কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

كتاب السنن للإمام أبي داود

২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৭৮২
আন্তর্জাতিক নং: ৭৮২
নামাযের অধ্যায়
১৩০. উচ্চস্বরে বিসমিল্লাহ না বলার বিবরণ।
৭৮২. মুসলিম ইবনে ইবরাহীম ..... আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ), আবু বকর (রাযিঃ), উমর (রাযিঃ) ও উছমান (রাযিঃ) “আলহামদু লিল্লাহি রবিল আলামীন” হতে কিরাআত পাঠ শুরু করতেন।*

* যাঁরা বিসমিল্লাহ চুপে চুপে পাঠ করার পক্ষপাতী তাঁরা এ হাদীস নিজেদের মতের সমর্থনে পেশ করেন। আনাস (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত অপর হাদীসে আছে- তিনি বলেনঃ আমি মহানবী (ﷺ)-এর পেছনে এবং আবু বাক্র, উমর ও উছমান (রাযিঃ)-এর পেছনে নামায পড়েছি। আমি তাদের কাউকে “বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম” উচ্চস্বরে পড়তে শুনিনি।
كتاب الصلاة
باب مَنْ لَمْ يَرَ الْجَهْرَ بِـ { بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ }
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ كَانُوا يَفْتَتِحُونَ الْقِرَاءَةَ بِـ ( الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ) .
হাদীস নং: ৭৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ৭৮৩
নামাযের অধ্যায়
১৩০. উচ্চস্বরে বিসমিল্লাহ না বলার বিবরণ।
৭৮৩. মুসাদ্দাদ ..... আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকবীরে তাহরীমা বলে নামায আরম্ভ করতেন এবং আলহামদু লিল্লাহি রবীল আলামীন বলে কিরাআত শুরু করতেন। তিনি রুকুর সময় স্বীয় মাথা উচুঁ করেও রাখতেন না এবং নীচু করেও রাখতেন না, বরং পিঠের সমান্তরাল করে রাখতেন। অতঃপর তিনি রুকূ হতে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর আগে সিজদায় যেতেন না এবং এক সিজদা করার পর সোজা হয়ে বসার পূর্বে দ্বিতীয় সিজদা করতেন না। তিনি প্রত্যেক দুই রাকআত নামায আদায়ের পর তাশাহ্‌হুদ, পাঠ করতেন। অতঃপর তিনি যখন বসতেন, তখন বাম পা বিছিয়ে দিতেন এবং ডান পা খাড়া করে রাখতেন। তিনি শয়তানের মত উপবেশন করা তথা উভয় গোড়ালীর উপর পাছা রেখে বসতে নিষেধ করতেন এবং চতুষ্পদ জন্তুর ন্যায় (অর্থাৎ দুই হাত মাটির সাথে বিছিয়ে দিয়ে) সিজদা করতে নিষেধ করতেন। অতঃপর তিনি আস-সালামু আলাইকুম বলে নামায শেষ করতেন।
كتاب الصلاة
باب مَنْ لَمْ يَرَ الْجَهْرَ بِـ { بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ }
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ حُسَيْنٍ الْمُعَلِّمِ، عَنْ بُدَيْلِ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ أَبِي الْجَوْزَاءِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَفْتَتِحُ الصَّلاَةَ بِالتَّكْبِيرِ وَالْقِرَاءَةَ بِـ ( الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ) وَكَانَ إِذَا رَكَعَ لَمْ يُشْخِصْ رَأْسَهُ وَلَمْ يُصَوِّبْهُ وَلَكِنْ بَيْنَ ذَلِكَ وَكَانَ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ لَمْ يَسْجُدْ حَتَّى يَسْتَوِيَ قَائِمًا وَكَانَ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ السُّجُودِ لَمْ يَسْجُدْ حَتَّى يَسْتَوِيَ قَاعِدًا وَكَانَ يَقُولُ فِي كُلِّ رَكْعَتَيْنِ " التَّحِيَّاتُ " . وَكَانَ إِذَا جَلَسَ يَفْرِشُ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَيَنْصِبُ رِجْلَهُ الْيُمْنَى وَكَانَ يَنْهَى عَنْ عَقِبِ الشَّيْطَانِ وَعَنْ فِرْشَةِ السَّبُعِ وَكَانَ يَخْتِمُ الصَّلاَةَ بِالتَّسْلِيمِ .
হাদীস নং: ৭৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ৭৮৪
নামাযের অধ্যায়
১৩০. উচ্চস্বরে বিসমিল্লাহ না বলার বিবরণ।
৭৮৪. হান্নাদ ইবনুস সারী ..... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেনঃ এখনই আমার উপর একটি সূরা নাযিল হয়েছে। অতঃপর তিনি পাঠ করেনঃ বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম, ইন্না আ’তায়না কাল কাউসার ......... তিনি সূরাটির শেষ পর্যন্ত তিলাওয়াত করেন। অতঃপর তিনি বলেন, তোমরা কি জান কাউসার কি? তারা বলেন, আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল এ ব্যাপারে সর্বাধিক অবগত। তিনি বলেনঃ এটি একটি নহর, যা আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন জান্নাতের মধ্যে আমাকে দান করবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন।
كتاب الصلاة
باب مَنْ لَمْ يَرَ الْجَهْرَ بِـ { بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ }
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، عَنِ الْمُخْتَارِ بْنِ فُلْفُلٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أُنْزِلَتْ عَلَىَّ آنِفًا سُورَةٌ " . فَقَرَأَ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ( إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ ) حَتَّى خَتَمَهَا . قَالَ " هَلْ تَدْرُونَ مَا الْكَوْثَرُ " . قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ " فَإِنَّهُ نَهْرٌ وَعَدَنِيهِ رَبِّي فِي الْجَنَّةِ " .
হাদীস নং: ৭৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ৭৮৫
নামাযের অধ্যায়
১৩০. উচ্চস্বরে বিসমিল্লাহ না বলার বিবরণ।
৭৮৫. কুতন ইবনে নুসায়র ..... আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি ইফক (মিথ্যা অপবাদ)-এর ঘটনা উল্লেখ পূর্বক বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বসা ছিলেন। তিনি মুখ খোলেন এবং বলেনঃ আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম, ″ইন্নাল্লাযীনা জাউ বিল-ইফকে উসবাতুম মিনকুম” আয়াতের শেষ পর্যন্ত পাঠ করেন। অর্থাৎ “যারা মিথ্যা অপবাদ প্রচার করে বেড়াচ্ছে তারা তোমাদের মধ্যেরই লোক।”
كتاب الصلاة
باب مَنْ لَمْ يَرَ الْجَهْرَ بِـ { بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ }
حَدَّثَنَا قَطَنُ بْنُ نُسَيْرٍ، حَدَّثَنَا جَعْفَرٌ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ الأَعْرَجُ الْمَكِّيُّ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، وَذَكَرَ الإِفْكَ، قَالَتْ جَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَشَفَ عَنْ وَجْهِهِ وَقَالَ " أَعُوذُ بِالسَّمِيعِ الْعَلِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ ( إِنَّ الَّذِينَ جَاءُوا بِالإِفْكِ عُصْبَةٌ مِنْكُمْ ) " . الآيَةَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَذَا حَدِيثٌ مُنْكَرٌ قَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ جَمَاعَةٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ لَمْ يَذْكُرُوا هَذَا الْكَلاَمَ عَلَى هَذَا الشَّرْحِ وَأَخَافُ أَنْ يَكُونَ أَمْرُ الاِسْتِعَاذَةِ مِنْ كَلاَمِ حُمَيْدٍ .