কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

كتاب السنن للإمام أبي داود

২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৫৮২
আন্তর্জাতিক নং: ৫৮২
নামাযের অধ্যায়
৬৬. ইমামতির জন্য যোগ্য ব্যক্তি সম্পর্কে।
৫৮২. আবুল ওয়ালীদ ...... আবু মাসউদ আল-বদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেছেনঃ উপস্থিত লোকদের মধ্যে আল্লাহর কিতাব (তার কিরাআত) সম্পর্কে সর্বাধিক অভিজ্ঞ ব্যক্তি তাদের ইমামতি করবে। যদি এ বিষয়ে সকলে সমান যোগ্যতার অধিকারী হয়, তবে যিনি প্রথম হিজরতকারী ব্যক্তি তিনি ইমাম হবেন। যদি তাতেও সকলে সমান হয়, তবে যিনি অধিক বয়স্ক হবেন তিনিই ইমামতি করবেন। কোন ব্যক্তি যেন অন্য কোন স্থানে অথবা অন্যের আধিপত্যের স্থানে ইমামতি না করে। কারো জন্য নির্ধারিত আসনে তার অনুমতি ব্যতিরেকে যেন আসন গ্রহণ না করে। অর্থাৎ ইমাম বা অন্য কারো জন্য নির্ধারিত বিছানায় যেন না বসে।
كتاب الصلاة
باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ رَجَاءٍ، سَمِعْتُ أَوْسَ بْنَ ضَمْعَجٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الْبَدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَؤُمُّ الْقَوْمَ أَقْرَؤُهُمْ لِكِتَابِ اللَّهِ وَأَقْدَمُهُمْ قِرَاءَةً فَإِنْ كَانُوا فِي الْقِرَاءَةِ سَوَاءً فَلْيَؤُمَّهُمْ أَقْدَمُهُمْ هِجْرَةً فَإِنْ كَانُوا فِي الْهِجْرَةِ سَوَاءً فَلْيَؤُمَّهُمْ أَكْبَرُهُمْ سِنًّا وَلاَ يُؤَمُّ الرَّجُلُ فِي بَيْتِهِ وَلاَ فِي سُلْطَانِهِ وَلاَ يُجْلَسُ عَلَى تَكْرِمَتِهِ إِلاَّ بِإِذْنِهِ " . قَالَ شُعْبَةُ فَقُلْتُ لإِسْمَاعِيلَ مَا تَكْرِمَتُهُ قَالَ فِرَاشُهُ .
হাদীস নং: ৫৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ৫৮৩
নামাযের অধ্যায়
৬৬. ইমামতির জন্য যোগ্য ব্যক্তি সম্পর্কে।
৫৮৩. ইবনে মুআয ..... শোবা (রাহঃ) হতে উপরোক্ত হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। তাঁর বর্ণনায় আরও আছেঃ অন্যের ইমামতির স্থানে অনুমতি ব্যতীত যেন ইমামতি না করে। ইমাম আবু দাউদ (রাহঃ) বলেন, ইয়াহয়া-শোবা হতে অনুরূপভাবে বর্ণনা করেছেন যে, ইমামতির জন্য যোগ্যতম হল কুরআন সম্পর্কে অভিজ্ঞ ব্যক্তি।
كتاب الصلاة
باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ
حَدَّثَنَا ابْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَ فِيهِ " وَلاَ يَؤُمُّ الرَّجُلُ الرَّجُلَ فِي سُلْطَانِهِ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ كَذَا قَالَ يَحْيَى الْقَطَّانُ عَنْ شُعْبَةَ " أَقْدَمُهُمْ قِرَاءَةً " .
হাদীস নং: ৫৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫৮৪
নামাযের অধ্যায়
৬৬. ইমামতির জন্য যোগ্য ব্যক্তি সম্পর্কে।
৫৮৪. আল-হাসান ইবনে আলী ...... আবু মাসউদ (রাযিঃ) নবী (ﷺ) হতে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি (নবী (ﷺ)) বলেনঃ যদি সকলে কিরাআতের মধ্যে সমান হয় তবে যে ব্যক্তি সুন্নাহ্ (হাদীস) সম্পর্কে বেশী অভিজ্ঞ সেই ইমামতি করবে, এতেও যদি সকলে সমান হয় তবে প্রথম হিজরতকারী ব্যক্তি ইমামতি করবে। এই হাদীসে “ফাআকদামুহুম কিরাআতান” শব্দের উল্লেখ নাই।
كتاب الصلاة
باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَجَاءٍ، عَنْ أَوْسِ بْنِ ضَمْعَجٍ الْحَضْرَمِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَ " فَإِنْ كَانُوا فِي الْقِرَاءَةِ سَوَاءً فَأَعْلَمُهُمْ بِالسُّنَّةِ فَإِنْ كَانُوا فِي السُّنَّةِ سَوَاءً فَأَقْدَمُهُمْ هِجْرَةً " . وَلَمْ يَقُلْ " فَأَقْدَمُهُمْ قِرَاءَةً "
হাদীস নং: ৫৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ৫৮৫
নামাযের অধ্যায়
৬৬. ইমামতির জন্য যোগ্য ব্যক্তি সম্পর্কে।
৫৮৫. মুসা ইবনে ইসমাঈল ...... আমর ইবনে সালামা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা লোকজনের সমবেত কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলাম। এ সময় এক প্রতিনিধি দল নবী (ﷺ)-এর নিকট আগমন করে। তাঁরা প্রত্যাবর্তনের সময় আমাদের পাশ দিয়ে গমনকালে বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এইরূপ বলেছেন। রাবী বলেন, এ সময় আমার বয়স কম ছিল এবং স্মরণশক্তি ছিল প্রখর। ফলে এ সময়ে আমি কুরআনের অনেকাংশ কন্ঠস্থ করে ফেলি।

রাবী বলেন, একদা আমার পিতা তাঁর গোত্রের প্রতিনিধি হিসেবে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট যান। তখন তিনি তাদেরকে নামাযের নিয়ম-কানুন শিক্ষা দেন এবং এ কথাও বলেন যে, তোমাদের মধ্যে যার অধিক কুরআন মুখস্ত আছে- সে যেন ইমামতি করে। আমি অধিক কুরআন মুখস্থকারী ও বিশুদ্ধরূপে পাঠকারী হিসেবে তারা আমাকেই ইমামতির দায়িত্ব প্রদান করেন।

অতঃপর আমি তাদের ইমামতি করতে থাকি। এ সময় আমার গায়ে হলুদ বর্ণের একটি ছোট চাঁদর ছিল। নামাযের সময় যখন আমি সিজদায় যেতাম তখন তা খুলে যেত। মহিলাদের মধ্যে একজন বলেন, তোমরা তোমাদের ইমামের সতর ঢাকার ব্যবস্থা কর। অতঃপর তারা আমার জন্য একটি ইয়ামান দেশীয় জামা খরিদ করেন; যার ফলে ইসলাম গ্রহণের পর আমি এর চাইতে অধিক খুশী আর হই নাই। আমি এমন সময় হতে তাদের ইমামতি করতে আরম্ভ করি যখন আমার বয়স ছিল মাত্র ৭ বা ৮ বছর।*

* ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর মতানুযায়ী ফরয নামাযের জন্য নাবালকের ইমামতি জায়েয নয়। এটা ইসলামের প্রারম্ভিক যুগের ঘটনা, যখন শরীআতের হুকুম-আহকাম পরিপূর্ণভাবে নাযিল হয়নি। - (অনুবাদক)
كتاب الصلاة
باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا أَيُّوبُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سَلِمَةَ، قَالَ كُنَّا بِحَاضِرٍ يَمُرُّ بِنَا النَّاسُ إِذَا أَتَوُا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَكَانُوا إِذَا رَجَعُوا مَرُّوا بِنَا فَأَخْبَرُونَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ كَذَا وَكَذَا وَكُنْتُ غُلاَمًا حَافِظًا فَحَفِظْتُ مِنْ ذَلِكَ قُرْآنًا كَثِيرًا فَانْطَلَقَ أَبِي وَافِدًا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي نَفَرٍ مِنْ قَوْمِهِ فَعَلَّمَهُمُ الصَّلاَةَ فَقَالَ " يَؤُمُّكُمْ أَقْرَؤُكُمْ " . وَكُنْتُ أَقْرَأَهُمْ لِمَا كُنْتُ أَحْفَظُ فَقَدَّمُونِي فَكُنْتُ أَؤُمُّهُمْ وَعَلَىَّ بُرْدَةٌ لِي صَغِيرَةٌ صَفْرَاءُ فَكُنْتُ إِذَا سَجَدْتُ تَكَشَّفَتْ عَنِّي فَقَالَتِ امْرَأَةٌ مِنَ النِّسَاءِ وَارُوا عَنَّا عَوْرَةَ قَارِئِكُمْ . فَاشْتَرَوْا لِي قَمِيصًا عُمَانِيًّا فَمَا فَرِحْتُ بِشَىْءٍ بَعْدَ الإِسْلاَمِ فَرَحِي بِهِ فَكُنْتُ أَؤُمُّهُمْ وَأَنَا ابْنُ سَبْعِ سِنِينَ أَوْ ثَمَانِ سِنِينَ .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ৫৮৬
নামাযের অধ্যায়
৬৬. ইমামতির জন্য যোগ্য ব্যক্তি সম্পর্কে।
৫৮৬. আন-নুফায়লী ....... আমর ইবনে সালামা (রাযিঃ) হতে এই হাদীসটি বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, আমি আমার সম্প্রদায়ের ইমামতি করতাম একটি চাঁদর পরিধাণ করে। যা ফাটা ও তালিযুক্ত ছিল। এমতাবস্থায় যখন আমি সিজদায় যেতাম তখন আমার পশ্চাৎদেশ অনাবৃত হয়ে যেত।
كتاب الصلاة
باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سَلِمَةَ، بِهَذَا الْخَبَرِ قَالَ فَكُنْتُ أَؤُمُّهُمْ فِي بُرْدَةٍ مُوصَلَةٍ فِيهَا فَتْقٌ فَكُنْتُ إِذَا سَجَدْتُ خَرَجَتِ اسْتِي .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ৫৮৭
নামাযের অধ্যায়
৬৬. ইমামতির জন্য যোগ্য ব্যক্তি সম্পর্কে।
৫৮৭. কুতায়বা ..... আমর ইবনে সালামা (রাযিঃ) থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। তাঁরা প্রতিনিধি হিসাবে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর খিদমতে উপস্থিত হন। তাঁরা সেখান হতে প্রত্যাবর্তনের সময় বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমাদের নামাযে কে ইমামতি করবে? তিনি বলেনঃ তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কুরআন সম্পর্কে অধিক অভিজ্ঞ বা অধিক জ্ঞানী- সে ইমামতি করবে।

রাবী বলেন, এ সময় আমার সম্প্রদায়ের মধ্যে কুরআন সম্পর্কে আমিই অধিক অভিজ্ঞ ছিলাম। তাই তারা আমাকে ইমাম নিযুক্ত করেন, কিন্তু তখন আমার বয়স ছিল খুবই কম। তখন আমার পরনে একটি ছোট চাঁদর থাকত এবং বয়সের স্বল্পতা হেতু আমি তাদের সাথে উঠাবসা না করলেও আমি তাদের জামাআতে ইমামতি করতাম এবং জানাযার নামাযও পড়াতাম।
كتاب الصلاة
باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مِسْعَرِ بْنِ حَبِيبٍ الْجَرْمِيِّ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ سَلِمَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُمْ وَفَدُوا إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا أَرَادُوا أَنْ يَنْصَرِفُوا قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ يَؤُمُّنَا قَالَ " أَكْثَرُكُمْ جَمْعًا لِلْقُرْآنِ " . أَوْ " أَخْذًا لِلْقُرْآنِ " . قَالَ فَلَمْ يَكُنْ أَحَدٌ مِنَ الْقَوْمِ جَمَعَ مَا جَمَعْتُهُ - قَالَ - فَقَدَّمُونِي وَأَنَا غُلاَمٌ وَعَلَىَّ شَمْلَةٌ لِي فَمَا شَهِدْتُ مَجْمَعًا مِنْ جَرْمٍ إِلاَّ كُنْتُ إِمَامَهُمْ وَكُنْتُ أُصَلِّي عَلَى جَنَائِزِهِمْ إِلَى يَوْمِي هَذَا . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ عَنْ مِسْعَرِ بْنِ حَبِيبٍ الْجَرْمِيِّ عَنْ عَمْرِو بْنِ سَلِمَةَ قَالَ لَمَّا وَفَدَ قَوْمِي إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَقُلْ عَنْ أَبِيهِ .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ৫৮৮
নামাযের অধ্যায়
৬৬. ইমামতির জন্য যোগ্য ব্যক্তি সম্পর্কে।
৫৮৮. আল-কানবী .... নাফে (রাহঃ) ইবনে উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, মুহাজিরদের প্রথম দলটি যখন কুবার নিকটবর্তী আসবাহ নামক স্থানে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর আগেই অবতরণ করেন-তখন তাঁদের ইমামতি করতেন সালেম (রাযিঃ), যিনি ছিলেন আবু হুযাইফা (রাযিঃ) এর আযাদকৃত গোলাম। তাদের মধ্যে তিনিই ছিলেন কুরআন সম্পর্কে সমধিক অভিজ্ঞ।

রাবী হাইছামের বর্ণনায় আরও আছেঃ ঐ দলে উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) এবং আবু সালামা ইবনে আব্দুল আসাদ প্রমুখ বিশিষ্ট সাহাবীরাও ছিলেন।
كتاب الصلاة
باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا أَنَسٌ يَعْنِي ابْنَ عِيَاضٍ، ح وَحَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ خَالِدٍ الْجُهَنِيُّ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ لَمَّا قَدِمَ الْمُهَاجِرُونَ الأَوَّلُونَ نَزَلُوا الْعَصْبَةَ قَبْلَ مَقْدَمِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَكَانَ يَؤُمُّهُمْ سَالِمٌ مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ وَكَانَ أَكْثَرَهُمْ قُرْآنًا . زَادَ الْهَيْثَمُ وَفِيهِمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الأَسَدِ .
হাদীস নং: ৫৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ৫৮৯
নামাযের অধ্যায়
৬৬. ইমামতির জন্য যোগ্য ব্যক্তি সম্পর্কে।
৫৮৯. মুসাদ্দাদ ..... মালিক ইবনে হুয়ায়রিছ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন নবী (ﷺ) তাকে অথবা তাঁর সাথীকে বলেনঃ নামাযের সময় উপস্থিত হলে আযান ও ইকামতের পর তোমাদের মধ্যেকার বয়স্ক ব্যক্তি নামাযে ইমামতি করবে। রাবী মাসলামার হাদীসে উল্লেখ আছে যে, ঐ সময় আমরা সকলেই প্রায় সমান ইলমের অধিকারী ছিলাম।

ইসমাঈল হতে বর্ণিত হাদীসে উল্লেখ আছে যে, রাবী খালিদ বলেন, তখন আমি আবু কিলাবাকে বলি, ‘কুরআনে অধিক অভিজ্ঞ’ এ শব্দটি কেন উল্লেখ করা হয় নাই? তিনি বলেন, মালিক ও তাঁর সাথী উভয়ই কুরআনে সম-জ্ঞানের অধিকারী থাকায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কুরআনের কথা এখানে উল্লেখ করেন নাই (বরং বয়সের কথা বলেছেন)।
كتاب الصلاة
باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا مَسْلَمَةُ بْنُ مُحَمَّدٍ، - الْمَعْنَى وَاحِدٌ - عَنْ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ أَوْ لِصَاحِبٍ لَهُ " إِذَا حَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَأَذِّنَا ثُمَّ أَقِيمَا ثُمَّ لْيَؤُمَّكُمَا أَكْبَرُكُمَا " . وَفِي حَدِيثِ مَسْلَمَةَ قَالَ وَكُنَّا يَوْمَئِذٍ مُتَقَارِبَيْنِ فِي الْعِلْمِ . وَقَالَ فِي حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ قَالَ خَالِدٌ قُلْتُ لأَبِي قِلاَبَةَ فَأَيْنَ الْقُرْآنُ قَالَ إِنَّهُمَا كَانَا مُتَقَارِبَيْنِ .
হাদীস নং: ৫৯০
আন্তর্জাতিক নং: ৫৯০
নামাযের অধ্যায়
৬৬. ইমামতির জন্য যোগ্য ব্যক্তি সম্পর্কে।
৫৯০. উছমান ইবনে আবি শাঈবা .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেঃ তোমাদের মধ্যেকার উত্তম ব্যক্তি যেন আযান দেয় এবং বিশুদ্ধরূপে কুরআন পাঠকারী যেন তোমাদের ইমামতি করে।
كتاب الصلاة
باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عِيسَى الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ أَبَانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لِيُؤَذِّنْ لَكُمْ خِيَارُكُمْ وَلْيَؤُمَّكُمْ قُرَّاؤُكُمْ " .