কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
৬. বিবাহ-শাদীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭ টি
হাদীস নং: ২০৬১
আন্তর্জাতিক নং: ২০৬৫
বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
১০৭. যে সমস্ত স্ত্রীলোককে একত্রে বিবাহ করা হারাম।
২০৬১. আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাহমুদ (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তোমরা কোন স্ত্রীলোককে তার ফুফুর সাথে অথবা তার ভাইয়ের মেয়ের সাথে একত্রে বিবাহ করবে না। আর কোন স্ত্রীলোককে তার খালার সাথে অথবা খালাকে তার বোনের সাথে একত্রে বিবাহ করবে না। আর তোমরা বড় (বোন) কে, ছোট (বোনের) উপর এবং ছোট (বোন) কে বড় (বোনের) উপর বিবাহ করবে না (অর্থাৎ দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করবে না)।
كتاب النكاح
باب مَا يُكْرَهُ أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَهُنَّ مِنَ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ عَلَى عَمَّتِهَا وَلاَ الْعَمَّةُ عَلَى بِنْتِ أَخِيهَا وَلاَ الْمَرْأَةُ عَلَى خَالَتِهَا وَلاَ الْخَالَةُ عَلَى بِنْتِ أُخْتِهَا وَلاَ تُنْكَحُ الْكُبْرَى عَلَى الصُّغْرَى وَلاَ الصُّغْرَى عَلَى الْكُبْرَى " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ২০৬২
আন্তর্জাতিক নং: ২০৬৬
বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
১০৭. যে সমস্ত স্ত্রীলোককে একত্রে বিবাহ করা হারাম।
২০৬২. আহমদ ইবনে সালিহ্ (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বর্ণনা করেছেন যে, তিনি কোন স্ত্রীলোকের সাথে তার খালা ও ফুফুকে এবং দু‘জন খালা এবং ফুফকে একত্রে বিবাহ করতে নিষেধ করেছেন।
كتاب النكاح
باب مَا يُكْرَهُ أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَهُنَّ مِنَ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي قَبِيصَةُ بْنُ ذُؤَيْبٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَ الْمَرْأَةِ وَخَالَتِهَا وَبَيْنَ الْمَرْأَةِ وَعَمَّتِهَا .
তাহকীক:
হাদীস নং: ২০৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ২০৬৭
বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
১০৭. যে সমস্ত স্ত্রীলোককে একত্রে বিবাহ করা হারাম।
২০৬৩. আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) নবী (ﷺ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি কোন স্ত্রী লোকের সাথে তার খালা ও ফুফুকে এবং দুজন খালা ফুফুকে একত্রে বিবাহ করতে নিষেধ করেছেন।
كتاب النكاح
باب مَا يُكْرَهُ أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَهُنَّ مِنَ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا خَطَّابُ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ خُصَيْفٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَرِهَ أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَ الْعَمَّةِ وَالْخَالَةِ وَبَيْنَ الْخَالَتَيْنِ وَالْعَمَّتَيْنِ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ২০৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ২০৬৮
বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
১০৭. যে সমস্ত স্ত্রীলোককে একত্রে বিবাহ করা হারাম।
২০৬৪. আহমদ ইবনে উমর (রাহঃ) ...... ইবনে শিহাব (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাকে উরওয়া ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) বলেছেন যে, একদা তিনি নবী করীম (ﷺ) এর স্ত্রী আয়িশা (রাযিঃ)-কে এই আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। ‘আর যদি তোমরা ইয়াতীমদের মধ্যে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না বলে আশঙ্কা কর, তবে তোমরা (ইয়াতীম ব্যতীত) অন্য যে কোন স্ত্রীলোকদের খুশীমত বিবাহ কর।’’
তিনি (আয়িশা) বলেন, হে আমার বোনের পুত্র! ঐ ইয়াতীমরা (স্ত্রীগণ) তার মুরুব্বীর গৃহে অবস্থান করে এবং তার মালের অংশীদার হয়। অতঃপর সে ব্যক্তি তার সম্পদ ও সৌন্দর্য দর্শনে অভিভূত হয়। তখন তার ওলী (অভিভাবক) তার প্রতি ইনসাফ প্রদর্শন না করে তাকে বিবাহ করতে চায় এবং সে অন্য স্ত্রীলোককে যা দিতে চায়, তার চাইতে তাকে কম (মোহর) দিতে ইচ্ছা করে। কাজেই এদের সঙ্গে ইনসাফের সাথে ব্যবহার করা উচিত এবং তাদের উচিত প্রাপ্য (মোহর) প্রদান করা দরকার। তারা ব্যতীত অন্য যে কোন পছন্দনীয় স্ত্রীলোককে (যে কোন মোহরে) বিবাহ করতে পারবে।
রাবী উরওয়া (রাহঃ) বলেন, অয়েশা (রাযিঃ) বলেছেন, অতঃপর লোকেরা উপরোক্ত আয়াত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে জিজ্ঞাসা করতে থাকলে পরবর্তীকালে আল্লাহ্ তাআলা এই আয়াতটি নাযিল করেনঃ আর তারা আপনাকে স্ত্রীলোকদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করছে। আপনি বলুন! আল্লাহ্ ইহাদের ব্যাপারে সমাধান দিয়েছেন। ‘আর ইয়াতীম মহিলাদের ব্যাপারে কুরআনের মধ্যে তোমাদের প্রতি যা নাযিল হয়েছে তা হল, তাদের জন্য যে মোহর নির্ধারিত, তা তোমরা প্রদান কর না, অথচ তোমরা তাদের বিবাহ করতে পছন্দ কর।’’
তিনি (আয়িশা) বলেন, আর আল্লাহ্ তাদের সম্পর্কে প্রথম আয়াতে (কুরআনে) যা বর্ণনা করেছেন, তা হল, যদি তোমরা ইয়তীম স্ত্রীলোকদের মধ্যে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না বলে আশঙ্কা কর, তবে তোমাদের খুশীমত তোমরা অন্য স্ত্রীদেরকে বিবাহ কর। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহ্ তাআলা কর্তৃক বর্ণিত দ্বিতীয় আয়াতে যা বলা হয়েছে, তা হল, আর তোমরা তাদেরকে বিবাহ করতে পছন্দ কর, এই পছন্দ তোমাদের কারোও ঐ ইয়াতীম সম্পর্কে, যে তোমাদের তত্ত্বাবধানে থাকে এবং তার ধন সম্পদ এবং সৌন্দর্য কম থাকে। কাজেই ইয়াতীমদের মাল ও সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তাদেরকে বিবাহ করতে নিষেধ করা হয়েছে, বরং ইনসাফের সাথে তাদের প্রতি স্বতঃস্ফুর্তভাবে আকর্ষিত হতে বলা হয়েছে।
তিনি (আয়িশা) বলেন, হে আমার বোনের পুত্র! ঐ ইয়াতীমরা (স্ত্রীগণ) তার মুরুব্বীর গৃহে অবস্থান করে এবং তার মালের অংশীদার হয়। অতঃপর সে ব্যক্তি তার সম্পদ ও সৌন্দর্য দর্শনে অভিভূত হয়। তখন তার ওলী (অভিভাবক) তার প্রতি ইনসাফ প্রদর্শন না করে তাকে বিবাহ করতে চায় এবং সে অন্য স্ত্রীলোককে যা দিতে চায়, তার চাইতে তাকে কম (মোহর) দিতে ইচ্ছা করে। কাজেই এদের সঙ্গে ইনসাফের সাথে ব্যবহার করা উচিত এবং তাদের উচিত প্রাপ্য (মোহর) প্রদান করা দরকার। তারা ব্যতীত অন্য যে কোন পছন্দনীয় স্ত্রীলোককে (যে কোন মোহরে) বিবাহ করতে পারবে।
রাবী উরওয়া (রাহঃ) বলেন, অয়েশা (রাযিঃ) বলেছেন, অতঃপর লোকেরা উপরোক্ত আয়াত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে জিজ্ঞাসা করতে থাকলে পরবর্তীকালে আল্লাহ্ তাআলা এই আয়াতটি নাযিল করেনঃ আর তারা আপনাকে স্ত্রীলোকদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করছে। আপনি বলুন! আল্লাহ্ ইহাদের ব্যাপারে সমাধান দিয়েছেন। ‘আর ইয়াতীম মহিলাদের ব্যাপারে কুরআনের মধ্যে তোমাদের প্রতি যা নাযিল হয়েছে তা হল, তাদের জন্য যে মোহর নির্ধারিত, তা তোমরা প্রদান কর না, অথচ তোমরা তাদের বিবাহ করতে পছন্দ কর।’’
তিনি (আয়িশা) বলেন, আর আল্লাহ্ তাদের সম্পর্কে প্রথম আয়াতে (কুরআনে) যা বর্ণনা করেছেন, তা হল, যদি তোমরা ইয়তীম স্ত্রীলোকদের মধ্যে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না বলে আশঙ্কা কর, তবে তোমাদের খুশীমত তোমরা অন্য স্ত্রীদেরকে বিবাহ কর। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহ্ তাআলা কর্তৃক বর্ণিত দ্বিতীয় আয়াতে যা বলা হয়েছে, তা হল, আর তোমরা তাদেরকে বিবাহ করতে পছন্দ কর, এই পছন্দ তোমাদের কারোও ঐ ইয়াতীম সম্পর্কে, যে তোমাদের তত্ত্বাবধানে থাকে এবং তার ধন সম্পদ এবং সৌন্দর্য কম থাকে। কাজেই ইয়াতীমদের মাল ও সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তাদেরকে বিবাহ করতে নিষেধ করা হয়েছে, বরং ইনসাফের সাথে তাদের প্রতি স্বতঃস্ফুর্তভাবে আকর্ষিত হতে বলা হয়েছে।
كتاب النكاح
باب مَا يُكْرَهُ أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَهُنَّ مِنَ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَنْ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى ( وَإِنْ خِفْتُمْ أَنْ لاَ تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَى فَانْكِحُوا مَا طَابَ لَكُمْ مِنَ النِّسَاءِ ) قَالَتْ يَا ابْنَ أُخْتِي هِيَ الْيَتِيمَةُ تَكُونُ فِي حِجْرِ وَلِيِّهَا فَتُشَارِكُهُ فِي مَالِهِ فَيُعْجِبُهُ مَالُهَا وَجَمَالُهَا فَيُرِيدُ أَنْ يَتَزَوَّجَهَا بِغَيْرِ أَنْ يُقْسِطَ فِي صَدَاقِهَا فَيُعْطِيَهَا مِثْلَ مَا يُعْطِيهَا غَيْرُهُ فَنُهُوا أَنْ يَنْكِحُوهُنَّ إِلاَّ أَنْ يُقْسِطُوا لَهُنَّ وَيَبْلُغُوا بِهِنَّ أَعْلَى سُنَّتِهِنَّ مِنَ الصَّدَاقِ وَأُمِرُوا أَنْ يَنْكِحُوا مَا طَابَ لَهُمْ مِنَ النِّسَاءِ سِوَاهُنَّ . قَالَ عُرْوَةُ قَالَتْ عَائِشَةُ ثُمَّ إِنَّ النَّاسَ اسْتَفْتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ هَذِهِ الآيَةِ فِيهِنَّ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( وَيَسْتَفْتُونَكَ فِي النِّسَاءِ قُلِ اللَّهُ يُفْتِيكُمْ فِيهِنَّ وَمَا يُتْلَى عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ فِي يَتَامَى النِّسَاءِ اللاَّتِي لاَ تُؤْتُونَهُنَّ مَا كُتِبَ لَهُنَّ وَتَرْغَبُونَ أَنْ تَنْكِحُوهُنَّ ) قَالَتْ وَالَّذِي ذَكَرَ اللَّهُ أَنَّهُ يُتْلَى عَلَيْهِمْ فِي الْكِتَابِ الآيَةُ الأُولَى الَّتِي قَالَ اللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى ( وَإِنْ خِفْتُمْ أَنْ لاَ تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَى فَانْكِحُوا مَا طَابَ لَكُمْ مِنَ النِّسَاءِ ) قَالَتْ عَائِشَةُ وَقَوْلُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فِي الآيَةِ الآخِرَةِ ( وَتَرْغَبُونَ أَنْ تَنْكِحُوهُنَّ ) هِيَ رَغْبَةُ أَحَدِكُمْ عَنْ يَتِيمَتِهِ الَّتِي تَكُونُ فِي حِجْرِهِ حِينَ تَكُونُ قَلِيلَةَ الْمَالِ وَالْجَمَالِ فَنُهُوا أَنْ يَنْكِحُوا مَا رَغِبُوا فِي مَالِهَا وَجَمَالِهَا مِنْ يَتَامَى النِّسَاءِ إِلاَّ بِالْقِسْطِ مِنْ أَجْلِ رَغْبَتِهِمْ عَنْهُنَّ . قَالَ يُونُسُ وَقَالَ رَبِيعَةُ فِي قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ( وَإِنْ خِفْتُمْ أَنْ لاَ تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَى ) قَالَ يَقُولُ اتْرُكُوهُنَّ إِنْ خِفْتُمْ فَقَدْ أَحْلَلْتُ لَكُمْ أَرْبَعًا .
তাহকীক:
হাদীস নং: ২০৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ২০৬৯
বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
১০৭. যে সমস্ত স্ত্রীলোককে একত্রে বিবাহ করা হারাম।
২০৬৫. আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ..... আলী ইবনে হুসাইন (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তাঁরা যখন হুসাইন ইবনে আলী (রাযিঃ) এর শাহাদাতের সময়, ইয়াযীদ ইবনে মুআবিয়ার নিকট হতে মদীনায় আসেন; তখন তাঁর সাথে আল্-মুসাও্ওয়ার ইবনে মাখরামার সাক্ষাত হয়। তিনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনার কি আমার নিকট কোন প্রয়োজন আছে, যা সম্পদনের জন্য আপনি আমাকে নির্দেশ দিবেন? তিনি (আলী) বলেন, না। তখন তিনি (মুসাও্ওয়ার) বলেন, আপনি কি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর তরবারিটি আমাকে দান করবেন? কেননা আমার আশঙ্কা হয়, হয়ত লোকেরা তা আপনার নিকট হতে কেড়ে নিবে। আল আল্লাহর শপথ! যদি আপনি তা আমাকে প্রদান করেন, আমার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তা কেউই নিতে পারবে না।
(রাবী কিরমানী বলেন) আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) ফাতিমা (রাযিঃ) এর জীবদ্দশায় আবু জেহেলের কন্যা বিবাহের উদ্দেশ্যে পয়গাম প্রেরণ করেন। এই সময় আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে লোকদের উদ্দেশ্যে খুতবা প্রদানের সময় এ সম্পর্কে বলতে শুনি, আর এই সময় আমি সাবালক ছিলাম। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই ফাতিমা আমার দেহের একটি অংশ। আর আমি এরূপ আশঙ্কা করি যে, সে এর ফলে ঈর্ষানলে জ্বলতে থাকবে। (কেননা এটাই মেয়েদের স্বভাব) অতঃপর তিনি বণী আব্দুস শামসের সাথে তাঁর সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন এবং তাদের সদ্ব্যবহারের কথাও তিনি বিশেষভাবে বলেন। অতঃপর, তিনি বলেন, তারা আমার সাথে যা বলেছিল, তা সত্যে পরিণত করেছিল এবং আমার সাথে যে ওয়াদা করেছিল, তা পূর্ণ করেছিল। আর আমি এমন ব্যক্তি নই যে, কোনো হালাল-কে হারাম করতে পারি বা হারাম-কে হালাল করতে পারি। (বরং আল্লাহর হুকুম ব্যতীত আমার পক্ষে কিছুই করা সম্ভব নয়।) আল্লাহর শপথ! আল্লাহর রাসূলের কন্যা এবং আল্লাহর দুশমনের কন্যা একই ঘরে কখনো একত্রিত হতে পারে না।
(রাবী কিরমানী বলেন) আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) ফাতিমা (রাযিঃ) এর জীবদ্দশায় আবু জেহেলের কন্যা বিবাহের উদ্দেশ্যে পয়গাম প্রেরণ করেন। এই সময় আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে লোকদের উদ্দেশ্যে খুতবা প্রদানের সময় এ সম্পর্কে বলতে শুনি, আর এই সময় আমি সাবালক ছিলাম। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই ফাতিমা আমার দেহের একটি অংশ। আর আমি এরূপ আশঙ্কা করি যে, সে এর ফলে ঈর্ষানলে জ্বলতে থাকবে। (কেননা এটাই মেয়েদের স্বভাব) অতঃপর তিনি বণী আব্দুস শামসের সাথে তাঁর সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন এবং তাদের সদ্ব্যবহারের কথাও তিনি বিশেষভাবে বলেন। অতঃপর, তিনি বলেন, তারা আমার সাথে যা বলেছিল, তা সত্যে পরিণত করেছিল এবং আমার সাথে যে ওয়াদা করেছিল, তা পূর্ণ করেছিল। আর আমি এমন ব্যক্তি নই যে, কোনো হালাল-কে হারাম করতে পারি বা হারাম-কে হালাল করতে পারি। (বরং আল্লাহর হুকুম ব্যতীত আমার পক্ষে কিছুই করা সম্ভব নয়।) আল্লাহর শপথ! আল্লাহর রাসূলের কন্যা এবং আল্লাহর দুশমনের কন্যা একই ঘরে কখনো একত্রিত হতে পারে না।
كتاب النكاح
باب مَا يُكْرَهُ أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَهُنَّ مِنَ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ كَثِيرٍ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ الدُّؤَلِيُّ، أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ الْحُسَيْنِ حَدَّثَهُ أَنَّهُمْ، حِينَ قَدِمُوا الْمَدِينَةَ مِنْ عِنْدِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ مَقْتَلَ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ - رضى الله عنهما - لَقِيَهُ الْمِسْوَرُ بْنُ مَخْرَمَةَ فَقَالَ لَهُ هَلْ لَكَ إِلَىَّ مِنْ حَاجَةٍ تَأْمُرُنِي بِهَا قَالَ فَقُلْتُ لَهُ لاَ . قَالَ هَلْ أَنْتَ مُعْطِيَّ سَيْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِنِّي أَخَافُ أَنْ يَغْلِبَكَ الْقَوْمُ عَلَيْهِ وَايْمُ اللَّهِ لَئِنْ أَعْطَيْتَنِيهِ لاَ يُخْلَصُ إِلَيْهِ أَبَدًا حَتَّى يَبْلُغَ إِلَى نَفْسِي إِنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ - رضى الله عنه - خَطَبَ بِنْتَ أَبِي جَهْلٍ عَلَى فَاطِمَةَ - رضى الله عنها - فَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَخْطُبُ النَّاسَ فِي ذَلِكَ عَلَى مِنْبَرِهِ هَذَا وَأَنَا يَوْمَئِذٍ مُحْتَلِمٌ فَقَالَ " إِنَّ فَاطِمَةَ مِنِّي وَأَنَا أَتَخَوَّفُ أَنْ تُفْتَنَ فِي دِينِهَا " . قَالَ ثُمَّ ذَكَرَ صِهْرًا لَهُ مِنْ بَنِي عَبْدِ شَمْسٍ فَأَثْنَى عَلَيْهِ فِي مُصَاهَرَتِهِ إِيَّاهُ فَأَحْسَنَ قَالَ " حَدَّثَنِي فَصَدَقَنِي وَوَعَدَنِي فَوَفَّى لِي وَإِنِّي لَسْتُ أُحَرِّمُ حَلاَلاً وَلاَ أُحِلُّ حَرَامًا وَلَكِنْ وَاللَّهِ لاَ تَجْتَمِعُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ وَبِنْتُ عَدُوِّ اللَّهِ مَكَانًا وَاحِدًا أَبَدًا " .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২০৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ২০৭০
বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
১০৭. যে সমস্ত স্ত্রীলোককে একত্রে বিবাহ করা হারাম।
২০৬৬. মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহয়া ...... ইবনে আবু মূলায়কা পূর্বোক্ত হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেন, রাবী মুসাও্ওযার বলেছেন, তখন আলী (রাযিঃ) ঐ বিবাহের সংকল্প ত্যাগ করেন।
كتاب النكاح
باب مَا يُكْرَهُ أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَهُنَّ مِنَ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، بِهَذَا الْخَبَرِ قَالَ فَسَكَتَ عَلِيٌّ عَنْ ذَلِكَ النِّكَاحِ
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২০৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ২০৭১
বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
১০৭. যে সমস্ত স্ত্রীলোককে একত্রে বিবাহ করা হারাম।
২০৬৭. আহমদ ইবনে ইউনুস ..... আল্ মুসাওওয়ার ইবনে মাখরামা (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে মিম্বরের উপর বলতে শুনেছিঃ নিশ্চয়ই বনী হিশাম ইবনে মুগীরা (আবু জেহেলের চাচা) তাদের কন্যাকে আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) এর সাথে বিবাহ দেয়ার জন্য অনুমতি চাচ্ছে। তাদের এ ব্যাপারে অনুমতি নাই, অনুমতি নাই, অনুমতি নাই। অবশ্য যদি (আলী) ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) আমার কন্যাকে তালাক দেয়, তবে সে তাদের কন্যা গ্রহণ করতে পারে। কেননা, আমার কন্যা আমারই অংশ। আর তাকে যা সংশয়ে ফেলে তা আমাকেও সংশয়ে ফেলবে এবং তাকে যা কষ্ট দিবে তা আমাকেও ব্যথিত করবে। আর হাদীসের এই অংশটি আহমদ হতে বর্ণিত।
كتاب النكاح
باب مَا يُكْرَهُ أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَهُنَّ مِنَ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، - الْمَعْنَى - قَالَ أَحْمَدُ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ الْقُرَشِيُّ التَّيْمِيُّ، أَنَّ الْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْمِنْبَرِ يَقُولُ " إِنَّ بَنِي هِشَامِ بْنِ الْمُغِيرَةِ اسْتَأْذَنُونِي أَنْ يُنْكِحُوا ابْنَتَهُمْ مِنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ فَلاَ آذَنُ ثُمَّ لاَ آذَنُ ثُمَّ لاَ آذَنُ إِلاَّ أَنْ يُرِيدَ ابْنُ أَبِي طَالِبٍ أَنْ يُطَلِّقَ ابْنَتِي وَيَنْكِحَ ابْنَتَهُمْ فَإِنَّمَا ابْنَتِي بَضْعَةٌ مِنِّي يُرِيبُنِي مَا أَرَابَهَا وَيُؤْذِينِي مَا آذَاهَا " . وَالإِخْبَارُ فِي حَدِيثِ أَحْمَدَ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী: