কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৩ টি
হাদীস নং: ৪৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৫
 নামাযের অধ্যায়
১৫. নামাযের সময় ঘুমিয়ে থাকলে বা ভুলে গেলে কি করতে হবে?
৪৩৫. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) খায়বরের যুদ্ধ হতে প্রত্যাবর্তনের সময় এক রাতে যাত্রা অব্যাহত রাখেন। আমরা নিদ্রালু হয়ে পড়ায় তিনি রাতের শেযভাগে বিশ্রামের উদ্দেশ্যে বাহন হতে অবতরণ করেন এবং বিলাল (রাযিঃ)-কে বলেনঃ তুমি জেগে থাক এবং রাতের দিকে খেয়াল রাখ। অতঃপর বিলাল (রাযিঃ)-ও নিদ্রাকআতর হয়ে পড়েন এবং তিনি নিজের উটের সাথে হেলান দেয়া অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়েন। এমতাবস্থায় নবী (ﷺ), বিলাল (রাযিঃ) এবং সহগামী সাহাবীদের কেউই জাগরিত হন নাই যতক্ষণ না সূর্যের তাপ তাদেরকে স্পর্শ করে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)ই সর্বপ্রথম ঘুম হতে জাগরিত হন এবং অস্থির হয়ে পড়েন।
অতঃপর তিনি বিলাল (রাযিঃ)-কে বলেনঃ হে বিলাল! জবাবে বিলাল (রাযিঃ) ওযর পেশ করে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার মাতা-পিতা আপনার জন্য উৎসর্গিত হোক। যে মহান সত্তা আপনার জীবন ধরে রেখেছিলেন সেই মহান সত্বা আমার জীবনও ধরে রেখেছিলেন। অতঃপর তারা উক্ত স্থান পরিত্যাগ করে কিছু দূর যাওয়ার পর নবী (ﷺ) উযু করেন এবং বিলাল (রাযিঃ)-কে নামাযের ইকামত দিতে বলেন। তিনি সকলকে নিয়ে নামায আদায় করেন।* নামায শেষে নবী (ﷺ) বলেনঃ যে ব্যক্তি নামায (আদায় করতে) ভুলে যাবে সে যেন স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে তা আদায় করে।** কেননা আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেনঃ “তোমরা আমার স্মরণের জন্য নামায কায়েম কর”।
* উল্লেখিত হাদীসে কেবলমাত্র ইকামতের কথা বর্ণিত হয়েছে। অবশ্য অন্য হাদীসে উল্লেখ আছে যে, নবী করীম (ﷺ) বিলাল (রাযিঃ)-কে প্রথমে আযান ও পরে ইকামতের আদেশ দেন। – (অনুবাদক)
** রাতে ঘুমিয়ে থাকার পর সকালে কেউ যদি এমন সময় ঘুম হতে জাগ্রত হয়, যখন সূর্য উঠতে থাকে তখন নামায আদায় করা হারাম। কেননা অন্য হাদীসে আছে- সূর্যোদয়, ঠিক দ্বি-প্রহর ও সূর্যাস্তের সময় নামায পড়া নিষিদ্ধ। -(অনুবাদক)
অতঃপর তিনি বিলাল (রাযিঃ)-কে বলেনঃ হে বিলাল! জবাবে বিলাল (রাযিঃ) ওযর পেশ করে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার মাতা-পিতা আপনার জন্য উৎসর্গিত হোক। যে মহান সত্তা আপনার জীবন ধরে রেখেছিলেন সেই মহান সত্বা আমার জীবনও ধরে রেখেছিলেন। অতঃপর তারা উক্ত স্থান পরিত্যাগ করে কিছু দূর যাওয়ার পর নবী (ﷺ) উযু করেন এবং বিলাল (রাযিঃ)-কে নামাযের ইকামত দিতে বলেন। তিনি সকলকে নিয়ে নামায আদায় করেন।* নামায শেষে নবী (ﷺ) বলেনঃ যে ব্যক্তি নামায (আদায় করতে) ভুলে যাবে সে যেন স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে তা আদায় করে।** কেননা আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেনঃ “তোমরা আমার স্মরণের জন্য নামায কায়েম কর”।
* উল্লেখিত হাদীসে কেবলমাত্র ইকামতের কথা বর্ণিত হয়েছে। অবশ্য অন্য হাদীসে উল্লেখ আছে যে, নবী করীম (ﷺ) বিলাল (রাযিঃ)-কে প্রথমে আযান ও পরে ইকামতের আদেশ দেন। – (অনুবাদক)
** রাতে ঘুমিয়ে থাকার পর সকালে কেউ যদি এমন সময় ঘুম হতে জাগ্রত হয়, যখন সূর্য উঠতে থাকে তখন নামায আদায় করা হারাম। কেননা অন্য হাদীসে আছে- সূর্যোদয়, ঠিক দ্বি-প্রহর ও সূর্যাস্তের সময় নামায পড়া নিষিদ্ধ। -(অনুবাদক)
كتاب الصلاة
باب فِي مَنْ نَامَ عَنِ الصَّلاَةِ، أَوْ نَسِيَهَا
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ قَفَلَ مِنْ غَزْوَةِ خَيْبَرَ فَسَارَ لَيْلَةً حَتَّى إِذَا أَدْرَكَنَا الْكَرَى عَرَّسَ وَقَالَ لِبِلاَلٍ " اكْلأْ لَنَا اللَّيْلَ " . قَالَ فَغَلَبَتْ بِلاَلاً عَيْنَاهُ وَهُوَ مُسْتَنِدٌ إِلَى رَاحِلَتِهِ فَلَمْ يَسْتَيْقِظِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَلاَ بِلاَلٌ وَلاَ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِهِ حَتَّى إِذَا ضَرَبَتْهُمُ الشَّمْسُ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَوَّلَهُمُ اسْتِيقَاظًا فَفَزِعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " يَا بِلاَلُ " . فَقَالَ أَخَذَ بِنَفْسِي الَّذِي أَخَذَ بِنَفْسِكَ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ فَاقْتَادُوا رَوَاحِلَهُمْ شَيْئًا ثُمَّ تَوَضَّأَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأَمَرَ بِلاَلاً فَأَقَامَ لَهُمُ الصَّلاَةَ وَصَلَّى بِهِمُ الصُّبْحَ فَلَمَّا قَضَى الصَّلاَةَ قَالَ " مَنْ نَسِيَ صَلاَةً فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَالَ ( أَقِمِ الصَّلاَةَ لِلذِّكْرَى ) " . قَالَ يُونُسُ وَكَانَ ابْنُ شِهَابٍ يَقْرَؤُهَا كَذَلِكَ . قَالَ أَحْمَدُ قَالَ عَنْبَسَةُ - يَعْنِي عَنْ يُونُسَ - فِي هَذَا الْحَدِيثِ لِذِكْرِي . وَقَالَ أَحْمَدُ الْكَرَى النُّعَاسُ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৬
 নামাযের অধ্যায়
১৫. নামাযের সময় ঘুমিয়ে থাকলে বা ভুলে গেলে কি করতে হবে?
৪৩৬. মুসা ইবনে ইসমাঈল ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) পূর্বোক্ত হাদীসের বর্ণনা পরস্পরায় বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ যে স্থানে তোমরা গাফলতিতে নিমজ্জিত হয়েছ সে স্থান ত্যাগ কর। রাবী বলেন, উক্ত স্থান ত্যাগের পর অন্য স্থানে পৌছে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বিলাল (রাযিঃ)-কে নির্দেশ দেওয়ায় তিনি আযান ও ইকামত দেন এবং তিনি সকলকে নিয়ে নামায আদায় করেন।
كتاب الصلاة
باب فِي مَنْ نَامَ عَنِ الصَّلاَةِ، أَوْ نَسِيَهَا
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، فِي هَذَا الْخَبَرِ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم  " تَحَوَّلُوا عَنْ مَكَانِكُمُ الَّذِي أَصَابَتْكُمْ فِيهِ الْغَفْلَةُ " . قَالَ فَأَمَرَ بِلاَلاً فَأَذَّنَ وَأَقَامَ وَصَلَّى . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ مَالِكٌ وَسُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ وَالأَوْزَاعِيُّ وَعَبْدُ الرَّزَّاقِ عَنْ مَعْمَرٍ وَابْنِ إِسْحَاقَ لَمْ يَذْكُرْ أَحَدٌ مِنْهُمُ الأَذَانَ فِي حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ هَذَا وَلَمْ يُسْنِدْهُ مِنْهُمُ إِلاَّ الأَوْزَاعِيُّ وَأَبَانُ الْعَطَّارُ عَنْ مَعْمَرٍ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৭
 নামাযের অধ্যায়
১৫. নামাযের সময় ঘুমিয়ে থাকলে বা ভুলে গেলে কি করতে হবে?
৪৩৭. মুসা ইবনে ইসমাঈল .... আবু কাতাদা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) এক সফরে ছিলেন। তিনি একদিকে মনোনিবেশ করলেন এবং আমিও তাঁর সাথে মনোনিবেশ করলাম। অতঃপর তিনি বলেনঃ লক্ষ্য কর। তখন আমি বলি এই একজন আরোহী, এই দুইজন আরোহী, এই তিনজন আরোহী- এইরূপে আমরা গণনায় সাত পর্যন্ত পৌছাই। অতঃপর নবী (ﷺ) বলেনঃ তোমরা আমাদের ফজরের নামাযের প্রতি দৃষ্টি রাখ। অতঃপর রাবী বলেন যে, তাদের কান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল (সকলে ঘুমিয়ে পড়েছিল) এবং রৌদ্রের তাপ গায়ে লাগার পূর্বে কেউই ঘুম হতে উঠতে পারেন নি। ঘুম হতে বেলা উঠার পর জাগ্রত হয়ে তারা উক্ত স্থান ত্যাগ করে সামান্য দূর যাওয়ার পর অবতরণ করে উযু করেন।
অতঃপর বিলাল (রাযিঃ) আযান দেওয়ার পর তারা প্রথমে ফজরের দুই রাকআত সুন্নত, অতঃপর দুই রাকআত ফরয নামায আদায় করে উক্ত স্থান ত্যাগ করেন। অতঃপর তাঁরা পরস্পর বলাবলি করতে থাকেন, আমরা নির্ধারিত সময়ে নামায আদায় না করে গুনাহগার হয়েছি। এতদশ্রবণে নবী (ﷺ) বলেনঃ অনিচ্ছাকৃত ভাবে নির্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে কেউ যদি নামায কাযা করে তবে তা অন্যায় নহে। অবশ্য জাগ্রত থাকাবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে নামায কাযা করলে অন্যায় হবে। অতএব তোমাদের কেউ যখন নামায আদায়ের কথা ভুলে যায়, সে যেন স্মরণ হওয়া মাত্রই তা আদায় করে এবং পরবর্তী দিন উক্ত সময়ের নামাযটি তার নির্ধারিত সময়ে যেন আদায় করে।*
* উপরোক্ত হাদীসে জানা যায় যে, কোন ব্যক্তির নামায কাযা হলে স্মরণ হওয়া মাত্রই তা আদায় করতে হবে এবং পরের দিন ঐ নামাযের জন্য নির্দ্ধরিত সময়ে আদায় করার প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে যেন পুনরায় তা কাযা না হয়।
অতঃপর বিলাল (রাযিঃ) আযান দেওয়ার পর তারা প্রথমে ফজরের দুই রাকআত সুন্নত, অতঃপর দুই রাকআত ফরয নামায আদায় করে উক্ত স্থান ত্যাগ করেন। অতঃপর তাঁরা পরস্পর বলাবলি করতে থাকেন, আমরা নির্ধারিত সময়ে নামায আদায় না করে গুনাহগার হয়েছি। এতদশ্রবণে নবী (ﷺ) বলেনঃ অনিচ্ছাকৃত ভাবে নির্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে কেউ যদি নামায কাযা করে তবে তা অন্যায় নহে। অবশ্য জাগ্রত থাকাবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে নামায কাযা করলে অন্যায় হবে। অতএব তোমাদের কেউ যখন নামায আদায়ের কথা ভুলে যায়, সে যেন স্মরণ হওয়া মাত্রই তা আদায় করে এবং পরবর্তী দিন উক্ত সময়ের নামাযটি তার নির্ধারিত সময়ে যেন আদায় করে।*
* উপরোক্ত হাদীসে জানা যায় যে, কোন ব্যক্তির নামায কাযা হলে স্মরণ হওয়া মাত্রই তা আদায় করতে হবে এবং পরের দিন ঐ নামাযের জন্য নির্দ্ধরিত সময়ে আদায় করার প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে যেন পুনরায় তা কাযা না হয়।
كتاب الصلاة
باب فِي مَنْ نَامَ عَنِ الصَّلاَةِ، أَوْ نَسِيَهَا
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبَاحٍ الأَنْصَارِيِّ، حَدَّثَنَا أَبُو قَتَادَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ فِي سَفَرٍ لَهُ فَمَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَمِلْتُ مَعَهُ فَقَالَ " انْظُرْ " . فَقُلْتُ هَذَا رَاكِبٌ هَذَانِ رَاكِبَانِ هَؤُلاَءِ ثَلاَثَةٌ حَتَّى صِرْنَا سَبْعَةً . فَقَالَ " احْفَظُوا عَلَيْنَا صَلاَتَنَا " . يَعْنِي صَلاَةَ الْفَجْرِ فَضُرِبَ عَلَى آذَانِهِمْ فَمَا أَيْقَظَهُمْ إِلاَّ حَرُّ الشَّمْسِ فَقَامُوا فَسَارُوا هُنَيَّةً ثُمَّ نَزَلُوا فَتَوَضَّئُوا وَأَذَّنَ بِلاَلٌ فَصَلَّوْا رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ ثُمَّ صَلَّوُا الْفَجْرَ وَرَكِبُوا فَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ قَدْ فَرَّطْنَا فِي صَلاَتِنَا . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّهُ لاَ تَفْرِيطَ فِي النَّوْمِ إِنَّمَا التَّفْرِيطُ فِي الْيَقَظَةِ فَإِذَا سَهَا أَحَدُكُمْ عَنْ صَلاَةٍ فَلْيُصَلِّهَا حِينَ يَذْكُرُهَا وَمِنَ الْغَدِ لِلْوَقْتِ " .
হাদীস নং: ৪৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৮
 নামাযের অধ্যায়
১৫. নামাযের সময় ঘুমিয়ে থাকলে বা ভুলে গেলে কি করতে হবে?
৪৩৮. আলী ইবনে নসর .... খালিদ ইবনে সুমাইর হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ্ ইবনে রাবাহ্ আনসারী (রাযিঃ) মদীনা হতে আমাদের নিকট আগমন করেন। মদীনার আনসারগগ তাঁকে একজন বিশিষ্ট ফকীহ (ফিকাহ্ তত্ত্ববিদ আলেম) হিসাবে গণ্য করতেন। রাবী বলেন, আব্দুল্লাহ্ আনসারী (রাযিঃ) আমাদের নিকট বর্ণনা করেন যে, আবু কাতাদা আল্-আনসারী (রাযিঃ) যিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর ঘোড়া রক্ষক ছিলেন- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মুতার যুদ্ধে সৈন্য প্রেরণ করেন ......... পূর্ববর্তী হাদীসের অনুরূপ।
রাবী বলেন, সূর্যের রশ্মি আমাদের শরীর স্পর্শ করার পর আমরা ঘুম হতে জগ্রত হই। ঐ সময় আমরা আমাদের নামাযের জন্য অস্থির হয়ে পড়ি। নবী (ﷺ) বললেন, এ স্থান ত্যাগ কর, ত্যাগ কর। তাঁরা ঐ স্থান ত্যাগ করে যাওয়ার পর যখন কিছুটা উপরে উঠল তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ যারা সফরের সময় ফজরের নামাযের দুই রাকআত সুন্নত আদায়ে অভ্যস্ত-তারা যেন তা আদায় করে নেয়। অতঃপর উপস্থিত সাহাবাগণ ফজরের দুই রাকআত (সুন্নত) আদায় করেন। অতঃপর নবী (ﷺ) আযান দেওয়ার নির্দেশ দেন। আযানের পর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদের ফজরের দুই রাকআত ফরয নামায আদায় করেন।
নামায আদায়ের পর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদের সম্বোধন করে বলেনঃ তোমরা জেনে রাখ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। দুনিয়ার কোন কাজকর্ম আমাদের এই নামায আদায় করা হতে বিরত রাখেনি, বরং আমাদের আত্মাসমূহ আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে ছিল। অতঃপর তাঁর ইচ্ছানুযায়ী তা আমাদের নিকট ফেরত পাঠিয়েছেন। তোমাদের কেউ যখন আগামী দিনের ফজরের নামায ঠিক সময়ে পাবে তবে সে যেন এ ওয়াক্তের সাথে এই কাযা নামাযটিও আদায় করে।
রাবী বলেন, সূর্যের রশ্মি আমাদের শরীর স্পর্শ করার পর আমরা ঘুম হতে জগ্রত হই। ঐ সময় আমরা আমাদের নামাযের জন্য অস্থির হয়ে পড়ি। নবী (ﷺ) বললেন, এ স্থান ত্যাগ কর, ত্যাগ কর। তাঁরা ঐ স্থান ত্যাগ করে যাওয়ার পর যখন কিছুটা উপরে উঠল তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ যারা সফরের সময় ফজরের নামাযের দুই রাকআত সুন্নত আদায়ে অভ্যস্ত-তারা যেন তা আদায় করে নেয়। অতঃপর উপস্থিত সাহাবাগণ ফজরের দুই রাকআত (সুন্নত) আদায় করেন। অতঃপর নবী (ﷺ) আযান দেওয়ার নির্দেশ দেন। আযানের পর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদের ফজরের দুই রাকআত ফরয নামায আদায় করেন।
নামায আদায়ের পর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদের সম্বোধন করে বলেনঃ তোমরা জেনে রাখ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। দুনিয়ার কোন কাজকর্ম আমাদের এই নামায আদায় করা হতে বিরত রাখেনি, বরং আমাদের আত্মাসমূহ আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে ছিল। অতঃপর তাঁর ইচ্ছানুযায়ী তা আমাদের নিকট ফেরত পাঠিয়েছেন। তোমাদের কেউ যখন আগামী দিনের ফজরের নামায ঠিক সময়ে পাবে তবে সে যেন এ ওয়াক্তের সাথে এই কাযা নামাযটিও আদায় করে।
كتاب الصلاة
باب فِي مَنْ نَامَ عَنِ الصَّلاَةِ، أَوْ نَسِيَهَا
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ نَصْرٍ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا الأَسْوَدُ بْنُ شَيْبَانَ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ سُمَيْرٍ، قَالَ قَدِمَ عَلَيْنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَبَاحٍ الأَنْصَارِيُّ مِنَ الْمَدِينَةِ وَكَانَتِ الأَنْصَارُ تُفَقِّهُهُ - فَحَدَّثَنَا قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو قَتَادَةَ الأَنْصَارِيُّ فَارِسُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَيْشَ الأُمَرَاءِ بِهَذِهِ الْقِصَّةِ . قَالَ فَلَمْ تُوقِظْنَا إِلاَّ الشَّمْسُ طَالِعَةً فَقُمْنَا وَهِلِينَ لِصَلاَتِنَا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " رُوَيْدًا رُوَيْدًا " . حَتَّى إِذَا تَعَالَتِ الشَّمْسُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ كَانَ مِنْكُمْ يَرْكَعُ رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ فَلْيَرْكَعْهُمَا " . فَقَامَ مَنْ كَانَ يَرْكَعُهُمَا وَمَنْ لَمْ يَكُنْ يَرْكَعُهُمَا فَرَكَعَهُمَا ثُمَّ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُنَادَى بِالصَّلاَةِ فَنُودِيَ بِهَا فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى بِنَا فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ " أَلاَ إِنَّا نَحْمَدُ اللَّهَ أَنَّا لَمْ نَكُنْ فِي شَىْءٍ مِنْ أُمُورِ الدُّنْيَا يَشْغَلُنَا عَنْ صَلاَتِنَا وَلَكِنَّ أَرْوَاحَنَا كَانَتْ بِيَدِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فَأَرْسَلَهَا أَنَّى شَاءَ فَمَنْ أَدْرَكَ مِنْكُمْ صَلاَةَ الْغَدَاةِ مِنْ غَدٍ صَالِحًا فَلْيَقْضِ مَعَهَا مِثْلَهَا " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৯
 নামাযের অধ্যায়
১৫. নামাযের সময় ঘুমিয়ে থাকলে বা ভুলে গেলে কি করতে হবে?
৪৩৯. আমর ইবনে আওন .... আবু কাতাদা (রাযিঃ) হতে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। রাবী বলেন, অতঃপর নবী (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ আল্লাহ্ তাআলা তোমাদের আত্মাগুলিকে যতক্ষণ ইচ্ছা স্বীয় নিয়ন্ত্রণে রাখেন, অতঃপর তা ফিরিয়ে দেন। অতঃপর তিনি ঐ স্থান ত্যাগের নির্দেশ দেন। অতঃপর তিনি বিলাল (রাযিঃ)-কে আযান দিতে বলায় তিনি আযান দিলে সকলে উযু করেন। ইতিমধ্যে সূর্য উপরে উঠে যায় এবং নবী (ﷺ) সাহাবীদের নিয়ে ঐ নামায আদায় করেন।
كتاب الصلاة
باب فِي مَنْ نَامَ عَنِ الصَّلاَةِ، أَوْ نَسِيَهَا
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، فِي هَذَا الْخَبَرِ قَالَ فَقَالَ  " إِنَّ اللَّهَ قَبَضَ أَرْوَاحَكُمْ حَيْثُ شَاءَ وَرَدَّهَا حَيْثُ شَاءَ قُمْ فَأَذِّنْ بِالصَّلاَةِ " . فَقَامُوا فَتَطَهَّرُوا حَتَّى إِذَا ارْتَفَعَتِ الشَّمْسُ قَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى بِالنَّاسِ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪০
 নামাযের অধ্যায়
১৫. নামাযের সময় ঘুমিয়ে থাকলে বা ভুলে গেলে কি করতে হবে?
৪৪০. হান্নাদ .... আবু কাতাদা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট থেকে ...পূর্ববর্তী হাদীসের অনুরূপ। রাবী বলেন, সূর্য কিছু উপরে উঠার পর সকলে উযু করে নামায আদায় করেন।
كتاب الصلاة
باب فِي مَنْ نَامَ عَنِ الصَّلاَةِ، أَوْ نَسِيَهَا
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَبْثَرٌ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ قَالَ فَتَوَضَّأَ حِينَ ارْتَفَعَتِ الشَّمْسُ فَصَلَّى بِهِمْ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪১
 নামাযের অধ্যায়
১৫. নামাযের সময় ঘুমিয়ে থাকলে বা ভুলে গেলে কি করতে হবে?
৪৪১. আল-আব্বাস আল-আনবারী .... আবু কাতাদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেছেনঃ ঘুমের কারণে নামায কাযা হলে অন্যায় নয়, বরং জাগ্রত অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে নামায এত বিলম্বে আদায় করা অন্যায়, যাতে অন্য ওয়াক্ত উপনীত হয়।
كتاب الصلاة
باب فِي مَنْ نَامَ عَنِ الصَّلاَةِ، أَوْ نَسِيَهَا
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، - وَهُوَ الطَّيَالِسِيُّ - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، - يَعْنِي ابْنَ الْمُغِيرَةِ - عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم  " لَيْسَ فِي النَّوْمِ تَفْرِيطٌ إِنَّمَا التَّفْرِيطُ فِي الْيَقَظَةِ أَنْ تُؤَخَّرَ صَلاَةٌ حَتَّى يَدْخُلَ وَقْتُ أُخْرَى " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪২
 নামাযের অধ্যায়
১৫. নামাযের সময় ঘুমিয়ে থাকলে বা ভুলে গেলে কি করতে হবে?
৪৪২. মুহাম্মাদ ইবনে কাছীর .... আনাস ইবনে মালেক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। নবী (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ যে ব্যক্তি নামায আদায়ের কথা ভুলে যায় সে যেন স্মরণ হওয়া মাত্রই তা আদায় করে। কাযা নামাযের কাফফারা হল তা আদায় করা।
كتاب الصلاة
باب فِي مَنْ نَامَ عَنِ الصَّلاَةِ، أَوْ نَسِيَهَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ  " مَنْ نَسِيَ صَلاَةً فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا لاَ كَفَّارَةَ لَهَا إِلاَّ ذَلِكَ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৩
 নামাযের অধ্যায়
১৫. নামাযের সময় ঘুমিয়ে থাকলে বা ভুলে গেলে কি করতে হবে?
৪৪৩. ওয়াহব ইবনে বাকিয়্যা ..... ইমরান ইবনে হুসাইন (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) এক দীর্ঘ সফর হতে প্রত্যাবর্তনের সময় ফজরের নামাযের ওয়াক্তে সকলে নিদ্রাচ্ছন্ন থাকেন। তাঁরা সূর্যোত্তাপ শরীরে লাগার পর জাগ্রত হন। অতঃপর স্থান ত্যাগ করে কিছু দূরে যাওয়ার পর সূর্য কিছু উপরে উঠলে তিনি মুয়াযযিনকে আযান দেওয়ার নির্দেশ দেন। মুয়াযযিন আযান দিলে তাঁরা প্রথমে ফজরের দু’রাকআত সুন্নত নামায আদায় করেন এবং ইকামতের পর ফরয নামায আদায় করেন।
كتاب الصلاة
باب فِي مَنْ نَامَ عَنِ الصَّلاَةِ، أَوْ نَسِيَهَا
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ فِي مَسِيرٍ لَهُ فَنَامُوا عَنْ صَلاَةِ الْفَجْرِ فَاسْتَيْقَظُوا بِحَرِّ الشَّمْسِ فَارْتَفَعُوا قَلِيلاً حَتَّى اسْتَقَلَّتِ الشَّمْسُ ثُمَّ أَمَرَ مُؤَذِّنًا فَأَذَّنَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْفَجْرِ ثُمَّ أَقَامَ ثُمَّ صَلَّى الْفَجْرَ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৪
 নামাযের অধ্যায়
১৫. নামাযের সময় ঘুমিয়ে থাকলে বা ভুলে গেলে কি করতে হবে?
৪৪৪. আব্বাস আল-আনবারী .... আমর ইবনে উমাইয়া (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা কোন এক সফরে নবী (ﷺ)-এর সাথে ছিলাম। তিনি ফজরের নামাযের সময় ঘুমে কাতর ছিলেন। সূর্যোদয়ের পর ঘুম থেকে জাগরিত হয়ে সাহাবীদের উক্ত স্থান ত্যাগের নির্দেশ দেন। অতঃপর তিনি অন্য এক স্থানে উপনীত হয়ে বিলাল (রাযিঃ)-কে আযান দিতে বলেন। তিনি আযান দিলে সাহাবীগণ উযু করে দু’রাকআত সুন্নত নামায আদায় করেন। অতঃপর বিলাল (রাযিঃ)-কে ইকামতের নির্দেশ দিলে তিনি ইকামত দেন। নবী (ﷺ) সকলকে নিয়ে ফজরের ফরয নামায আদায় করেন।
كتاب الصلاة
باب فِي مَنْ نَامَ عَنِ الصَّلاَةِ، أَوْ نَسِيَهَا
حَدَّثَنَا عَبَّاسٌ الْعَنْبَرِيُّ، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، - وَهَذَا لَفْظُ عَبَّاسٍ - أَنَّ عَبْدَ، اللَّهِ بْنَ يَزِيدَ حَدَّثَهُمْ عَنْ حَيْوَةَ بْنِ شُرَيْحٍ عَنْ عَيَّاشِ بْنِ عَبَّاسٍ - يَعْنِي الْقِتْبَانِيَّ - أَنَّ كُلَيْبَ بْنَ صُبْحٍ حَدَّثَهُمْ أَنَّ الزِّبْرِقَانَ حَدَّثَهُ عَنْ عَمِّهِ عَمْرِو بْنِ أُمَيَّةَ الضَّمْرِيِّ قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ فَنَامَ عَنِ الصُّبْحِ حَتَّى طَلَعَتِ الشَّمْسُ فَاسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " تَنَحُّوا عَنْ هَذَا الْمَكَانِ " . قَالَ ثُمَّ أَمَرَ بِلاَلاً فَأَذَّنَ ثُمَّ تَوَضَّئُوا وَصَلَّوْا رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ ثُمَّ أَمَرَ بِلاَلاً فَأَقَامَ الصَّلاَةَ فَصَلَّى بِهِمْ صَلاَةَ الصُّبْحِ " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৫
 নামাযের অধ্যায়
১৫. নামাযের সময় ঘুমিয়ে থাকলে বা ভুলে গেলে কি করতে হবে?
৪৪৫. ইবরাহীম ..... যু-মিখবার আল-হাবশী (নাজ্জাশীর ভ্রাতাষ্পুত্র) হতে বর্ণিত। তিনি নবী (ﷺ)-এর খিদমত করতেন। পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা পূর্বক বলেন, নবী (ﷺ) নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে উযু করেন। অতঃপর তিনি বিলাল (রাযিঃ)-কে নির্দেশ দিলে তিনি আযান দেন। নবী (ﷺ) দণ্ডায়মান হয়ে শান্তভাবে দুই রাকআত ফজরের সুন্নত নামায আদায় করেন। অতঃপর বিলাল (রাযিঃ)-কে ইকামত দিতে বলেন। তিনি ইকামত দিলে নবী (ﷺ) সাহাবীদের নিয়ে ধীরস্থিরভাবে ফজরের দু’রাকআত ফরয নামায আদায় করেন।
كتاب الصلاة
باب فِي مَنْ نَامَ عَنِ الصَّلاَةِ، أَوْ نَسِيَهَا
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحَسَنِ، حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، - يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ - حَدَّثَنَا حَرِيزٌ، ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ أَبِي الْوَزِيرِ، حَدَّثَنَا مُبَشِّرٌ، - يَعْنِي الْحَلَبِيَّ - حَدَّثَنَا حَرِيزٌ، - يَعْنِي ابْنَ عُثْمَانَ - حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ ذِي، مِخْبَرٍ الْحَبَشِيِّ وَكَانَ يَخْدُمُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي هَذَا الْخَبَرِ قَالَ فَتَوَضَّأَ - يَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم - وُضُوءًا لَمْ يَلْثَ مِنْهُ التُّرَابُ ثُمَّ أَمَرَ بِلاَلاً فَأَذَّنَ ثُمَّ قَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ غَيْرَ عَجِلٍ ثُمَّ قَالَ لِبِلاَلٍ  " أَقِمِ الصَّلاَةَ " . ثُمَّ صَلَّى الْفَرْضَ وَهُوَ غَيْرُ عَجِلٍ . قَالَ عَنْ حَجَّاجٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ صُلَيْحٍ حَدَّثَنِي ذُو مِخْبَرٍ رَجُلٌ مِنَ الْحَبَشَةِ وَقَالَ عُبَيْدٌ يَزِيدُ بْنُ صَالِحٍ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৬
 নামাযের অধ্যায়
১৫. নামাযের সময় ঘুমিয়ে থাকলে বা ভুলে গেলে কি করতে হবে?
৪৪৬. মুআম্মাল .... যু-মিখবার হতে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। তিনি বলেন, অতঃপর বিলাল (রাযিঃ) ধীরস্থিরভাবে আযান দেন।
كتاب الصلاة
باب فِي مَنْ نَامَ عَنِ الصَّلاَةِ، أَوْ نَسِيَهَا
حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ الْفَضْلِ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، عَنْ حَرِيزٍ، - يَعْنِي ابْنَ عُثْمَانَ - عَنْ يَزِيدَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ ذِي، مِخْبَرِ بْنِ أَخِي النَّجَاشِيِّ فِي هَذَا الْخَبَرِ قَالَ فَأَذَّنَ وَهُوَ غَيْرُ عَجِلٍ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৭
 নামাযের অধ্যায়
১৫. নামাযের সময় ঘুমিয়ে থাকলে বা ভুলে গেলে কি করতে হবে?
৪৪৭. মুহাম্মাদ ইবনুল মুছান্না ..... আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাস্উদ (রাযিঃ) বলেন, হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সফরসঙ্গী ছিলাম। ঐ সময় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেনঃ আমাদের পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব কে গ্রহণ করবে? তখন বিলাল (রাযিঃ) বলেন, আমি। অতঃপর সকলে ঘুমিয়ে পড়েন এমনকি সূর্যোদয়ের পর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ঘুম হতে জাগরিত হয়ে বলেনঃ তোমরা ঐরূপ কর যেরূপ তোমরা করতে- অর্থাৎ সুর্যোদয়ের পূর্বে তোমরা যেরূপ এই নামায আদায় করতে এখনও সেভাবে তা আদায় কর।
রাবী বলেন, অতঃপর আমরা নবী (ﷺ)-এর নির্দেশ মোতাবেক উযু করে আযান, ইকামত ও জামাআতের সাথে নামায আদায় করি। অতঃপর নবী (ﷺ) বলেনঃ যে ব্যক্তি নামায আদায় করতে ভুলে যাবে বা ঘুমিয়ে থাকার ফলে আদায় করতে পারবে না; সে যেন তার কাযা এইরূপে আদায় করে।
রাবী বলেন, অতঃপর আমরা নবী (ﷺ)-এর নির্দেশ মোতাবেক উযু করে আযান, ইকামত ও জামাআতের সাথে নামায আদায় করি। অতঃপর নবী (ﷺ) বলেনঃ যে ব্যক্তি নামায আদায় করতে ভুলে যাবে বা ঘুমিয়ে থাকার ফলে আদায় করতে পারবে না; সে যেন তার কাযা এইরূপে আদায় করে।
كتاب الصلاة
باب فِي مَنْ نَامَ عَنِ الصَّلاَةِ، أَوْ نَسِيَهَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ جَامِعِ بْنِ شَدَّادٍ، سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي عَلْقَمَةَ، سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ، قَالَ أَقْبَلْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم زَمَنَ الْحُدَيْبِيَةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ يَكْلَؤُنَا " . فَقَالَ بِلاَلٌ أَنَا . فَنَامُوا حَتَّى طَلَعَتِ الشَّمْسُ فَاسْتَيْقَظَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " افْعَلُوا كَمَا كُنْتُمْ تَفْعَلُونَ " . قَالَ فَفَعَلْنَا . قَالَ " فَكَذَلِكَ فَافْعَلُوا لِمَنْ نَامَ أَوْ نَسِيَ " .

তাহকীক:
