কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
হাদীস নং: ১২৫৫
আন্তর্জাতিক নং: ১২৫৫
 নামাযের অধ্যায়
২৯৭. ফজরের সুন্নত সংক্ষেপে পড়া সম্পর্কে।
১২৫৫. আহমাদ ইবনে আবু শুয়ায়ব (রাহঃ) ..... আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম (ﷺ) ফজরের ফরয নামাযের পূর্বের দুই রাকআত নামায এত সংক্ষেপ করতেন যে, আমি ধারণা করতাম, তিনি কি তাতে কেবলমাত্র সূরা ফাতিহা পাঠ করেছেন।
كتاب الصلاة
باب فِي تَخْفِيفِهِمَا
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي شُعَيْبٍ الْحَرَّانِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُخَفِّفُ الرَّكْعَتَيْنِ قَبْلَ صَلاَةِ الْفَجْرِ حَتَّى إِنِّي لأَقُولُ هَلْ قَرَأَ فِيهِمَا بِأُمِّ الْقُرْآنِ

তাহকীক:
হাদীস নং: ১২৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ১২৫৬
 নামাযের অধ্যায়
২৯৭. ফজরের সুন্নত সংক্ষেপে পড়া সম্পর্কে।
১২৫৬. ইয়াহিয়া ইবনে মাইন (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম (ﷺ) ফজরের দুই রাকআত সুন্নত নামাযে “সূরা কাফিরুন” ও “সূরা কুল হুআল্লাহু আহাদ” তিলাওয়াত করতেন।
كتاب الصلاة
باب فِي تَخْفِيفِهِمَا
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ كَيْسَانَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَرَأَ فِي رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ ( قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ ) وَ ( قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ) .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১২৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ১২৫৭
 নামাযের অধ্যায়
২৯৭. ফজরের সুন্নত সংক্ষেপে পড়া সম্পর্কে।
১২৫৭. আহমাদ ইবনে হাম্বল (রাহঃ) ..... বিলাল (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি নবী করীম (ﷺ) এর খিদমতে ফজরের নামাযের সময় সম্পর্কে জ্ঞাত করতে আসেন। এ সময় আয়িশা (রাযিঃ) বিলাল (রাযিঃ)-কে একটি প্রশ্ন করে ব্যাস্ত রাখা অবস্থায় আকাশ পরিষ্কার হয়ে যায়। অতঃপর বিলাল (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ)-কে পুনঃ দুইবার ফজরের নামাযের সময় সম্পর্কে অবহিত করেন, কিন্তু তিনি তখন বাইরে আসেন নাই। কিছুক্ষণ পরে তিনি বাইরে বের হয়ে এসে লোকদের নিয়ে নামায আদায় করেন। 
বিলাল (রাযিঃ) তাঁকে বলেন, (অদ্য নামাযে বিলম্ব হওয়ার কারণ এই যে) আয়িশা (রাযিঃ) তাঁকে একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে আটকে রাখেন এবং অপরপক্ষে নবী (ﷺ)-ও বের হতে বিলম্ব করেন। ফলে পূর্বাকাশ অধিক পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। মহানবী (ﷺ) বলেন, (আমার বিলম্বের কারণ এই যে) আমি তোমার আহবানের সময় ফজরের ফরয নামাযের পূর্বের দুই রাকআত নামায আদায়ে মশগুল ছিলাম। তিনি বলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনিও আজ অধিক বিলম্ব করেছেন। তিনি বলেনঃ আমি আজ যত দেরি করেছি এই চাইতে অধিক বিলম্ব হলেও দুই রাকআত অত্যন্ত সুন্দরভাবে আদায় করতাম।
বিলাল (রাযিঃ) তাঁকে বলেন, (অদ্য নামাযে বিলম্ব হওয়ার কারণ এই যে) আয়িশা (রাযিঃ) তাঁকে একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে আটকে রাখেন এবং অপরপক্ষে নবী (ﷺ)-ও বের হতে বিলম্ব করেন। ফলে পূর্বাকাশ অধিক পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। মহানবী (ﷺ) বলেন, (আমার বিলম্বের কারণ এই যে) আমি তোমার আহবানের সময় ফজরের ফরয নামাযের পূর্বের দুই রাকআত নামায আদায়ে মশগুল ছিলাম। তিনি বলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনিও আজ অধিক বিলম্ব করেছেন। তিনি বলেনঃ আমি আজ যত দেরি করেছি এই চাইতে অধিক বিলম্ব হলেও দুই রাকআত অত্যন্ত সুন্দরভাবে আদায় করতাম।
كتاب الصلاة
باب فِي تَخْفِيفِهِمَا
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنِي أَبُو زِيَادَةَ، عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ الْكِنْدِيُّ عَنْ بِلاَلٍ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّهُ، أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِيُؤْذِنَهُ بِصَلاَةِ الْغَدَاةِ فَشَغَلَتْ عَائِشَةُ - رضى الله عنها - بِلاَلاً بِأَمْرٍ سَأَلَتْهُ عَنْهُ حَتَّى فَضَحَهُ الصُّبْحُ فَأَصْبَحَ جِدًّا قَالَ فَقَامَ بِلاَلٌ فَآذَنَهُ بِالصَّلاَةِ وَتَابَعَ أَذَانَهُ فَلَمْ يَخْرُجْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا خَرَجَ صَلَّى بِالنَّاسِ وَأَخْبَرَهُ أَنَّ عَائِشَةَ شَغَلَتْهُ بِأَمْرٍ سَأَلَتْهُ عَنْهُ حَتَّى أَصْبَحَ جِدًّا وَأَنَّهُ أَبْطَأَ عَلَيْهِ بِالْخُرُوجِ فَقَالَ " إِنِّي كُنْتُ رَكَعْتُ رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ " . فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّكَ أَصْبَحْتَ جِدًّا . قَالَ " لَوْ أَصْبَحْتُ أَكْثَرَ مِمَّا أَصْبَحْتُ لَرَكَعْتُهُمَا وَأَحْسَنْتُهُمَا وَأَجْمَلْتُهُمَا " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১২৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ১২৫৮
 নামাযের অধ্যায়
২৯৭. ফজরের সুন্নত সংক্ষেপে পড়া সম্পর্কে।
১২৫৮. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেনঃ তোমরা কোন সময় ঐ দুই রাকআত নামায (ফজরের সুন্নত) ত্যাগ করবেনা, ঘোড়ায় তোমাদের পিষে ফেললেও।
كتاب الصلاة
باب فِي تَخْفِيفِهِمَا
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ إِسْحَاقَ الْمَدَنِيَّ - عَنِ ابْنِ زَيْدٍ، عَنِ ابْنِ سِيْلاَنَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم  " لاَ تَدَعُوهُمَا وَإِنْ طَرَدَتْكُمُ الْخَيْلُ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১২৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ১২৫৯
 নামাযের অধ্যায়
২৯৭. ফজরের সুন্নত সংক্ষেপে পড়া সম্পর্কে।
১২৫৯. আহমাদ ইবনে ইউনুস (রাহঃ) ...... আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অধিকাংশ সময় ফজরের দুই রাকআত নামাযের (সুন্নত) প্রথম রাকআতে “আমান্না বিল্লাহি ওয়ামা উনযিলা ইলাইনা” এবং দ্বিতীয় রাকআতে “আমান্না বিল্লাহি ওয়াশহাদ বিয়ান্না মুসলিমুন” এই আয়াতদ্বয় পাঠ করতেন।
كتاب الصلاة
باب فِي تَخْفِيفِهِمَا
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ حَكِيمٍ، أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ يَسَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ كَثِيرًا، مِمَّا كَانَ يَقْرَأُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ بِـ ( آمَنَّا بِاللَّهِ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْنَا ) هَذِهِ الآيَةَ قَالَ هَذِهِ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى وَفِي الرَّكْعَةِ الآخِرَةِ بِـ ( آمَنَّا بِاللَّهِ وَاشْهَدْ بِأَنَّا مُسْلِمُونَ ) .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১২৬০
আন্তর্জাতিক নং: ১২৬০
 নামাযের অধ্যায়
২৯৭. ফজরের সুন্নত সংক্ষেপে পড়া সম্পর্কে।
১২৬০. মুহাম্মাদ ইবনুস সাব্বাহ (রাহঃ) ...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী করীম (ﷺ) ফজরের দুই রাকআত (সুন্নত) নামাযের প্রথম রাকআতে “কুল আমান্না বিল্লাহি ওয়ামা উনযিলা ইলাইনা” এবং দ্বিতীয় রাকআতে “রাব্বানা আমান্না বিমা আনযালতা ওয়াত্তাবানার রাসুলা ফাকতুবনা মাআশশাহিদীন” অথবা “ইন্না আরসালনাকা বিল হাক্কি বাশীরাও ওয়া নাযিরা ওয়ালা তুসয়ালু আন আসহাবিল জাহিম” তিলাওয়াত করতে শুনেছি।
كتاب الصلاة
باب فِي تَخْفِيفِهِمَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ بْنِ سُفْيَانَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عُمَرَ، - يَعْنِي ابْنَ مُوسَى - عَنْ أَبِي الْغَيْثِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ فِي رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ ( قُلْ آمَنَّا بِاللَّهِ وَمَا أُنْزِلَ عَلَيْنَا ) فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى وَفِي الرَّكْعَةِ الأُخْرَى بِهَذِهِ الآيَةِ ( رَبَّنَا آمَنَّا بِمَا أَنْزَلْتَ وَاتَّبَعْنَا الرَّسُولَ فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ ) أَوْ ( إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ بِالْحَقِّ بَشِيرًا وَنَذِيرًا وَلاَ تُسْأَلُ عَنْ أَصْحَابِ الْجَحِيمِ ) شَكَّ الدَّرَاوَرْدِيُّ .

তাহকীক: