কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

كتاب السنن للإمام أبي داود

১৫. কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৩ টি

হাদীস নং: ২৯৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৭৮
কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
১৫৮. ঐ পঞ্চমাংশ, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গনিমতের মাল হতে নিতেন, কোথায় কোথায় তা বন্টন করতেন এবং নিকটাত্নীয়দের হক সম্পর্কে।
২৯৬৮. উবাইদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে মায়সারা (রাহঃ) ..... জুবাইর ইবনে মুত’ইম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমি এবং উছমান (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট খুমুসের ব্যাপারে আলোচনার জন্য যাই, যা তিনি বনু হাশিম ও বনু মুত্তালিবের মাঝে বণ্টন করেন। এ সময় আমি জিজ্ঞাসা করিঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি তো আমাদের ভাই বনু মুত্তালিবকে অংশ দিলেন, কিন্তু আমাদের তো কিছু দিলেন না? অথচ আমাদের ও তাদের সস্পর্ক আপনার সঙ্গে একই ধরনের! তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ বনু হাশিম ও বনু মুত্তালিব তো একই।

রাবী জুবাইর (রাযিঃ) বলেনঃ তিনি বনু আব্দুশ শামস ও বনু নওফলকে এ খুমুস হতে অংশ প্রদান করেননি, যেমন বনু হাশিম ও বনু মুত্তালিবকে অংশ প্রদান করেছিলেন। আর আবু বকর (রাযিঃ)-ও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ন্যায় খুমুসের অংশ বন্টন করতেন। কিন্তু তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর আত্মীয়দের অংশ প্রদান করতেন না, যেমন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজে তাদের অংশ দিতেন। রাবী বলেনঃ উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) তাদের খুমুস থেকে অংশ দিতেন এবং তারপর উছমান (রাযিঃ)-ও এরূপ করতেন।
كتاب الخراج والإمارة والفىء
باب فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ، عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، أَخْبَرَنِي جُبَيْرُ بْنُ مُطْعِمٍ، أَنَّهُ جَاءَ هُوَ وَعُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ يُكَلِّمَانِ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيمَا قَسَمَ مِنَ الْخُمُسِ بَيْنَ بَنِي هَاشِمٍ وَبَنِي الْمُطَّلِبِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَسَمْتَ لإِخْوَانِنَا بَنِي الْمُطَّلِبِ وَلَمْ تُعْطِنَا شَيْئًا وَقَرَابَتُنَا وَقَرَابَتُهُمْ مِنْكَ وَاحِدَةٌ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّمَا بَنُو هَاشِمٍ وَبَنُو الْمُطَّلِبِ شَىْءٌ وَاحِدٌ " . قَالَ جُبَيْرٌ وَلَمْ يَقْسِمْ لِبَنِي عَبْدِ شَمْسٍ وَلاَ لِبَنِي نَوْفَلٍ مِنْ ذَلِكَ الْخُمُسِ كَمَا قَسَمَ لِبَنِي هَاشِمٍ وَبَنِي الْمُطَّلِبِ . قَالَ وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يَقْسِمُ الْخُمُسَ نَحْوَ قَسْمِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ يُعْطِي قُرْبَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُعْطِيهِمْ . قَالَ وَكَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يُعْطِيهِمْ مِنْهُ وَعُثْمَانُ بَعْدَهُ .
হাদীস নং: ২৯৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৭৯
কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
১৫৮. ঐ পঞ্চমাংশ, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গনিমতের মাল হতে নিতেন, কোথায় কোথায় তা বন্টন করতেন এবং নিকটাত্নীয়দের হক সম্পর্কে।
২৯৬৯. উবাইদুল্লাহ ইবনে উমর (রাহঃ) ..... জুবাইর ইবনে মুত’ইম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বনু আব্দুশ শামস ও বনু নওফলকে খুমুস হতে কোন অংশ দেন নি, যেমন তিনি বনু হাশিম ও বনু মুত্তালিবকে দিয়েছিলেন। আর আবু বকর (রাযিঃ)-ও রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বণ্টন নীতির ন্যায় (খুমুস) বন্টন করতেন। তবে তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট-আত্মীয়দের কোন অংশ দিতেন না, যেমন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) স্বয়ং তাদের দিতেন। অবশ্য উমর (রাযিঃ) এবং তাঁর পরবর্তী খলীফারা সকলেই তাদের অংশ প্রদান করতেন।
كتاب الخراج والإمارة والفىء
باب فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، حَدَّثَنَا جُبَيْرُ بْنُ مُطْعِمٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَقْسِمْ لِبَنِي عَبْدِ شَمْسٍ وَلاَ لِبَنِي نَوْفَلٍ مِنَ الْخُمُسِ شَيْئًا كَمَا قَسَمَ لِبَنِي هَاشِمٍ وَبَنِي الْمُطَّلِبِ . قَالَ وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يَقْسِمُ الْخُمُسَ نَحْوَ قَسْمِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ يُعْطِي قُرْبَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَمَا كَانَ يُعْطِيهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ عُمَرُ يُعْطِيهِمْ وَمَنْ كَانَ بَعْدَهُ مِنْهُمْ .
হাদীস নং: ২৯৭০
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৮০
কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
১৫৮. ঐ পঞ্চমাংশ, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গনিমতের মাল হতে নিতেন, কোথায় কোথায় তা বন্টন করতেন এবং নিকটাত্নীয়দের হক সম্পর্কে।
২৯৭০. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... জুবাইর ইবনে মুত’ইম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ খায়বর যুদ্ধের পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর নিকটাত্মীয়ের অংশ বনু হাশিম ও বনু মুত্তালিবের মাঝে বন্টন করে দেন এবং বনু আব্দুশ শামস ও বনু নওফলকে পরিত্যাগ করেন। এ সময় আমি (রাবী) এবং উছমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) নবী (ﷺ)-এর নিকট হাযির হই এবং বলিঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই তো বনু হাশিম, আমরা এদের ফযীলত অস্বীকার করতে পারি না। কেননা আল্লাহ আপনাকে এ বংশে পয়দা করেছেন। কিন্তু আমাদের ভাই বনু মুত্তালিবের অবস্থা কী যে, আপনি তাদের অংশ দিলেন অথচ আমাদের দিলেন না? তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ আমি এবং বনু মুত্তালিব জাহিলীয়াতের যুগে এবং ইসলামের যুগে বিছিন্ন হই নি। বরং আমরা এবং তারা একই। অতঃপর তিনি তার এক হাতের আঙ্গুল অন্য হাতের আঙ্গুলে প্রবেশ করিয়ে দিয়ে বললেনঃ আমরা এবং তারা তো এভাবে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।
كتاب الخراج والإمارة والفىء
باب فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، أَخْبَرَنِي جُبَيْرُ بْنُ مُطْعِمٍ، قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ خَيْبَرَ وَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَهْمَ ذِي الْقُرْبَى فِي بَنِي هَاشِمٍ وَبَنِي الْمُطَّلِبِ وَتَرَكَ بَنِي نَوْفَلٍ وَبَنِي عَبْدِ شَمْسٍ فَانْطَلَقْتُ أَنَا وَعُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ حَتَّى أَتَيْنَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ هَؤُلاَءِ بَنُو هَاشِمٍ لاَ نُنْكِرُ فَضْلَهُمْ لِلْمَوْضِعِ الَّذِي وَضَعَكَ اللَّهُ بِهِ مِنْهُمْ فَمَا بَالُ إِخْوَانِنَا بَنِي الْمُطَّلِبِ أَعْطَيْتَهُمْ وَتَرَكْتَنَا وَقَرَابَتُنَا وَاحِدَةٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَنَا وَبَنُو الْمُطَّلِبِ لاَ نَفْتَرِقُ فِي جَاهِلِيَّةٍ وَلاَ إِسْلاَمٍ وَإِنَّمَا نَحْنُ وَهُمْ شَىْءٌ وَاحِدٌ " . وَشَبَّكَ بَيْنَ أَصَابِعِهِ .
হাদীস নং: ২৯৭১
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৮১
কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
১৫৮. ঐ পঞ্চমাংশ, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গনিমতের মাল হতে নিতেন, কোথায় কোথায় তা বন্টন করতেন এবং নিকটাত্নীয়দের হক সম্পর্কে।
২৯৭১. হুসাইন ইবনে আলী আজালী (রাহঃ) ..... হাসান ইবনে সালিহ সুদ্দী সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ (কুরআনে বর্ণিত) নিকটাত্মীয় [১] হলো বনু আব্দুল মুওালিব।

[১] রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর।
كتاب الخراج والإمارة والفىء
باب فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ الْعِجْلِيُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ صَالِحٍ، عَنِ السُّدِّيِّ، فِي ذِي الْقُرْبَى قَالَ هُمْ بَنُو عَبْدِ الْمُطَّلِبِ .
tahqiq

তাহকীক:

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২৯৭২
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৮২
কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
১৫৮. ঐ পঞ্চমাংশ, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গনিমতের মাল হতে নিতেন, কোথায় কোথায় তা বন্টন করতেন এবং নিকটাত্নীয়দের হক সম্পর্কে।
২৯৭২. আহমদ ইবনে সালিহ (রাহঃ) .... ইয়াযীদ ইবনে হুরমুয (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নাজদা-হারুরী ইবনে জুবাইরের ফিতনার (শাহাদাতের) বছর হজ্জ শেষে এক ব্যক্তিকে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-এর কাছে নিকটাত্মীয়দের প্রাপ্য অংশের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করার জন্য প্রেরণ করেন যে, এদের ব্যাপারে তাঁর অভিমত কী? তিনি বলেনঃ যাবিল-কুরবা বা নিকটাত্মীয়ের অর্থ হলো, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর আপন জনেরা, যাদের রাসূলুল্লাহ (ﷺ) স্বয়ং অংশ প্রদান করেছিলেন। আর উমর (রাযিঃ) আমাদেরকে তা হতে অংশ প্রদান করেছিলেন। কিন্তু আমরা তাকে আমাদের প্রাপ্য অংশ হতে কম মনে করে ফিরিয়ে দেই এবং আমরা তা গ্রহণে অসম্মতি প্রকাশ করি।
كتاب الخراج والإمارة والفىء
باب فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي يَزِيدُ بْنُ هُرْمُزَ، أَنَّ نَجْدَةَ الْحَرُورِيَّ، حِينَ حَجَّ فِي فِتْنَةِ ابْنِ الزُّبَيْرِ أَرْسَلَ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ يَسْأَلُهُ عَنْ سَهْمِ ذِي الْقُرْبَى وَيَقُولُ لِمَنْ تَرَاهُ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ لِقُرْبَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَسَمَهُ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ كَانَ عُمَرُ عَرَضَ عَلَيْنَا مِنْ ذَلِكَ عَرْضًا رَأَيْنَاهُ دُونَ حَقِّنَا فَرَدَدْنَاهُ عَلَيْهِ وَأَبَيْنَا أَنْ نَقْبَلَهُ .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৯৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৮৩
কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
১৫৮. ঐ পঞ্চমাংশ, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গনিমতের মাল হতে নিতেন, কোথায় কোথায় তা বন্টন করতেন এবং নিকটাত্নীয়দের হক সম্পর্কে।
২৯৭৩. আব্বাস ইবনে আব্দুল আযীম (রাহঃ) ..... আব্দুর রহমান ইবনে আবু লায়লা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আলী (রাযিঃ)-কে এরূপ বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে ’খুমুস’-এর ’খুমুস’ অংশে মুতাওয়ালী বানান, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর জীবদ্দশায় তাঁর খাস ব্যক্তিদের জন্য ব্যয় করতেন। আর এ ভাবেই আমি সে মাল আবু বকর (রাযিঃ) এবং উমর (রাযিঃ)-এর খিলাফত আমল পর্যন্ত খরচ করতে থাকি।

এরপর উমর (রাযিঃ)-এর শাসনামলে তাঁর নিকট কিছু মাল আসে, তখন তিনি আমাকে বলেনঃ তুমি এই মাল গ্রহণ কর। আমি বলিঃ আমি এটা গ্রহণ করতে চাই না। তখন তিনি পুনরায় বলেনঃ তুমি এটা গ্রহণ কর। কেননা, তুমিই এর যোগ্য পাত্র। তখন আমি বলিঃ এতে আমার কোন প্রয়োজন নেই। অবশেষে উমর (রাযিঃ) সে মাল বায়তুল মালে জমা দিয়ে দেন।
كتاب الخراج والإمارة والفىء
باب فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا عَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ الرَّازِيُّ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، قَالَ سَمِعْتُ عَلِيًّا، يَقُولُ وَلاَّنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خُمُسَ الْخُمُسِ فَوَضَعْتُهُ مَوَاضِعَهُ حَيَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَحَيَاةَ أَبِي بَكْرٍ وَحَيَاةَ عُمَرَ فَأُتِيَ بِمَالٍ فَدَعَانِي فَقَالَ خُذْهُ . فَقُلْتُ لاَ أُرِيدُهُ . قَالَ خُذْهُ فَأَنْتُمْ أَحَقُّ بِهِ . قُلْتُ قَدِ اسْتَغْنَيْنَا عَنْهُ فَجَعَلَهُ فِي بَيْتِ الْمَالِ .
হাদীস নং: ২৯৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৮৪
কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
১৫৮. ঐ পঞ্চমাংশ, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গনিমতের মাল হতে নিতেন, কোথায় কোথায় তা বন্টন করতেন এবং নিকটাত্নীয়দের হক সম্পর্কে।
২৯৭৪. উসমান ইবনে আবী শায়বা (রাহঃ) ..... আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমি, আব্বাস (রাযিঃ), ফাতিমা এবং যায়দ ইবনে হারিছা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন আমি বলিঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! যদি আপনি ভাল মনে করেন, তবে আল্লাহর কিতাবের নির্দেশ অনুযায়ী ’খুমুস’ হতে আমাদের প্রাপ্য অংশটি আমার ইখতিয়ারে দিয়ে দিন, যাতে আমি তা আপনার জীবদ্দশায় বণ্টন করে দিতে পারি এবং আপনার ইন্তিকালের পর আমাদের কেউ যেন আমার সঙ্গে ঝগড়া করতে না পারে।

আলী (রাযিঃ) বলেনঃ তখন তিনি এরূপ করেন। অতঃপর আলী (রাযিঃ) বলেনঃ তখন আমি তা (খুমুস) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর জীবদ্দশায় বণ্টন করে দেই। এরপর আবু বকর (রাযিঃ)-ও আমাকে ইখতিয়ার প্রদান করেন। অবশেষে উমর (রাযিঃ)-এর খিলাফতের শেষ বর্ষ যখন আসে, তখন তাঁর নিকট অনেক ধন-সম্পদ আসে। তিনি আমাদের হক আলাদা করে রাখেন এবং আমাকে ডেকে নেন। তখন আমি বলিঃ এ বছরে আমাদের ধন-সম্পদের কোন প্রয়োজন নেই, আর সাধারণ মুসলমানদের প্রয়োজন আছে কাজেই আপনি এটা তাদের দিয়ে দিন।

তখন উমর (রাযিঃ) সে সম্পদ মুসলমানদের মাঝে বণ্টন করে দেন। উমর (রাযিঃ)-এর পরে কেউ আমাকে এ মাল গ্রহণের জন্য আহবান করেনি। আমি উমর (রাযিঃ)-এর নিকট হতে ফিরে এসে আব্বাস (রাযিঃ)-এর সঙ্গে সাক্ষাত করি। তখন তিনি বলেনঃ হে আলী! তুমি তো আগামীকাল হতে আমাদের বঞ্চিত করে দিলে। এখন আমরা আর কিছুই পাব না। আর আব্বাস (রাযিঃ) ছিলেন খুবই জ্ঞানী লোক।
كتاب الخراج والإمارة والفىء
باب فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْبَرِيدِ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ مَيْمُونٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، قَالَ سَمِعْتُ عَلِيًّا، عَلَيْهِ السَّلاَمُ يَقُولُ اجْتَمَعْتُ أَنَا وَالْعَبَّاسُ، وَفَاطِمَةُ، وَزَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ، عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ رَأَيْتَ أَنْ تُوَلِّيَنِي حَقَّنَا مِنْ هَذَا الْخُمُسِ فِي كِتَابِ اللَّهِ فَأَقْسِمَهُ حَيَاتَكَ كَىْ لاَ يُنَازِعَنِي أَحَدٌ بَعْدَكَ فَافْعَلْ . قَالَ فَفَعَلَ ذَلِكَ - قَالَ - فَقَسَمْتُهُ حَيَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ وَلاَّنِيهِ أَبُو بَكْرٍ رضى الله عنه حَتَّى إِذَا كَانَتْ آخِرُ سَنَةٍ مِنْ سِنِي عُمَرَ رضى الله عنه فَإِنَّهُ أَتَاهُ مَالٌ كَثِيرٌ فَعَزَلَ حَقَّنَا ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَىَّ فَقُلْتُ بِنَا عَنْهُ الْعَامَ غِنًى وَبِالْمُسْلِمِينَ إِلَيْهِ حَاجَةٌ فَارْدُدْهُ عَلَيْهِمْ فَرَدَّهُ عَلَيْهِمْ ثُمَّ لَمْ يَدْعُنِي إِلَيْهِ أَحَدٌ بَعْدَ عُمَرَ فَلَقِيتُ الْعَبَّاسَ بَعْدَ مَا خَرَجْتُ مِنْ عِنْدِ عُمَرَ فَقَالَ يَا عَلِيُّ حَرَمْتَنَا الْغَدَاةَ شَيْئًا لاَ يُرَدُّ عَلَيْنَا أَبَدًا وَكَانَ رَجُلاً دَاهِيًا .
হাদীস নং: ২৯৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৮৫
কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
১৫৮. ঐ পঞ্চমাংশ, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গনিমতের মাল হতে নিতেন, কোথায় কোথায় তা বন্টন করতেন এবং নিকটাত্নীয়দের হক সম্পর্কে।
২৯৭৫. আহমদ ইবনে সালিহ (রাহঃ) ..... আব্দুল মুত্তালিব ইবনে রাবী’আ ইবনে হারিছ ইবনে আব্দিল মুত্তালিব (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ তাঁর পিতা রাবী’আ ইবনে হারিছ এবং আব্বাস ইবনে আব্দিল মুত্তালিব, আব্দুল মুত্তালিব ইবনে রাবী’আ এবং ফযল ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-কে বলেন যে, তোমরা উভয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট হাযির হয়ে বলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের বয়স হয়েছে, সে সম্পর্কে তো আপনি অবহিত। আমরা বিবাহ করতে ইচ্ছুক।

আর হে আল্লাহর রাসূল! আপনি তো সকলের চাইতে অধিক নেককার ও পরোপকারী। আমাদের পিতার কাছে আমাদের বিবাহের দেনমোহর পরিশোধের মত অর্থ নেই। তাই আপনি আমাদের সাদ্‌কা আদায়ের অফিসার হিসাবে নিয়োগ করুন। অন্য অফিসাররা যা দিয়ে থাকে, আমরাও আপনাকে তা দেব এবং তার মুনাফা আমরা গ্রহণ করব।

রাবী বলেনঃ এ সময় আলী (রাযিঃ) সেখানে আসেন। আমরা যখন এ অবস্থায় ছিলাম, তখন আলী (রাযিঃ) আমাদেরকে বলেনঃ আল্লাহর শপথ করে বলি যে, নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তোমাদের কাউকেও সাদ্‌কা আদায়ের অফিসার নিয়োগ করবেন না। তখন রাবী’আ বলেনঃ এতো আপনি নিজের পক্ষ থেকে বলছেন। আপনি তো রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জামাতা হয়েছেন, এতে আমরা আপনার প্রতি ঈর্ষান্বিত নই। তখন আলী (রাযিঃ) তাঁর চাদর বিছিয়ে সেখানে শুয়ে পড়েন এবং বলেনঃ আমি আবুল হাসান, সকলের চাইতে জ্ঞানী। আল্লাহর শপথ! আমি এ স্থান পরিত্যাগ করব না যতক্ষণ না তোমাদের সন্তানেরা ঐ কাজ হতে বঞ্চিত হয়ে ফিরে আসে, যার জন্য তোমরা তাদের নবী (ﷺ)-এর নিকট প্রেরণ করেছ।

আব্দুল মুত্তালিব (রাযিঃ) বলেনঃ আমি এবং ফযল ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) যখন তাঁর নিকটে পৌছাই, তখন যোহরের নামাযের তাকবীর শুরু হয়ে যায়। তখন আমরা লোকদের সাথে (জামাআতে) নামায আদায় করি। অতঃপর আমি এবং ফযল দ্রুত নবী (ﷺ)-এর হুজরার দিকে ধাবমান হই। এদিন তিনি যয়নাব বিনতে জাহশ (রাযিঃ)-এর ঘরে অবস্থান করছিলেন। আমরা দরওয়াযার নিকট দাঁড়ালে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বাইরে এসে (স্নেহবশত) আমার ও ফযলের কান ধরে বললেনঃ বল তোমরা কি বলতে চাচ্ছ।

অতঃপর তিনি হুজরার মাঝে ফিরে যান এবং আমাকে ও ফযলকে ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেন। তখন আমরা ভিতরে প্রবেশ করি এবং একে অন্যকে কথা শুরু করার জন্য বলতে থাকি। অবশেষে আমি কথা শুরু করি অথবা ফযল শুরু করে। রাবী আব্দুলাহ (রাযিঃ) এ ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। আব্দুল মুত্তালিব ইবনে রাবী’আ বলেনঃ তখন ফযল ঐ কথা পেশ করেন, যা বলার জন্য আমাদের পিতা আমাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) চুপ থাকেন এবং তাঁর দৃষ্টি ছাদের প্রতি নিবদ্ধ করেন। এভাবে অনেক সময় অতিবাহিত হওয়ায় আমরা মনে করি যে, তিনি এখন কোন জওয়াব দিবেন না। এ সময় আমরা লক্ষ্য করি যে, যয়নাব পর্দার পিছন হতে হাতের ইশারায় আমাদের বলছেন যে, আমরা যেন ব্যস্ত না হই। কেননা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের ব্যাপারে চিন্তা করছিলেন।

অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মাথা নীচু করে আমাদের বললেনঃ এ সাদ্‌কা তো মানুষের ময়লা-আবর্জনা (অর্থাৎ মালের ময়লা), যা মুহাম্মাদ এবং তাঁর পরিবার-পরিজনদের জন্য হালাল নয়।[১] তোমরা নওফল ইবনে হারিছকে আমার কাছে ডেকে আন। তখন তাঁকে তাঁর নিকট ডেকে আনা হয়। তিনি তাকে বলেনঃ হে নওফল! তুমি আব্দুল মুত্তালিবকে তোমার মেয়ের সাথে বিয়ে দাও। তখন নওফল তার মেয়েকে আমার সাথে বিবাহ দেন।

অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ তোমরা মুহমিয়্যা ইবনে জাযাকে আমার কাছে ডেকে আন, যিনি ছিলেন যুবায়দ গোত্রের লোক। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে মালে-গনিমতের খুমুস (এক-পঞ্চমাংশ) আদায়ের জন্য নিয়োগ করেন। (মুহমিয়্যা আসলে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে বললেনঃ তুমি তোমার (মেয়ের সাথে) ফযলের বিয়ে দাও। তখন তিনি বিবাহ দিয়ে দেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ তুমি দাঁড়াও এবং খুমুস হতে এ পরিমাণ, এ পরিমাণ সস্পদ মোহর বাবদ দিয়ে দাও। (রাবী বলেন) আব্দুল্লাহ ইবনে হারিছ (রাযিঃ) আমার নিকট মোহরের পরিমাণ উল্লেখ করেননি।

[১] অর্থাৎ বনু হাশিমদের জন্য সাদাকার মাল খাওয়া বৈধ নয়।
كتاب الخراج والإمارة والفىء
باب فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ الْهَاشِمِيُّ، أَنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ بْنَ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَاهُ رَبِيعَةَ بْنَ الْحَارِثِ وَعَبَّاسَ بْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ قَالاَ لِعَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ رَبِيعَةَ وَلِلْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ ائْتِيَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُولاَ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ بَلَغْنَا مِنَ السِّنِّ مَا تَرَى وَأَحْبَبْنَا أَنْ نَتَزَوَّجَ وَأَنْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَبَرُّ النَّاسِ وَأَوْصَلُهُمْ وَلَيْسَ عِنْدَ أَبَوَيْنَا مَا يُصْدِقَانِ عَنَّا فَاسْتَعْمِلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ عَلَى الصَّدَقَاتِ فَلْنُؤَدِّ إِلَيْكَ مَا يُؤَدِّي الْعُمَّالُ وَلْنُصِبْ مَا كَانَ فِيهَا مِنْ مِرْفَقٍ . قَالَ فَأَتَى إِلَيْنَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَنَحْنُ عَلَى تِلْكَ الْحَالِ فَقَالَ لَنَا إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ وَاللَّهِ لاَ نَسْتَعْمِلُ مِنْكُمْ أَحَدًا عَلَى الصَّدَقَةِ " . فَقَالَ لَهُ رَبِيعَةُ هَذَا مِنْ أَمْرِكَ قَدْ نِلْتَ صِهْرَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ نَحْسُدْكَ عَلَيْهِ . فَأَلْقَى عَلِيٌّ رِدَاءَهُ ثُمَّ اضْطَجَعَ عَلَيْهِ فَقَالَ أَنَا أَبُو حَسَنٍ الْقَرْمُ وَاللَّهِ لاَ أَرِيمُ حَتَّى يَرْجِعَ إِلَيْكُمَا ابْنَاكُمَا بِجَوَابِ مَا بَعَثْتُمَا بِهِ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ فَانْطَلَقْتُ أَنَا وَالْفَضْلُ إِلَى بَابِ حُجْرَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى نُوَافِقَ صَلاَةَ الظُّهْرِ قَدْ قَامَتْ فَصَلَّيْنَا مَعَ النَّاسِ ثُمَّ أَسْرَعْتُ أَنَا وَالْفَضْلُ إِلَى بَابِ حُجْرَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَوْمَئِذٍ عِنْدَ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ فَقُمْنَا بِالْبَابِ حَتَّى أَتَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخَذَ بِأُذُنِي وَأُذُنِ الْفَضْلِ ثُمَّ قَالَ أَخْرِجَا مَا تُصَرِّرَانِ ثُمَّ دَخَلَ فَأَذِنَ لِي وَلِلْفَضْلِ فَدَخَلْنَا فَتَوَاكَلْنَا الْكَلاَمَ قَلِيلاً ثُمَّ كَلَّمْتُهُ أَوْ كَلَّمَهُ الْفَضْلُ - قَدْ شَكَّ فِي ذَلِكَ عَبْدُ اللَّهِ - قَالَ كَلَّمَهُ بِالأَمْرِ الَّذِي أَمَرَنَا بِهِ أَبَوَانَا فَسَكَتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَاعَةً وَرَفَعَ بَصَرَهُ قِبَلَ سَقْفِ الْبَيْتِ حَتَّى طَالَ عَلَيْنَا أَنَّهُ لاَ يَرْجِعُ إِلَيْنَا شَيْئًا حَتَّى رَأَيْنَا زَيْنَبَ تَلْمَعُ مِنْ وَرَاءِ الْحِجَابِ بِيَدِهَا تُرِيدُ أَنْ لاَ تَعْجَلاَ وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي أَمْرِنَا ثُمَّ خَفَّضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَأْسَهُ فَقَالَ لَنَا " إِنَّ هَذِهِ الصَّدَقَةَ إِنَّمَا هِيَ أَوْسَاخُ النَّاسِ وَإِنَّهَا لاَ تَحِلُّ لِمُحَمَّدٍ وَلاَ لآلِ مُحَمَّدٍ ادْعُوا لِي نَوْفَلَ بْنَ الْحَارِثِ " . فَدُعِيَ لَهُ نَوْفَلُ بْنُ الْحَارِثِ فَقَالَ " يَا نَوْفَلُ أَنْكِحْ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ " . فَأَنْكَحَنِي نَوْفَلٌ ثُمَّ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " ادْعُوا لِي مَحْمِيَةَ بْنَ جَزْءٍ " . وَهُوَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي زُبَيْدٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اسْتَعْمَلَهُ عَلَى الأَخْمَاسِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِمَحْمِيَةَ " أَنْكِحِ الْفَضْلَ " . فَأَنْكَحَهُ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " قُمْ فَأَصْدِقْ عَنْهُمَا مِنَ الْخُمُسِ كَذَا وَكَذَا " . لَمْ يُسَمِّهِ لِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ .
হাদীস নং: ২৯৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৮৬
কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
১৫৮. ঐ পঞ্চমাংশ, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গনিমতের মাল হতে নিতেন, কোথায় কোথায় তা বন্টন করতেন এবং নিকটাত্নীয়দের হক সম্পর্কে।
২৯৭৬. আহমদ ইবনে সালিহ (রাহঃ) .... আলী ইবনে আবী তালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ বদর যুদ্ধের গনিমতের মাল হতে আমার ভাগে একটা মোটাতাজা উট পড়ে। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খুমুস হতেও আমাকে একটি হৃষ্টপুষ্ট উট প্রদান করেন। অতঃপর আমি যখন ফাতিমা (রাযিঃ) এর সঙ্গে বাসর যাপনের ইচ্ছা করি, তখন আমি একজন কর্মকারের সাথে, যিনি বনু কায়নুকার অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, এ ওয়াদা করি যে, সে আমার সাথে যাবে এবং আমি তার কাছে ইযখির (এক ধরনের সুগন্ধ যুক্ত ঘাস) বিক্রয় করব, যাতে আমি আমার নব-পরিণীতা স্ত্রীর ওয়ালীমার ব্যবস্থা করতে পারি।

বস্তুত এ উদ্দেশ্যে যখন আমি আমার উটের জন্য পালান, ঘাস ও রশির যোগাড়ে ব্যস্ত ছিলাম, তখন আমার উট দুটি এক আনসার সাহাবীর হুজরার পাশে বসা ছিল। এরপর এদের জন্য যা প্রয়োজন ছিল, তা সংগ্রহ করে যখন আমি ফিরে আসি, তখন দেখি যে, তাদের কুঁজ কেটে ফেলা হয়েছে, কোমর ফেড়ে ফেলা হয়েছে এবং কলিজা বের করা হয়েছে। এ অবস্থা দেখে আমি আমার অশ্রু সম্বরণ করতে অক্ষম হই।

তখন আমি জিজ্ঞাসা করিঃ এ কাজ কে করলো? তখন লোকেরা বললোঃ হামযা ইবনে আব্দিল মুত্তালিব এ কাজ করেছে। যিনি কয়েকজন আনসার সাহাবীর সঙ্গে এ ঘরে আছেন, যারা শরাব পান করেছেন[১] এবং জনৈকা গায়িকা তাঁর ও তাঁর সাথীদের সামনে এরূপ গান গাইছেঃ

’’হে হামযা! উঠ, এবং যে মোটাতাজা উট উঠানে বাধা আছে, ওর হলকুমে ছুরি চালিয়ে ওকে হত্যা করে ফেল এবং ওর পবিত্র অংশ (অর্থাৎ কুঁজ ও কলিজা) ডেগে পাকিয়ে বা ভুনা করে শরাব পানকারীদের জন্য জলদি তৈরী করে দাও।”

হামযা এ গান শুনে তখনই তরবারি দিয়ে ওদের কুঁজ কেটেছে এবং ওদের পেট ফেড়ে ওদের কলিজা বের করে ফেলেছে। আলী (রাযিঃ) বলেনঃ এ খবর জেনে আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট হাযির হই। তখন যায়দ ইবনে হারিছা (রাযিঃ) সেখানে উপস্থিত ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার চেহারা দেখে আমার অবস্থা বুঝতে পারেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করেনঃ তোমার কি হয়েছে? তিনি বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আজকের মত কোন অবস্থা আমার জীবনে আর আসেনি। হামযা আমার উটের উপর এরূপ অত্যাচার করেছে যে, ওদের কুঁজ ফেড়ে ফেলেছে এবং পেট কেটে ফেলেছে। আর সে শরাবীদের সাথে এ ঘরে উপস্থিত আছে।

তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর চাদর চান এবং তা গায়ে চড়িয়ে রওয়ানা হন। আমি এবং যায়দ ইবনে হারিছা তাঁর অনুসরণ করতে থাকি। অবশেষে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সেই ঘরের কাছে পৌঁছান, যেখানে হামযা (রাযিঃ) ছিলেন। তিনি সেখানে প্রবেশের জন্য অনুমতি চাইলে তাঁকে অনুমতি দেওয়া হয়। তিনি ভিতরে ঢুকে দেখতে পান যে, সবাই শরাব পান করে মাতাল অবস্থায় আছে।

তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হামযাকে এ কাজের জন্য ভর্ৎসনা করতে থাকেন। তিনি দেখতে পান যে, সে নেশায় বুঁদ হয়ে আছে এবং তার দুটি চোখ নেশাগ্রস্ত হওয়ার কারণে লাল হয়ে গেছে। হামযা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর দিকে চেয়ে দেখেন, তারপর চোখ উঠিয়ে তাঁর নাভির প্রতি দৃষ্টিপাত করেন। সবশেষে চোখ উঠিয়ে তাঁর চেহারার প্রতি তাকান এবং বলেনঃ তোমরা তো আমার বাবার গোলাম মাত্র।[২] এ অবস্থা দেখে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অনুধাবন করতে পারেন যে, হামযা নেশায় বুঁদ হয়ে আছে। সুতরাং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সেখান হতে পেছনে ফিরে আসেন এবং আমরাও তাঁর সঙ্গে বেরিয়ে আসি।

[১] এ সময় শরাব পান হারাম হয়ান।
[২] কেননা, হামযা (রাযিঃ) ছিলেন আব্দুল মুত্তালিবের পুত্র, যিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও আলী (রাযিঃ)-এর দাদা ছিলেন । আর হারিছ ছিলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর গোলাম। এজন্য হামযা (রাযিঃ) এরূপ উক্তি করেন।
ভিন্নমতে, আরবের রীতি অনুযায়ী দাদাকে সায়্যেদ বলা হতো। এদিক হতে হামযা (রাযিঃ) শরাবে বুঁদ হয়ে থাকার কারণে সকলকে আমার বাবার গোলাম হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
كتاب الخراج والإمارة والفىء
باب فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ، أَنَّ حُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ قَالَ كَانَتْ لِي شَارِفٌ مِنْ نَصِيبِي مِنَ الْمَغْنَمِ يَوْمَ بَدْرٍ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَعْطَانِي شَارِفًا مِنَ الْخُمُسِ يَوْمَئِذٍ فَلَمَّا أَرَدْتُ أَنْ أَبْنِيَ بِفَاطِمَةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاعَدْتُ رَجُلاً صَوَّاغًا مِنْ بَنِي قَيْنُقَاعَ أَنْ يَرْتَحِلَ مَعِي فَنَأْتِيَ بِإِذْخِرٍ أَرَدْتُ أَنْ أَبِيعَهُ مِنَ الصَّوَّاغِينَ فَأَسْتَعِينَ بِهِ فِي وَلِيمَةِ عُرْسِي فَبَيْنَا أَنَا أَجْمَعُ لِشَارِفَىَّ مَتَاعًا مِنَ الأَقْتَابِ وَالْغَرَائِرِ وَالْحِبَالِ - وَشَارِفَاىَ مُنَاخَانِ إِلَى جَنْبِ حُجْرَةِ رَجُلٍ مِنَ الأَنْصَارِ - أَقْبَلْتُ حِينَ جَمَعْتُ مَا جَمَعْتُ فَإِذَا بِشَارِفَىَّ قَدِ اجْتُبَّتْ أَسْنِمَتُهُمَا وَبُقِرَتْ خَوَاصِرُهُمَا وَأُخِذَ مِنْ أَكْبَادِهِمَا فَلَمْ أَمْلِكْ عَيْنَىَّ حِينَ رَأَيْتُ ذَلِكَ الْمَنْظَرَ فَقُلْتُ مَنْ فَعَلَ هَذَا قَالُوا فَعَلَهُ حَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَهُوَ فِي هَذَا الْبَيْتِ فِي شَرْبٍ مِنَ الأَنْصَارِ غَنَّتْهُ قَيْنَةٌ وَأَصْحَابَهُ فَقَالَتْ فِي غِنَائِهَا أَلاَ يَا حَمْزُ لِلشُّرُفِ النِّوَاءِ فَوَثَبَ إِلَى السَّيْفِ فَاجْتَبَّ أَسْنِمَتَهُمَا وَبَقَرَ خَوَاصِرَهُمَا وَأَخَذَ مِنْ أَكْبَادِهِمَا . قَالَ عَلِيٌّ فَانْطَلَقْتُ حَتَّى أَدْخُلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعِنْدَهُ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ قَالَ فَعَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الَّذِي لَقِيتُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا لَكَ " . قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا رَأَيْتُ كَالْيَوْمِ عَدَا حَمْزَةُ عَلَى نَاقَتَىَّ فَاجْتَبَّ أَسْنِمَتَهُمَا وَبَقَرَ خَوَاصِرَهُمَا وَهَا هُوَ ذَا فِي بَيْتٍ مَعَهُ شَرْبٌ فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِرِدَائِهِ فَارْتَدَاهُ ثُمَّ انْطَلَقَ يَمْشِي وَاتَّبَعْتُهُ أَنَا وَزَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ حَتَّى جَاءَ الْبَيْتَ الَّذِي فِيهِ حَمْزَةُ فَاسْتَأْذَنَ فَأُذِنَ لَهُ فَإِذَا هُمْ شَرْبٌ فَطَفِقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَلُومُ حَمْزَةَ فِيمَا فَعَلَ فَإِذَا حَمْزَةُ ثَمِلٌ مُحْمَرَّةٌ عَيْنَاهُ فَنَظَرَ حَمْزَةُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ صَعَّدَ النَّظَرَ فَنَظَرَ إِلَى رُكْبَتَيْهِ ثُمَّ صَعَّدَ النَّظَرَ فَنَظَرَ إِلَى سُرَّتِهِ ثُمَّ صَعَّدَ النَّظَرَ فَنَظَرَ إِلَى وَجْهِهِ ثُمَّ قَالَ حَمْزَةُ وَهَلْ أَنْتُمْ إِلاَّ عَبِيدٌ لأَبِي فَعَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ ثَمِلٌ فَنَكَصَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى عَقِبَيْهِ الْقَهْقَرَى فَخَرَجَ وَخَرَجْنَا مَعَهُ .
হাদীস নং: ২৯৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৮৭
কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
১৫৮. ঐ পঞ্চমাংশ, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গনিমতের মাল হতে নিতেন, কোথায় কোথায় তা বন্টন করতেন এবং নিকটাত্নীয়দের হক সম্পর্কে।
২৯৭৭. আহমদ ইবনে সালিহ (রাহঃ) ..... ফযল ইবনে হাসান যামরী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যুবাইর ইবনে আব্দিল মুত্তালিবের দুই কন্যা উম্মু হাকাম অথবা যুবা’আ হতে একজন এ বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে কিছু যুদ্ধবন্দী আসে। তখন আমি, আমার বোন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কন্যা ফাতিমা (রাযিঃ) তাঁর নিকট উপস্থিত হয়ে আমাদের দরিদ্রতার অভিযোগ করি, যাতে আমরা ছিলাম। আর আমরা তাঁর নিকট এ দরখাস্ত করি যে, তিনি যেন আমাদের কিছু বাঁদী (দাস-দাসী) প্রদান করেন।

তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ তোমাদের চাইতে ঐ সব ইয়াতীম মেয়েরা অধিক হকদার, যাদের পিতা বদর যুদ্ধে শহীদ হয়েছে। তবে আমি তোমাদের এর চাইতে উত্তম জিনিস বলে দিচ্ছি, যা তোমাদের জন্য কল্যাণকর হবে। তোমরা প্রত্যেক নামাযের পর ৩৩ বার আল্লাহু আকবার, ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ এবং ৩৩ বার আল-হামদু লিল্লাহ পাঠ করবে এবং একবার পড়বেঃ

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ

অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই, তিনি একক, অদ্বিতীয়। তারই রাজত্ব বিশ্বব্যাপী, সব প্রশংসা তারই এবং তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।

রাবী আয়্যাশ (রাহঃ) বলেনঃ উম্মু হাকাম ও যুবা’আ উভয়েই ছিলেন নবী (ﷺ)-এর চাচাতো বোন।
كتاب الخراج والإمارة والفىء
باب فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي عَيَّاشُ بْنُ عُقْبَةَ الْحَضْرَمِيُّ، عَنِ الْفَضْلِ بْنِ الْحَسَنِ الضَّمْرِيِّ، أَنَّ أُمَّ الْحَكَمِ، أَوْ ضُبَاعَةَ ابْنَتَىِ الزُّبَيْرِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ حَدَّثَتْهُ عَنْ إِحْدَاهُمَا أَنَّهَا قَالَتْ أَصَابَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَبْيًا فَذَهَبْتُ أَنَا وَأُخْتِي وَفَاطِمَةُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَشَكَوْنَا إِلَيْهِ مَا نَحْنُ فِيهِ وَسَأَلْنَاهُ أَنْ يَأْمُرَ لَنَا بِشَىْءٍ مِنَ السَّبْىِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " سَبَقَكُنَّ يَتَامَى بَدْرٍ لَكِنْ سَأَدُلُّكُنَّ عَلَى مَا هُوَ خَيْرٌ لَكُنَّ مِنْ ذَلِكَ تُكَبِّرْنَ اللَّهَ عَلَى أَثَرِ كُلِّ صَلاَةٍ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ تَكْبِيرَةً وَثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ تَسْبِيحَةً وَثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ تَحْمِيدَةً وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ " . قَالَ عَيَّاشٌ وَهُمَا ابْنَتَا عَمِّ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৯৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৮৮
কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
১৫৮. ঐ পঞ্চমাংশ, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গনিমতের মাল হতে নিতেন, কোথায় কোথায় তা বন্টন করতেন এবং নিকটাত্নীয়দের হক সম্পর্কে।
২৯৭৮. ইয়াহয়া ইবনে খালাফ (রাহঃ) .... ইবনে আ’বূদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আলী (রাযিঃ) আমাকে বলেন যে, আমি কি তোমাকে আমার ও রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর প্রিয়পাত্রী ফাতিমা (রাযিঃ) সম্পর্কে কিছু বলব না? তখন আমি বলিঃ হ্যাঁ অবশ্যই। তিনি বলেনঃ তার (ফাতিমার) হাতে যাতা পেষার কারণে ফোসকা পড়ে গেছে। আর কূপ থেকে মশকে পানি উঠাবার কারণে তাঁর বুকে ব্যথা অনুভূত হচ্ছে এবং ঘর ঝাড়ু দেওয়ার কারণে তাঁর সমস্ত কাপড়-চোপড় নোংরা হয়ে গিয়েছে। কেননা ঘরের সব কাজ একাই করে থাকেন। আর তাঁর কোন দাস-দাসী ছিল না। একবার নবী (ﷺ) এর নিকট কিছু গোলাম আসে। তখন আমি তাকে বলিঃ যদি তুমি তোমার পিতার নিকট উপস্থিত হয়ে গোলাম চাইতে, (তবে ভাল হতো)।

তখন তিনি ফাতিমা (রাযিঃ) তাঁর নিকট গমন করেন। কিন্তু তিনি তাঁর সঙ্গে অন্য ক’জন ব্যক্তিকে আলাপ করতে দেখে ফিরে আসেন। পরদিন আবার তিনি তাঁর নিকট উপস্থিত হলে তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ তোমার কিসের প্রয়োজন? এতে তিনি চুপ করে থাকলে আমি বলিঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আপনাকে বলছি যে, যাঁতা পিষতে পিষতে তাঁর হাতে ফোসকা পড়ে গেছে। আর পানির মশক ভরতে ভরতে তার বুক ব্যথা হয়ে গেছে। এখন যখন আপনার নিকট কিছু খাদিম এসেছে, তখন আমিই তাঁকে বলিঃ তিনি যেন আপনার নিকট হাযির হয়ে একজন দাসের জন্য আব্দার করেন, যাতে তিনি এ কষ্ট হতে রেহাই পান।

তখন তিনি বলেনঃ হে ফাতিমা! আল্লাহকে ভয় কর এবং স্বীয় রবের ফরয হুকুম আদায় কর এবং নিজের ঘরের কাজ নিজেই কর। আর (দিন শেষে) যখন বিছানায় যাবে, তখন ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আল-হামদুলিল্লাহ এবং ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পড়বে। যার সর্বমোট সংখ্যা হলো ১০০ বার। বস্তুত তোমার জন্য এই তাসবীহ খাদিমের চাইতেও উত্তম। তিনি (ফাতিমা) বলেনঃ আমি আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের উপর রাযী এবং খুশী (অর্থাৎ আমাকে যে হুকুম দেওয়া হয়েছে, তাতে আমি রাযী আছি)।
كتاب الخراج والإمارة والفىء
باب فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ سَعِيدٍ، - يَعْنِي الْجُرَيْرِيَّ - عَنْ أَبِي الْوَرْدِ، عَنِ ابْنِ أَعْبُدَ، قَالَ قَالَ لِي عَلِيٌّ رضى الله عنه أَلاَ أُحَدِّثُكَ عَنِّي وَعَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَتْ مِنْ أَحَبِّ أَهْلِهِ إِلَيْهِ قُلْتُ بَلَى . قَالَ إِنَّهَا جَرَّتْ بِالرَّحَى حَتَّى أَثَّرَ فِي يَدِهَا وَاسْتَقَتْ بِالْقِرْبَةِ حَتَّى أَثَّرَ فِي نَحْرِهَا وَكَنَسَتِ الْبَيْتَ حَتَّى اغْبَرَّتْ ثِيَابُهَا فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَدَمٌ فَقُلْتُ لَوْ أَتَيْتِ أَبَاكِ فَسَأَلْتِيهِ خَادِمًا فَأَتَتْهُ فَوَجَدَتْ عِنْدَهُ حُدَّاثًا فَرَجَعَتْ فَأَتَاهَا مِنَ الْغَدِ فَقَالَ " مَا كَانَ حَاجَتُكِ " . فَسَكَتَتْ فَقُلْتُ أَنَا أُحَدِّثُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ جَرَّتْ بِالرَّحَى حَتَّى أَثَّرَتْ فِي يَدِهَا وَحَمَلَتْ بِالْقِرْبَةِ حَتَّى أَثَّرَتْ فِي نَحْرِهَا فَلَمَّا أَنْ جَاءَكَ الْخَدَمُ أَمَرْتُهَا أَنْ تَأْتِيَكَ فَتَسْتَخْدِمَكَ خَادِمًا يَقِيهَا حَرَّ مَا هِيَ فِيهِ . قَالَ " اتَّقِي اللَّهَ يَا فَاطِمَةُ وَأَدِّي فَرِيضَةَ رَبِّكِ وَاعْمَلِي عَمَلَ أَهْلِكِ فَإِذَا أَخَذْتِ مَضْجَعَكِ فَسَبِّحِي ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَاحْمَدِي ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَكَبِّرِي أَرْبَعًا وَثَلاَثِينَ فَتِلْكَ مِائَةٌ فَهِيَ خَيْرٌ لَكِ مِنْ خَادِمٍ " . قَالَتْ رَضِيتُ عَنِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَعَنْ رَسُولِهِ صلى الله عليه وسلم .
হাদীস নং: ২৯৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৮৯
কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
১৫৮. ঐ পঞ্চমাংশ, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গনিমতের মাল হতে নিতেন, কোথায় কোথায় তা বন্টন করতেন এবং নিকটাত্নীয়দের হক সম্পর্কে।
২৯৭৯. আহমদ ইবনে মুহাম্মাদ মারওয়াযী (রাহঃ) ..... আলী ইবনে হুসাইন (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি উপরোক্ত হাদীসে বর্ণিত ঘটনা সম্পর্কে বলেনঃ তিনি (নবী (ﷺ)) তাঁকে কোন খাদিম দেননি।
كتاب الخراج والإمارة والفىء
باب فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، بِهَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَ وَلَمْ يُخْدِمْهَا .
হাদীস নং: ২৯৮০
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৯০
কর-খাজনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংক্রান্ত
১৫৮. ঐ পঞ্চমাংশ, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গনিমতের মাল হতে নিতেন, কোথায় কোথায় তা বন্টন করতেন এবং নিকটাত্নীয়দের হক সম্পর্কে।
২৯৮০. মুহাম্মাদ ইবনে ঈসা (রাহঃ) .... আনবাসা ইবনে আব্দিল ওয়াহিদ কুরাশী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আবু জা’ফর অর্থাৎ ইবনে ঈসা বলেছেন যে, আমরা আনবাসা ইবনে আব্দিল ওয়াহিদ (রাযিঃ)-কে আব্দাল বলতাম-এ শোনার আগে যে, আব্দাল মাওয়ালীদের থেকে হয়।

রাবী বলেনঃ আমার নিকট দাখীল ইবনে আয়াস ইবনে নূহ ইবনে মুজজা’আ, তিনি তাঁর পিতা ও দাদা হতে বর্ণনা করেছেন যে, একদা মুজজা’আ নবী (ﷺ)-এর নিকট আসেন তাঁর ভাইয়ের দিয়্যাত (রক্তপণ) চাওয়ার জন্য, যাকে বনু সাদূস-যারা বনু যুহলের অন্তর্ভুক্ত ছিল, হত্যা করেছিল। তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ যদি আমি কোন মুশরিকের দিয়্যাত দিতাম, তবে তোমার ভাইয়ের দিয়্যাতের ব্যবস্থা অবশ্যই করতাম। তবে আমি তোমাকে এর বিনিময়ের ব্যবস্থা করছি।

তখন নবী (ﷺ) তাঁর জন্য বনু যুহল থেকে প্রথম বার আদায়কৃত খুমুস হতে একশত উট দেওয়ার জন্য ফরমান লিখে দেন। যা থেকে কিছু উট তিনি (মুজজা’আ) গ্রহণ করেন। অতঃপর বনু যুহল ইসলাম গ্রহণ করলে মুজজা’আ বাকী উট পাওয়ার জন্য আবু বকর (রাযিঃ)-এর নিকট দাবী জানান এবং নবী (ﷺ)-এর ফরমান তাঁর খিদমতে পেশ করেন। তখন আবু বকর (রাযিঃ) তাকে (মুজজা’আকে) ইয়ামামার সাদ্‌কা হতে বার হাজার সা’আ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য হুকুম দেন। যা থেকে চার হাজার সা’আ যব, চার হাজার সা’আ গম এবং চার হাজার সা’আ খেজুর তাঁকে দেওয়া হয়।

আর নবী (ﷺ)-এর ফরমানে এরূপ লেখা ছিলঃ

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম। এ ফরমান মুহাম্মাদ (ﷺ) এর পক্ষ হতে মুজজা’আ ইবনে মুরারার জন্য-যিনি বনু সালামার অন্তর্ভুক্ত। আমি তাকে একশো উট দিচ্ছি। বনু যুহলের মুশরিকদের নিকট হতে খুমুস বাবদ প্রথম বার যা আদায় হবে, সেখান থেকে এটা দেওয়া হবে, তার মৃত ভাইয়ের রক্তপণের বিনিময়ে।
كتاب الخراج والإمارة والفىء
باب فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ الْقُرَشِيُّ، قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ - يَعْنِي ابْنَ عِيسَى - كُنَّا نَقُولُ إِنَّهُ مِنَ الأَبْدَالِ قَبْلَ أَنْ نَسْمَعَ أَنَّ الأَبْدَالَ مِنَ الْمَوَالِي قَالَ حَدَّثَنِي الدَّخِيلُ بْنُ إِيَاسِ بْنِ نُوحِ بْنِ مُجَّاعَةَ عَنْ هِلاَلِ بْنِ سِرَاجِ بْنِ مُجَّاعَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ مُجَّاعَةَ أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَطْلُبُ دِيَةَ أَخِيهِ قَتَلَتْهُ بَنُو سَدُوسٍ مِنْ بَنِي ذُهْلٍ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لَوْ كُنْتُ جَاعِلاً لِمُشْرِكٍ دِيَةً جَعَلْتُ لأَخِيكَ وَلَكِنْ سَأُعْطِيكَ مِنْهُ عُقْبَى " . فَكَتَبَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِمِائَةٍ مِنَ الإِبِلِ مِنْ أَوَّلِ خُمُسٍ يَخْرُجُ مِنْ مُشْرِكِي بَنِي ذُهْلٍ فَأَخَذَ طَائِفَةً مِنْهَا وَأَسْلَمَتْ بَنُو ذُهْلٍ فَطَلَبَهَا بَعْدُ مُجَّاعَةُ إِلَى أَبِي بَكْرٍ وَأَتَاهُ بِكِتَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَكَتَبَ لَهُ أَبُو بَكْرٍ بِاثْنَىْ عَشَرَ أَلْفَ صَاعٍ مِنْ صَدَقَةِ الْيَمَامَةِ أَرْبَعَةِ آلاَفٍ بُرًّا وَأَرْبَعَةِ آلاَفٍ شَعِيرًا وَأَرْبَعَةِ آلاَفٍ تَمْرًا وَكَانَ فِي كِتَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لِمُجَّاعَةَ " بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ هَذَا كِتَابٌ مِنْ مُحَمَّدٍ النَّبِيِّ لِمُجَّاعَةَ بْنِ مُرَارَةَ مِنْ بَنِي سُلْمَى إِنِّي أَعْطَيْتُهُ مِائَةً مِنَ الإِبِلِ مِنْ أَوَّلِ خُمُسٍ يَخْرُجُ مِنْ مُشْرِكِي بَنِي ذُهْلٍ عُقْبَةً مِنْ أَخِيهِ " .
tahqiq

তাহকীক:

rabi
বর্ণনাকারী: