কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
হাদীস নং: ৯৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ৯৬৮
 নামাযের অধ্যায়
১৮৮. তাশাহ্হুদের বর্ণনা।
৯৬৮.মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে নামাযে রত থাকা অবস্থায় তাশাহহুদের মধ্যে ‘ওয়া আলা ইবাদিহীস সালামু আলা ফুলান ওয়া ফুলান’ এর পূর্বে আসসালামু আলাল্লাহ’ বলতাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ তোমরা আসসালামু আলাল্লাহ’ বল না; কেননা আল্লাহ তাআলা নিজেই ‘সালাম’ বা শান্তি বর্ষণকারী। আর তোমরা যখন তাশাহহুদের সময় বসবে তখন অবশ্যই পড়বে ‘আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস-সালাওয়াতু ওয়াত্ তায়্যেবাতু আস্-সালামু আলাইকা আয়্যুহান-নবীয়্যু ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকআতুহু, আল-সালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস সালেহীন’’। তোমরা যখন এটা পাঠ করবে তখন এর সাওয়াব আসমান-যমীন এবং এতদুভয়ের মধ্যবর্তী স্থানে যে সমস্ত নেক বান্দা রয়েছেন তাদের উপর পৌঁছাবে। অতঃপর তিনি ‘আশহাদু আন-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু’’ পাঠ করতে বলেন। অতঃপর তোমরা নিজেদের পছন্দনীয় উত্তম দুআ বেছে নিয়ে তা পাঠ করবে।
كتاب الصلاة
باب التَّشَهُّدِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى، عَنْ سُلَيْمَانَ الأَعْمَشِ، حَدَّثَنِي شَقِيقُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ كُنَّا إِذَا جَلَسْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الصَّلاَةِ قُلْنَا السَّلاَمُ عَلَى اللَّهِ قَبْلَ عِبَادِهِ السَّلاَمُ عَلَى فُلاَنٍ وَفُلاَنٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم  " لاَ تَقُولُوا السَّلاَمُ عَلَى اللَّهِ فَإِنَّ اللَّهَ هُوَ السَّلاَمُ وَلَكِنْ إِذَا جَلَسَ أَحَدُكُمْ فَلْيَقُلِ التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ فَإِنَّكُمْ إِذَا قُلْتُمْ ذَلِكَ أَصَابَ كُلَّ عَبْدٍ صَالِحٍ فِي السَّمَاءِ وَالأَرْضِ - أَوْ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ - أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ ثُمَّ لْيَتَخَيَّرْ أَحَدُكُمْ مِنَ الدُّعَاءِ أَعْجَبَهُ إِلَيْهِ فَيَدْعُو بِهِ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৯৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ৯৬৯
 নামাযের অধ্যায়
১৮৮. তাশাহ্হুদের বর্ণনা।
৯৬৯.তামীম ইবনুল মুনতাসির (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ তাশাহহুদের মধ্যে কি পাঠ করতে হবে তা আমরা জানতাম না। এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জানতেন। অতঃপর রাবী পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন।
রাবী শারীক (রাহঃ) বলেনঃ জামে ......... আবু ওয়ায়েল হতে, তিনি আব্দুল্লাহ হতে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। রাবী আরো বলেনঃ তিনি আমাদের নিম্নোক্ত বাক্যগুলি শিখাতেন, কিন্তু তাশাহহুদের মত (জরুরী হিসাবে) নয়। যথাঃ ‘আল্লাহুম্মা আল্লেফ বায়না কুলূবেনা ওয়া আসলেহ যাতা বায়নানা ওয়াহদিনা সুবুলাস্ সালাম ওয়া নাজ্জেনা মিনায যুলুমাতে ইলান-নূর ওয়া জাননেবনাল ফাওয়াহিশা মা যাহারা মিনহা ওয়ামা বাতানা ওয়া বারেক লানা ফী আসমাইনা ওয়া আবসারেনা ওয়া কুলূবেনা ওয়া আযওয়াজেনা ওয়া যুররিয়াতেনা ওয়াতুব্ আলায়না ইন্নাকা আন্তাত্ তাওয়াবুর রাহীম, ওয়াজ্আলনা শাকেরীনা লে-নিমাতিকা মুছনীনা বিহা কাবলীহা, ওয়া আতেমমিহা আলায়না।
রাবী শারীক (রাহঃ) বলেনঃ জামে ......... আবু ওয়ায়েল হতে, তিনি আব্দুল্লাহ হতে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। রাবী আরো বলেনঃ তিনি আমাদের নিম্নোক্ত বাক্যগুলি শিখাতেন, কিন্তু তাশাহহুদের মত (জরুরী হিসাবে) নয়। যথাঃ ‘আল্লাহুম্মা আল্লেফ বায়না কুলূবেনা ওয়া আসলেহ যাতা বায়নানা ওয়াহদিনা সুবুলাস্ সালাম ওয়া নাজ্জেনা মিনায যুলুমাতে ইলান-নূর ওয়া জাননেবনাল ফাওয়াহিশা মা যাহারা মিনহা ওয়ামা বাতানা ওয়া বারেক লানা ফী আসমাইনা ওয়া আবসারেনা ওয়া কুলূবেনা ওয়া আযওয়াজেনা ওয়া যুররিয়াতেনা ওয়াতুব্ আলায়না ইন্নাকা আন্তাত্ তাওয়াবুর রাহীম, ওয়াজ্আলনা শাকেরীনা লে-নিমাতিকা মুছনীনা বিহা কাবলীহা, ওয়া আতেমমিহা আলায়না।
كتاب الصلاة
باب التَّشَهُّدِ
حَدَّثَنَا تَمِيمُ بْنُ الْمُنْتَصِرِ، أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ، - يَعْنِي ابْنَ يُوسُفَ - عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا لاَ نَدْرِي مَا نَقُولُ إِذَا جَلَسْنَا فِي الصَّلاَةِ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ عَلِمَ فَذَكَرَ نَحْوَهُ .
قَالَ شَرِيكٌ وَحَدَّثَنَا جَامِعٌ، - يَعْنِي ابْنَ شَدَّادٍ - عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، بِمِثْلِهِ قَالَ وَكَانَ يُعَلِّمُنَا كَلِمَاتٍ وَلَمْ يَكُنْ يُعَلِّمُنَاهُنَّ كَمَا يُعَلِّمُنَا التَّشَهُّدَ " اللَّهُمَّ أَلِّفْ بَيْنَ قُلُوبِنَا وَأَصْلِحْ ذَاتَ بَيْنِنَا وَاهْدِنَا سُبُلَ السَّلاَمِ وَنَجِّنَا مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ وَجَنِّبْنَا الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ وَبَارِكْ لَنَا فِي أَسْمَاعِنَا وَأَبْصَارِنَا وَقُلُوبِنَا وَأَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا وَتُبْ عَلَيْنَا إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ وَاجْعَلْنَا شَاكِرِينَ لِنِعْمَتِكَ مُثْنِينَ بِهَا قَابِلِيهَا وَأَتِمَّهَا عَلَيْنَا " .
قَالَ شَرِيكٌ وَحَدَّثَنَا جَامِعٌ، - يَعْنِي ابْنَ شَدَّادٍ - عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، بِمِثْلِهِ قَالَ وَكَانَ يُعَلِّمُنَا كَلِمَاتٍ وَلَمْ يَكُنْ يُعَلِّمُنَاهُنَّ كَمَا يُعَلِّمُنَا التَّشَهُّدَ " اللَّهُمَّ أَلِّفْ بَيْنَ قُلُوبِنَا وَأَصْلِحْ ذَاتَ بَيْنِنَا وَاهْدِنَا سُبُلَ السَّلاَمِ وَنَجِّنَا مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ وَجَنِّبْنَا الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ وَبَارِكْ لَنَا فِي أَسْمَاعِنَا وَأَبْصَارِنَا وَقُلُوبِنَا وَأَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا وَتُبْ عَلَيْنَا إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ وَاجْعَلْنَا شَاكِرِينَ لِنِعْمَتِكَ مُثْنِينَ بِهَا قَابِلِيهَا وَأَتِمَّهَا عَلَيْنَا " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৯৭০
আন্তর্জাতিক নং: ৯৭০
 নামাযের অধ্যায়
১৮৮. তাশাহ্হুদের বর্ণনা।
৯৭০. আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ নুফায়েলী, যুহায়ের, তিনি হাসান ইবনুল হুর, তিনি কাসিম ইবনে্ মুখায়মারা হতে এই হাদীসটি বর্ণনা করছেন। তিনি বলেন, একদা আলকামা (রাহঃ) আমার হস্ত ধারণ করে বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) একদা আমার হাত ধরে বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে (আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ) নামাযের মধ্যে তাশাহুহুদ পাঠের পদ্ধতি শিক্ষা দেন। অতঃপর তিনি আ’মাশের উপরোক্ত হাদীসের মধ্যে উল্লিখিত দুআটি শিক্ষা দেন।
অতঃপর তিনি বলেনঃ যখন তুমি এই দুআ (দুআ মাছুরা) পাঠ করবে, তখন তোমার নামায সমাপ্ত হবে। এ সময় তুমি ইচ্ছা করলে যাওয়ার জন্য দণ্ডায়মান হতে পার বা বসেও থাকতে পার।
অতঃপর তিনি বলেনঃ যখন তুমি এই দুআ (দুআ মাছুরা) পাঠ করবে, তখন তোমার নামায সমাপ্ত হবে। এ সময় তুমি ইচ্ছা করলে যাওয়ার জন্য দণ্ডায়মান হতে পার বা বসেও থাকতে পার।
كتاب الصلاة
باب التَّشَهُّدِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الْحُرِّ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُخَيْمِرَةَ، قَالَ أَخَذَ عَلْقَمَةُ بِيَدِي فَحَدَّثَنِي أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ أَخَذَ بِيَدِهِ وَأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخَذَ بِيَدِ عَبْدِ اللَّهِ فَعَلَّمَهُ التَّشَهُّدَ فِي الصَّلاَةِ فَذَكَرَ مِثْلَ دُعَاءِ حَدِيثِ الأَعْمَشِ  " إِذَا قُلْتَ هَذَا أَوْ قَضَيْتَ هَذَا فَقَدْ قَضَيْتَ صَلاَتَكَ إِنْ شِئْتَ أَنْ تَقُومَ فَقُمْ وَإِنْ شِئْتَ أَنْ تَقْعُدَ فَاقْعُدْ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৯৭১
আন্তর্জাতিক নং: ৯৭১
 নামাযের অধ্যায়
১৮৮. তাশাহ্হুদের বর্ণনা।
৯৭১. নসর ইবনে আলী (রাহঃ) .... ইবনে উমর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে তাশাহহুদ সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন। (তিনি বলেনঃ) তাশাহহুদের মধ্যে এই দুআ পাঠ করতে হবে। যথা ‘আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহে ওয়াসসালাওয়াতু ওয়াত তাইয়্যেবাতু আসসালামু আলাইকা আয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকআতুহু’’। রাবী মুজাহিদ বলেন, ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেনঃ এর মধ্যে ‘ওয়া বারাকআতুহু’ আমি যোগ করেছি। আসসালামু আলায়না ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস্ সালেহীন আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’’ বাক্য অতিরিক্ত পাঠ করিতাম।
ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন, আমি এতে অতিরিক্ত বলতামঃ ওয়াহদাহু লা শারীকালাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়ারাসূলুহু।’’
ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন, আমি এতে অতিরিক্ত বলতামঃ ওয়াহদাহু লা শারীকালাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়ারাসূলুহু।’’
كتاب الصلاة
باب التَّشَهُّدِ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، سَمِعْتُ مُجَاهِدًا، يُحَدِّثُ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي التَّشَهُّدِ " التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ الصَّلَوَاتُ الطَّيِّبَاتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ " . قَالَ قَالَ ابْنُ عُمَرَ زِدْتُ فِيهَا وَبَرَكَاتُهُ . " السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ " . قَالَ ابْنُ عُمَرَ زِدْتُ فِيهَا وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ . " وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৯৭২
আন্তর্জাতিক নং: ৯৭২
 নামাযের অধ্যায়
১৮৮. তাশাহ্হুদের বর্ণনা।
৯৭২. আমর ইবনে আওন (রাহঃ) .... হিত্তান ইবনে আব্দুল্লাহ আর-রুকাশী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আবু মুসা আল্-আশআরী (রাযিঃ) আমাদের সাথে জামাআতে নামায আদায়ের পর যখন সর্বশেষ বৈঠকে বসেন, তখন এক ব্যক্তি বলেঃ কল্যাণ ও পবিত্রতার মধ্যে নামায সুস্থির হয়েছে। আবু মুসা (রাযিঃ) নামায শেষে লোকদের প্রতি লক্ষ্য করে বলেনঃ তোমাদের মধ্যেকার কোন ব্যক্তি এরূপ কথা বলেছে? রাবী বলেনঃ সমবেত সকলে নিশ্চুপ থাকে। পুনরায় তিনি একই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলে সকলে একইরূপে চুপ থাকে। তখন তিনি বলেনঃ হে হিত্তান! সম্ভবত তুমিই এরূপ বলেছ। জবাবে তিনি বলেনঃ আমি তা বলি নাই। তবে আমি ভয় করেছিলাম যে, এ ব্যাপারে হয়ত আমাকেই দোষারোপ করা হবে।
রাবী হিত্তান বলেনঃ এমন সময় কওমের মধ্যেকার এক ব্যক্তি বলল, আমিই তা বলেছি। তবে আমি এরূপ বলার দ্বারা ভালো কিছুর আশা করেছিলাম। তখন আবু মুসা (রাযিঃ) বলেনঃ তোমরা কি অবগত নও তোমরা নামাযের মধ্যে কি বলবে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ সম্পর্কে আমাদের খুতবার মধ্যে শিক্ষা দিয়েছিল এবং নিয়ম কানুন ও নামায সম্পর্কে বিশেষরূপে জ্ঞাত করিয়েছেন। অতঃপর তিনি বলেনঃ যখন তোমরা নামায আদায়ের ইরাদা করবে, তখন সোজাভাবে কাতারবদ্ধ হয়ে দাঁড়াবে এবং তোমাদের মধ্যেকার একজন ইমামতি করবে। ইমাম যখন আল্লাহু আকবার বলবেন তখন তোমরাও তা বলবে এবং যখন ইমাম ‘‘গায়রিল মাগদূবি আলায়হিম ওলাদদাল্লীন পড়বেন তখন তোমরা ‘আমীন’’ বলবে। (এর ফলশ্রুতিতে) আল্লাহ পাক তোমাদের দুআ কবুল করবেন। অতঃপর ইমাম যখন আল্লাহু আকবার বলে রুকু করবেন, তখন তোমরাও আল্লাহু আকবার বলে রুকুতে যাবে। কেননা ইমাম তোমাদের পূর্বেই রুকুতে গমন করবেন এবং উঠবেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, এটা ওর পরিবর্তে (অর্থাৎ ইমাম রুকুতে আগে যাওয়ার আগে উঠবেন)।
অতঃপর ইমাম যখন ‘‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ’’ বলবেন, তখন তোমরা বলবেঃ ‘আল্লাহুম্মা রবানা লাকাল হামদ।’’ আল্লাহ তোমাদের ওটা কবুল করবেন। কেননা আল্লাহ জাল্লা জালালুহু তাঁর নবীর যবানিতে ‘‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদা’ বলিয়েছেন। অতঃপর ইমাম যখন আল্লাহু আকবার বলে সিজদা করবেন, তখন তোমরাও তা বলে সিজদা করবে এবং যেহেতু ইমাম তোমাদের পূর্বে সিজদায় গমন করবেন, সেহেতু তিনি তোমাদের পূর্বেই উঠবেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ এটা ওটার পরিবর্তে। অতঃপর তোমরা যখন বৈঠকে বসবে, তখন তোমরা বলবেঃ ‘আত্তাহিয়্যাতু ওয়াততায়্যেবাতু ওয়াস্-সালাতু লিল্লাহি আস্-সালামু আলাইকা আয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়া রহমাতুল্লাহে ওয়া বারাকআতুহু আস্-সালামু আলায়না ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস সালেহীন। আশহাদু আন্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু।’’
রাবী আহমদের বর্ণনায় ‘‘ওয়া বারাকআতুহু’’ ও ‘আশহাদু’’ শব্দ দুইটির উল্লেখ নাই বরং ‘‘ওয়া আন্না মুহাম্মাদান’’ এর উল্লেখ আছে।
রাবী হিত্তান বলেনঃ এমন সময় কওমের মধ্যেকার এক ব্যক্তি বলল, আমিই তা বলেছি। তবে আমি এরূপ বলার দ্বারা ভালো কিছুর আশা করেছিলাম। তখন আবু মুসা (রাযিঃ) বলেনঃ তোমরা কি অবগত নও তোমরা নামাযের মধ্যে কি বলবে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ সম্পর্কে আমাদের খুতবার মধ্যে শিক্ষা দিয়েছিল এবং নিয়ম কানুন ও নামায সম্পর্কে বিশেষরূপে জ্ঞাত করিয়েছেন। অতঃপর তিনি বলেনঃ যখন তোমরা নামায আদায়ের ইরাদা করবে, তখন সোজাভাবে কাতারবদ্ধ হয়ে দাঁড়াবে এবং তোমাদের মধ্যেকার একজন ইমামতি করবে। ইমাম যখন আল্লাহু আকবার বলবেন তখন তোমরাও তা বলবে এবং যখন ইমাম ‘‘গায়রিল মাগদূবি আলায়হিম ওলাদদাল্লীন পড়বেন তখন তোমরা ‘আমীন’’ বলবে। (এর ফলশ্রুতিতে) আল্লাহ পাক তোমাদের দুআ কবুল করবেন। অতঃপর ইমাম যখন আল্লাহু আকবার বলে রুকু করবেন, তখন তোমরাও আল্লাহু আকবার বলে রুকুতে যাবে। কেননা ইমাম তোমাদের পূর্বেই রুকুতে গমন করবেন এবং উঠবেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, এটা ওর পরিবর্তে (অর্থাৎ ইমাম রুকুতে আগে যাওয়ার আগে উঠবেন)।
অতঃপর ইমাম যখন ‘‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ’’ বলবেন, তখন তোমরা বলবেঃ ‘আল্লাহুম্মা রবানা লাকাল হামদ।’’ আল্লাহ তোমাদের ওটা কবুল করবেন। কেননা আল্লাহ জাল্লা জালালুহু তাঁর নবীর যবানিতে ‘‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদা’ বলিয়েছেন। অতঃপর ইমাম যখন আল্লাহু আকবার বলে সিজদা করবেন, তখন তোমরাও তা বলে সিজদা করবে এবং যেহেতু ইমাম তোমাদের পূর্বে সিজদায় গমন করবেন, সেহেতু তিনি তোমাদের পূর্বেই উঠবেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ এটা ওটার পরিবর্তে। অতঃপর তোমরা যখন বৈঠকে বসবে, তখন তোমরা বলবেঃ ‘আত্তাহিয়্যাতু ওয়াততায়্যেবাতু ওয়াস্-সালাতু লিল্লাহি আস্-সালামু আলাইকা আয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়া রহমাতুল্লাহে ওয়া বারাকআতুহু আস্-সালামু আলায়না ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস সালেহীন। আশহাদু আন্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু।’’
রাবী আহমদের বর্ণনায় ‘‘ওয়া বারাকআতুহু’’ ও ‘আশহাদু’’ শব্দ দুইটির উল্লেখ নাই বরং ‘‘ওয়া আন্না মুহাম্মাদান’’ এর উল্লেখ আছে।
كتاب الصلاة
باب التَّشَهُّدِ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ يُونُسَ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ حِطَّانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيِّ، قَالَ صَلَّى بِنَا أَبُو مُوسَى الأَشْعَرِيُّ فَلَمَّا جَلَسَ فِي آخِرِ صَلاَتِهِ قَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ أُقِرَّتِ الصَّلاَةُ بِالْبِرِّ وَالزَّكَاةِ . فَلَمَّا انْفَتَلَ أَبُو مُوسَى أَقْبَلَ عَلَى الْقَوْمِ فَقَالَ أَيُّكُمُ الْقَائِلُ كَلِمَةَ كَذَا وَكَذَا فَأَرَمَّ الْقَوْمُ فَقَالَ أَيُّكُمُ الْقَائِلُ كَلِمَةَ كَذَا وَكَذَا فَأَرَمَّ الْقَوْمُ قَالَ فَلَعَلَّكَ يَا حِطَّانُ أَنْتَ قُلْتَهَا . قَالَ مَا قُلْتُهَا وَلَقَدْ رَهِبْتُ أَنْ تَبْكَعَنِي بِهَا . قَالَ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ أَنَا قُلْتُهَا وَمَا أَرَدْتُ بِهَا إِلاَّ الْخَيْرَ . فَقَالَ أَبُو مُوسَى أَمَا تَعْلَمُونَ كَيْفَ تَقُولُونَ فِي صَلاَتِكُمْ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَطَبَنَا فَعَلَّمَنَا وَبَيَّنَ لَنَا سُنَّتَنَا وَعَلَّمَنَا صَلاَتَنَا فَقَالَ " إِذَا صَلَّيْتُمْ فَأَقِيمُوا صُفُوفَكُمْ ثُمَّ لْيَؤُمَّكُمْ أَحَدُكُمْ فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَإِذَا قَرَأَ ( غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ ) فَقُولُوا آمِينَ يُجِبْكُمُ اللَّهُ وَإِذَا كَبَّرَ وَرَكَعَ فَكَبِّرُوا وَارْكَعُوا فَإِنَّ الإِمَامَ يَرْكَعُ قَبْلَكُمْ وَيَرْفَعُ قَبْلَكُمْ " . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " فَتِلْكَ بِتِلْكَ وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقُولُوا اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ يَسْمَعِ اللَّهُ لَكُمْ فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَالَ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِ صلى الله عليه وسلم سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ وَإِذَا كَبَّرَ وَسَجَدَ فَكَبِّرُوا وَاسْجُدُوا فَإِنَّ الإِمَامَ يَسْجُدُ قَبْلَكُمْ وَيَرْفَعُ قَبْلَكُمْ " . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " فَتِلْكَ بِتِلْكَ فَإِذَا كَانَ عِنْدَ الْقَعْدَةِ فَلْيَكُنْ مِنْ أَوَّلِ قَوْلِ أَحَدِكُمْ أَنْ يَقُولَ التَّحِيَّاتُ الطَّيِّبَاتُ الصَّلَوَاتُ لِلَّهِ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ " . لَمْ يَقُلْ أَحْمَدُ " وَبَرَكَاتُهُ " . وَلاَ قَالَ " وَأَشْهَدُ " . قَالَ " وَأَنَّ مُحَمَّدًا " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৯৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ৯৭৩
 নামাযের অধ্যায়
১৮৮. তাশাহ্হুদের বর্ণনা।
৯৭৩. আসেম ইবনে ন নাদর (রাহঃ) ..... হিত্তান ইবনে আব্দুল্লাহ আর-রুকাশী (রহ) হতে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে এর মধ্যে অতিরিক্ত আছে যে, ইমাম যখন কিরাআত পাঠ করবেন, তখন তোমরা চুপ থাকবে।
রাবী বলেনঃ তাশাহহুদের মধ্যে ‘আশহহাদু আন্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’’ এর পর ‘‘ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু’’ অতিরিক্ত বর্ণিত হয়েছে।
রাবী বলেনঃ তাশাহহুদের মধ্যে ‘আশহহাদু আন্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’’ এর পর ‘‘ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু’’ অতিরিক্ত বর্ণিত হয়েছে।
كتاب الصلاة
باب التَّشَهُّدِ
حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ النَّضْرِ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَبِي غَلاَّبٍ، يُحَدِّثُهُ عَنْ حِطَّانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيِّ، بِهَذَا الْحَدِيثِ زَادَ " فَإِذَا قَرَأَ فَأَنْصِتُوا " . وَقَالَ فِي التَّشَهُّدِ بَعْدَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ زَادَ " وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَقَوْلُهُ " فَأَنْصِتُوا " . لَيْسَ بِمَحْفُوظٍ لَمْ يَجِئْ بِهِ إِلاَّ سُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ فِي هَذَا الْحَدِيثِ .
হাদীস নং: ৯৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ৯৭৪
 নামাযের অধ্যায়
১৮৮. তাশাহ্হুদের বর্ণনা।
৯৭৪. কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে কুরআনের মতই তাশাহহুদ শিক্ষা দিতেন এবং তিনি বলতেনঃ আত্তাহিয়্যাতু আল-মুবারাকআতু আস-সালাওয়াতু ওয়াত তাইয়্যেবাতু লিল্লাহি, আস-সালামু আলাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকআতুহু, আস-সালামু আলায়না ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস সালেহীন ওয়া আশহাদু আলা-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ।
كتاب الصلاة
باب التَّشَهُّدِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، وَطَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُعَلِّمُنَا التَّشَهُّدَ كَمَا يُعَلِّمُنَا الْقُرْآنَ وَكَانَ يَقُولُ  " التَّحِيَّاتُ الْمُبَارَكَاتُ الصَّلَوَاتُ الطَّيِّبَاتُ لِلَّهِ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৯৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ৯৭৫
 নামাযের অধ্যায়
১৮৮. তাশাহ্হুদের বর্ণনা।
৯৭৫. মুহাম্মাদ ইবনে দাউদ (রাহঃ) ...... সামুরা ইবনে জুনদুব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের এরূপ নির্দেশ দিয়েছেন যে, নামাযের মধ্যম অবস্থায় (অর্থাৎ দ্বিতীয় রাকআত শেষে) অথবা নামায সমাপ্তির পর (অর্থাৎ চতুর্থ রাকআত শেষে) সালাম ফিরাবার পূর্বে বলবেঃ আত্-তাহিয়্যাতু আত্-তাইয়্যেবাতু ওয়াস-সালাওয়াতু ওয়াল মুলক্ লিল্লাহ’’, অতঃপর ডান দিকে সালাম ফিরাবে, অতপর ইমামকে এবং নিজেদের সালাম দিবে।
كتاب الصلاة
باب التَّشَهُّدِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ دَاوُدَ بْنِ سُفْيَانَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ مُوسَى أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سَعْدِ بْنِ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، حَدَّثَنِي خُبَيْبُ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ سَمُرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، سُلَيْمَانَ بْنِ سَمُرَةَ عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، أَمَّا بَعْدُ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا كَانَ فِي وَسَطِ الصَّلاَةِ أَوْ حِينَ انْقِضَائِهَا فَابْدَءُوا قَبْلَ التَّسْلِيمِ فَقُولُوا  " التَّحِيَّاتُ الطَّيِّبَاتُ وَالصَّلَوَاتُ وَالْمُلْكُ لِلَّهِ ثُمَّ سَلِّمُوا عَلَى الْيَمِينِ ثُمَّ سَلِّمُوا عَلَى قَارِئِكُمْ وَعَلَى أَنْفُسِكُمْ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ سُلَيْمَانُ بْنُ مُوسَى كُوفِيُّ الأَصْلِ كَانَ بِدِمَشْقَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ دَلَّتْ هَذِهِ الصَّحِيفَةُ عَلَى أَنَّ الْحَسَنَ سَمِعَ مِنْ سَمُرَةَ .

তাহকীক:

