কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
২২. রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
হাদীস নং: ২২০৬
আন্তর্জাতিক নং: ২২০৬
রোযার অধ্যায়
এ হাদীস বর্ণনায় ইয়াহয়া ইবনে আবু কাসীর ও নযর ইবনে শায়বান (রাহঃ) এর বর্ণনার পার্থক্যের উল্লেখ
২২১০। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল আ’লা (রাহঃ), মুহাম্মাদ ইবনে হিশাম এবং আবুল আশআছ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার উপর দূঢ় বিশ্বাস রেখে সাওয়াবের নিয়তে তারাবীহর নামায আদায় করে, তার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সাওয়াবের নিয়তে কদরের রাত্রে জাগ্রত থাকে, তার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
كتاب الصيام
باب ذِكْرِ اخْتِلاَفِ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ وَالنَّضْرِ بْنِ شَيْبَانَ فِيهِ
أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، وَمُحَمَّدُ بْنُ هِشَامٍ، وَأَبُو الأَشْعَثِ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالُوا حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَنْ قَامَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ " .
হাদীস নং: ২২০৭
আন্তর্জাতিক নং: ২২০৭
রোযার অধ্যায়
এ হাদীস বর্ণনায় ইয়াহয়া ইবনে আবু কাসীর ও নযর ইবনে শায়বান (রাহঃ) এর বর্ণনার পার্থক্যের উল্লেখ
২২১১। মুহাম্মাদ ইবনে খালিদ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সাওয়াবের নিয়তে তারাবীহর নামায আদায় করে, তার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সাওয়াবের নিয়তে কদরের রাত্রে জাগ্রত থাকে, তার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
كتاب الصيام
باب ذِكْرِ اخْتِلاَفِ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ وَالنَّضْرِ بْنِ شَيْبَانَ فِيهِ
أَخْبَرَنِي مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مَرْوَانَ، أَنْبَأَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ سَلاَّمٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَامَ شَهْرَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَنْ قَامَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ " .
হাদীস নং: ২২০৮
আন্তর্জাতিক নং: ২২০৮
রোযার অধ্যায়
এ হাদীস বর্ণনায় ইয়াহয়া ইবনে আবু কাসীর ও নযর ইবনে শায়বান (রাহঃ) এর বর্ণনার পার্থক্যের উল্লেখ
২২১২। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... নযর ইবনে শায়বান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ)-এর সাথে সাক্ষাত করে তাঁকে বললেন, আপনি রমযান মাস সম্পর্কে উত্তম যা কিছু আলোচনা শুনেছেন তা আমার কাছে বর্ণনা করুন। তখন আবু সালামা (রাহঃ) বললেন যে, আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রাযিঃ) আমার কাছে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রমযান মাসের আলোচনা করলেন এবং রমযান মাসকে সকল মাসের উপর মর্যাদা দান করে বললেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সাওয়াবের নিয়তে তারাবীহর নামায আদায় করে, সে স্বীয় গুনাহসমূহ থেকে ঐ দিনের মত পবিত্র হয়ে যায় যে দিন তার মাতা তাকে প্রসব করেছিল।
كتاب الصيام
باب ذِكْرِ اخْتِلاَفِ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ وَالنَّضْرِ بْنِ شَيْبَانَ فِيهِ
أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ، قَالَ حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنِي النَّضْرُ بْنُ شَيْبَانَ، أَنَّهُ لَقِيَ أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَقَالَ لَهُ حَدِّثْنِي بِأَفْضَلِ، شَىْءٍ سَمِعْتَهُ يُذْكَرُ، فِي شَهْرِ رَمَضَانَ . فَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ ذَكَرَ شَهْرَ رَمَضَانَ فَفَضَّلَهُ عَلَى الشُّهُورِ وَقَالَ " مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا خَرَجَ مِنْ ذُنُوبِهِ كَيَوْمِ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ " . قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ هَذَا خَطَأٌ وَالصَّوَابُ أَبُو سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ .
হাদীস নং: ২২০৯
আন্তর্জাতিক নং: ২২০৯
রোযার অধ্যায়
এ হাদীস বর্ণনায় ইয়াহয়া ইবনে আবু কাসীর ও নযর ইবনে শায়বান (রাহঃ) এর বর্ণনার পার্থক্যের উল্লেখ
২২১৩। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... আবু সালামা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। অতঃপর পূর্বের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করলেন এবং বললেন যে, যে ব্যক্তি রমযান মাসে রোযা পালন করে এবং তারাবীহর নামায আদায় করে আল্লাহ তাআলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে এবং সাওয়াবের নিয়তে।
كتاب الصيام
باب ذِكْرِ اخْتِلاَفِ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ وَالنَّضْرِ بْنِ شَيْبَانَ فِيهِ
أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ أَنْبَأَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا الْقَاسِمُ بْنُ الْفَضْلِ، قَالَ حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شَيْبَانَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ وَقَالَ " مَنْ صَامَهُ وَقَامَهُ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ২২১০
আন্তর্জাতিক নং: ২২১০
রোযার অধ্যায়
এ হাদীস বর্ণনায় ইয়াহয়া ইবনে আবু কাসীর ও নযর ইবনে শায়বান (রাহঃ) এর বর্ণনার পার্থক্যের উল্লেখ
২২১৪। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... নযর ইবনে শায়বান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ)-কে বললামঃ আপনি আমার কাছে বর্ণনা করুন রমযান মাস সম্পর্কে যা আপনি আপনার পিতা থেকে শুনেছেন। আর আপনার পিতা তা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এমতাবস্থায় শুনেছিলেন যে, আপনার পিতা এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মাঝখানে অন্য আর কেউ ছিল না।
তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমার পিতা আমার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা তোমাদের উপর রমযান মাসের রোযা ফরয করেছেন এবং আমি তোমাদের জন্য তারাবীহর নামায কে সুন্নত করে দিয়েছি। অতএব যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সাওয়াবের নিয়তে রমযান মাসে রোযা পালন করে এবং তারাবীহর নামায আদায় করে, সে স্বীয় গুনাহসমূহ থেকে সে দিনের মত পবিত্র হয়ে যায় যে দিন তার মাতা তাকে প্রসব করেছিল।
তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমার পিতা আমার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা তোমাদের উপর রমযান মাসের রোযা ফরয করেছেন এবং আমি তোমাদের জন্য তারাবীহর নামায কে সুন্নত করে দিয়েছি। অতএব যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সাওয়াবের নিয়তে রমযান মাসে রোযা পালন করে এবং তারাবীহর নামায আদায় করে, সে স্বীয় গুনাহসমূহ থেকে সে দিনের মত পবিত্র হয়ে যায় যে দিন তার মাতা তাকে প্রসব করেছিল।
كتاب الصيام
باب ذِكْرِ اخْتِلاَفِ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ وَالنَّضْرِ بْنِ شَيْبَانَ فِيهِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو هِشَامٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ الْفَضْلِ، قَالَ حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شَيْبَانَ، قَالَ قُلْتُ لأَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ حَدِّثْنِي بِشَىْءٍ، سَمِعْتَهُ مِنْ، أَبِيكَ سَمِعَهُ أَبُوكَ، مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيْسَ بَيْنَ أَبِيكَ وَبَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَحَدٌ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ . قَالَ نَعَمْ حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى فَرَضَ صِيَامَ رَمَضَانَ عَلَيْكُمْ وَسَنَنْتُ لَكُمْ قِيَامَهُ فَمَنْ صَامَهُ وَقَامَهُ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا خَرَجَ مِنْ ذُنُوبِهِ كَيَوْمِ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ " .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী: