কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

كتاب السنن للإمام أبي داود

৫. হজ্ব আদায়ের নিয়মাবলীর বিবরণ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১২ টি

হাদীস নং: ১৯২৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৯২৭
হজ্ব আদায়ের নিয়মাবলীর বিবরণ
৬৩. মুয্দালিফায় নামায।
১৯২৫. আহমাদ ইবনে হাম্বল (রাহঃ) ......... ইমাম যুহরী (রাহঃ) হতে হাদীসের সনদে ও অর্থে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। ইবনে আবু জি‘ব ইমাম যুহরী (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, প্রতি নামাযের জন্য পৃথক ইকামত প্রদান করা হয়। অতঃপর নবী করীম (ﷺ) মাগরিব ও এশার নামায একত্রে আদায় করেন।
كتاب المناسك
باب الصَّلاَةِ بِجَمْعٍ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ وَقَالَ بِإِقَامَةٍ إِقَامَةٍ جَمَعَ بَيْنَهُمَا . قَالَ أَحْمَدُ قَالَ وَكِيعٌ صَلَّى كُلَّ صَلاَةٍ بِإِقَامَةٍ .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৯২৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৯২৮
হজ্ব আদায়ের নিয়মাবলীর বিবরণ
৬৩. মুয্দালিফায় নামায।
১৯২৬. উসমান ইবনে আবু শায়রা (রাহঃ) .... হাম্মাদ (রাহঃ) হতে পূর্বোক্ত হাদীসের অর্থে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। উসমান বলেন, উভয় নামাযের জন্য তিনি একবার ইকামতের নির্দেশ দেন। আর তিনি প্রথম নামাযের জন্য আযান দেওয়ার নির্দেশ দেননি। আর উক্ত নামাযদ্বয় আদায়ের পর কোন তাসবীহ্ও পাঠ করেননি। রাবী মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, উক্ত নামাযদ্বয় মাগরিব ও এশার জন্য কোন আযান দেয়া হয়নি।
كتاب المناسك
باب الصَّلاَةِ بِجَمْعٍ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، ح وَحَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ خَالِدٍ، - الْمَعْنَى - أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِإِسْنَادِ ابْنِ حَنْبَلٍ عَنْ حَمَّادٍ، وَمَعْنَاهُ، قَالَ بِإِقَامَةٍ وَاحِدَةٍ لِكُلِّ صَلاَةٍ وَلَمْ يُنَادِ فِي الأُولَى وَلَمْ يُسَبِّحْ عَلَى أَثَرِ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا . قَالَ مَخْلَدٌ لَمْ يُنَادِ فِي وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا .
tahqiq

তাহকীক:

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১৯২৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৯২৯
হজ্ব আদায়ের নিয়মাবলীর বিবরণ
৬৩. মুয্দালিফায় নামায।
১৯২৭. মুহাম্মাদ ইবনে কাসীর (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ্ ইবনে মালিক (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনে উমরের সাথে (মুযদালিফায়) মাগরিবের নামায তিন রাকআত এবং এশার নামায দু‘রাকআত আদায় করি। তখন মালিক ইবনে হারিস (রাহঃ) তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, এ কিরূপ নামায? জবাবে তিনি বলেন, আমি নামাযদ্বয়কে এ স্থানে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে একই ইকামতের সাথে আদায় করেছি।
كتاب المناسك
باب الصَّلاَةِ بِجَمْعٍ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ ابْنِ عُمَرَ الْمَغْرِبَ ثَلاَثًا وَالْعِشَاءَ رَكْعَتَيْنِ فَقَالَ لَهُ مَالِكُ بْنُ الْحَارِثِ مَا هَذِهِ الصَّلاَةُ قَالَ صَلَّيْتُهُمَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي هَذَا الْمَكَانِ بِإِقَامَةٍ وَاحِدَةٍ .
হাদীস নং: ১৯২৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৩০
হজ্ব আদায়ের নিয়মাবলীর বিবরণ
৬৩. মুয্দালিফায় নামায।
১৯২৮. মুহাম্মাদ ইবনে সুলাইমান (রাহঃ) ..... সাঈদ ইবনে জুবাইর ও আব্দুল্লাহ্ ইবনে মালিক (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তাঁরা বলেন, আমরা ইবনে উমর (রাযিঃ) এর সাথে মুযদালিফাতে মাগরিব ও এশার নামায একই ইকামতে আদায় করেছি।
كتاب المناسك
باب الصَّلاَةِ بِجَمْعٍ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأَنْبَارِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، - يَعْنِي ابْنَ يُوسُفَ - عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَالِكٍ، قَالاَ صَلَّيْنَا مَعَ ابْنِ عُمَرَ بِالْمُزْدَلِفَةِ الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ بِإِقَامَةٍ وَاحِدَةٍ فَذَكَرَ مَعْنَى حَدِيثِ ابْنِ كَثِيرٍ .
হাদীস নং: ১৯২৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৩১
হজ্ব আদায়ের নিয়মাবলীর বিবরণ
৬৩. মুয্দালিফায় নামায।
১৯২৯. ইবনে আল-আলা ..... সাঈদ ইবনে জুবাইর হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনে উমর (রাযিঃ) এর সাথে আরাফার হতে প্রত্যাবর্তন করি। অতঃপর আমরা যখন জামআতে (মুযদালিফায়) পৌছাই, তখন তিনি আমাদের সাথে মাগরিবের তিন রাকআত ও এশার নামায একই ইকামতে আদায় করেন। অতঃপর প্রত্যাবর্তনের সময় ইবনে উমর (রাযিঃ) (আমাদেরকে) বলেন, এ স্থানে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদের সাথে এরূপে নামায আদায় করেন।
كتاب المناسك
باب الصَّلاَةِ بِجَمْعٍ
حَدَّثَنَا ابْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ أَفَضْنَا مَعَ ابْنِ عُمَرَ فَلَمَّا بَلَغْنَا جَمْعًا صَلَّى بِنَا الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ بِإِقَامَةٍ وَاحِدَةٍ ثَلاَثًا وَاثْنَتَيْنِ فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ لَنَا ابْنُ عُمَرَ هَكَذَا صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي هَذَا الْمَكَانِ .
হাদীস নং: ১৯৩০
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৩২
হজ্ব আদায়ের নিয়মাবলীর বিবরণ
৬৩. মুয্দালিফায় নামায।
১৯৩০. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ...... সালামা ইবনে কুহায়ল (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সাঈদ ইবনে জুবাইর (রাযিঃ)-কে মুযদালিফাতে অবস্থান করতে দেখি। অতঃপর তিনি মাগরিবের জন্য তিন রাকআত এবং এশার জন্য দু’রাকআত নামায আদায় করেন। অতঃপর তিনি বলেন, আমি ইবনে উমর (রাযিঃ)-কে এ স্থানে এরূপে (একই ইকামতে) নামায আদায় করতে দেখেছি। আর তিনি (ইবনে উমর) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে এ স্থানে এরূপ করতে দেখেছি।
كتاب المناسك
باب الصَّلاَةِ بِجَمْعٍ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، حَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ كُهَيْلٍ، قَالَ رَأَيْتُ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ أَقَامَ بِجَمْعٍ فَصَلَّى الْمَغْرِبَ ثَلاَثًا ثُمَّ صَلَّى الْعِشَاءَ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ قَالَ شَهِدْتُ ابْنَ عُمَرَ صَنَعَ فِي هَذَا الْمَكَانِ مِثْلَ هَذَا وَقَالَ شَهِدْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَنَعَ مِثْلَ هَذَا فِي هَذَا الْمَكَانِ .
হাদীস নং: ১৯৩১
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৩৩
হজ্ব আদায়ের নিয়মাবলীর বিবরণ
৬৩. মুয্দালিফায় নামায।
১৯৩১. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ...... আশআস ইবনে সুলাইম (রাহঃ) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি ইবনে উমর (রাযিঃ) এর সাথে আরাফার হতে মুযদালিফায় রওয়ানা হই। আর এ সময় তিনি তাকবীর (আল্লাহু আকবার) ও তাহলী্ল পাঠে মশগুল থাকাবস্থায় আমরা মুযদালিফাতে পৌঁছাই। অতঃপর আযান ও ইকামত দেয়া হয় অথবা (রাবীর সন্দেহ) তিনি এক ব্যক্তিকে আযান ও ইকামত প্রদানের জন্য নির্দেশ দেন। অতঃপর তিনি আমাদের সাথে মাগরিবের তিন রাকআত নামায আদায করেন এবং পরে তিনি আমাদের দিকে মুখ ফিরিয়ে বলেন, তোমরা নামায আদায় কর। অতঃপর তিনি আমাদের সাথে দুই রাকআত এশার নামায আদায় করেন। পরে তিনি রাত্রির খাবার দেওয়ার জন্য নির্দেশ করেন।

রাবী আশআস ইবনে সুলাইম বলেন, আমার কাছে ‘ইলাজ ইবনে আমর, আমার পিতা হতে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন, যিনি ইবনে উমর (রাযিঃ) হতে এটি বর্ণনা করেন।

একদা ইবনে উমর (রাযিঃ)-কে এতদসম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জবাবে তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সাথে এরূপে নামায আদায় করেছি।
كتاب المناسك
باب الصَّلاَةِ بِجَمْعٍ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، حَدَّثَنَا أَشْعَثُ بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَقْبَلْتُ مَعَ ابْنِ عُمَرَ مِنْ عَرَفَاتٍ إِلَى الْمُزْدَلِفَةِ فَلَمْ يَكُنْ يَفْتُرُ مِنَ التَّكْبِيرِ وَالتَّهْلِيلِ حَتَّى أَتَيْنَا الْمُزْدَلِفَةَ فَأَذَّنَ وَأَقَامَ أَوْ أَمَرَ إِنْسَانًا فَأَذَّنَ وَأَقَامَ فَصَلَّى بِنَا الْمَغْرِبَ ثَلاَثَ رَكَعَاتٍ ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَيْنَا فَقَالَ الصَّلاَةُ فَصَلَّى بِنَا الْعِشَاءَ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ دَعَا بِعَشَائِهِ . قَالَ وَأَخْبَرَنِي عِلاَجُ بْنُ عَمْرٍو بِمِثْلِ حَدِيثِ أَبِي عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ فَقِيلَ لاِبْنِ عُمَرَ فِي ذَلِكَ فَقَالَ صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هَكَذَا .
হাদীস নং: ১৯৩২
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৩৪
হজ্ব আদায়ের নিয়মাবলীর বিবরণ
৬৩. মুয্দালিফায় নামায।
১৯৩২. মুসদ্দাদ (রাহঃ) ...... ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে কোন নামায এর জন্য নির্ধারিত সময় ব্যতীত আদায় করতে দেখিনি। কিন্তু তিনি মুযদালিফাতে মাগরিব ও এশার নামায একত্রে আদায় করেন। আর তিনি আগামী দিনের (কুরবানীর দিনের) ফজরের নামায এর সময় হওয়ার পূর্বে আদায় করেন।
كتاب المناسك
باب الصَّلاَةِ بِجَمْعٍ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، أَنَّ عَبْدَ الْوَاحِدِ بْنَ زِيَادٍ، وَأَبَا، عَوَانَةَ وَأَبَا مُعَاوِيَةَ حَدَّثُوهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى صَلاَةً إِلاَّ لِوَقْتِهَا إِلاَّ بِجَمْعٍ فَإِنَّهُ جَمَعَ بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ بِجَمْعٍ وَصَلَّى صَلاَةَ الصُّبْحِ مِنَ الْغَدِ قَبْلَ وَقْتِهَا .
হাদীস নং: ১৯৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৩৫
হজ্ব আদায়ের নিয়মাবলীর বিবরণ
৬৩. মুয্দালিফায় নামায।
১৯৩৩. আহমাদ ইবনে হাম্বল (রাহঃ) ....... আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম (ﷺ) মুযদালিফাতে উষার পর ‘কুযাহ্’[১] নামক স্থানে অবস্থান করেন। অতঃপর তিনি বলেন, এটাই ‘কুযাহ্’ এবং এটাই অবস্থানের স্থান। আর মুযদালিফার সব স্থানই মাওকিফ [২]। আর আমি এ স্থানে ও মিনার সর্বত্র কুরবানী করেছি, যা কুরবানীর স্থান। আর তোমরা তোমাদের কুরবানীর পশুকে মিনায় কুরবানী করবে।

[১] মুযদালিফাতে ইমামের অবস্থানের স্থানকে কুযাহ্ বলা হয়।
[২] অবস্থানের স্থান।
كتاب المناسك
باب الصَّلاَةِ بِجَمْعٍ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَيَّاشٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ فَلَمَّا أَصْبَحَ - يَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم - وَوَقَفَ عَلَى قُزَحَ فَقَالَ " هَذَا قُزَحُ وَهُوَ الْمَوْقِفُ وَجَمْعٌ كُلُّهَا مَوْقِفٌ وَنَحَرْتُ هَا هُنَا وَمِنًى كُلُّهَا مَنْحَرٌ فَانْحَرُوا فِي رِحَالِكُمْ " .
হাদীস নং: ১৯৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৩৬
হজ্ব আদায়ের নিয়মাবলীর বিবরণ
৬৩. মুয্দালিফায় নামায।
১৯৩৪. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ...... জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম (ﷺ) ইরশাদ করেছেন যে, আমি আরাফাতের এ স্থানে অবস্থান করেছি, আর আরাফাতের সবই অবস্থান স্থল। আর আমি মুযদালিফার এ স্থানে অবস্থান করেছি, আর এর সবই অবস্থান স্থল। আর আমি মিনার এ স্থানে কুরবানী করেছি, কাজেই এর সবই কুরবানীর স্থান। আর তোমরা তোমাদের পশুকে এ স্থানে কুরবানী করবে।
كتاب المناسك
باب الصَّلاَةِ بِجَمْعٍ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " وَقَفْتُ هَا هُنَا بِعَرَفَةَ وَعَرَفَةُ كُلُّهَا مَوْقِفٌ وَوَقَفْتُ هَا هُنَا بِجَمْعٍ وَجَمْعٌ كُلُّهَا مَوْقِفٌ وَنَحَرْتُ هَا هُنَا وَمِنًى كُلُّهَا مَنْحَرٌ فَانْحَرُوا فِي رِحَالِكُمْ " .
হাদীস নং: ১৯৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৩৭
হজ্ব আদায়ের নিয়মাবলীর বিবরণ
৬৩. মুয্দালিফায় নামায।
১৯৩৫. আল হাসান ইবনে আলী (রাহঃ) ..... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন যে, আরাফাতের সবই অবস্থান স্থল আর মিনার সবই কুরবানীর স্থান এবং সমস্ত মুযদালিফাই অবস্থান স্থল আর মক্কার সমস্ত প্রশস্ত রাস্তই চলাচলের রাস্তা ও কুরবানীর জায়গা।
كتاب المناسك
باب الصَّلاَةِ بِجَمْعٍ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عَطَاءٍ، قَالَ حَدَّثَنِي جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " كُلُّ عَرَفَةَ مَوْقِفٌ وَكُلُّ مِنًى مَنْحَرٌ وَكُلُّ الْمُزْدَلِفَةِ مَوْقِفٌ وَكُلُّ فِجَاجِ مَكَّةَ طَرِيقٌ وَمَنْحَرٌ " .
হাদীস নং: ১৯৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৩৮
হজ্ব আদায়ের নিয়মাবলীর বিবরণ
৬৩. মুয্দালিফায় নামায।
১৯৩৬. ইবনে কাসীর ..... আমর ইবনে মায়মুন (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) বলেছেন যে, জাহিলীয়াতের যুগে লোকেরা সূর্যোদয়ের পূর্বে মুযদালিফা হতে প্রত্যাবর্তন করতো না, যতক্ষণ না সূর্য ‘সাবীর’ পর্বতের উপর দেখা যেত। অতঃপর নবী করীম (ﷺ) উহার বিপরীত করেন এবং সূর্যোদয়ের পূর্বেই মুযদালিফা হতে প্রতাবর্তন করেন।
كتاب المناسك
باب الصَّلاَةِ بِجَمْعٍ
حَدَّثَنَا ابْنُ كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، قَالَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ كَانَ أَهْلُ الْجَاهِلِيَّةِ لاَ يُفِيضُونَ حَتَّى يَرَوُا الشَّمْسَ عَلَى ثَبِيرٍ فَخَالَفَهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَدَفَعَ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ .