আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
হাদীস নং: ৩৩১২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩১২
কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
সূরা আল-মুনাফিকুন
৩৩১২. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ...... যায়দ ইবনে আরকাম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ আমি আমার চাচার কাছে ছিলাম। এমন সময় শুনলাম আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সালুল তার সঙ্গিদের বলছেঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাহাবীদের কিছু দিবে না যতক্ষণ না তারা (তাঁকে ছেড়ে) সরে পড়ে। আমরা মদীনায় ফিরে গেলে সেখান থেকে প্রবলরা দুর্বলদের (মুসলিমদের) আবশ্যই বের করে দেবে।
আমি আমার চাচার কাছে এ কথাটি বললাম। তিনি নবী (ﷺ) কে বিষয়টি গোচরীভূত করলেন। তখন নবী (ﷺ) আমাকে ডেকে পাঠালেন। তখন আমি তার নিকট বিষয়টি বর্ণনা করলাম।
এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ও তার সঙ্গিদেরও ডেকে পাঠালেন। তারা কসম করে বলল তারা এরূপ কথা বলেনি। ফলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে মিথ্যাবাদী এবং তাকে সত্য বলে সাব্যস্ত করলেন। এতে আমার এমন কষ্ট লাগল যে এরূপ কষ্ট আর কিছুতে কোন দিন পাইনি। আমি আমার ঘরে বসে গেলাম। আমার চাচা আমাকে বললেনঃ নবী (ﷺ) এর ক্রোধ ও তৎকর্তৃক মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত হওয়াই কি তোমার অভিপ্রায় ছিল।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা নাযিল করেনঃ (إذا جَاءَكَ الْمُنَافِقُونَ ) যখন মুনাফিকরা তোমার নিকট আসে (সূরা আল মুনাফিকুন ৬৩ঃ ১)। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) লোক পাঠিয়ে আমাকে ডেকে আনলেন। আমাকে সূরাটি পড়ে শুনালেন। পরে বললেন আল্লাহ তাআলা তোমার সত্যবাদীতার ঘোষণা দিলেন।
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান সহীহ।
আমি আমার চাচার কাছে এ কথাটি বললাম। তিনি নবী (ﷺ) কে বিষয়টি গোচরীভূত করলেন। তখন নবী (ﷺ) আমাকে ডেকে পাঠালেন। তখন আমি তার নিকট বিষয়টি বর্ণনা করলাম।
এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ও তার সঙ্গিদেরও ডেকে পাঠালেন। তারা কসম করে বলল তারা এরূপ কথা বলেনি। ফলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে মিথ্যাবাদী এবং তাকে সত্য বলে সাব্যস্ত করলেন। এতে আমার এমন কষ্ট লাগল যে এরূপ কষ্ট আর কিছুতে কোন দিন পাইনি। আমি আমার ঘরে বসে গেলাম। আমার চাচা আমাকে বললেনঃ নবী (ﷺ) এর ক্রোধ ও তৎকর্তৃক মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত হওয়াই কি তোমার অভিপ্রায় ছিল।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা নাযিল করেনঃ (إذا جَاءَكَ الْمُنَافِقُونَ ) যখন মুনাফিকরা তোমার নিকট আসে (সূরা আল মুনাফিকুন ৬৩ঃ ১)। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) লোক পাঠিয়ে আমাকে ডেকে আনলেন। আমাকে সূরাটি পড়ে শুনালেন। পরে বললেন আল্লাহ তাআলা তোমার সত্যবাদীতার ঘোষণা দিলেন।
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান সহীহ।
أبواب تفسير القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمُنَافِقِينَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، قَالَ كُنْتُ مَعَ عَمِّي فَسَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أُبَىِّ ابْنَ سَلُولَ، يَقُولُ لأَصْحَابِهِ : ( لا تُنْفِقُوا عَلَى مَنْ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ حَتَّى يَنْفَضُّوا ) و (لئِنْ رَجَعْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ لَيُخْرِجَنَّ الأَعَزُّ مِنْهَا الأَذَلَّ ) فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِعَمِّي فَذَكَرَ ذَلِكَ عَمِّي لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَدَعَانِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَحَدَّثْتُهُ فَأَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَىٍّ وَأَصْحَابِهِ فَحَلَفُوا مَا قَالُوا فَكَذَّبَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَصَدَّقَهُ فَأَصَابَنِي شَيْءٌ لَمْ يُصِبْنِي قَطُّ مِثْلُهُ فَجَلَسْتُ فِي الْبَيْتِ فَقَالَ عَمِّي مَا أَرَدْتَ إِلاَّ أَنْ كَذَّبَكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَمَقَتَكَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى : ( إذا جَاءَكَ الْمُنَافِقُونَ ) فَبَعَثَ إِلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَرَأَهَا ثُمَّ قَالَ " إِنَّ اللَّهَ قَدْ صَدَّقَكَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩১৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩১৩
কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
সূরা আল-মুনাফিকুন
৩৩১৩. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ..... যায়দ ইবনে আরকাম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ আমরা একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে এক অভিযানে ছিলাম। আমাদের সঙ্গে কিছু মরুবাসী আরব ও ছিল। আমরা পানির জন্য দ্রুত ছুটে যেতাম কিন্তু মরুবাসীরা আমাদের আগে পানির কাছে চলে যেত। একবার জনৈক মরুবাসী সবার আগে চলে গিয়ে একটি হাউয পানি ভর্তি করল। এর চতুর্দিকে পাথর দিয়ে বেষ্টনী দিল এবং একটি চামড়া এর উপর রেখে দিল। এর মধ্যে বাকী সঙ্গিরা চলে এল। জনৈক আনসারী উক্ত মরুবাসীর কছে এল এবং পানি পানের জন্য তার উঁনীটির লাগাম ঢিলা করে দিল। কিন্তু মরুবাসীটি তাকে পানি দিতে অস্বীকৃতি জানাল। তখন উক্ত আনসারী পানির বেষ্টনী ফেলে দিল। মরুবাসী একটি কাঠ দিয়ে আনসারীর মাথায় যখম করে দিল। সে তখন মুনাফিক সর্দার আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই এর কাছে যেয়ে তাকে বিষয়টি জানাল। এই আনসারীটি ছিল আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই এর সাথীদের অন্যতম। বিষয়টি শুনে আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই অত্যন্ত রাগান্বিত হয়ে পড়ে। এরপর সে বললঃ রাসূলুল্লাহর চতুস্পার্শ্ব থেকে এই মরুবাসীরা সরে না যাওয়া পর্যন্ত যারা তার নিকট আছে, তাদের কিছু দিবে না।
এ মরুবাসীরা আহারের সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এসে হাযির হত। আব্দুল্লাহ বললঃ মুহাম্মাদের কাছ থেকে এরা সরে গেলে পরে তোমরা মুহাম্মাদের সামনে খানা আনবে। তিনি এবং তার সাথীরাই কেবল তা আহার করবে। এর পর সে তার সঙ্গিদের বললঃ তোমরা যখন মদীনায় ফিরে যাবে তখন সম্মানিতেরা অবশ্যই হীনদের (মু’মিনদের) মদীনা থেকে বের করে দেবে।
যায়দ (রাযিঃ) বলেন আমি নবী (ﷺ) এর বাহনের পিছনে উপবিষ্ট ছিলাম। আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই এর কথাবার্তা আমি শুনে ফেললাম। আমি আমার চাচাকে তা আবহিত করলাম। তিনি গিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে তা জানালেন। তিনি আব্দুল্লাহকে ডেকে পাঠালেন। সে কসম কওে তা আস্বিকার করল। ফলে রাসূলুল্লাহ তাকে সত্যবাদী এবং আমাকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করেন। আমার চাচা আমার কাছে এলেন। বললেনঃ রাসূলু্ল্লাহ (ﷺ)ও মুসলিমদের ক্রোধ ও তোমাকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করাইকি তোমার আভিপ্রায় ছিল।
জাবির (রাযিঃ) বলেনঃ ফলে এত চিন্তা ও পেরেশানী আমার উপর আপতিত হল যা আর কারো উপর আপতিত হয় নি। আমি সফরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে ছিলাম। চিন্তায় আমার মাথা ঝুঁকে পড়ে ছিল। এমন সময় রাসূলুল্লাহ আমার কাছে এলেন। এবং (আদর করে) আমার কান মলে দিলেন ও আমার সামনে হাসলেন।
তিনি বললেন সুসংবাদ গ্রহণ কর। তারপর উমর (রাযিঃ) এলেন। আবু বকরকে যে কথা বলেছিলাম তাকেও আমি সে রূপ কথা বললাম। পরে যখন ভোর হল, রাসূলুল্লাহ(ﷺ) সূরা আল মুনাফিকুন পাঠ করে শুনালেন।
এ মরুবাসীরা আহারের সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এসে হাযির হত। আব্দুল্লাহ বললঃ মুহাম্মাদের কাছ থেকে এরা সরে গেলে পরে তোমরা মুহাম্মাদের সামনে খানা আনবে। তিনি এবং তার সাথীরাই কেবল তা আহার করবে। এর পর সে তার সঙ্গিদের বললঃ তোমরা যখন মদীনায় ফিরে যাবে তখন সম্মানিতেরা অবশ্যই হীনদের (মু’মিনদের) মদীনা থেকে বের করে দেবে।
যায়দ (রাযিঃ) বলেন আমি নবী (ﷺ) এর বাহনের পিছনে উপবিষ্ট ছিলাম। আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই এর কথাবার্তা আমি শুনে ফেললাম। আমি আমার চাচাকে তা আবহিত করলাম। তিনি গিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে তা জানালেন। তিনি আব্দুল্লাহকে ডেকে পাঠালেন। সে কসম কওে তা আস্বিকার করল। ফলে রাসূলুল্লাহ তাকে সত্যবাদী এবং আমাকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করেন। আমার চাচা আমার কাছে এলেন। বললেনঃ রাসূলু্ল্লাহ (ﷺ)ও মুসলিমদের ক্রোধ ও তোমাকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করাইকি তোমার আভিপ্রায় ছিল।
জাবির (রাযিঃ) বলেনঃ ফলে এত চিন্তা ও পেরেশানী আমার উপর আপতিত হল যা আর কারো উপর আপতিত হয় নি। আমি সফরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে ছিলাম। চিন্তায় আমার মাথা ঝুঁকে পড়ে ছিল। এমন সময় রাসূলুল্লাহ আমার কাছে এলেন। এবং (আদর করে) আমার কান মলে দিলেন ও আমার সামনে হাসলেন।
তিনি বললেন সুসংবাদ গ্রহণ কর। তারপর উমর (রাযিঃ) এলেন। আবু বকরকে যে কথা বলেছিলাম তাকেও আমি সে রূপ কথা বললাম। পরে যখন ভোর হল, রাসূলুল্লাহ(ﷺ) সূরা আল মুনাফিকুন পাঠ করে শুনালেন।
أبواب تفسير القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمُنَافِقِينَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الأَزْدِيِّ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ، قَالَ غَزَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ مَعَنَا أُنَاسٌ مِنَ الأَعْرَابِ فَكُنَّا نَبْتَدِرُ الْمَاءَ وَكَانَ الأَعْرَابُ يَسْبِقُونَّا إِلَيْهِ فَسَبَقَ أَعْرَابِيٌّ أَصْحَابَهُ فَسَبَقَ الأَعْرَابِيُّ فَيَمْلأُ الْحَوْضَ وَيَجْعَلُ حَوْلَهُ حِجَارَةً وَيَجْعَلُ النَّطْعَ عَلَيْهِ حَتَّى يَجِيءَ أَصْحَابُهُ . قَالَ فَأَتَى رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ أَعْرَابِيًّا فَأَرْخَى زِمَامَ نَاقَتِهِ لِتَشْرَبَ فَأَبَى أَنْ يَدَعَهُ فَانْتَزَعَ قِبَاضَ الْمَاءِ فَرَفَعَ الأَعْرَابِيُّ خَشَبَتَهُ فَضَرَبَ بِهَا رَأْسَ الأَنْصَارِيِّ فَشَجَّهُ فَأَتَى عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أُبَىٍّ رَأْسَ الْمُنَافِقِينَ فَأَخْبَرَهُ وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِهِ فَغَضِبَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَىٍّ ثُمَّ قَالَ : (لا تُنْفِقُوا عَلَى مَنْ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ حَتَّى يَنْفَضُّوا ) مِنْ حَوْلِهِ . يَعْنِي الأَعْرَابَ وَكَانُوا يَحْضُرُونَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ الطَّعَامِ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ إِذَا انْفَضُّوا مِنْ عِنْدِ مُحَمَّدٍ فَائْتُوا مُحَمَّدًا بِالطَّعَامِ فَلْيَأْكُلْ هُوَ وَمَنْ عِنْدَهُ ثُمَّ قَالَ لأَصْحَابِهِ لَئِنْ رَجَعْتُمْ إِلَى الْمَدِينَةِ لَيُخْرِجَنَّ الأَعَزُّ مِنْهَا الأَذَلَّ . قَالَ زَيْدٌ وَأَنَا رِدْفُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَسَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أُبَىٍّ فَأَخْبَرْتُ عَمِّي فَانْطَلَقَ فَأَخْبَرَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَحَلَفَ وَجَحَدَ . قَالَ فَصَدَّقَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَذَّبَنِي قَالَ فَجَاءَ عَمِّي إِلَىَّ فَقَالَ مَا أَرَدْتَ إِلاَّ أَنْ مَقَتَكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَذَّبَكَ وَالْمُسْلِمُونَ . قَالَ فَوَقَعَ عَلَىَّ مِنَ الْهَمِّ مَا لَمْ يَقَعْ عَلَى أَحَدٍ . قَالَ فَبَيْنَمَا أَنَا أَسِيرُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ قَدْ خَفَقْتُ بِرَأْسِي مِنَ الْهَمِّ إِذْ أَتَانِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَعَرَكَ أُذُنِي وَضَحِكَ فِي وَجْهِي فَمَا كَانَ يَسُرُّنِي أَنَّ لِي بِهَا الْخُلْدَ فِي الدُّنْيَا . ثُمَّ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ لَحِقَنِي فَقَالَ مَا قَالَ لَكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُلْتُ مَا قَالَ شَيْئًا إِلاَّ أَنَّهُ عَرَكَ أُذُنِي وَضَحِكَ فِي وَجْهِي . فَقَالَ أَبْشِرْ . ثُمَّ لَحِقَنِي عُمَرُ فَقُلْتُ لَهُ مِثْلَ قَوْلِي لأَبِي بَكْرٍ فَلَمَّا أَصْبَحْنَا قَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُورَةَ الْمُنَافِقِينَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩১৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩১৪
কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
সূরা আল-মুনাফিকুন
৩৩১৪. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ..... যায়দ ইবনে আকরাম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ গাযওয়ায়ে তাবুকে আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই বলেছিলেন, আমরা যদি মদীনায় ফিরে যেতে পারি তবে সম্ভ্রান্তরা নিকৃষ্টদেরকে আবশ্যই সেখান থেকে বের করে দেবে। তখন আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে আসি এবং বিষয়টি সম্পর্কে তাকে আবহিত করি। কিন্তু সে কসম করে বলে যে, এমন কথা সে বলেনি। এতে আমার সম্প্রদায়ের লোকেরা আমাকে খুব নিন্দা করে। তারা বলল তুমি এরূপ করতে গেলে কেন?
আমি আমার বাড়ি চলে এলাম এবং ক্ষোভে-দুঃখে-চিন্তায় শুয়ে রইলাম। শেষে নবী করীম (ﷺ) আমার কাছে এলেন অথবা আমিই তার কাছে গেলাম। তিনি বললেন আল্লাহ তাআলা তোমার সত্যবাদীতা প্রকাশ করছেন। এই প্রসঙ্গে নাযিল হয়ঃ (هم الَّذِينَ يَقُولُونَ لاَ تُنْفِقُوا عَلَى مَنْ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ حَتَّى يَنْفَضُّوا) -(সূরা মুনাফিকুন ৬৩ঃ ৭)
আমি আমার বাড়ি চলে এলাম এবং ক্ষোভে-দুঃখে-চিন্তায় শুয়ে রইলাম। শেষে নবী করীম (ﷺ) আমার কাছে এলেন অথবা আমিই তার কাছে গেলাম। তিনি বললেন আল্লাহ তাআলা তোমার সত্যবাদীতা প্রকাশ করছেন। এই প্রসঙ্গে নাযিল হয়ঃ (هم الَّذِينَ يَقُولُونَ لاَ تُنْفِقُوا عَلَى مَنْ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ حَتَّى يَنْفَضُّوا) -(সূরা মুনাফিকুন ৬৩ঃ ৭)
أبواب تفسير القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمُنَافِقِينَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَدِيٍّ، أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ عُتَيْبَةَ، قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ كَعْبٍ الْقُرَظِيَّ، مُنْذُ أَرْبَعِينَ سَنَةً يُحَدِّثُ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، رضى الله عنه أَنَّ عَبْدَ، اللَّهِ بْنَ أُبَىٍّ قَالَ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ : (لئِنْ رَجَعْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ لَيُخْرِجَنَّ الأَعَزُّ مِنْهَا الأَذَلَّ ) قَالَ فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَحَلَفَ مَا قَالَهُ فَلاَمَنِي قَوْمِي وَقَالُوا مَا أَرَدْتَ إِلَى هَذِهِ فَأَتَيْتُ الْبَيْتَ وَنِمْتُ كَئِيبًا حَزِينًا فَأَتَانِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَوْ أَتَيْتُهُ فَقَالَ " إِنَّ اللَّهَ قَدْ صَدَّقَكَ " . قَالَ فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُُ : ( هم الَّذِينَ يَقُولُونَ لاَ تُنْفِقُوا عَلَى مَنْ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ حَتَّى يَنْفَضُّوا ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩১৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩১৫
কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
সূরা আল-মুনাফিকুন
৩৩১৫. ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ...... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ আমরা এক গাযওয়াহ অভিযানে ছিলাম। বর্ণনাকারী সুফিয়ান (রাহঃ) বলেন এটি ছিল বানু মুস্তালিক (মুরায়সী) যুদ্ধ। ঘটনাক্রমে একজন মুহাজির জনৈক আনসারীর নিতম্বে ঘুষি মারে। আনসারী ব্যক্তিটি তখন (সাহায্যের জন্য) আনসারীদের আহবান জানায়। এদিকে মুহাজির ব্যক্তিটি মুহাজিরদের আহবান জানায়। নবী (ﷺ) তা শুনে বলেনঃ এ জাহিলী ডাক কেন? সাহাবীরা বললেনঃ জনৈক মুহাজির ব্যক্তি জৈনক আনসারীর নিতম্বে ঘুষি মেরেছে।
নবী (ﷺ) বললেনঃ ছেড়ে দাও তা এত পুঁতিগন্ধ ময় কথা। আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সালুলও তা শুনল। সে বলল এরা এমন করেছে না কি? আল্লাহর কসম আমরা যদি মদীনায় ফিরে যেতে পারি তবে সম্ভ্রান্তরা (মদীনাবাসীরা) নিকৃষ্টদের (মুহাজিরদের) আবশ্যই সেখান থেকে বের করে দিবে।
উমর (রাযিঃ) বললেন আমাকে ছেড়ে দিন ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ মুনাফিকটার গর্দান উড়িয়ে দেই। নবী (ﷺ) বললেনঃ ছেড়ে দাও ওকে। মুহাম্মাদ তার সঙ্গিদের হত্যা করেছেু এ কথা যেন মানুষ না বলে। আমর ব্যতীত অন্যান্য রবীরা বলেনঃ আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই এর ছেলে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) তার পিতাকে বলেছিলেনঃ আল্লাহর কসম তুমি নিজে হীন এবং এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)ই সম্মানিত, এ কথা স্বীকার না করা পর্যন্ত তুমি যেতে পারবে না। শেষে তাকে তা স্বীকার করতে হল।
নবী (ﷺ) বললেনঃ ছেড়ে দাও তা এত পুঁতিগন্ধ ময় কথা। আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সালুলও তা শুনল। সে বলল এরা এমন করেছে না কি? আল্লাহর কসম আমরা যদি মদীনায় ফিরে যেতে পারি তবে সম্ভ্রান্তরা (মদীনাবাসীরা) নিকৃষ্টদের (মুহাজিরদের) আবশ্যই সেখান থেকে বের করে দিবে।
উমর (রাযিঃ) বললেন আমাকে ছেড়ে দিন ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ মুনাফিকটার গর্দান উড়িয়ে দেই। নবী (ﷺ) বললেনঃ ছেড়ে দাও ওকে। মুহাম্মাদ তার সঙ্গিদের হত্যা করেছেু এ কথা যেন মানুষ না বলে। আমর ব্যতীত অন্যান্য রবীরা বলেনঃ আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই এর ছেলে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) তার পিতাকে বলেছিলেনঃ আল্লাহর কসম তুমি নিজে হীন এবং এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)ই সম্মানিত, এ কথা স্বীকার না করা পর্যন্ত তুমি যেতে পারবে না। শেষে তাকে তা স্বীকার করতে হল।
أبواب تفسير القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمُنَافِقِينَ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ كُنَّا فِي غَزَاةٍ قَالَ سُفْيَانُ يَرَوْنَ أَنَّهَا غَزْوَةُ بَنِي الْمُصْطَلِقِ فَكَسَعَ رَجُلٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ الْمُهَاجِرِيُّ يَا لَلْمُهَاجِرِينَ وَقَالَ الأَنْصَارِيُّ يَا لَلأَنْصَارِ فَسَمِعَ ذَلِكَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " مَا بَالُ دَعْوَى الْجَاهِلِيَّةِ " . قَالُوا رَجُلٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ كَسَعَ رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " دَعُوهَا فَإِنَّهَا مُنْتِنَةٌ " . فَسَمِعَ ذَلِكَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَىٍّ ابْنُ سَلُولَ فَقَالَ أَوَقَدْ فَعَلُوهَا وَاللَّهِ (لئِنْ رَجَعْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ لَيُخْرِجَنَّ الأَعَزُّ مِنْهَا الأَذَلَّ ) فَقَالَ عُمَرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ دَعْنِي أَضْرِبْ عُنُقَ هَذَا الْمُنَافِقِ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " دَعْهُ لاَ يَتَحَدَّثُ النَّاسُ أَنَّ مُحَمَّدًا يَقْتُلُ أَصْحَابَهُ " . وَقَالَ غَيْرُ عَمْرٍو فَقَالَ لَهُ ابْنُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ وَاللَّهِ لاَ تَنْقَلِبُ حَتَّى تُقِرَّ أَنَّكَ الذَّلِيلُ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعَزِيزُ . فَفَعَلَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩১৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩১৬
কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
সূরা আল-মুনাফিকুন
৩৩১৬. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ কারো যদি এত পরিমাণ সম্পদ থাকে যে যদ্বারা সে তার বায়তুল্লাহ হজ্জ করতে পারে বা তার উপর যাকাত ফরয হতে পারে, আর যদি সে তা না করে, তবে মৃত্যুর সময় সে দুনিয়ায় ফিরে আসতে চাইবে।
জনৈক ব্যক্তি বললঃ হে ইবনে আব্বাস! আল্লাহকে ভয় করুন, দুনিয়ায় তো কাফিররা ফিরে আসতে চাইবে। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেনঃ এ বিষয়ে আমি তোমাদের কে একটি আয়াত তেলাওয়াত করে শুনাচ্ছিঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُلْهِكُمْ أَمْوَالُكُمْ وَلَا أَوْلَادُكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللَّهِ وَمَنْ يَفْعَلْ ذَٰلِكَ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الْخَاسِرُونَ إِلَى قَوْلِهِ : واللَّهُ خَبِيرٌ بِمَا تَعْمَلُونَ
হে মুমিনগণ! তোমাদের ধন সম্পদ এবং সন্তান সন্তুতি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণে উদাসীন না করে। যারা উদাসীন হবে তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত। আমি তোমাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তোমরা তা থেকে ব্যয় করবে তোমাদের কারো মৃত্যু আসার পূর্বেই অন্যথায় মৃত্যুতে সে বলবেঃ হে আমার রব আমাকে আরো কিছু কালের জন্য অবকাশ দিলে আমি সাদ্কা দিতাম এবং সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হতাম। কিন্তু নির্ধারিত কাল যখন উপস্থিত হবে, আল্লাহ কখনও কাউকে অবকাশ দিবেন না। তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত। (সূরা মুনাফিকুন ৬৩ঃ ৯-১১)
লোকটি বললঃ কিসে যাকাত ওয়াজিব হয়? ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেনঃ দু’শো বা ততোধিক পরিমাণ দিরহাম হলে তাতে যাকাত ওয়াজিব হয়।
লোকটি বলল হজ্জ কিসে ওয়াজিব হয়? ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেনঃ পাথেয় এবং যানবাহনের ব্যবস্থা হলে।
জনৈক ব্যক্তি বললঃ হে ইবনে আব্বাস! আল্লাহকে ভয় করুন, দুনিয়ায় তো কাফিররা ফিরে আসতে চাইবে। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেনঃ এ বিষয়ে আমি তোমাদের কে একটি আয়াত তেলাওয়াত করে শুনাচ্ছিঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُلْهِكُمْ أَمْوَالُكُمْ وَلَا أَوْلَادُكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللَّهِ وَمَنْ يَفْعَلْ ذَٰلِكَ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الْخَاسِرُونَ إِلَى قَوْلِهِ : واللَّهُ خَبِيرٌ بِمَا تَعْمَلُونَ
হে মুমিনগণ! তোমাদের ধন সম্পদ এবং সন্তান সন্তুতি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণে উদাসীন না করে। যারা উদাসীন হবে তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত। আমি তোমাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তোমরা তা থেকে ব্যয় করবে তোমাদের কারো মৃত্যু আসার পূর্বেই অন্যথায় মৃত্যুতে সে বলবেঃ হে আমার রব আমাকে আরো কিছু কালের জন্য অবকাশ দিলে আমি সাদ্কা দিতাম এবং সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হতাম। কিন্তু নির্ধারিত কাল যখন উপস্থিত হবে, আল্লাহ কখনও কাউকে অবকাশ দিবেন না। তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত। (সূরা মুনাফিকুন ৬৩ঃ ৯-১১)
লোকটি বললঃ কিসে যাকাত ওয়াজিব হয়? ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেনঃ দু’শো বা ততোধিক পরিমাণ দিরহাম হলে তাতে যাকাত ওয়াজিব হয়।
লোকটি বলল হজ্জ কিসে ওয়াজিব হয়? ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেনঃ পাথেয় এবং যানবাহনের ব্যবস্থা হলে।
أبواب تفسير القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمُنَافِقِينَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو جَنَابٍ الْكَلْبِيُّ، عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ مُزَاحِمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رضى الله عنهما قَالَ مَنْ كَانَ لَهُ مَالٌ يُبَلِّغُهُ حَجَّ بَيْتِ رَبِّهِ أَوْ تَجِبُ عَلَيْهِ فِيهِ الزَّكَاةُ فَلَمْ يَفْعَلْ سَأَلَ الرَّجْعَةَ عِنْدَ الْمَوْتِ . فَقَالَ رَجُلٌ يَا ابْنَ عَبَّاسٍ اتَّقِ اللَّهَ إِنَّمَا سَأَلَ الرَّجْعَةَ الْكُفَّارُ قَالَ سَأَتْلُو عَلَيْكَ بِذَلِكَ قُرْآنًا : ( يا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تُلْهِكُمْ أَمْوَالُكُمْ وَلاَ أَوْلاَدُكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللَّهِ ) : (وأَنْفِقُوا مِمَّا رَزَقْنَاكُمْ مِنْ قَبْلِ أَنْ يَأْتِيَ أَحَدَكُمُ الْمَوْتُ ) إِلَى قَوْلِهِ : ( واللَّهُ خَبِيرٌ بِمَا تَعْمَلُونَ ) قَالَ فَمَا يُوجِبُ الزَّكَاةَ قَالَ إِذَا بَلَغَ الْمَالُ مِائَتَىْ دِرْهَمٍ فَصَاعِدًا . قَالَ فَمَا يُوجِبُ الْحَجَّ قَالَ الزَّادُ وَالْبَعِيرُ .
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ الثَّوْرِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي حَيَّةَ، عَنِ الضَّحَّاكِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِهِ . وَقَالَ هَكَذَا رَوَى سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي جَنَابٍ، عَنِ الضَّحَّاكِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَوْلُهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ . وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ رِوَايَةِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ . وَأَبُو جَنَابٍ الْقَصَّابُ اسْمُهُ يَحْيَى بْنُ أَبِي حَيَّةَ وَلَيْسَ هُوَ بِالْقَوِيِّ فِي الْحَدِيثِ .
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ الثَّوْرِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي حَيَّةَ، عَنِ الضَّحَّاكِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِهِ . وَقَالَ هَكَذَا رَوَى سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي جَنَابٍ، عَنِ الضَّحَّاكِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَوْلُهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ . وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ رِوَايَةِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ . وَأَبُو جَنَابٍ الْقَصَّابُ اسْمُهُ يَحْيَى بْنُ أَبِي حَيَّةَ وَلَيْسَ هُوَ بِالْقَوِيِّ فِي الْحَدِيثِ .
তাহকীক: