কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
৬. নামাযের সময়সূচী - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭ টি
হাদীস নং: ৫৯১
আন্তর্জাতিক নং: ৫৯১
নামাযের সময়সূচী
যে ওয়াক্তে মুসাফির মাগরিব ও ইশার নামায এক সাথে পড়তে পারে।
৫৯২। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... ইসমাঈল ইবনে আব্দুর রহমান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হিমা[১] পর্যন্ত ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম। যখন সুর্য ডুবে গেল, আমি তাঁকে নামাযের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে সাহস পেলাম না। তিনি চলতে চলতে যখন আকাশ দিগন্তে শুভ্র রেখা অদৃশ্য হওয়ার নিকটবর্তী হল এবং রাতের প্রথমাংশের অন্ধকার অর্থাৎ শাফাক অদৃশ্য হওয়ার উপক্রম হল, তখন অবতরণ করে মাগরিবের তিন রাক’আত এবং তার সাথে আরও দু’রাক’আত আদায় করলেন। তারপর বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে আমি এভাবেই আদায় করতে দেখেছি।
[১] সরকার কর্তৃক সংরক্ষিত ভূমিকে 'হিমা' বলা হয় : মদীনার নিকটবর্তী একটি স্থান।
[১] সরকার কর্তৃক সংরক্ষিত ভূমিকে 'হিমা' বলা হয় : মদীনার নিকটবর্তী একটি স্থান।
كتاب المواقيت
الوقت الذي يجمع فيه المسافر بين المغرب والعشاء
أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، - شَيْخٌ مِنْ قُرَيْشٍ - قَالَ صَحِبْتُ ابْنَ عُمَرَ إِلَى الْحِمَى فَلَمَّا غَرَبَتِ الشَّمْسُ هِبْتُ أَنْ أَقُولَ لَهُ الصَّلاَةَ فَسَارَ حَتَّى ذَهَبَ بَيَاضُ الأُفُقِ وَفَحْمَةُ الْعِشَاءِ ثُمَّ نَزَلَ فَصَلَّى الْمَغْرِبَ ثَلاَثَ رَكَعَاتٍ ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ عَلَى إِثْرِهَا ثُمَّ قَالَ هَكَذَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَفْعَلُ .
হাদীস নং: ৫৯২
আন্তর্জাতিক নং: ৫৯২
নামাযের সময়সূচী
যে ওয়াক্তে মুসাফির মাগরিব ও ইশার নামায এক সাথে পড়তে পারে।
৫৯৩। আমর ইবনে উসমান ও আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ......... সালিমের পিতা আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে দেখেছি যে, যখন কোন সফরে তাঁর ত্বরা থাকত তখন মাগরিবের নামায এভাবে বিলম্বে আদায় করতেন যে, মাগরিব ও ইশাকে একত্রিত করে ফেলতেন।
كتاب المواقيت
الوقت الذي يجمع فيه المسافر بين المغرب والعشاء
أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، قَالَ حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، عَنِ ابْنِ أَبِي حَمْزَةَ، ح وَأَنْبَأَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُغِيرَةِ، قَالَ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - عَنْ شُعَيْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي سَالِمٌ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَعْجَلَهُ السَّيْرُ فِي السَّفَرِ يُؤَخِّرُ صَلاَةَ الْمَغْرِبِ حَتَّى يَجْمَعَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ الْعِشَاءِ
হাদীস নং: ৫৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ৫৯৩
নামাযের সময়সূচী
যে ওয়াক্তে মুসাফির মাগরিব ও ইশার নামায এক সাথে পড়তে পারে।
৫৯৪। মুয়াম্মাল ইবনে ইহাব (রাহঃ) ......... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সুর্য অস্তমিত হল এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন মক্কাতেই ছিলেন। তারপর ‘সারিফ’ নামক স্থানে তিনি (মাগরিব ও ঈশা) দুই নামায একত্রে আদায় করলেন।
كتاب المواقيت
الوقت الذي يجمع فيه المسافر بين المغرب والعشاء
أَخْبَرَنَا الْمُؤَمَّلُ بْنُ إِهَابٍ، قَالَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ مُحَمَّدٍ الْجَارِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ غَابَتِ الشَّمْسُ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمَكَّةَ فَجَمَعَ بَيْنَ الصَّلاَتَيْنِ بِسَرِفَ .
হাদীস নং: ৫৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫৯৪
নামাযের সময়সূচী
যে ওয়াক্তে মুসাফির মাগরিব ও ইশার নামায এক সাথে পড়তে পারে।
৫৯৫। আমর ইবনে সাওয়াদ ইবনে আসওয়াদ (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) সূত্রে থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন সফরে থাকতেন, তখন যোহরের নামায আসর পর্যন্ত বিলম্বে করতেন। তারপর উভয়কে একত্রে আদায় করতেন এবং মাগরিবকে বিলম্বে করে মাগরিব ও ঈশাকে একত্রে আদায় করতেন।
كتاب المواقيت
الوقت الذي يجمع فيه المسافر بين المغرب والعشاء
أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ سَوَّادِ بْنِ الأَسْوَدِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ أَنْبَأَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ حَدَّثَنَا جَابِرُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ إِذَا عَجِلَ بِهِ السَّيْرُ يُؤَخِّرُ الظُّهْرَ إِلَى وَقْتِ الْعَصْرِ فَيَجْمَعُ بَيْنَهُمَا وَيُؤَخِّرُ الْمَغْرِبَ حَتَّى يَجْمَعَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ الْعِشَاءِ حِينَ يَغِيبُ الشَّفَقُ
হাদীস নং: ৫৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ৫৯৫
নামাযের সময়সূচী
যে ওয়াক্তে মুসাফির মাগরিব ও ইশার নামায এক সাথে পড়তে পারে।
৫৯৬। মাহমুদ ইবনে খালিদ (রাহঃ) ......... নাফি (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে উমরের কিছু জমি ছিল। সেখানে কৃষিকাজের উদ্দেশ্যে আমি আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর সঙ্গে রওয়ানা হলাম ও সেখানে পৌঁছার পড়ে হঠাৎ একদিন এক সংবাদদাতা বললো যে, আপনার স্ত্রী সফিয়্যা বিনতে আবু উবাইদ (রাযিঃ) মুমূর্ষু অবস্থায়, দেখতে চাইলে যেতে পারেন। তারপর তিনি দ্রুতবেগে চললেন। এক কুরায়শী ব্যক্তি সফরসঙ্গী ছিলেন। সুর্য অস্তমিত হলেও মাগরিবের নামায আদায় করলেন না। আমি তাঁকে যতদিন ধরে জানি, যথাসময়ে নামায আদায়ে যত্নবান থাকতেন।
এরপরও যখন দেরী করেছেন, তখন আমি বললাম, নামায, আল্লাহপাক আপনাকে রহম করুন। তিনি আমার দিকে তাকালেন এবং চলতে লাগলেন। এ অবস্থায় যখন পশ্চিম আকাশের লালিমা প্রায় অদৃশ্য হল, তখন মাগরিবের নামায আদায় করলেন। তারপর আমাদের দিকে লক্ষ্য করে বললেনঃ যখন সফরে কোন ত্বরা থাকত, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরূপ করতেন।
এরপরও যখন দেরী করেছেন, তখন আমি বললাম, নামায, আল্লাহপাক আপনাকে রহম করুন। তিনি আমার দিকে তাকালেন এবং চলতে লাগলেন। এ অবস্থায় যখন পশ্চিম আকাশের লালিমা প্রায় অদৃশ্য হল, তখন মাগরিবের নামায আদায় করলেন। তারপর আমাদের দিকে লক্ষ্য করে বললেনঃ যখন সফরে কোন ত্বরা থাকত, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরূপ করতেন।
كتاب المواقيت
الوقت الذي يجمع فيه المسافر بين المغرب والعشاء
أَخْبَرَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ جَابِرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي نَافِعٌ، قَالَ خَرَجْتُ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ فِي سَفَرٍ يُرِيدُ أَرْضًا لَهُ فَأَتَاهُ آتٍ فَقَالَ إِنَّ صَفِيَّةَ بِنْتَ أَبِي عُبَيْدٍ لَمَا بِهَا فَانْظُرْ أَنْ تُدْرِكَهَا . فَخَرَجَ مُسْرِعًا وَمَعَهُ رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ يُسَايِرُهُ وَغَابَتِ الشَّمْسُ فَلَمْ يُصَلِّ الصَّلاَةَ وَكَانَ عَهْدِي بِهِ وَهُوَ يُحَافِظُ عَلَى الصَّلاَةِ فَلَمَّا أَبْطَأَ قُلْتُ الصَّلاَةَ يَرْحَمُكَ اللَّهُ . فَالْتَفَتَ إِلَىَّ وَمَضَى حَتَّى إِذَا كَانَ فِي آخِرِ الشَّفَقِ نَزَلَ فَصَلَّى الْمَغْرِبَ ثُمَّ أَقَامَ الْعِشَاءَ وَقَدْ تَوَارَى الشَّفَقُ فَصَلَّى بِنَا ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا عَجِلَ بِهِ السَّيْرُ صَنَعَ هَكَذَا .
হাদীস নং: ৫৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ৫৯৬
নামাযের সময়সূচী
যে ওয়াক্তে মুসাফির মাগরিব ও ইশার নামায এক সাথে পড়তে পারে।
৫৯৭। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... নাফি (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর সঙ্গে মক্কা হতে আসছিলাম। যখন ঐ রাত হল (তাঁর স্ত্রীর মুমূর্ষুতার সংবাদ পাওয়ার পর) তিনি আমাদের নিয়ে দ্রুত চললেন। যখন সন্ধা হল, আমরা ধারণা করলাম, তিনি নামাযের কথা ভুলে গেছেন, এজন্য আমরা তাঁকে নামাযের কথা স্মরণ করিয়ে দিলাম। তিনি চুপ রইলেন এবং আরো অগ্রসর হলেন। তারপর আকাশের লালিমা অদৃশ্য হওয়ার উপক্রম হলে অবতরণ করে মাগরিবের নামায আদায় করলেন। আবার যখন শাফাক অদৃশ্য হয়ে গেলো তখন ইশার নামায আদায় করলেন। তারপর আমাদের লক্ষ্য করে বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সঙ্গে যখন সফরে তাঁর কোনো ত্বরা থাকত, তখন আমরা এরূপ করতাম।
كتاب المواقيت
الوقت الذي يجمع فيه المسافر بين المغرب والعشاء
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا الْعَطَّافُ، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ أَقْبَلْنَا مَعَ ابْنِ عُمَرَ مِنْ مَكَّةَ فَلَمَّا كَانَ تِلْكَ اللَّيْلَةُ سَارَ بِنَا حَتَّى أَمْسَيْنَا فَظَنَنَّا أَنَّهُ نَسِيَ الصَّلاَةَ فَقُلْنَا لَهُ الصَّلاَةَ . فَسَكَتَ وَسَارَ حَتَّى كَادَ الشَّفَقُ أَنْ يَغِيبَ ثُمَّ نَزَلَ فَصَلَّى وَغَابَ الشَّفَقُ فَصَلَّى الْعِشَاءَ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا فَقَالَ هَكَذَا كُنَّا نَصْنَعُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا جَدَّ بِهِ السَّيْرُ .
হাদীস নং: ৫৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ৫৯৭
নামাযের সময়সূচী
যে ওয়াক্তে মুসাফির মাগরিব ও ইশার নামায এক সাথে পড়তে পারে।
৫৯৮। আব্দা ইবনে আব্দুর রহীম (রাহঃ) ......... কাছীর ইবনে কারাওয়ান্দা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা সফরের নামায সম্বন্ধে সালিম ইবনে আব্দুল্লাহকে জিজ্ঞাসা করলাম যে, আপনার পিতা আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) সফরের একাধিক নামায একত্রে আদায় করেছেন কি? উত্তরে বললেনঃ না, মুযদালিফা ব্যতীত আর কোথাও একত্রে আদায় করেননি। পুনরায় সতর্ক হয়ে ঘটনার উল্লেখ করে বললেনঃ সফিয়্যা আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)-এর স্ত্রী ছিলেন। সফিয়্যা (রাযিঃ) তাঁর নিকট খবর পাঠালেন যে, আমি পার্থিব জীবনের শেষ দিনে এবং আখিরাতের প্রথম দিনে উপনীত হয়েছি। সংবাদ পাওয়ামাত্রই তিনি আরোহণ করলেন, আমিও তাঁর সঙ্গে ছিলাম। তিনি অত্যন্ত দ্রুতবেগে চললেন।
পরে যখন নামাযের সময় হল, মুয়াযযিন বললেন, হে আব্দুর রহমান! নামায। তিনি চলতে লাগলেন। তারপর দুই নামাযের মাঝামাঝি সময়ে উপনীত হলেন, তখন অবতরণ করে মুয়াযযিনকে বললেনঃ ইকামত বল। যখন যোহরের নামায সমাপ্ত করি তখন আবার সেখানে দাঁড়িয়েই ইকামত বলবে। ইকামত বলা হলে যোহরের দু’রাক’আত্ আদায় করলেন। আবার সেখানেই ইকামত দিলে আসরের দু’রাক’আত্ আদায় করে আরোহণ করলেন এবং সুর্য অস্ত যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত দ্রুত চললেন।
আবার মুআযযীন বললেন, হে আব্দুর রহমান! নামায। তিনি বললেনঃ পূর্বের মতই কাজ কর, এই বলে চলতে লাগলেন। তারপর যখন আকাশে তারকারাশি ছেয়ে গেল, তখন অবতরণ করেন এবং ইকামতের আদেশ দিলেন। বললেনঃ যখন সালাম ফিরাব, আবার ইকামত বলবে। তারপর মাগরিবের তিন রাক’আত্ আদায় করলেন। তারপর সেখানেই ইকামত বলে ইশার নামায আদায় করলেন। তারপর একদিকে সালাম ফিরিয়ে বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যখন তোমাদের কারও সামনে এমন কোন কাজ দেখা দেয়, যা ফওত হয়ে যাওয়ার (ছুটে যাওয়ার) আশঙ্কা থাকে, এভাবেই নামায আদায় করে নেবে।
পরে যখন নামাযের সময় হল, মুয়াযযিন বললেন, হে আব্দুর রহমান! নামায। তিনি চলতে লাগলেন। তারপর দুই নামাযের মাঝামাঝি সময়ে উপনীত হলেন, তখন অবতরণ করে মুয়াযযিনকে বললেনঃ ইকামত বল। যখন যোহরের নামায সমাপ্ত করি তখন আবার সেখানে দাঁড়িয়েই ইকামত বলবে। ইকামত বলা হলে যোহরের দু’রাক’আত্ আদায় করলেন। আবার সেখানেই ইকামত দিলে আসরের দু’রাক’আত্ আদায় করে আরোহণ করলেন এবং সুর্য অস্ত যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত দ্রুত চললেন।
আবার মুআযযীন বললেন, হে আব্দুর রহমান! নামায। তিনি বললেনঃ পূর্বের মতই কাজ কর, এই বলে চলতে লাগলেন। তারপর যখন আকাশে তারকারাশি ছেয়ে গেল, তখন অবতরণ করেন এবং ইকামতের আদেশ দিলেন। বললেনঃ যখন সালাম ফিরাব, আবার ইকামত বলবে। তারপর মাগরিবের তিন রাক’আত্ আদায় করলেন। তারপর সেখানেই ইকামত বলে ইশার নামায আদায় করলেন। তারপর একদিকে সালাম ফিরিয়ে বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যখন তোমাদের কারও সামনে এমন কোন কাজ দেখা দেয়, যা ফওত হয়ে যাওয়ার (ছুটে যাওয়ার) আশঙ্কা থাকে, এভাবেই নামায আদায় করে নেবে।
كتاب المواقيت
الوقت الذي يجمع فيه المسافر بين المغرب والعشاء
أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ شُمَيْلٍ، قَالَ حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ قَارَوَنْدَا، قَالَ سَأَلْنَا سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ الصَّلاَةِ، فِي السَّفَرِ فَقُلْنَا أَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ يَجْمَعُ بَيْنَ شَىْءٍ مِنَ الصَّلَوَاتِ فِي السَّفَرِ فَقَالَ لاَ إِلاَّ بِجَمْعٍ ثُمَّ أَتَيْتُهُ فَقَالَ كَانَتْ عِنْدَهُ صَفِيَّةُ فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهِ أَنِّي فِي آخِرِ يَوْمٍ مِنَ الدُّنْيَا وَأَوَّلِ يَوْمٍ مِنَ الآخِرَةِ . فَرَكِبَ وَأَنَا مَعَهُ فَأَسْرَعَ السَّيْرَ حَتَّى حَانَتِ الصَّلاَةُ فَقَالَ لَهُ الْمُؤَذِّنُ الصَّلاَةَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ . فَسَارَ حَتَّى إِذَا كَانَ بَيْنَ الصَّلاَتَيْنِ نَزَلَ فَقَالَ لِلْمُؤَذِّنِ أَقِمْ فَإِذَا سَلَّمْتُ مِنَ الظُّهْرِ فَأَقِمْ مَكَانَكَ . فَأَقَامَ فَصَلَّى الظُّهْرَ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ ثُمَّ أَقَامَ مَكَانَهُ فَصَلَّى الْعَصْرَ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ رَكِبَ فَأَسْرَعَ السَّيْرَ حَتَّى غَابَتِ الشَّمْسُ فَقَالَ لَهُ الْمُؤَذِّنُ الصَّلاَةَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ . فَقَالَ كَفِعْلِكَ الأَوَّلِ . فَسَارَ حَتَّى إِذَا اشْتَبَكَتِ النُّجُومُ نَزَلَ فَقَالَ أَقِمْ فَإِذَا سَلَّمْتُ فَأَقِمْ . فَصَلَّى الْمَغْرِبَ ثَلاَثًا ثُمَّ أَقَامَ مَكَانَهُ فَصَلَّى الْعِشَاءَ الآخِرَةَ ثُمَّ سَلَّمَ وَاحِدَةً تِلْقَاءَ وَجْهِهِ ثُمَّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا حَضَرَ أَحَدَكُمْ أَمْرٌ يَخْشَى فَوْتَهُ فَلْيُصَلِّ هَذِهِ الصَّلاَةَ " .