কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
৩৬. ইসলামী শিষ্টাচারের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
হাদীস নং: ৪৮১৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৯৬
ইসলামী শিষ্টাচারের অধ্যায়
৪৭. প্রতিশোধ গ্রহণ সম্পর্কে।
৪৮১৬. ঈসা ইবনে হাম্মাদ (রাহঃ) .... সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বসেছিলেন এবং তাঁর সাহাবীগণ তাঁর সঙ্গে ছিল। এ সময় এক ব্যক্তি আবু বকর (রাযিঃ)-কে লক্ষ্য করে (কটুক্তি করে) তাঁকে কষ্ট দেয়। আবু বকর (রাযিঃ) তা শুনে চুপ করে থাকেন। সে ব্যক্তি তাকে দ্বিতীয়বার কষ্ট দিলেও তিনি চুপ করে থাকেন। এরপর সে তৃতীয়বার তাঁকে কষ্ট দিলে তিনি প্রতিশোধ নেন (অর্থাৎ তিনি তার কটুক্তির জবাব দেন।)
আবু বকর (রাযিঃ) যখন কটুক্তির জবাব দিয়ে প্রতিশোধ নেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাঁড়িয়ে যান। তখন আবু বকর (রাযিঃ) বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কি আমার উপর রাগ করলেন? তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ আসমান থেকে একজন ফিরিশতা এসে ঐ ব্যক্তিকে তোমার পক্ষ হতে মিথ্যা প্রতিপন্ন করছিল। কিন্তু তুমি নিজেই যখন জবাব দিলে, তখন শয়তান সেখানে এসে হাযির হয়ে গেল। আর শয়তান যেখানে আসে, আমি সেখানে বসতে পারি না।
আবু বকর (রাযিঃ) যখন কটুক্তির জবাব দিয়ে প্রতিশোধ নেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাঁড়িয়ে যান। তখন আবু বকর (রাযিঃ) বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কি আমার উপর রাগ করলেন? তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ আসমান থেকে একজন ফিরিশতা এসে ঐ ব্যক্তিকে তোমার পক্ষ হতে মিথ্যা প্রতিপন্ন করছিল। কিন্তু তুমি নিজেই যখন জবাব দিলে, তখন শয়তান সেখানে এসে হাযির হয়ে গেল। আর শয়তান যেখানে আসে, আমি সেখানে বসতে পারি না।
كتاب الأدب
باب فِي الاِنْتِصَارِ
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ بَشِيرِ بْنِ الْمُحَرَّرِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، أَنَّهُ قَالَ بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسٌ وَمَعَهُ أَصْحَابُهُ وَقَعَ رَجُلٌ بِأَبِي بَكْرٍ فَآذَاهُ فَصَمَتَ عنه أَبُو بَكْرٍ ثُمَّ آذَاهُ الثَّانِيَةَ فَصَمَتَ عَنْهُ أَبُو بَكْرٍ ثُمَّ آذَاهُ الثَّالِثَةَ فَانْتَصَرَ مِنْهُ أَبُو بَكْرٍ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ انْتَصَرَ أَبُو بَكْرٍ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ أَوَجَدْتَ عَلَىَّ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " نَزَلَ مَلَكٌ مِنَ السَّمَاءِ يُكَذِّبُهُ بِمَا قَالَ لَكَ فَلَمَّا انْتَصَرْتَ وَقَعَ الشَّيْطَانُ فَلَمْ أَكُنْ لأَجْلِسَ إِذْ وَقَعَ الشَّيْطَانُ " .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৮১৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৯৭
ইসলামী শিষ্টাচারের অধ্যায়
৪৭. প্রতিশোধ গ্রহণ সম্পর্কে।
৪৮১৭. আব্দু আ’লা (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা এক ব্যক্তি আবু বকর (রাযিঃ)-কে গালি-গালাজ করতে থাকে ...। এরপর উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
كتاب الأدب
باب فِي الاِنْتِصَارِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَجُلاً، كَانَ يَسُبُّ أَبَا بَكْرٍ وَسَاقَ نَحْوَهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَلِكَ رَوَاهُ صَفْوَانُ بْنُ عِيسَى عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، كَمَا قَالَ سُفْيَانُ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৮১৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৯৮
ইসলামী শিষ্টাচারের অধ্যায়
৪৭. প্রতিশোধ গ্রহণ সম্পর্কে।
৪৮১৮. উবাইদুল্লাহ ইবনে মু’আয (রাহঃ) ..... ইবনে আওন (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমি ইনতিসার বা প্রতিশোধ গ্রহণের অর্থ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি, যেমন কুরআনে আছেঃ আর যে ব্যক্তি অত্যাচারিত হওয়ার পর প্রতিশোধ গ্রহণ করে, তাদের কোন অপরাধ নেই। তখন আমার কাছে আলী ইবনে যায়দ ইবনে জাদআন তার পিতার স্ত্রী উম্মু মুহাম্মাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন। ইবনে আওন (রাহঃ) বলেনঃ লোকদের ধারণা, তিনি উম্মুল মু’মিমীন আয়িশা (রাযিঃ)-এর কাছে যাতায়াত করতেন। রাবী বলেনঃ আয়িশা (রাযিঃ) বলেছেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সে সময় আমার কাছে আসেন, যখন সেখানে যয়নাব বিনতে জাহাশ (রাযিঃ) উপস্থিত ছিলেন।
নবী (ﷺ) তাঁর হাত দিয়ে আমাকে চিমটি দিলে, আমি তাকে এরূপ করতে নিষেধ করি, এমন কি আমি তাঁর হাতকে সরিয়ে দেই। তা দেখে যয়নাব (রাযিঃ) আয়িশা (রাযিঃ)-এর প্রতি কটুক্তি করলে নবী করীম (ﷺ) তাকে এরূপ করতে নিষেধ করেন। কিন্তু যয়নাব (রাযিঃ)-এর প্রতি কর্ণপাত না করলে নবী (ﷺ) আয়িশা (রাযিঃ)-কে তাঁর কটুক্তি জবাব দেয়ার অনুমতি দেন। তখন আয়িশা (রাযিঃ) যয়নাব (রাযিঃ)-এর কটুক্তির জবাব দেন এবং তাঁর উপর বিজয়ী হয়। তখন যয়নাব (রাযিঃ) আলী (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে অভিযোগ পেশ করেন যে, আয়িশা (রাযিঃ) আপনার খান্দান (বনু-হাশিম) সম্পর্কে এরূপ কটাক্ষ করেছেন। যা শুনে ফাতিমা (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট উপস্থিত হন (অভিযোগ পেশের জন্য।)
তখন নবী (ﷺ) ফাতিমা (রাযিঃ)-কে বলেনঃ কাবাব রবের কসম! সে (আয়িশা) তো তোমরা পিতার খুবই প্রিয় বিবি। (কাজেই, সে যদি কিছু বলে থাকে তবে তা ভুলে যাও এবং তাকে ক্ষমা কর।) এরপর ফাতিমা (রাযিঃ) ফিরে গিয়ে বনু হাশিমকে বলেনঃ আমি নবী (ﷺ)-কে এরূপ বলায়, তিনি আমাকে এরূপ বলেছেন। এরপর আলী (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে সে ব্যাপারে কথাবার্তা বলেন।
নবী (ﷺ) তাঁর হাত দিয়ে আমাকে চিমটি দিলে, আমি তাকে এরূপ করতে নিষেধ করি, এমন কি আমি তাঁর হাতকে সরিয়ে দেই। তা দেখে যয়নাব (রাযিঃ) আয়িশা (রাযিঃ)-এর প্রতি কটুক্তি করলে নবী করীম (ﷺ) তাকে এরূপ করতে নিষেধ করেন। কিন্তু যয়নাব (রাযিঃ)-এর প্রতি কর্ণপাত না করলে নবী (ﷺ) আয়িশা (রাযিঃ)-কে তাঁর কটুক্তি জবাব দেয়ার অনুমতি দেন। তখন আয়িশা (রাযিঃ) যয়নাব (রাযিঃ)-এর কটুক্তির জবাব দেন এবং তাঁর উপর বিজয়ী হয়। তখন যয়নাব (রাযিঃ) আলী (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে অভিযোগ পেশ করেন যে, আয়িশা (রাযিঃ) আপনার খান্দান (বনু-হাশিম) সম্পর্কে এরূপ কটাক্ষ করেছেন। যা শুনে ফাতিমা (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট উপস্থিত হন (অভিযোগ পেশের জন্য।)
তখন নবী (ﷺ) ফাতিমা (রাযিঃ)-কে বলেনঃ কাবাব রবের কসম! সে (আয়িশা) তো তোমরা পিতার খুবই প্রিয় বিবি। (কাজেই, সে যদি কিছু বলে থাকে তবে তা ভুলে যাও এবং তাকে ক্ষমা কর।) এরপর ফাতিমা (রাযিঃ) ফিরে গিয়ে বনু হাশিমকে বলেনঃ আমি নবী (ﷺ)-কে এরূপ বলায়, তিনি আমাকে এরূপ বলেছেন। এরপর আলী (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে সে ব্যাপারে কথাবার্তা বলেন।
كتاب الأدب
باب فِي الاِنْتِصَارِ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ، - الْمَعْنَى وَاحِدٌ - قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ، قَالَ كُنْتُ أَسْأَلُ عَنْ الاِنْتِصَارِ، ( وَلَمَنِ انْتَصَرَ بَعْدَ ظُلْمِهِ فَأُولَئِكَ مَا عَلَيْهِمْ مِنْ سَبِيلٍ ) فَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ عَنْ أُمِّ مُحَمَّدٍ امْرَأَةِ أَبِيهِ قَالَ ابْنُ عَوْنٍ وَزَعَمُوا أَنَّهَا كَانَتْ تَدْخُلُ عَلَى أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ قَالَتْ قَالَتْ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ دَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعِنْدَنَا زَيْنَبُ بِنْتُ جَحْشٍ فَجَعَلَ يَصْنَعُ شَيْئًا بِيَدِهِ فَقُلْتُ بِيَدِهِ حَتَّى فَطَنْتُهُ لَهَا فَأَمْسَكَ وَأَقْبَلَتْ زَيْنَبُ تَقْحَمُ لِعَائِشَةَ رضى الله عنها فَنَهَاهَا فَأَبَتْ أَنْ تَنْتَهِيَ فَقَالَ لِعَائِشَةَ " سُبِّيهَا " فَسَبَّتْهَا فَغَلَبَتْهَا فَانْطَلَقَتْ زَيْنَبُ إِلَى عَلِيٍّ رضى الله عنه فَقَالَتْ إِنَّ عَائِشَةَ رضى الله عنها وَقَعَتْ بِكُمْ وَفَعَلَتْ . فَجَاءَتْ فَاطِمَةُ فَقَالَ لَهَا " إِنَّهَا حِبَّةُ أَبِيكِ وَرَبِّ الْكَعْبَةِ " . فَانْصَرَفَتْ فَقَالَتْ لَهُمْ إِنِّي قُلْتُ لَهُ كَذَا وَكَذَا فَقَالَ لِي كَذَا وَكَذَا . قَالَ وَجَاءَ عَلِيٌّ رضى الله عنه إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَكَلَّمَهُ فِي ذَلِكَ .
তাহকীক: