কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭ টি
হাদীস নং: ১২৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ১২৭৪
 নামাযের অধ্যায়
৩০৪. সূর্য উপরে থাকতেই তা আদায়ের অনুমতি সম্পর্কে।
১২৭৪. মুসলিম ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) .... আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আসরের পর (নফল) নামায পড়তে নিষেধ করেছেন; তবে যদি সূর্য উপরে থাকে।
كتاب الصلاة
باب مَنْ رَخَّصَ فِيهِمَا إِذَا كَانَتِ الشَّمْسُ مُرْتَفِعَةً
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ، عَنْ وَهْبِ بْنِ الأَجْدَعِ، عَنْ عَلِيٍّ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْعَصْرِ إِلاَّ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১২৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ১২৭৫
 নামাযের অধ্যায়
৩০৪. সূর্য উপরে থাকতেই তা আদায়ের অনুমতি সম্পর্কে।
১২৭৫. মুহাম্মাদ ইবনে কাছীর (রাহঃ) .... আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সালল্লালল্লাহু আলাইহি ওয়াসালল্লাম প্রত্যেক ফরয নামায আদায়ের পর দুই রাকআত নামায আদায় করতেন। তবে তিনি ফজর ও আসরের ফরয নামাযের কোন নামায পড়তেন না।
كتاب الصلاة
باب مَنْ رَخَّصَ فِيهِمَا إِذَا كَانَتِ الشَّمْسُ مُرْتَفِعَةً
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي فِي إِثْرِ كُلِّ صَلاَةٍ مَكْتُوبَةٍ رَكْعَتَيْنِ إِلاَّ الْفَجْرَ وَالْعَصْرَ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১২৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ১২৭৬
 নামাযের অধ্যায়
৩০৪. সূর্য উপরে থাকতেই তা আদায়ের অনুমতি সম্পর্কে।
১২৭৬. মুসলিম ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, কতিপয় নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি যাদের মধ্যে উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-ও ছিলেন এবং তিনিই আমার নিকট অধিক প্রিয় ছিলেন, বলেন, নবী করীম (ﷺ) ইরশাদ করেছেনঃ ফজরের নামাযের পর সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত কোন নামায নাই। একইরূপে আসরের ফরয নামাযের পর সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোন নামায নাই।
كتاب الصلاة
باب مَنْ رَخَّصَ فِيهِمَا إِذَا كَانَتِ الشَّمْسُ مُرْتَفِعَةً
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ شَهِدَ عِنْدِي رِجَالٌ مَرْضِيُّونَ فِيهِمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَأَرْضَاهُمْ عِنْدِي عُمَرُ أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ  " لاَ صَلاَةَ بَعْدَ صَلاَةِ الصُّبْحِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ وَلاَ صَلاَةَ بَعْدَ صَلاَةِ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১২৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ১২৭৭
 নামাযের অধ্যায়
৩০৪. সূর্য উপরে থাকতেই তা আদায়ের অনুমতি সম্পর্কে।
১২৭৭. আর-রবী ইবনে নাফে (রাহঃ) .... আমর ইবনে আনবাসা আস-সুলামী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! রাতের কোন অংশে আল্লাহ পাক দুআ অধিক কবুল করেন? তিনি বলেনঃ রাতের শেষাংশে। অতএব তখন তুমি তোমার ইচ্ছামত নামায আদায় করবে। কেননা ঐ সময়ের নামাযে বিশেষ ফিরিশতারা উপস্থিত হয়ে তা তাদের নিকট রক্ষিত আমলনামায় লিপিবদ্ধ করে নেয় এবং তারা ফজরের সূর্য উঠা পর্যন্ত উপস্থিত থাকে। অতঃপর তুমি সূর্য উঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করবে এবং এর পরিমাণ হল, এক বা দুই তীরের সমান। কেননা সূর্য শয়তানের দুই শিংয়ের মাঝখান দিয়ে উদিত হয় এবং ঐ সময় কাফিররা শয়তানের পূজা করে। অতঃপর তোমার ইচ্ছানুযায়ী নামায আদায় করবে। কেননা প্রত্যেক নামাযের সময়ই ফিরিশতারা দফতরসহ উপস্থিত হয়ে থাকে এবং ঠিক দ্বিপ্রহরের পূর্ব পর্যন্ত নামায আদায় করা যায়।
অতঃপর সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে না যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। কেননা এই সময় জাহান্নামের আগুন প্রবলভাবে উদ্দীপিত হতে থাকে এবং এর দরজাসমূহ উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। অতঃপর সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে যাওয়ার পর তুমি তোমার খুশীমত আসরের পূর্ব পর্যন্ত নামায আদায় করতে পার। কেননা প্রত্যেক নামাযের সময় ফেরেশাতার হাযির হয়ে থাকে। আসরের ফরয নামায আদায়ের পর হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোনরূপ নামায পড়া থেকে বিরত থাকবে। কেননা শয়তানের দুই শিংয়ের মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে সূর্য অস্তচলে যায় এবং কাফিররা ঐ সময় শয়তানের পূজা করে থাকে। অতঃপর রাবী দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করেন।
রাবী আব্বাস ইবনে সালিম (রাহঃ) বলেন, আবু সালামা (রাহঃ) ......... আবু উমামা (রাযিঃ) হতে আমার নিকট ঐরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে অনিচ্ছাকৃতভাবে যদি আমার বর্ণনায় কোন ভুলত্রুটি হয়ে থাকে সেজন্য আমি আল্লাহর নিকটে তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
অতঃপর সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে না যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। কেননা এই সময় জাহান্নামের আগুন প্রবলভাবে উদ্দীপিত হতে থাকে এবং এর দরজাসমূহ উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। অতঃপর সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে যাওয়ার পর তুমি তোমার খুশীমত আসরের পূর্ব পর্যন্ত নামায আদায় করতে পার। কেননা প্রত্যেক নামাযের সময় ফেরেশাতার হাযির হয়ে থাকে। আসরের ফরয নামায আদায়ের পর হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোনরূপ নামায পড়া থেকে বিরত থাকবে। কেননা শয়তানের দুই শিংয়ের মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে সূর্য অস্তচলে যায় এবং কাফিররা ঐ সময় শয়তানের পূজা করে থাকে। অতঃপর রাবী দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করেন।
রাবী আব্বাস ইবনে সালিম (রাহঃ) বলেন, আবু সালামা (রাহঃ) ......... আবু উমামা (রাযিঃ) হতে আমার নিকট ঐরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে অনিচ্ছাকৃতভাবে যদি আমার বর্ণনায় কোন ভুলত্রুটি হয়ে থাকে সেজন্য আমি আল্লাহর নিকটে তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
كتاب الصلاة
باب مَنْ رَخَّصَ فِيهِمَا إِذَا كَانَتِ الشَّمْسُ مُرْتَفِعَةً
حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُهَاجِرِ، عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ سَالِمٍ، عَنْ أَبِي سَلاَّمٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عَبَسَةَ السُّلَمِيِّ، أَنَّهُ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَىُّ اللَّيْلِ أَسْمَعُ قَالَ  " جَوْفُ اللَّيْلِ الآخِرُ فَصَلِّ مَا شِئْتَ فَإِنَّ الصَّلاَةَ مَشْهُودَةٌ مَكْتُوبَةٌ حَتَّى تُصَلِّيَ الصُّبْحَ ثُمَّ أَقْصِرْ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ فَتَرْتَفِعَ قِيْسَ رُمْحٍ أَوْ رُمْحَيْنِ فَإِنَّهَا تَطْلُعُ بَيْنَ قَرْنَىْ شَيْطَانٍ وَتُصَلِّي لَهَا الْكُفَّارُ ثُمَّ صَلِّ مَا شِئْتَ فَإِنَّ الصَّلاَةَ مَشْهُودَةٌ مَكْتُوبَةٌ حَتَّى يَعْدِلَ الرُّمْحُ ظِلَّهُ ثُمَّ أَقْصِرْ فَإِنَّ جَهَنَّمَ تُسْجَرُ وَتُفْتَحُ أَبْوَابُهَا فَإِذَا زَاغَتِ الشَّمْسُ فَصَلِّ مَا شِئْتَ فَإِنَّ الصَّلاَةَ مَشْهُودَةٌ حَتَّى تُصَلِّيَ الْعَصْرَ ثُمَّ أَقْصِرْ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ فَإِنَّهَا تَغْرُبُ بَيْنَ قَرْنَىْ شَيْطَانٍ وَيُصَلِّي لَهَا الْكُفَّارُ " . وَقَصَّ حَدِيثًا طَوِيلاً قَالَ الْعَبَّاسُ هَكَذَا حَدَّثَنِي أَبُو سَلاَّمٍ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ إِلاَّ أَنْ أُخْطِئَ شَيْئًا لاَ أُرِيدُهُ فَأَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ .
হাদীস নং: ১২৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ১২৭৮
 নামাযের অধ্যায়
৩০৪. সূর্য উপরে থাকতেই তা আদায়ের অনুমতি সম্পর্কে।
১২৭৮. মুসলিম ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ..... ইয়াসার (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা সুবহে সাদিকের পর ইবনে উমর (রাযিঃ) আমাকে নামায পড়তে দেখে বলেন, হে ইয়াসার! একদা আমরা এই নামায আদায়কালে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের নিকটবর্তী হয়ে বলেছিলেনঃ তোমরা এখন যারা উপস্থিত আছ, তারা আমার এই নির্দেশ অনুপস্থিত লোকদের নিকট পৌঁছায়ে দিও যে, সুবহে সাদিকের পর ফজরের ফরযের পূর্বে দুই রাকআত সুন্নত নামায ছাড়া আর কোন নামায পড়বে না।
كتاب الصلاة
باب مَنْ رَخَّصَ فِيهِمَا إِذَا كَانَتِ الشَّمْسُ مُرْتَفِعَةً
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا قُدَامَةُ بْنُ مُوسَى، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ حُصَيْنٍ، عَنْ أَبِي عَلْقَمَةَ، عَنْ يَسَارٍ، مَوْلَى ابْنِ عُمَرَ قَالَ رَآنِي ابْنُ عُمَرَ وَأَنَا أُصَلِّي، بَعْدَ طُلُوعِ الْفَجْرِ فَقَالَ يَا يَسَارُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ عَلَيْنَا وَنَحْنُ نُصَلِّي هَذِهِ الصَّلاَةَ فَقَالَ  " لِيُبَلِّغْ شَاهِدُكُمْ غَائِبَكُمْ لاَ تُصَلُّوا بَعْدَ الْفَجْرِ إِلاَّ سَجْدَتَيْنِ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১২৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ১২৭৯
 নামাযের অধ্যায়
৩০৪. সূর্য উপরে থাকতেই তা আদায়ের অনুমতি সম্পর্কে।
১২৭৯. হাফস ইবনে উমর (রাহঃ) ..... আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম (ﷺ) আসরের ফরয নামায আদায়ের পর সব সময়ই দুই রাকআত নামায পড়তেন। (সম্ভবতঃ তা তাঁর জন্য নির্দিষ্ট ছিল। কিন্তু তাঁর উম্মতের জন্য উপরোক্ত নিষেধ বাণী প্রযোজ্য)।
كتاب الصلاة
باب مَنْ رَخَّصَ فِيهِمَا إِذَا كَانَتِ الشَّمْسُ مُرْتَفِعَةً
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ، وَمَسْرُوقٍ، قَالاَ نَشْهَدُ عَلَى عَائِشَةَ - رضى الله عنها - أَنَّهَا قَالَتْ مَا مِنْ يَوْمٍ يَأْتِي عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ صَلَّى بَعْدَ الْعَصْرِ رَكْعَتَيْنِ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ১২৮০
আন্তর্জাতিক নং: ১২৮০
 নামাযের অধ্যায়
৩০৪. সূর্য উপরে থাকতেই তা আদায়ের অনুমতি সম্পর্কে।
১২৮০. উবাইদুল্লাহ (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আসরের ফরয নামায আদায়ের পর অন্য নফল নামাযও পড়তেন। তবে তিনি তাঁর উম্মতকে তা পড়তে নিষেধ করতেন এবং তিনি (কোন কোন সময়) একই সঙ্গে বহু দিন রোযা (সাওমে বিসাল) রাখতেন, কিন্তু তিনি উম্মতকে এভাবে রোযা রাখতে নিষেধ করতেন।
كتاب الصلاة
باب مَنْ رَخَّصَ فِيهِمَا إِذَا كَانَتِ الشَّمْسُ مُرْتَفِعَةً
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا عَمِّي، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ ذَكْوَانَ، مَوْلَى عَائِشَةَ أَنَّهَا حَدَّثَتْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي بَعْدَ الْعَصْرِ وَيَنْهَى عَنْهَا وَيُوَاصِلُ وَيَنْهَى عَنِ الْوِصَالِ .

তাহকীক:

