কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

كتاب السنن للإمام أبي داود

৯. জিহাদের বিধানাবলী - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ২৬৮১
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৯০
জিহাদের বিধানাবলী
২৫. মালের বিনিময়ে বন্দীদের ছেড়ে দেওয়া।
২৬৮১. আহমদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে হাম্মল (রাহঃ) ..... উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বদরের যুদ্ধে নবী করীম (ﷺ) যুদ্ধবন্দীদের কাছ থেকে মুক্তিপণ গ্রহণ করেন। তখন মহান আল্লাহ্ এ আয়াত নাযিল করেনঃ নবীর শান এ নয় যে, তাঁর কাছে কয়েদী থাকবে, যতক্ষণ যমীনে খুন-খারাবী চলতে থাকে। আপনি তো দুনিয়ার জীবনের আরাম-আয়েশের ইচছা করছেন কিন্তু আল্লাহর নিকট আখিরাতের জীবনই কাম্য। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পরাক্রমশালী, হিকমতওয়ালা। যদি আল্লাহর তরফ থেকে আগেই ফয়সালা না থাকত, তবে মুক্তিপণ নেয়ার কারণে তোমাদের কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হত। এরপর আল্লাহ্ তাদের জন্যে (ইসলামের বিজয়লগ্নে) যুদ্ধলব্ধ সম্পদ বৈধ করেন।
كتاب الجهاد
باب فِي فِدَاءِ الأَسِيرِ بِالْمَالِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو نُوحٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا سِمَاكٌ الْحَنَفِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ بَدْرٍ فَأَخَذَ - يَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم - الْفِدَاءَ أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( مَا كَانَ لِنَبِيٍّ أَنْ يَكُونَ لَهُ أَسْرَى حَتَّى يُثْخِنَ فِي الأَرْضِ ) إِلَى قَوْلِهِ ( لَمَسَّكُمْ فِيمَا أَخَذْتُمْ ) مِنَ الْفِدَاءِ ثُمَّ أَحَلَّ لَهُمُ اللَّهُ الْغَنَائِمَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ يُسْأَلُ عَنِ اسْمِ أَبِي نُوحٍ فَقَالَ أَيْشٍ تَصْنَعُ بِاسْمِهِ اسْمُهُ اسْمٌ شَنِيعٌ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ اسْمُ أَبِي نُوحٍ قُرَادٌ وَالصَّحِيحُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ غَزْوَانَ .
হাদীস নং: ২৬৮২
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৯১
জিহাদের বিধানাবলী
২৫. মালের বিনিময়ে বন্দীদের ছেড়ে দেওয়া।
২৬৮২. আব্দুর রহমান ইবনে মুরাবক আয়শী (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) জাহিলী যুগের লোকদের জন্য (মক্কার কাফির), যা বদরের যুদ্ধের দিন বন্দী হয়েছিল, তাদের প্রত্যেকের জন্য চারশত দিরহাম মুক্তিপণ নির্ধারণ করেন।
كتاب الجهاد
باب فِي فِدَاءِ الأَسِيرِ بِالْمَالِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْمُبَارَكِ الْعَيْشِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ حَبِيبٍ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي الْعَنْبَسِ، عَنْ أَبِي الشَّعْثَاءِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم جَعَلَ فِدَاءَ أَهْلِ الْجَاهِلِيَّةِ يَوْمَ بَدْرٍ أَرْبَعَمِائَةٍ .
হাদীস নং: ২৬৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৯২
জিহাদের বিধানাবলী
২৫. মালের বিনিময়ে বন্দীদের ছেড়ে দেওয়া।
২৬৮৩. আব্দুল্লাহ্ ইবনে মুহাম্মাদ নুফায়লী (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যখন মক্কাবাসীরা তাদের বন্দীদের জন্য মুক্তিপণ পাঠায়, তখন যয়নাব (রাযিঃ) ও আবুল আসের (তাঁর স্বামী, যিনি কাফির ছিলেন ও বদর যুদ্ধে বন্দী হন) জন্য মুক্তিপণ বাবদ এমন কিছু ধন-সম্পদ পাঠায়, যার মধ্যে একটি হারও ছিল। আসলে হারটি ছিল খাদীজা (রাযিঃ) এর। (যয়নাব বিয়ের সময় তা হাদিয়া হিসাবে পান) এবং তা নিয়ে আবুল আসের ঘরে গমন করেন।

রাবী আয়িশা (রাযিঃ) বলেনঃ যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এই হারখানা দেখেন, তখন তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং বলেনঃ যদি তোমরা ভাল মনে কর, তবে যয়নাবের স্বামীকে ছেড়ে দাও এবং তার হারখানাও তাকে ফিরিয়ে দাও। তখন তারা (সাহাবারা) বলেনঃ ঠিক আছে, তা-ই হবে।

এরপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এই মর্মে আবুল আসের নিকট থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করেন যে, সে যয়নাবকে তাঁর (নবী (ﷺ)) নিকট আসতে বাধা দেবে না। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যায়দ ইবনে হারিসা ও অপর একজন আনসার সাহাবীকে এই মর্মে নির্দেশ দিয়ে পাঠান যে, তোমরা ‘বাতনে-ইয়াজিজ’ নামক স্থানে যয়নাবের জন্য অপেক্ষা করবে, যতক্ষণ না সে তোমাদের কাছে আসে। আর সে তোমাদের কাছে পৌঁছলে, তোমরা তাকে সাথে করে আমার কাছে পৌঁছে দেবে।
كتاب الجهاد
باب فِي فِدَاءِ الأَسِيرِ بِالْمَالِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبَّادٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَمَّا بَعَثَ أَهْلُ مَكَّةَ فِي فِدَاءِ أَسْرَاهُمْ بَعَثَتْ زَيْنَبُ فِي فِدَاءِ أَبِي الْعَاصِ بِمَالٍ وَبَعَثَتْ فِيهِ بِقِلاَدَةٍ لَهَا كَانَتْ عِنْدَ خَدِيجَةَ أَدْخَلَتْهَا بِهَا عَلَى أَبِي الْعَاصِ . قَالَتْ فَلَمَّا رَآهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَقَّ لَهَا رِقَّةً شَدِيدَةً وَقَالَ " إِنْ رَأَيْتُمْ أَنْ تُطْلِقُوا لَهَا أَسِيرَهَا وَتَرُدُّوا عَلَيْهَا الَّذِي لَهَا " . فَقَالُوا نَعَمْ . وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخَذَ عَلَيْهِ أَوْ وَعَدَهُ أَنْ يُخَلِّيَ سَبِيلَ زَيْنَبَ إِلَيْهِ وَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ وَرَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ " كُونَا بِبَطْنِ يَأْجِجَ حَتَّى تَمُرَّ بِكُمَا زَيْنَبُ فَتَصْحَبَاهَا حَتَّى تَأْتِيَا بِهَا " .
হাদীস নং: ২৬৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৯৩
জিহাদের বিধানাবলী
২৫. মালের বিনিময়ে বন্দীদের ছেড়ে দেওয়া।
২৬৮৪. আহমদ ইবনে আবু মারয়ামা (রাহঃ) ..... মারওয়ান ও মিসওয়ার ইবনে মাখরামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তঁরা বলেন, হাওয়াযিন গোত্রের লোকেরা ইসলাম গ্রহণের পর যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট হাযির হয়ে তাদের ধন-সম্পদ ফেরত চায়, তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেনঃ তোমরা যা চাচ্ছ তা আমার কাছে মওজুদ আছে। সত্যকথা আমার নিকট খুব প্রিয়। তোমরা সিদ্ধান্ত নাও, হয় তোমরা তোমাদের বন্দীদের ফিনিয়ে নাও, নয় তোমাদের ধন-সম্পদ। তখন তারা বললঃ আমরা আমাদের বন্দীদের ফিরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।

তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দাঁড়িয়ে যান এবং আল্লাহর প্রশংসা করেন। এরপর বলেনঃ ‘‘এরপর তোমাদের এ ভাইয়েরা তওবা করে তোমাদের কাছে এসেছে। আর আমি এ ভাল মনে করছি যে, তাদের বন্দীদের তাদের হাতে ফিরিয়ে দেব। আর তোমাদের মাঝে যে একে ভাল মনে করবে, সে এরূপ করবে, (অর্থাৎ এদের বন্দীদের ছেড়ে দেবে) আর তোমাদের মাঝে কেউ যদি তার হিসসা পাওয়ার জন্য যিদ কর, তবে আমি তাকে গনিমতের মাল হতে একটা অংশ দেব, আর এটা আল্লাহ্ প্রদত্ত বিশেষ দান, যা তিনি আমাদের দান করেছেন।

তখন সাহাবীরা বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমরা তাদের কয়েদীদের মুক্তি দিতে রাযী আছি। সে সময় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তদের বললেনঃ আমি বুঝতে পারিনি এ ব্যাপারে তোমরা কারা রাযী আছ এবং কারা রাযী নও। তোমরা ফিরে যাও এবং তোমাদের নেতাদের সাথে কথাবার্তা বলার পর তারা যেন এ ব্যাপারে আমার সাথে কথা বলে। তখন লোকেরা তাদের নেতাদের সাথে মতবিনিময় করল এবং পরে তারা বলল যে, তারা কয়েদীদের ফিরিয়ে দিতে রাযী আছে এবং এ ব্যাপারে তারা তাদের অনুমতি দিচ্ছে।
كتاب الجهاد
باب فِي فِدَاءِ الأَسِيرِ بِالْمَالِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، حَدَّثَنَا عَمِّي، - يَعْنِي سَعِيدَ بْنَ الْحَكَمِ - قَالَ أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ وَذَكَرَ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ أَنَّ مَرْوَانَ، وَالْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ، أَخْبَرَاهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ حِينَ جَاءَهُ وَفْدُ هَوَازِنَ مُسْلِمِينَ فَسَأَلُوهُ أَنْ يَرُدَّ إِلَيْهِمْ أَمْوَالَهُمْ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَعِي مَنْ تَرَوْنَ وَأَحَبُّ الْحَدِيثِ إِلَىَّ أَصْدَقُهُ فَاخْتَارُوا إِمَّا السَّبْىَ وَإِمَّا الْمَالَ " . فَقَالُوا نَخْتَارُ سَبْيَنَا فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ ثُمَّ قَالَ " أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ إِخْوَانَكُمْ هَؤُلاَءِ جَاءُوا تَائِبِينَ وَإِنِّي قَدْ رَأَيْتُ أَنْ أَرُدَّ إِلَيْهِمْ سَبْيَهُمْ فَمَنْ أَحَبَّ مِنْكُمْ أَنْ يُطَيِّبَ ذَلِكَ فَلْيَفْعَلْ وَمَنْ أَحَبَّ مِنْكُمْ أَنْ يَكُونَ عَلَى حَظِّهِ حَتَّى نُعْطِيَهُ إِيَّاهُ مِنْ أَوَّلِ مَا يُفِيءُ اللَّهُ عَلَيْنَا فَلْيَفْعَلْ " . فَقَالَ النَّاسُ قَدْ طَيَّبْنَا ذَلِكَ لَهُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّا لاَ نَدْرِي مَنْ أَذِنَ مِنْكُمْ مِمَّنْ لَمْ يَأْذَنْ فَارْجِعُوا حَتَّى يَرْفَعَ إِلَيْنَا عُرَفَاؤُكُمْ أَمْرَكُمْ " . فَرَجَعَ النَّاسُ فَكَلَّمَهُمْ عُرَفَاؤُهُمْ فَأَخْبَرُوهُمْ أَنَّهُمْ قَدْ طَيَّبُوا وَأَذِنُوا .
হাদীস নং: ২৬৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৯৪
জিহাদের বিধানাবলী
২৫. মালের বিনিময়ে বন্দীদের ছেড়ে দেওয়া।
২৬৮৫. মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) .... আমর ইবনে শুআয়ব (রাযিঃ) তাঁর পিতা হতে এবং তিনি তাঁর দাদা হতে উক্ত ঘটনা সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেনঃ তোমরা তাদের স্ত্রীদের ও বাচ্চাদের তাদের নিকট প্রত্যাবর্তন কর। আর যে ব্যক্তি উক্ত গনিমতের মাল হতে কিছু রাখতে ইচ্ছা করবে, আমি তাকে এর বিনিময়ে মালে গনিমত হতে ছয়টি উট দেব, যা আল্লাহ্ আমাদের দান করবেন। এরপর নবী (ﷺ) একটি উটের নিকটবর্তী হয়ে তার ঘাড় হতে একটি পশম নিয়ে বললেনঃ হে লোক সকল! আমি এ গনিমতের মালের কিছুরই মালিক নই, এমনকি এই পশমেরও মালিক নই।

এরপর তিনি দুআঙ্গুলে সে পশমটি তুলে ধরে বললেনঃ অবশ্য আমি (মালে গনিমতের) এক-পঞ্চমাংশের মালিক এবং সেই এক-পঞ্চমাংশও তোমাদের মাঝে বিতরণ করব। কাজেই তোমরা সুই ও সুতা পর্যন্ত আদায় কর (কিছুই গোপণ করবে না) । তখন এক ব্যক্তি দাঁড়ায় যার হাতে ছিল পশমের তৈরী রশির টুকরা এবং বলেঃ আমি এই রশির টুকরাটা পালানের নীচের কম্বল ঠিক করার জন্য নিয়েছিলাম। তখন রাসূলূল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ এর মাঝে আমার এবং বনু আব্দুল মুত্তলিবের যে অংশ আছে, (তা আমি মাফ করলাম), এখন তা তোমার। তখন সে ব্যক্তি বললঃ এই সামান্য রশির ব্যাপার যদি এরূপ হয়, যা আমি দেখছি, তবে এতে আমার কোন প্রয়োজন নেই। এরপর সে তার হাত থেকে তা ছঁড়ে ফেলে দিল।
كتاب الجهاد
باب فِي فِدَاءِ الأَسِيرِ بِالْمَالِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، فِي هَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " رُدُّوا عَلَيْهِمْ نِسَاءَهُمْ وَأَبْنَاءَهُمْ فَمَنْ مَسَكَ بِشَىْءٍ مِنْ هَذَا الْفَىْءِ فَإِنَّ لَهُ بِهِ عَلَيْنَا سِتَّ فَرَائِضَ مِنْ أَوَّلِ شَىْءٍ يُفِيئُهُ اللَّهُ عَلَيْنَا " . ثُمَّ دَنَا - يَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم - مِنْ بَعِيرٍ فَأَخَذَ وَبَرَةً مِنْ سَنَامِهِ ثُمَّ قَالَ " يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّهُ لَيْسَ لِي مِنَ الْفَىْءِ شَىْءٌ وَلاَ هَذَا " . وَرَفَعَ أُصْبُعَيْهِ " إِلاَّ الْخُمُسَ وَالْخُمُسُ مَرْدُودٌ عَلَيْكُمْ فَأَدُّوا الْخِيَاطَ وَالْمِخْيَطَ " . فَقَامَ رَجُلٌ فِي يَدِهِ كُبَّةٌ مِنْ شَعْرٍ فَقَالَ أَخَذْتُ هَذِهِ لأُصْلِحَ بِهَا بَرْذَعَةً لِي فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَمَّا مَا كَانَ لِي وَلِبَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَهُوَ لَكَ " . فَقَالَ أَمَّا إِذْ بَلَغَتْ مَا أَرَى فَلاَ أَرَبَ لِي فِيهَا . وَنَبَذَهَا .