কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

المجتبى من السنن للنسائي

২০. দিবারাত্রির নফল নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ১৬০৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৬০৪
দিবারাত্রির নফল নামাযের অধ্যায়
রমযান মাসে রাতের ইবাদতের ফযীলত
১৬০৭। কুতায়বা (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক রাত্র মসজিদে তারাবীহর নামায আদায় করলেন, তার সঙ্গে শরীক হয়ে কিছু সংখ্যক লোক নামায আদায় করল। তারপর পরবর্তী রাত্রেও তারাবীহর নামায আদায় করলে লোকের সংখ্যা বেড়ে গেল। তারপর তারা তৃতীয় রাত্রেও অথবা চতুর্থ রাত্রেও তারাবিহর নামায আদায় করার জন্য জড়ো হয়ে গেলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আর তাদের সামনে বের হলেন না। সকাল হলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমরা যা করেছিলে আমি তা দেখছিলাম। তোমাদের উপর তারাবীহর নামায ফরয হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ব্যতীত অন্য কোন কারণে তোমাদের সামনে বের হওয়া থেকে আমাকে বিরত রাখেনি। এ ঘটনা রমযান মাসে ঘটেছিল।
كتاب قيام الليل وتطوع النهار
باب قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى فِي الْمَسْجِدِ ذَاتَ لَيْلَةٍ وَصَلَّى بِصَلاَتِهِ نَاسٌ ثُمَّ صَلَّى مِنَ الْقَابِلَةِ وَكَثُرَ النَّاسُ ثُمَّ اجْتَمَعُوا مِنَ اللَّيْلَةِ الثَّالِثَةِ أَوِ الرَّابِعَةِ فَلَمْ يَخْرُجْ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا أَصْبَحَ قَالَ " قَدْ رَأَيْتُ الَّذِي صَنَعْتُمْ فَلَمْ يَمْنَعْنِي مِنَ الْخُرُوجِ إِلَيْكُمْ إِلاَّ أَنِّي خَشِيتُ أَنْ يُفْرَضَ عَلَيْكُمْ " . وَذَلِكَ فِي رَمَضَانَ .
হাদীস নং: ১৬০৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৬০৫
দিবারাত্রির নফল নামাযের অধ্যায়
রমযান মাসে রাতের ইবাদতের বর্ণনা
১৬০৮। উবাইদুল্লাহ ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... আবু যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে রোযা পালন করেছিলাম। রমযান মাসে তিনি আমাদের নিয়ে তারাবীহর নামায আদায় করলেন। যখন মাসের মাত্র সাত রাত্র অবশিষ্ট রয়ে গেল, তিনি আমাদের নিয়ে তারাবীহর নামায আদায় করতে লাগলেন রাত্রের তৃতীয় প্রহর অতিবাহিত হওয়া পর্যন্ত। যখন মাসের ছয় রাত্র অবশিষ্ট রয়ে গেল তিনি আমাদের নিয়ে তারাবীহর নামায আদায় করলেন না। যখন পাঁচ রাত্র অবশিষ্ট রয়ে গেল আমাদের নিয়ে তারাবীহর নামায আদায় করলেন অর্ধ রাত্রি অতিবাহিত হওয়া পর্যন্ত।

আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! যদি আপনি আমাদের নিয়ে অত্র রাত্রের অবশিষ্ট অংশেও নফল নামায আদায় করতেন! তিনি বললেন, যে ব্যক্তি ইমামের সাথে তারাবীহর নামায আদায় করে ঘরে ফিরে যায় আল্লাহ তাআলা তার জন্য পূর্ণ রাত্রি নামায আদায় করার সাওয়াব লিখে রাখেন। অতঃপর আমাদের নিয়েও তারাবীহর নামায আদায় করলেন না এবং নিজেও আদায় করলেন না। যখন মাসের তিন রাত্রি অবশিষ্ট রয়ে গেল, তিনি আমাদের নিয়ে ঐ রাত্রে তারাবীহর নামায আদায় করলেন (এবং ঐ নামাযে) তার সন্তান সন্ততি এবং পরিবারবর্গও জড়ো হয়ে গেল। আমরা আশঙ্কা করতে লাগলাম যে, “ফালাহ” না হারিয়ে ফেলি। আমি বললাম, “ফালাহ” এর অর্থ কি? বললেন, সাহরী খাওয়ার সময়।
كتاب قيام الليل وتطوع النهار
باب قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْفُضَيْلِ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ صُمْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي رَمَضَانَ فَلَمْ يَقُمْ بِنَا حَتَّى بَقِيَ سَبْعٌ مِنَ الشَّهْرِ فَقَامَ بِنَا حَتَّى ذَهَبَ ثُلُثُ اللَّيْلِ ثُمَّ لَمْ يَقُمْ بِنَا فِي السَّادِسَةِ فَقَامَ بِنَا فِي الْخَامِسَةِ حَتَّى ذَهَبَ شَطْرُ اللَّيْلِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوْ نَفَّلْتَنَا بَقِيَّةَ لَيْلَتِنَا هَذِهِ . قَالَ " إِنَّهُ مَنْ قَامَ مَعَ الإِمَامِ حَتَّى يَنْصَرِفَ كَتَبَ اللَّهُ لَهُ قِيَامَ لَيْلَةٍ " . ثُمَّ لَمْ يُصَلِّ بِنَا وَلَمْ يَقُمْ حَتَّى بَقِيَ ثَلاَثٌ مِنَ الشَّهْرِ فَقَامَ بِنَا فِي الثَّالِثَةِ وَجَمَعَ أَهْلَهُ وَنِسَاءَهُ حَتَّى تَخَوَّفْنَا أَنْ يَفُوتَنَا الْفَلاَحُ . قُلْتُ وَمَا الْفَلاَحُ قَالَ السُّحُورُ .
হাদীস নং: ১৬০৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৬০৬
দিবারাত্রির নফল নামাযের অধ্যায়
রমযান মাসে কিয়ামুল লাইল আদায় করা
১৬০৯। আহমদ ইবনে সুলাইমান (রাহঃ) ......... নুআয়ম ইবনে যিয়াদ আবু তালহা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নুমান ইবনে বশীর (রাযিঃ) কে হিমস নামক স্থানের মিন্বরে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছি, আমরা একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে রমযান মাসের তেইশতম রাত্রের প্রথম এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত তারাবীহর নামায আদায় করলাম। অতঃপর পঁটিশতম রাত্রে তার সাথে অর্ধরাত্রি পর্যন্ত তারাবীহর নামায আদায় করলাম। আবার তার সাথে সাতাইশতম রাত্রেও তারাবীহর নামায আদায় করতে লাগলাম। এমনকি আমরা আশঙ্কা করলাম যে “ফালাহ” পাব না। সাহাবীগণ সাহরীকে ফালাহ বলতেন।
كتاب قيام الليل وتطوع النهار
باب قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، قَالَ أَخْبَرَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ حَدَّثَنِي نُعَيْمُ بْنُ زِيَادٍ أَبُو طَلْحَةَ، قَالَ سَمِعْتُ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ، عَلَى مِنْبَرِ حِمْصَ يَقُولُ قُمْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي شَهْرِ رَمَضَانَ لَيْلَةَ ثَلاَثٍ وَعِشْرِينَ إِلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ الأَوَّلِ ثُمَّ قُمْنَا مَعَهُ لَيْلَةَ خَمْسٍ وَعِشْرِينَ إِلَى نِصْفِ اللَّيْلِ ثُمَّ قُمْنَا مَعَهُ لَيْلَةَ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنْ لاَ نُدْرِكَ الْفَلاَحَ وَكَانُوا يُسَمُّونَهُ السُّحُورَ .