কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
৪১. ফারা' এবং আতীরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
হাদীস নং: ৪২২৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪২২৩
 ফারা' এবং আতীরার অধ্যায়
(ফারা এবং ’আতীরা)
৪২২৪. মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... মা’মার (রাহঃ) ও সুফয়ান (রাহঃ) যুহরী থেকে, তিনি সাঈদ ইবনুল-মুসায়্যিব (রাহঃ) থেকে এবং তিনি আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তাদের একজন বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ফারা এবং আতীরা করতে নিষেধ করেছেন। অন্যজন বললেনঃ এখন আর ফারা ও আতীরা নেই।
كتاب الفرع والعتيرة
باب
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ حَدَّثْتُ أَبَا إِسْحَقَ عَنْ مَعْمَرٍ وَسُفْيَانَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ أَحَدُهُمَا نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ الْفَرَعِ وَالْعَتِيرَةِ وَقَالَ الْآخَرُ لَا فَرَعَ وَلَا عَتِيرَةَ

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪২২৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪২২৪
 ফারা' এবং আতীরার অধ্যায়
(ফারা এবং ’আতীরা)
৪২২৫. আমর ইবনে যুরারা (রাহঃ) ......... মিখনাফ ইবনে সুলায়ম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আরাফায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে অবস্থানরত ছিলাম। তখন তিনি বললেনঃ হে লোক সকল! প্রতি বছর প্রত্যেক পরিবারে একটি কুরবানী করা ওয়াজিব এবং একটি আতীরা।* মুআয (রাযিঃ) বলেন, ইবনে আউন রজবে আতীরা করতেন, আমি স্বচক্ষে তা দেখেছি।
* প্রথমদিকে 'আতীরা ওয়াজিব ছিল। পরে তা রহিত হয়ে যায়। এখন চাইলে কেউ আল্লাহর উদ্দেশ্যে এরূপ যবেহ করতে পারে; কিন্তু করা অপরিহার্য নয়।
* প্রথমদিকে 'আতীরা ওয়াজিব ছিল। পরে তা রহিত হয়ে যায়। এখন চাইলে কেউ আল্লাহর উদ্দেশ্যে এরূপ যবেহ করতে পারে; কিন্তু করা অপরিহার্য নয়।
كتاب الفرع والعتيرة
باب
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ زُرَارَةَ قَالَ حَدَّثَنَا مُعَاذٌ وَهُوَ ابْنُ مُعَاذٍ قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو رَمْلَةَ قَالَ أَنْبَأَنَا مِخْنَفُ بْنُ سُلَيْمٍ قَالَ بَيْنَا نَحْنُ وُقُوفٌ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَرَفَةَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ عَلَى أَهْلِ بَيْتٍ فِي كُلِّ عَامٍ أَضْحَاةً وَعَتِيرَةً قَالَ مُعَاذٌ كَانَ ابْنُ عَوْنٍ يَعْتِرُ أَبْصَرَتْهُ عَيْنِي فِي رَجَبٍ

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪২২৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪২২৫
 ফারা' এবং আতীরার অধ্যায়
(ফারা এবং ’আতীরা)
৪২২৬. ইবরাহীম ইবনে ইয়াকূব ইবনে ইসহাক (রাহঃ) ......... শুআয়ব ইবনে মুহাম্মাদ এবং যায়দ ইবনে আসলাম (রাযিঃ) বলেন, লোকেরা জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ফারা কী? তিনি বললেনঃ তা যথার্থ। যদি তোমরা ফারার জন্তু যবেহ না করে জওয়ান হওয়া পর্যন্ত রেখে দাও, তারপর তাকে আল্লাহর রাস্তায় দিয়ে দাও অথবা মিসকীন, বিধবাকে দান কর, তবে সেটাই উত্তম তাকে যবেহ করার চাইতে, যদ্দরুন তার মা এমন কৃশকায় হয়ে পড়বে যে, তার গোশত পশমের সাথে লেগে যাবে আর সেক্ষেত্রে যেন তুমি তার সবটা দুধ তোমার পাত্রে ঢেলে নিলে (অর্থাৎ তার দুধ শুকিয়ে যাবে) এবং তাকে শোকাহত করলে। লোকেরা জিজ্ঞাসা করলোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আতীরার কি হুকুম? তিনি বললেনঃ ’আতীরাও যথার্থ।
كتاب الفرع والعتيرة
باب
أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ بْنِ إِسْحَقَ قَالَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ أَبُو عَلِيٍّ الْحَنَفِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ قَيْسٍ قَالَ سَمِعْتُ عَمْرَو بْنَ شُعَيْبِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِيهِ وَزَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ الْفَرَعَ قَالَ حَقٌّ فَإِنْ تَرَكْتَهُ حَتَّى يَكُونَ بَكْرًا فَتَحْمِلَ عَلَيْهِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَوْ تُعْطِيَهُ أَرْمَلَةً خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَذْبَحَهُ فَيَلْصَقَ لَحْمُهُ بِوَبَرِهِ فَتُكْفِئَ إِنَاءَكَ وَتُولِهُ نَاقَتَكَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ فَالْعَتِيرَةُ قَالَ الْعَتِيرَةُ حَقٌّ قَالَ أَبُو عَبْد الرَّحْمَنِ أَبُو عَلِيٍّ الْحَنَفِيُّ هُمْ أَرْبَعَةُ إِخْوَةٍ أَحَدُهُمْ أَبُو بَكْرٍ وَبِشْرٌ وَشَرِيكٌ وَآخَرُ

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪২২৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪২২৬
 ফারা' এবং আতীরার অধ্যায়
(ফারা এবং ’আতীরা)
৪২২৭. সুওয়াদ ইবনে নসর (রাহঃ) ......... হারিস ইবনে আমর (রাযিঃ) বলেন, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে বিদায় হজ্জের সময় সাক্ষাত করেন, তখন তিনি তাঁর আযবা নামক উটনীর উপর সওয়ার ছিলেন। আমি তাঁর একদিকে এসে বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার মাতাপিতা আপনার উপর কুরবান হোক। আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। তিনি বললেন, আল্লাহ্ তোমাদেরকে ক্ষমা করুন। এরপর আমি বিশেষভাবে আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনার উদ্দেশ্যে অন্যদিক দিয়ে তাঁর কাছে এসে বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। 
তখন তিনি তাঁর হাত দ্বারা ইশারা করে বলেছেনঃ আল্লাহ্ তোমাদের সকলকে ক্ষমা করুন। তখন উপস্থিত লোকদের এক ব্যক্তি বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আতীরা এবং ফারার ব্যাপারে আপনি কি বলেন? তিনি বললেনঃ যার ইচ্ছা আতীরা কর, আর যার ইচ্ছা করবে না। আর যার ইচ্ছা ফারা করবে, যার ইচ্ছা করবে না, কিন্তু বকরীর কুরবানী ওয়াজিব। তখন তিনি তাঁর একটি আঙ্গুল ব্যতীত সবগুলো আঙ্গুল গুটিয়ে নেন।
তখন তিনি তাঁর হাত দ্বারা ইশারা করে বলেছেনঃ আল্লাহ্ তোমাদের সকলকে ক্ষমা করুন। তখন উপস্থিত লোকদের এক ব্যক্তি বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আতীরা এবং ফারার ব্যাপারে আপনি কি বলেন? তিনি বললেনঃ যার ইচ্ছা আতীরা কর, আর যার ইচ্ছা করবে না। আর যার ইচ্ছা ফারা করবে, যার ইচ্ছা করবে না, কিন্তু বকরীর কুরবানী ওয়াজিব। তখন তিনি তাঁর একটি আঙ্গুল ব্যতীত সবগুলো আঙ্গুল গুটিয়ে নেন।
كتاب الفرع والعتيرة
باب
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ قَالَ أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ يَعْنِي ابْنَ الْمُبَارَكِ عَنْ يَحْيَى وَهُوَ ابْنُ زُرَارَةَ بْنِ كُرَيْمِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَمْرٍو الْبَاهِلِيُّ قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يَذْكُرُ أَنَّهُ سَمِعَ جَدَّهُ الْحَارِثَ بْنَ عَمْرٍو يُحَدِّثُ أَنَّهُ لَقِيَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ وَهُوَ عَلَى نَاقَتِهِ الْعَضْبَاءِ فَأَتَيْتُهُ مِنْ أَحَدِ شِقَّيْهِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي اسْتَغْفِرْ لِي فَقَالَ غَفَرَ اللَّهُ لَكُمْ ثُمَّ أَتَيْتُهُ مِنْ الشِّقِّ الْآخَرِ أَرْجُو أَنْ يَخُصَّنِي دُونَهُمْ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ اسْتَغْفِرْ لِي فَقَالَ بِيَدِهِ غَفَرَ اللَّهُ لَكُمْ فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ النَّاسِ يَا رَسُولَ اللَّهِ الْعَتَائِرُ وَالْفَرَائِعُ قَالَ مَنْ شَاءَ عَتَرَ وَمَنْ شَاءَ لَمْ يَعْتِرْ وَمَنْ شَاءَ فَرَّعَ وَمَنْ شَاءَ لَمْ يُفَرِّعْ فِي الْغَنَمِ أُضْحِيَّتُهَا وَقَبَضَ أَصَابِعَهُ إِلَّا وَاحِدَةً

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪২২৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪২২৭
 ফারা' এবং আতীরার অধ্যায়
(ফারা এবং ’আতীরা)
৪২২৮. হারূন ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... হারিস ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বিদায় হজ্জে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সঙ্গে মিলিত হই, তখন আমি বলিঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার মাতাপিতা আপনার উপর কুরবান হোক, আপনি আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। তিনি বললেনঃ আল্লাহ্ তাআলা তোমাদের সকলকে ক্ষমা করুন। তখন তিনি তাঁর আযবা নামক উটনীর উপর উপবিষ্ট ছিলেন। এরপর আমি অন্যদিকে ঘুরে গেলাম ......... হাদীসের শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করলাম।
كتاب الفرع والعتيرة
باب
أَخْبَرَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ حَدَّثَنَا عَفَّانُ قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زُرَارَةَ السَّهْمِيُّ قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ جَدِّهِ الْحَارِثِ بْنِ عَمْرٍو ح وَأَنْبَأَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ قَالَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ زُرَارَةَ السَّهْمِيُّ قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ جَدِّهِ الْحَارِثِ بْنِ عَمْرٍو أَنَّهُ لَقِيَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ فَقُلْتُ بِأَبِي أَنْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَأُمِّي اسْتَغْفِرْ لِي فَقَالَ غَفَرَ اللَّهُ لَكُمْ وَهُوَ عَلَى نَاقَتِهِ الْعَضْبَاءِ ثُمَّ اسْتَدَرْتُ مِنْ الشِّقِّ الْآخَرِ وَسَاقَ الْحَدِيثَ

তাহকীক:

বর্ণনাকারী: