কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
১. পাক-পবিত্রতার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
হাদীস নং: ৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬
পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
২৫. মেসওয়াক করা সম্পর্কে।
৪৬. কুতায়বা ইবনে সাঈদ .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেনঃ যদি আমি মুমিনদের জন্য কষ্টকর মনে না করতাম, তবে তাদেরকে এশার নামায বিলম্বে (রাত্রির এক-তৃতীয়াংশে পর) পড়তে ও প্রত্যেক নামাযের সময় মেস্ওয়াক করতে নির্দেশ দিতাম।
كتاب الطهارة
باب السِّوَاكِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، يَرْفَعُهُ قَالَ " لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ، عَلَى الْمُؤْمِنِينَ لأَمَرْتُهُمْ بِتَأْخِيرِ الْعِشَاءِ وَبِالسِّوَاكِ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ " .
হাদীস নং: ৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭
পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
২৫. মেসওয়াক করা সম্পর্কে।
৪৭. ইবরাহীম ইবনে মুসা ..... যায়দ ইবনে খালিদ আল-জুহানী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে বলতে শুনেছি, যদি আমি আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর মনে না করতাম, তবে তাদেরকে প্রত্যেক নামাযের সময় মেস্ওয়াক করার নির্দেশ দিতাম।
আবু সালামা (রাহঃ) বলেন, অতঃপর আমি যায়দ (রাযিঃ)-কে মসজিদে এমতাবস্থায় বসতে দেখেছি যে, মেস্ওয়াক ছিল তাঁর কানের ঐ স্থানে, যেখানে সাধারণতঃ লেখকের কলম থাকে। অতঃপর যখনই তিনি নামাযের জন্য দাঁড়াতেন- মেস্ওয়াক করে নিতেন।
আবু সালামা (রাহঃ) বলেন, অতঃপর আমি যায়দ (রাযিঃ)-কে মসজিদে এমতাবস্থায় বসতে দেখেছি যে, মেস্ওয়াক ছিল তাঁর কানের ঐ স্থানে, যেখানে সাধারণতঃ লেখকের কলম থাকে। অতঃপর যখনই তিনি নামাযের জন্য দাঁড়াতেন- মেস্ওয়াক করে নিতেন।
كتاب الطهارة
باب السِّوَاكِ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لأَمَرْتُهُمْ بِالسِّوَاكِ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ " . قَالَ أَبُو سَلَمَةَ فَرَأَيْتُ زَيْدًا يَجْلِسُ فِي الْمَسْجِدِ وَإِنَّ السِّوَاكَ مِنْ أُذُنِهِ مَوْضِعُ الْقَلَمِ مِنْ أُذُنِ الْكَاتِبِ فَكُلَّمَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ اسْتَاكَ .
হাদীস নং: ৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮
পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
২৫. মেসওয়াক করা সম্পর্কে।
৪৮. মুহাম্মাদ ইবনে আওফ .... আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহয়া বলেন, আমি উমর (রাযিঃ) এর নাতিকে জিজ্ঞাসা করলাম, উমর (রাযিঃ) উযু থাকা বা না থাকা অবস্হায় প্রত্যেক নামাযের সময় কেন উযু করেন? জবাবে তিনি একটি হাদীসের উদ্ধৃতি দেন, আসমা বিনতে যায়দ ইবনে খাত্তাব বর্ণনা করেছেন যে, আব্দুল্লাহ্ ইবনে হানযালা ইবনে আবু আমির তাঁর (আসমার) নিকট বলেছেনঃ নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে উযু থাকা বা না থাকা উভয় অবস্থাতেই প্রত্যেক নামাযের সময় উযু করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।*
নবী (ﷺ)-এর উপর তা কষ্টদায়ক হলে তাকে প্রত্যেক নামাযের সময় উযু থাকা অবস্থায় শুধু মেস্ওয়াক করার নির্দেশ দেয়া হয়।** অতঃপর ইবনে উমর (রাযিঃ) এর প্রত্যেক নামাযের সময় উযু করার ক্ষমতা ছিল বিধায় তিনি কোন নামাযের সময় উযু পরিত্যাগ করতেন না।
* একবার উযু করে তা দ্বারা কয়েক ওয়াক্তের নামায আদায় করা জায়েজ। এমতাবস্থায় উযু থাকা সত্ত্বেও নতুনভাবে উযু করে নামায আদায় করা মুস্তাহাব। অপবিত্রতা বা বিনা উযুতে নামায পড়া জায়েজ নাই-(অনুবাদক)
** হানাফী মাযহাব অনুসারে উযু করার সময় মেস্ওয়াক করা সুন্নত। নামাযের পূর্বে যদি কেউ মেসওয়াক করে এবং দাঁত হতে রক্ত নির্গত হয়, তবে সরাসরি নতুনভাবে উযু করে নামায আদায় করা একান্ত কর্তব্য। নামাযের পূর্বে মেস্ওয়াক করার বিধান শাফিঈ মাযহাবে রয়েছে। -(অনুবাদক)
নবী (ﷺ)-এর উপর তা কষ্টদায়ক হলে তাকে প্রত্যেক নামাযের সময় উযু থাকা অবস্থায় শুধু মেস্ওয়াক করার নির্দেশ দেয়া হয়।** অতঃপর ইবনে উমর (রাযিঃ) এর প্রত্যেক নামাযের সময় উযু করার ক্ষমতা ছিল বিধায় তিনি কোন নামাযের সময় উযু পরিত্যাগ করতেন না।
* একবার উযু করে তা দ্বারা কয়েক ওয়াক্তের নামায আদায় করা জায়েজ। এমতাবস্থায় উযু থাকা সত্ত্বেও নতুনভাবে উযু করে নামায আদায় করা মুস্তাহাব। অপবিত্রতা বা বিনা উযুতে নামায পড়া জায়েজ নাই-(অনুবাদক)
** হানাফী মাযহাব অনুসারে উযু করার সময় মেস্ওয়াক করা সুন্নত। নামাযের পূর্বে যদি কেউ মেসওয়াক করে এবং দাঁত হতে রক্ত নির্গত হয়, তবে সরাসরি নতুনভাবে উযু করে নামায আদায় করা একান্ত কর্তব্য। নামাযের পূর্বে মেস্ওয়াক করার বিধান শাফিঈ মাযহাবে রয়েছে। -(অনুবাদক)
كتاب الطهارة
باب السِّوَاكِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَوْفٍ الطَّائِيُّ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ قُلْتُ أَرَأَيْتَ تَوَضُّؤَ ابْنِ عُمَرَ لِكُلِّ صَلاَةٍ طَاهِرًا وَغَيْرَ طَاهِرٍ عَمَّ ذَاكَ فَقَالَ حَدَّثَتْنِيهِ أَسْمَاءُ بِنْتُ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ حَنْظَلَةَ بْنِ أَبِي عَامِرٍ حَدَّثَهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أُمِرَ بِالْوُضُوءِ لِكُلِّ صَلاَةٍ طَاهِرًا وَغَيْرَ طَاهِرٍ فَلَمَّا شَقَّ ذَلِكَ عَلَيْهِ أُمِرَ بِالسِّوَاكِ لِكُلِّ صَلاَةٍ فَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَرَى أَنَّ بِهِ قُوَّةً فَكَانَ لاَ يَدَعُ الْوُضُوءَ لِكُلِّ صَلاَةٍ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ رَوَاهُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ .