَّذِي سَقَاهُ فَرُفِعَ لَهُ سَحَابَاتٌ فَقِيلَ لَهُ اخْتَرْ إِحْدَاهُنَّ فَاخْتَارَ السَّوْدَاءَ مِنْهُنَّ فَقِيلَ لَهُ خُذْهَا رَمَادًا رَمْدَدًا لاَ تَذَرُ مِنْ عَادٍ أَحَدًا وَذُكِرَ أَنَّهُ لَمْ يُرْسَلْ عَلَيْهِمْ مِنَ الرِّيحِ إِلاَّ قَدْرُ هَذِهِ الْحَلْقَةِ يَعْنِي حَلْقَةَ الْخَاتَمِ . ثُمَّ قَرَأَ : (إذْ أَرْسَلْنَا عَلَيْهِمُ الرِّيحَ الْعَقِيمَ * مَا تَذَرُ مِنْ شَيْءٍ أَتَتْ عَلَيْهِ إِلاَّ جَعَلَتْهُ كَالرَّمِيمِ ) الآيَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ سَلاَّمٍ أَبِي الْمُنْذِرِ عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنِ الْحَارِثِ بْنِ حَسَّانَ وَيُقَالُ لَهُ الْحَارِثُ بْنُ يَزِيدَ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩২৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৭৪
কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
সূরা আয-যারিয়াত
৩২৭৪. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ..... হারিছ ইবনে ইয়াযীদ বকরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মদীনায় এসে মসজিদে নববীতে গেলাম। দেখলাম মসজিদটি লোকে পরিপূর্ণ। কাল রং্গের বহু পতাকা পত পত করছে। বিলাল (রাযিঃ)-কেও রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সামনে তরবারি সজ্জিত দেখতে পেলাম। আমি বললামঃ লোকদের কি বিষয়? লোকেরা বললঃ নবীজী আমর ইবনে আসকে এক অভিযানে প্রেরণের ইচ্ছা করেছেন। এরপর রাবী সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা (রাহঃ) বর্ণিত হাদীসের মর্মে (৩২৭৩ নং) পূর্ণ হাদীটির উল্লেখ করেন।
(আবু ঈসা বলেন)হারিছ ইবনে ইয়াযীদ (রাযিঃ) হারিছ ইবনে হাসসান নামেও কথিত আছেন।
(আবু ঈসা বলেন)হারিছ ইবনে ইয়াযীদ (রাযিঃ) হারিছ ইবনে হাসসান নামেও কথিত আছেন।
أبواب تفسير القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الذَّارِيَاتِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، حَدَّثَنَا سَلاَّمُ بْنُ سُلَيْمَانَ النَّحْوِيُّ أَبُو الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ يَزِيدَ الْبَكْرِيِّ، قَالَ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فَدَخَلْتُ الْمَسْجِدَ فَإِذَا هُوَ غَاصٌّ بِالنَّاسِ وَإِذَا رَايَاتٌ سُودٌ تَخْفُقُ وَإِذَا بِلاَلٌ مُتَقَلِّدٌ السَّيْفَ بَيْنَ يَدَىْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُلْتُ مَا شَأْنُ النَّاسِ قَالُوا يُرِيدُ أَنْ يَبْعَثَ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ وَجْهًا فَذَكَرَ الْحَدِيثَ بِطُولِهِ نَحْوًا مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ بِمَعْنَاهُ . قَالَ وَيُقَالُ لَهُ الْحَارِثُ بْنُ حَسَّانَ أَيْضًا .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী: