কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

المجتبى من السنن للنسائي

১৬. চন্দ্র-সূর্য গ্রহণ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ১৪৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৯৭
চন্দ্র-সূর্য গ্রহণ
গ্রহণকালীন নামাযে তাশাহহুদ পড়া ও সালাম ফিরানো
১৫০০। আমর ইবনে উসমান (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার সূর্যগ্রহণ লেগে গেলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক ব্যক্তিকে নির্দেশ দিলে সে আওয়াজ দিল যে, নামায অনুষ্ঠিত হবে। অতএব লোকেরা একাত্রিত হয়ে গেলে তিনি তাদের নিয়ে নামায আদায় করলেন। তারপর তিনি তাকবীর বললেন এবং লম্বা কিরাআত পড়লেন। তারপর তাকবীর বললেন ও দীর্ঘ রুকু করলেন। তার কিয়ামের ন্যায় অথবা তার চেয়েও দীর্ঘ। তারপর তার মাথা উঠিয়ে ″সামি আল্লাহু লিমান হামিদা″ বললেন। পরে লম্বা কিরাআত পড়লেন কিন্তু তা পূর্ববর্তী কিরাআত থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল। তারপর তাকবীর বললেন ও দীর্ঘ রুকু করলেন কিন্তু তা পূর্ববর্তী রুকু থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল।

তারপর তার মাথা উঠিয়ে “সামিআল্লাহু লিমান হামিদা” বললেন। তারপর তাকবীর বললেন ও দীর্ঘ সিজদা করলেন তার রুকুর ন্যায় অথবা তার চেয়েও দীর্ঘা তারপর তাকবীর বললেন ও তার মাথা উঠালেন পরে তাকবীর বললেন ও সিজদায় গেলেন। তারপর তাকবীর বলে দাঁড়ালেন এবং দীর্ঘ কিরাআত পড়লেন। কিন্তু তা পূর্ববর্তী কিরাআত থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল। তারপর তাকবীর বললেন ও রুকু করলেন কিন্তু তা পূর্ববর্তী রুকু থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল। তারপর তার মাথা উঠিয়ে বললেন ‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদা’ তারপর দীর্ঘ কিরাআত পড়লেন কিন্তু তা দ্বিতীয় কিয়ামের প্রথম কিরাআত থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল। তারপর তাকবীর বললেন ও রুকু করলেন কিন্তু তা পূর্ববর্তী রুকু থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল।

তারপর তাকবীর বললেন ও তার মাথা উঠালেন এবং বললেন, ″সামিআল্লাহু লিমান হামিদা″ পরে তাকবীর বললেন ও সিজদা করলেন আর তা তার পূর্ববর্তী সিজদা থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল। তারপর তাশাহ্‌হুদ পড়লেন ও সালাম ফিরালেন। পরে তাদের সামনে দাঁড়ালেন এবং আল্লাহ তাআলার প্রশংসা ও তারীফ করলেন। পরে বললেন, চন্দ্র-সূর্যের গ্রহণ কারো জন্ম মৃত্যুর কারণে হয় না, বরং তারা হল আল্লাহর নিদর্শনসমূহের দু’টি নিদর্শন। অতএব, তাদের যে কোন একটিতে যদি গ্রহণ লেগে যায়, তা হলে তোমরা নামায আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহর দিকে ধাবিত হও।
كتاب الكسوف
باب التَّشَهُّدِ وَالتَّسْلِيمِ فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ
أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ كَثِيرٍ، عَنِ الْوَلِيدِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ نَمِرٍ، أَنَّهُ سَأَلَ الزُّهْرِيَّ عَنْ سُنَّةِ، صَلاَةِ الْكُسُوفِ فَقَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَسَفَتِ الشَّمْسُ فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً فَنَادَى أَنَّ الصَّلاَةَ جَامِعَةً فَاجْتَمَعَ النَّاسُ فَصَلَّى بِهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَكَبَّرَ ثُمَّ قَرَأَ قِرَاءَةً طَوِيلَةً ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً مِثْلَ قِيَامِهِ أَوْ أَطْوَلَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ وَقَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ " . ثُمَّ قَرَأَ قِرَاءَةً طَوِيلَةً هِيَ أَدْنَى مِنَ الْقِرَاءَةِ الأُولَى ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً هُوَ أَدْنَى مِنَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ " . ثُمَّ كَبَّرَ فَسَجَدَ سُجُودًا طَوِيلاً مِثْلَ رُكُوعِهِ أَوْ أَطْوَلَ ثُمَّ كَبَّرَ فَرَفَعَ رَأْسَهُ ثُمَّ كَبَّرَ فَسَجَدَ ثُمَّ كَبَّرَ فَقَامَ فَقَرَأَ قِرَاءَةً طَوِيلةً هِيَ أَدْنَى مِنَ الأُولَى ثُمَّ كَبَّرَ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً هُوَ أَدْنَى مِنَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ " . ثُمَّ قَرَأَ قِرَاءَةً طَوِيلَةً وَهِيَ أَدْنَى مِنَ الْقِرَاءَةَ الأُولَى فِي الْقِيَامِ الثَّانِي ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً دُونَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ ثُمَّ كَبَّرَ فَرَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ " . ثُمَّ كَبَّرَ فَسَجَدَ أَدْنَى مِنْ سُجُودِهِ الأَوَّلِ ثُمَّ تَشَهَّدَ ثُمَّ سَلَّمَ فَقَامَ فِيهِمْ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَنْخَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ وَلَكِنَّهُمَا آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ فَأَيُّهُمَا خُسِفَ بِهِ أَوْ بِأَحَدِهِمَا فَافْزَعُوا إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ بِذِكْرِ الصَّلاَةِ " .
হাদীস নং: ১৪৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৯৮
চন্দ্র-সূর্য গ্রহণ
গ্রহণকালীন নামাযে তাশাহহুদ পড়া ও সালাম ফিরানো
১৫০১। ইবরাহীম ইবনে ইয়াকুব (রাহঃ) ......... আসমা বিনতে আবু বকর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একবার গ্রহণ কালে নামায আদায় করলেন। তিনি নামাযে দীর্ঘক্ষণ কিয়াম করলেন। তারপর রুকু করলেন আর তাও দীর্ঘ করলেন। তারপর মাথা উঠিয়ে দীর্ঘক্ষণ কিয়াম করলেন। তারপর রুকু করলেন আর তাও দীর্ঘ করলেন। তারপর মাথা উঠালেন এবং সিজদা করলেন আর তাও দীর্ঘ করলেন। তারপর মাথা উঠালেন ও সিজদা করলেন এবং তাও দীর্ঘ করলেন। তারপর দাঁড়ালেন এবং দীর্ঘক্ষণ কিয়াম করলেন। তারপর রুকু করলেন এবং তাও দীর্ঘ করলেন। অতঃপর মাথা উঠালেন এবং কিয়ামকেও দীর্ঘ করলেন। অতঃপর রুকু করলেন এবং তাও দীর্ঘ করলেন। এরপর মাথা উঠালেন ও সিজদা করলেন। আর তাও দীর্ঘ করলেন। তারপর মাথা উঠালেন ও সিজদা করলেন এবং তাও দীর্ঘ করলেন। অতঃপর মাথা উঠালেন ও সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করলেন।
كتاب الكسوف
باب التَّشَهُّدِ وَالتَّسْلِيمِ فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ
أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ، قَالَ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ دَاوُدَ، قَالَ حَدَّثَنَا نَافِعُ بْنُ عُمَرَ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَتْ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْكُسُوفِ فَقَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ ثُمَّ سَجَدَ فَأَطَالَ السُّجُودَ ثُمَّ رَفَعَ ثُمَّ سَجَدَ فَأَطَالَ السُّجُودَ ثُمَّ قَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ ثُمَّ سَجَدَ فَأَطَالَ السُّجُودَ ثُمَّ رَفَعَ ثُمَّ سَجَدَ فَأَطَالَ السُّجُودَ ثُمَّ رَفَعَ ثُمَّ انْصَرَفَ .