কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
৩৪. নিহতের রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭ টি
হাদীস নং: ৪৪৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৯৬
নিহতের রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায়
৩. রক্তপণ মাফের ব্যাপারে ইমামের নির্দেশ সম্পর্কে।
৪৪৩৬. মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) .... আবু শূরায়হ খুযাঈ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী করীম (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তির উপর কোন হত্যার বা অঙ্গচ্ছেদের বিপদ আসে, তাকে যেন তিনটির মধ্যে কোন একটি সুযোগ দেয়া হয়। হয়তো রক্তপণ নেবে, নয়তো মাফ করে দেবে, অথবা বিনিময় নেবে। এরপর যদি সে চতুর্থ কোন বিষয়ের আকাংক্ষা করে, তবে তার হাত ধরে তা থেকে বিরত রাখতে হবে। এরপরও যদি কেউ বাড়াবাড়ি করে, তবে তার জন্য ভীষণ আযাব নির্ধারিত আছে।
كتاب الديات
باب الإِمَامِ يَأْمُرُ بِالْعَفْوِ فِي الدَّمِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ فُضَيْلٍ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ أَبِي الْعَوْجَاءِ، عَنْ أَبِي شُرَيْحٍ الْخُزَاعِيِّ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ أُصِيبَ بِقَتْلٍ أَوْ خَبْلٍ فَإِنَّهُ يَخْتَارُ إِحْدَى ثَلاَثٍ إِمَّا أَنْ يَقْتَصَّ وَإِمَّا أَنْ يَعْفُوَ وَإِمَّا أَنْ يَأْخُذَ الدِّيَةَ فَإِنْ أَرَادَ الرَّابِعَةَ فَخُذُوا عَلَى يَدَيْهِ وَمَنِ اعْتَدَى بَعْدَ ذَلِكَ فَلَهُ عَذَابٌ أَلِيمٌ " .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৪৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৯৭
নিহতের রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায়
৩. রক্তপণ মাফের ব্যাপারে ইমামের নির্দেশ সম্পর্কে।
৪৪৩৭. মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ..... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি যখনই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট কোন কিসাসের মোকদ্দমা দায়ের হতে দেখেছি, তখনই আমি তাঁকে নিহত ব্যক্তির পরিবার-পরিজনদের তা মাফ করে দেয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে দেখেছি।
كتاب الديات
باب الإِمَامِ يَأْمُرُ بِالْعَفْوِ فِي الدَّمِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيُّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ مَا رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رُفِعَ إِلَيْهِ شَىْءٌ فِيهِ قِصَاصٌ إِلاَّ أَمَرَ فِيهِ بِالْعَفْوِ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৯৮
নিহতের রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায়
৩. রক্তপণ মাফের ব্যাপারে ইমামের নির্দেশ সম্পর্কে।
৪৪৩৮. উছমান ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী করীম (ﷺ)-এর যামানায় এক ব্যক্তি নিহত হলে, তাঁর কাছে এ মোকদ্দমা আসে। তখন তিনি হত্যাকারীকে নিহত ব্যক্তির পরিবার-পরিজনের হাতে সোপর্দ করেন। হত্যাকারী বলেঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহর শপথ! আমি তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারি নাই। রাবী বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিহত ব্যক্তির পরিবার-পরিজনদের বলেনঃ যদি এ ব্যক্তি সত্যবাদী হয় এবং তোমরা তাকে হত্যা কর, তবে নিশ্চয়ই তোমরা জাহান্নামী হবে। একথা শুনে তারা তাকে ছেড়ে দেয়। এ সময় তার দু’হাত চামড়ার ফিতা দিয়ে বাঁধা ছিল। সে তা টেনে ছিড়ে ফেলতে ফেলতে বেরিয়ে আসে। ফলে তার উপাধি হয়ে যায়। ফিতাধারী ব্যক্তি।
كتاب الديات
باب الإِمَامِ يَأْمُرُ بِالْعَفْوِ فِي الدَّمِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قُتِلَ رَجُلٌ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَرُفِعَ ذَلِكَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَدَفَعَهُ إِلَى وَلِيِّ الْمَقْتُولِ فَقَالَ الْقَاتِلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَاللَّهِ مَا أَرَدْتُ قَتْلَهُ . قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِلْوَلِيِّ " أَمَا إِنَّهُ إِنْ كَانَ صَادِقًا ثُمَّ قَتَلْتَهُ دَخَلْتَ النَّارَ " . قَالَ فَخَلَّى سَبِيلَهُ . قَالَ وَكَانَ مَكْتُوفًا بِنِسْعَةٍ فَخَرَجَ يَجُرُّ نِسْعَتَهُ فَسُمِّيَ ذَا النِّسْعَةِ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৯৯
নিহতের রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায়
৩. রক্তপণ মাফের ব্যাপারে ইমামের নির্দেশ সম্পর্কে।
৪৪৩৯. আব্দুল্লাহ ইবনে মায়সারা (রাহঃ) ..... ওয়ায়েল ইবনে হুজর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদিন আমি নবী করীম (ﷺ)-এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। তখন তাঁর কাছে একজন হত্যাকারীকে আনা হয়। যার গলায় চামড়ার বেল্ট বাঁধা ছিল। তখন নবী (ﷺ) নিহত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীকে ডেকে জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কি তাকে ক্ষমা করে দেবে? সে বলেঃ না। তিনি বলেনঃ তুমি কি রক্তপণ গ্রহণ করবে? সে বলেঃ না। তখন নবী (ﷺ) আবার তাকে জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কি তাকে হত্যা করবে? সে বলেঃ হ্যাঁ। তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ তাকে নিয়ে যাও।
এরপর সে ব্যক্তি যখন তাকে নিতে চাইলো, তখন নবী (ﷺ) তাকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ তুমি কি তাকে মাফ করে দেবে? সে বলেঃ না। তিনি আবার জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কি রক্তপণ গ্রহণ করবে? সে বলেঃ না। তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ তুমি কি তাকে হত্যা করবে? সে বলেঃহ্যাঁ। তখন তিনি তাকে নিয়ে যাবার নির্দেশ দেন। এসময় তিনি তাকে চতুর্থবারের মত বলেনঃ দেখ, যদি তুমি তাকে ক্ষমা করে দাও, তবে সে ব্যক্তি তোমার ও নিহত ব্যক্তির গুনাহের ভাগী হবে। এ কথা শুনে সে ব্যক্তি তাকে ক্ষমা করে দেয়। রাবী বলেনঃ তখন আমি সে হত্যাকারী ব্যক্তিকে বেল্ট টানতে টানতে যেতে দেখি।
এরপর সে ব্যক্তি যখন তাকে নিতে চাইলো, তখন নবী (ﷺ) তাকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ তুমি কি তাকে মাফ করে দেবে? সে বলেঃ না। তিনি আবার জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কি রক্তপণ গ্রহণ করবে? সে বলেঃ না। তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ তুমি কি তাকে হত্যা করবে? সে বলেঃহ্যাঁ। তখন তিনি তাকে নিয়ে যাবার নির্দেশ দেন। এসময় তিনি তাকে চতুর্থবারের মত বলেনঃ দেখ, যদি তুমি তাকে ক্ষমা করে দাও, তবে সে ব্যক্তি তোমার ও নিহত ব্যক্তির গুনাহের ভাগী হবে। এ কথা শুনে সে ব্যক্তি তাকে ক্ষমা করে দেয়। রাবী বলেনঃ তখন আমি সে হত্যাকারী ব্যক্তিকে বেল্ট টানতে টানতে যেতে দেখি।
كتاب الديات
باب الإِمَامِ يَأْمُرُ بِالْعَفْوِ فِي الدَّمِ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ الْجُشَمِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عَوْفٍ، حَدَّثَنَا حَمْزَةُ أَبُو عُمَرَ الْعَائِذِيُّ، حَدَّثَنِي عَلْقَمَةُ بْنُ وَائِلٍ، حَدَّثَنِي وَائِلُ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِذْ جِيءَ بِرَجُلٍ قَاتِلٍ فِي عُنُقِهِ النِّسْعَةُ قَالَ فَدَعَا وَلِيَّ الْمَقْتُولِ فَقَالَ " أَتَعْفُو " . قَالَ لاَ . قَالَ " أَفَتَأْخُذُ الدِّيَةَ " . قَالَ لاَ . قَالَ " أَفَتَقْتُلُ " . قَالَ نَعَمْ . قَالَ " اذْهَبْ بِهِ " . فَلَمَّا وَلَّى قَالَ " أَتَعْفُو " . قَالَ لاَ . قَالَ " أَفَتَأْخُذُ الدِّيَةَ " . قَالَ لاَ . قَالَ " أَفَتَقْتُلُ " . قَالَ نَعَمْ . قَالَ " اذْهَبْ بِهِ " . فَلَمَّا كَانَ فِي الرَّابِعَةِ قَالَ " أَمَا إِنَّكَ إِنْ عَفَوْتَ عَنْهُ يَبُوءُ بِإِثْمِهِ وَإِثْمِ صَاحِبِهِ " . قَالَ فَعَفَا عَنْهُ . قَالَ فَأَنَا رَأَيْتُهُ يَجُرُّ النِّسْعَةَ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৪৪০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫০০
নিহতের রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায়
৩. রক্তপণ মাফের ব্যাপারে ইমামের নির্দেশ সম্পর্কে।
৪৪৪০. উবাইদুল্লাহু ইবনে উমর (রাহঃ) .... জামে ইবনে মাতার (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আলকামা ইবনে ওয়ায়েল উপরোক্ত হাদীসের অনু্রূপ সনদ ও অর্থে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
كتاب الديات
باب الإِمَامِ يَأْمُرُ بِالْعَفْوِ فِي الدَّمِ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنِي جَامِعُ بْنُ مَطَرٍ، حَدَّثَنِي عَلْقَمَةُ بْنُ وَائِلٍ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৪৪১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫০১ - ৪৫০২
নিহতের রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায়
৩. রক্তপণ মাফের ব্যাপারে ইমামের নির্দেশ সম্পর্কে।
৪৪৪১. মুহাম্মাদ ইবনে আওফ (রাহঃ) ...... আলকামা ইবনে ওয়ায়েল (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা এক ব্যক্তি একজন হাবশীকে নিয়ে নবী করীম (ﷺ)-এর কাছে আসে এবং বলেঃ এ ব্যক্তি আমার ভাইয়ের ছেলেকে হত্যা করেছে। তখন নবী (ﷺ) তাকে জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি তাকে কিরূপে হত্যা করেছ? সে বলেঃ আমি তার মাথায় কুঠার দিয়ে আঘাত করেছিলাম, কিন্তু এতে আমার হত্যার ইচ্ছা ছিল না। তিনি বলেনঃ তোমার কাছে রক্তপণ দেয়ার মত মাল আছে কি? সে বলেঃ না। তিনি বলেন যদি আমি তোমাকে ছেড়ে দেই তবে কি তুমি লোকদের থেকে চেয়ে রক্তপণের টাকা যোগাড় করতে পারবে? সে বলেঃ না। তিনি আবার তাকে জিজ্ঞাসা করেনঃ তোমার ওয়ারিছরা তোমার পক্ষ হতে দিয়াত পরিশোধ করতে পারবে কি? সে বলেঃ না।
তখন নবী (ﷺ) নিহত ব্যক্তির চাচাকে বলেনঃ তুমি তাকে নিয়ে যাও। সে ব্যক্তি তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে নিতে চাইলে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ যদি এ ব্যক্তি তাকে হত্যা করে, তবে সেও অনুরূপ গুনাহের অধিকারী হবে। নবী (ﷺ)-এর এ কথা তার নিকট পৌঁছলে সে বলে, এ ব্যাপারে যা খুশী ফায়সালা করুন। তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ তুমি তাকে ছেড়ে দাও। সে নিহত ব্যক্তির ও তার নিজের গুনাহের কারণে দোজখের অধিবাসী হবে। একথা শুনে সে তাকে ছেড়ে দেয়।
আবু উমামা ইবনু সাহল (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা উসমান (রাঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম, যখন তিনি (বিদ্রোহীদের দ্বারা) একটি ঘরে আটক ছিলেন। ঐ ঘরের একটি প্রবেশদ্বার ছিলো। কেউ ঐ প্রবেশদ্বারে প্রবেশ করলে আল-বালাত নামক স্থানে লোকের কথাবার্তা শুনতে পেতো। উসমান (রাঃ) তাতে প্রবেশ করলেন এবং বিবর্ণ অবস্থায় আমাদের নিকট এসে বললেন, তারা এই মাত্র আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা বললাম, হে আমীরুল মু’মিনীন! আল্লাহই তাদের বিরুদ্ধে আপনার জন্য যথেষ্ট। তিনি প্রশ্ন করলেন, তারা আমাকে হত্যা করবে কেন?
আমি তো রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ তিনটি অপরাধের কোনো একটি ব্যতীত মুসলিম ব্যক্তির রক্তপাত করা হালাল নয়ঃ (১) ইসলাম গ্রহণের পর পুনরায় কুফরীতে ফিরে যাওয়া, (২) বিবাহিত ব্যক্তির যেনায় লিপ্ত হওয়া এবং (৩) হত্যার অপরাধী না হওয়া সত্ত্বেও কোনো ব্যক্তিকে হত্যা করলে। আল্লাহর কসম! আমি জাহিলী যুগে এবং ইসলামী যুগেও কখনো যেনা করিনি। আল্লাহ আমাকে হিদায়াত দান করার পর থেকে আমি মোটেই অন্য ধর্ম গ্রহণ পছন্দ করি না এবং আমি কোনো মানুষকে হত্যা করিনি। অতএব তারা কেন আমাকে হত্যা করবে? ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) বলেন, উসমান ও আবু বকর (রাঃ) উভয়ে জাহিলী যুগেই মাদক গ্রহণ পরিত্যাগ করেছেন।
তখন নবী (ﷺ) নিহত ব্যক্তির চাচাকে বলেনঃ তুমি তাকে নিয়ে যাও। সে ব্যক্তি তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে নিতে চাইলে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ যদি এ ব্যক্তি তাকে হত্যা করে, তবে সেও অনুরূপ গুনাহের অধিকারী হবে। নবী (ﷺ)-এর এ কথা তার নিকট পৌঁছলে সে বলে, এ ব্যাপারে যা খুশী ফায়সালা করুন। তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ তুমি তাকে ছেড়ে দাও। সে নিহত ব্যক্তির ও তার নিজের গুনাহের কারণে দোজখের অধিবাসী হবে। একথা শুনে সে তাকে ছেড়ে দেয়।
আবু উমামা ইবনু সাহল (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা উসমান (রাঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম, যখন তিনি (বিদ্রোহীদের দ্বারা) একটি ঘরে আটক ছিলেন। ঐ ঘরের একটি প্রবেশদ্বার ছিলো। কেউ ঐ প্রবেশদ্বারে প্রবেশ করলে আল-বালাত নামক স্থানে লোকের কথাবার্তা শুনতে পেতো। উসমান (রাঃ) তাতে প্রবেশ করলেন এবং বিবর্ণ অবস্থায় আমাদের নিকট এসে বললেন, তারা এই মাত্র আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা বললাম, হে আমীরুল মু’মিনীন! আল্লাহই তাদের বিরুদ্ধে আপনার জন্য যথেষ্ট। তিনি প্রশ্ন করলেন, তারা আমাকে হত্যা করবে কেন?
আমি তো রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ তিনটি অপরাধের কোনো একটি ব্যতীত মুসলিম ব্যক্তির রক্তপাত করা হালাল নয়ঃ (১) ইসলাম গ্রহণের পর পুনরায় কুফরীতে ফিরে যাওয়া, (২) বিবাহিত ব্যক্তির যেনায় লিপ্ত হওয়া এবং (৩) হত্যার অপরাধী না হওয়া সত্ত্বেও কোনো ব্যক্তিকে হত্যা করলে। আল্লাহর কসম! আমি জাহিলী যুগে এবং ইসলামী যুগেও কখনো যেনা করিনি। আল্লাহ আমাকে হিদায়াত দান করার পর থেকে আমি মোটেই অন্য ধর্ম গ্রহণ পছন্দ করি না এবং আমি কোনো মানুষকে হত্যা করিনি। অতএব তারা কেন আমাকে হত্যা করবে? ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) বলেন, উসমান ও আবু বকর (রাঃ) উভয়ে জাহিলী যুগেই মাদক গ্রহণ পরিত্যাগ করেছেন।
كتاب الديات
باب الإِمَامِ يَأْمُرُ بِالْعَفْوِ فِي الدَّمِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَوْفٍ الطَّائِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْقُدُّوسِ بْنُ الْحَجَّاجِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ عَطَاءٍ الْوَاسِطِيُّ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِحَبَشِيٍّ فَقَالَ إِنَّ هَذَا قَتَلَ ابْنَ أَخِي . قَالَ " كَيْفَ قَتَلْتَهُ " . قَالَ ضَرَبْتُ رَأْسَهُ بِالْفَأْسِ وَلَمْ أُرِدْ قَتْلَهُ . قَالَ " هَلْ لَكَ مَالٌ تُؤَدِّي دِيَتَهُ " . قَالَ لاَ . قَالَ " أَفَرَأَيْتَ إِنْ أَرْسَلْتُكَ تَسْأَلُ النَّاسَ تَجْمَعُ دِيَتَهُ " . قَالَ لاَ . قَالَ " فَمَوَالِيكَ يُعْطُونَكَ دِيَتَهُ " . قَالَ لاَ . قَالَ لِلرَّجُلِ " خُذْهُ " . فَخَرَجَ بِهِ لِيَقْتُلَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَمَا إِنَّهُ إِنْ قَتَلَهُ كَانَ مِثْلَهُ " . فَبَلَغَ بِهِ الرَّجُلُ حَيْثُ يَسْمَعُ قَوْلَهُ فَقَالَ هُوَ ذَا فَمُرْ فِيهِ مَا شِئْتَ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَرْسِلْهُ - وَقَالَ مَرَّةً دَعْهُ - يَبُوءُ بِإِثْمِ صَاحِبِهِ وَإِثْمِهِ فَيَكُونَ مِنْ أَصْحَابِ النَّارِ " . قَالَ فَأَرْسَلَهُ .
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ عُثْمَانَ وَهُوَ مَحْصُورٌ فِي الدَّارِ وَكَانَ فِي الدَّارِ مَدْخَلٌ مَنْ دَخَلَهُ سَمِعَ كَلاَمَ مَنْ عَلَى الْبَلاَطِ فَدَخَلَهُ عُثْمَانُ فَخَرَجَ إِلَيْنَا وَهُوَ مُتَغَيِّرٌ لَوْنُهُ فَقَالَ إِنَّهُمْ لَيَتَوَاعَدُونَنِي بِالْقَتْلِ آنِفًا . قُلْنَا يَكْفِيكَهُمُ اللَّهُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ . قَالَ وَلِمَ يَقْتُلُونَنِي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ يَحِلُّ دَمُ امْرِئٍ مُسْلِمٍ إِلاَّ بِإِحْدَى ثَلاَثٍ كُفْرٌ بَعْدَ إِسْلاَمٍ أَوْ زِنًا بَعْدَ إِحْصَانٍ أَوْ قَتْلُ نَفْسٍ بِغَيْرِ نَفْسٍ " . فَوَاللَّهِ مَا زَنَيْتُ فِي جَاهِلِيَّةٍ وَلاَ إِسْلاَمٍ قَطُّ وَلاَ أَحْبَبْتُ أَنَّ لِي بِدِينِي بَدَلاً مُنْذُ هَدَانِي اللَّهُ وَلاَ قَتَلْتُ نَفْسًا فَبِمَ يَقْتُلُونَنِي قَالَ أَبُو دَاوُدَ عُثْمَانُ وَأَبُو بَكْرٍ رضى الله عنهما تَرَكَا الْخَمْرَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ .
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ عُثْمَانَ وَهُوَ مَحْصُورٌ فِي الدَّارِ وَكَانَ فِي الدَّارِ مَدْخَلٌ مَنْ دَخَلَهُ سَمِعَ كَلاَمَ مَنْ عَلَى الْبَلاَطِ فَدَخَلَهُ عُثْمَانُ فَخَرَجَ إِلَيْنَا وَهُوَ مُتَغَيِّرٌ لَوْنُهُ فَقَالَ إِنَّهُمْ لَيَتَوَاعَدُونَنِي بِالْقَتْلِ آنِفًا . قُلْنَا يَكْفِيكَهُمُ اللَّهُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ . قَالَ وَلِمَ يَقْتُلُونَنِي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ يَحِلُّ دَمُ امْرِئٍ مُسْلِمٍ إِلاَّ بِإِحْدَى ثَلاَثٍ كُفْرٌ بَعْدَ إِسْلاَمٍ أَوْ زِنًا بَعْدَ إِحْصَانٍ أَوْ قَتْلُ نَفْسٍ بِغَيْرِ نَفْسٍ " . فَوَاللَّهِ مَا زَنَيْتُ فِي جَاهِلِيَّةٍ وَلاَ إِسْلاَمٍ قَطُّ وَلاَ أَحْبَبْتُ أَنَّ لِي بِدِينِي بَدَلاً مُنْذُ هَدَانِي اللَّهُ وَلاَ قَتَلْتُ نَفْسًا فَبِمَ يَقْتُلُونَنِي قَالَ أَبُو دَاوُدَ عُثْمَانُ وَأَبُو بَكْرٍ رضى الله عنهما تَرَكَا الْخَمْرَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৪৪২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫০৩
নিহতের রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায়
৩. রক্তপণ মাফের ব্যাপারে ইমামের নির্দেশ সম্পর্কে।
৪৪৪২. মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) .... যিয়াদ ইবনে সা’দ ইবনে যামীরা (রাযিঃ) তার পিতা এবং দাদা থেকে বর্ণনা করেছেন। তাঁরা উভয়ই হুনায়েনের যুদ্ধের সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে ছিলেন। রাবী ওয়াহাব (রাহঃ)-এর সূত্রে বলেনঃ মুহাল্লাম ইবনে জাছামা লায়ছী (রাযিঃ) আশজা গোত্রের এক ব্যক্তিকে ইসলামী যুগে হত্যা করেছিল। এটাই ছিল প্রথম দিয়াতের ঘটনা, যার ফায়সালা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) করেন। এরপর উয়াইনা আশাজ গোত্রের পক্ষে কথাবার্তা বলেন, আর তিনি ছিলেন গাতফান গোত্রের লোক এবং আকরা ইবনে হাবিস (রাযিঃ) মুহাল্লাম গোত্রের পক্ষে কথাবার্তা বলেন, আর তিনি ছিলেন খুনদুফ গোত্রের লোক। কথাবার্তা চলাকালে ঝগড়া যখন প্রচণ্ডরূপ ধারণ করে, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ হে উয়াইনা! তুমি কি দিয়াত গ্রহণ করবে না? তখন উয়াইনা বলেনঃ আল্লাহর শপথ! আমি দিয়াত গ্রহণ করবো না; যতক্ষণ না তাদের স্ত্রীলোকেরা ঐরূপ শোকাতুরা হয়, যেরূপ আমাদের মহিলারা হয়েছে।
এভাবে প্রচণ্ড বাকবিতণ্ডা চলতে থাকে এবং ঝগড়া যখন প্রচণ্ডরূপ ধারণ করে; তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবার জিজ্ঞাসা করেনঃ হে উয়ায়ানা! তুমি কি দিয়াত গ্রহণ করবে না? তখন উয়াইনা (রাযিঃ) আগের মত জবাব প্রদান করে। এ সময় লায়ছ গোত্রের জনৈক ব্যক্তি, যার নাম ছিল মুকায়তিল, যিনি স্বশস্ত্র অবস্থায় ঢালসহ সেখানে উপস্থিত ছিলেন, তিনি দাঁড়িয়ে বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ ব্যক্তি ইসলামের প্রথম যুগে যা করেছে, তার উদাহরণ ঐ বকরীর পালের মত, যারা কোথাও পানি পান করাকালে, তাদের একটি কারাহত হলে বাকীরা ভয়ে পালিয়ে যায়। কাজেই, আজ এ ব্যক্তির নিকট হতে কিসাস না নিয়ে, যদি দিয়াত কবুল করা হয়, তবে ভবিষ্যতে আরো লোক নিহত হতে থাকবে, যা ইসলামী বিধানের পরিবর্তন স্বরূপ হবে। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন এই নির্দেশ দেনঃ হত্যাকারী এখনই পঞ্চাশটি উট প্রদান করবে এবং বাকী পঞ্চাশটি উট মদীনায় ফিরে গিয়ে নিহত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীকে দেবে। এ ঘটনা নবী (ﷺ)-এর কোন এক সফরে ঘটেছিল।
মুহাল্লাম (রাযিঃ) ছিলেন দীর্ঘদেহী এবং উজ্জ্বল বর্ণবিশিষ্ট। তিনি এতক্ষণ লোকদের একপাশে বসেছিলেন। মুক্তির নির্দেশ গ্রাপ্তির পর তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সামনে এসে বসেন। এ সময় তাঁর দু’চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরছিল। এরপর তিনি বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি যে অপরাধ করেছি, তা আপনি জানেন। আমি মহান আল্লাহর কাছে তাওবা করছি। ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি মহান আল্লাহর নিকটে আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ তুমি কি ইসলামের প্রথম যুগে তোমার তরবারি দিয়ে তাকে হত্যা করনি? ইয়া আল্লাহ! আপনি মুহাল্লামকে ক্ষমা করবেন না। তিনি উচ্চকন্ঠে এরূপ ঘোষণা দেন।
রাবী আবু সালামা (রাহঃ) এরূপ অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, এ কথা শুনে মুহাল্লাম তার চাদরের কোণা দিয়ে নিজের অশ্রু মুছতে থাকেন। রাবী ইবনে ইসহাক (রাহঃ) বলেনঃ তার কওমের লোকদের ধারণা ছিল, অবশেষে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মুহাল্লামের মাগফিরাতের জন্য দুআ করেন।
এভাবে প্রচণ্ড বাকবিতণ্ডা চলতে থাকে এবং ঝগড়া যখন প্রচণ্ডরূপ ধারণ করে; তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবার জিজ্ঞাসা করেনঃ হে উয়ায়ানা! তুমি কি দিয়াত গ্রহণ করবে না? তখন উয়াইনা (রাযিঃ) আগের মত জবাব প্রদান করে। এ সময় লায়ছ গোত্রের জনৈক ব্যক্তি, যার নাম ছিল মুকায়তিল, যিনি স্বশস্ত্র অবস্থায় ঢালসহ সেখানে উপস্থিত ছিলেন, তিনি দাঁড়িয়ে বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ ব্যক্তি ইসলামের প্রথম যুগে যা করেছে, তার উদাহরণ ঐ বকরীর পালের মত, যারা কোথাও পানি পান করাকালে, তাদের একটি কারাহত হলে বাকীরা ভয়ে পালিয়ে যায়। কাজেই, আজ এ ব্যক্তির নিকট হতে কিসাস না নিয়ে, যদি দিয়াত কবুল করা হয়, তবে ভবিষ্যতে আরো লোক নিহত হতে থাকবে, যা ইসলামী বিধানের পরিবর্তন স্বরূপ হবে। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন এই নির্দেশ দেনঃ হত্যাকারী এখনই পঞ্চাশটি উট প্রদান করবে এবং বাকী পঞ্চাশটি উট মদীনায় ফিরে গিয়ে নিহত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীকে দেবে। এ ঘটনা নবী (ﷺ)-এর কোন এক সফরে ঘটেছিল।
মুহাল্লাম (রাযিঃ) ছিলেন দীর্ঘদেহী এবং উজ্জ্বল বর্ণবিশিষ্ট। তিনি এতক্ষণ লোকদের একপাশে বসেছিলেন। মুক্তির নির্দেশ গ্রাপ্তির পর তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সামনে এসে বসেন। এ সময় তাঁর দু’চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরছিল। এরপর তিনি বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি যে অপরাধ করেছি, তা আপনি জানেন। আমি মহান আল্লাহর কাছে তাওবা করছি। ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি মহান আল্লাহর নিকটে আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ তুমি কি ইসলামের প্রথম যুগে তোমার তরবারি দিয়ে তাকে হত্যা করনি? ইয়া আল্লাহ! আপনি মুহাল্লামকে ক্ষমা করবেন না। তিনি উচ্চকন্ঠে এরূপ ঘোষণা দেন।
রাবী আবু সালামা (রাহঃ) এরূপ অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, এ কথা শুনে মুহাল্লাম তার চাদরের কোণা দিয়ে নিজের অশ্রু মুছতে থাকেন। রাবী ইবনে ইসহাক (রাহঃ) বলেনঃ তার কওমের লোকদের ধারণা ছিল, অবশেষে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মুহাল্লামের মাগফিরাতের জন্য দুআ করেন।
كتاب الديات
باب الإِمَامِ يَأْمُرُ بِالْعَفْوِ فِي الدَّمِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، فَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، قَالَ سَمِعْتُ زِيَادَ بْنَ ضُمَيْرَةَ الضَّمْرِيَّ، ح وَحَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَيَانٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ، أَنَّهُ سَمِعَ زِيَادَ بْنَ سَعْدِ بْنِ ضُمَيْرَةَ السُّلَمِيَّ، - وَهَذَا حَدِيثُ وَهْبٍ وَهُوَ أَتَمُّ - يُحَدِّثُ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ عَنْ أَبِيهِ - قَالَ مُوسَى - وَجَدِّهِ وَكَانَا شَهِدَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حُنَيْنًا - ثُمَّ رَجَعْنَا إِلَى حَدِيثِ وَهْبٍ - أَنَّ مُحَلِّمَ بْنَ جَثَّامَةَ اللَّيْثِيَّ قَتَلَ رَجُلاً مِنْ أَشْجَعَ فِي الإِسْلاَمِ وَذَلِكَ أَوَّلُ غِيَرٍ قَضَى بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَتَكَلَّمَ عُيَيْنَةُ فِي قَتْلِ الأَشْجَعِيِّ لأَنَّهُ مِنْ غَطَفَانَ وَتَكَلَّمَ الأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ دُونَ مُحَلِّمٍ لأَنَّهُ مِنْ خِنْدِفَ فَارْتَفَعَتِ الأَصْوَاتُ وَكَثُرَتِ الْخُصُومَةُ وَاللَّغَطُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا عُيَيْنَةُ أَلاَ تَقْبَلُ الْغِيَرَ " . فَقَالَ عُيَيْنَةُ لاَ وَاللَّهِ حَتَّى أُدْخِلَ عَلَى نِسَائِهِ مِنَ الْحَرْبِ وَالْحَزَنِ مَا أَدْخَلَ عَلَى نِسَائِي . قَالَ ثُمَّ ارْتَفَعَتِ الأَصْوَاتُ وَكَثُرَتِ الْخُصُومَةُ وَاللَّغَطُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا عُيَيْنَةُ أَلاَ تَقْبَلُ الْغِيَرَ " . فَقَالَ عُيَيْنَةُ مِثْلَ ذَلِكَ أَيْضًا إِلَى أَنْ قَامَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي لَيْثٍ يُقَالُ لَهُ مُكَيْتِلٌ عَلَيْهِ شِكَّةٌ وَفِي يَدِهِ دَرَقَةٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي لَمْ أَجِدْ لِمَا فَعَلَ هَذَا فِي غُرَّةِ الإِسْلاَمِ مَثَلاً إِلاَّ غَنَمًا وَرَدَتْ فَرُمِيَ أَوَّلُهَا فَنَفَرَ آخِرُهَا اسْنُنِ الْيَوْمَ وَغَيِّرْ غَدًا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " خَمْسُونَ فِي فَوْرِنَا هَذَا وَخَمْسُونَ إِذَا رَجَعْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ " . وَذَلِكَ فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ وَمُحَلِّمٌ رَجُلٌ طَوِيلٌ آدَمُ وَهُوَ فِي طَرَفِ النَّاسِ فَلَمْ يَزَالُوا حَتَّى تَخَلَّصَ فَجَلَسَ بَيْنَ يَدَىْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعَيْنَاهُ تَدْمَعَانِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي قَدْ فَعَلْتُ الَّذِي بَلَغَكَ وَإِنِّي أَتُوبُ إِلَى اللَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى فَاسْتَغْفِرِ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لِي يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَقَتَلْتَهُ بِسِلاَحِكَ فِي غُرَّةِ الإِسْلاَمِ اللَّهُمَّ لاَ تَغْفِرْ لِمُحَلِّمٍ " . بِصَوْتٍ عَالٍ زَادَ أَبُو سَلَمَةَ فَقَامَ وَإِنَّهُ لَيَتَلَقَّى دُمُوعَهُ بِطَرَفِ رِدَائِهِ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ فَزَعَمَ قَوْمُهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اسْتَغْفَرَ لَهُ بَعْدَ ذَلِكَ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী: