কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
كتاب السنن للإمام ابن ماجة
ভূমিকা অধ্যায় (ইত্তেবায়ে সুন্নাহ,ইলম ও সাহাবা রাঃ এর মর্যাদা সংশ্লিষ্ট) - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
হাদীস নং: ১৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৭
ভূমিকা অধ্যায় (ইত্তেবায়ে সুন্নাহ,ইলম ও সাহাবা রাঃ এর মর্যাদা সংশ্লিষ্ট)
জাহমিয়া সম্প্রদায় যা অস্বীকার করে, সে প্রসঙ্গে
১৭৭। মুহাম্মাদ ইবন 'আব্দুল্লাহ্ ইবন নুমায়র ও আলী ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ)...... জারীর ইবন আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমরা বাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে বসা ছিলাম। তখন তিনি পূর্ণিমার রাতের চাঁদের দিকে তাকিয়ে বললেনঃ অবশ্যই তোমরা তোমাদের রবকে দেখতে পাবে, যেমন তোমরা এ চাঁদকে দেখতে পাচ্ছ। তাঁকে দেখতে তোমাদের কোন অসুবিধা হবে না। যদি তোমাদের সামর্থ্য থাকে, তবে তোমাদের উপর ফজরের সালাত ও মাগরিবের সালাতে যেন (শয়তান) বিজয়ী না হয় (অর্থাৎ এ দুই সালাত যেন কাযা না হয়; বরং তা আদায় করবে।) এরপর তিনি তিলাওয়াত করলেনঃ وسبح بحمد ربك قبل طلوع الشمس وقبل الغروب “এবং তুমি তোমার রবের তাসবীহ পাঠ কর সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের আগে। (৫০ঃ৩৯)”
أبواب السنة أو افتتاح الكتاب في الإيمان وفضائل الصحابة والعلم
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي وَوَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا خَالِي، يَعْلَى وَوَكِيعٌ وَأَبُو مُعَاوِيَةَ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا جُلُوسًا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَنَظَرَ إِلَى الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ فَقَالَ " إِنَّكُمْ سَتَرَوْنَ رَبَّكُمْ كَمَا تَرَوْنَ هَذَا الْقَمَرَ لاَ تَضَامُّونَ فِي رُؤْيَتِهِ فَإِنِ اسْتَطَعْتُمْ أَنْ لاَ تُغْلَبُوا عَلَى صَلاَةٍ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوبِهَا فَافْعَلُوا " . ثُمَّ قَرَأَ (وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ الْغُرُوبِ) .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৮
ভূমিকা অধ্যায় (ইত্তেবায়ে সুন্নাহ,ইলম ও সাহাবা রাঃ এর মর্যাদা সংশ্লিষ্ট)
জাহমিয়া সম্প্রদায় যা অস্বীকার করে, সে প্রসঙ্গে
১৭৮। মুহাম্মাদ ইবন 'আব্দুল্লাহ ইবন নুমায়র (রাহঃ) ........ আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের কি পূর্ণিমার রাতে চাঁদ দেখতে কোন অসুবিধা হয়? তারা বললেনঃ না। তিনি বললেনঃ এমনিভাবে কিয়ামতের দিন তোমাদের রবের দর্শনে তোমাদের কোন অসুবিধা হবে না।
أبواب السنة أو افتتاح الكتاب في الإيمان وفضائل الصحابة والعلم
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عِيسَى الرَّمْلِيُّ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " تَضَامُّونَ فِي رُؤْيَةِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ " . قَالُوا لاَ . قَالَ " فَكَذَلِكَ لاَ تَضَامُّونَ فِي رُؤْيَةِ رَبِّكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৯
ভূমিকা অধ্যায় (ইত্তেবায়ে সুন্নাহ,ইলম ও সাহাবা রাঃ এর মর্যাদা সংশ্লিষ্ট)
জাহমিয়া সম্প্রদায় যা অস্বীকার করে, সে প্রসঙ্গে
১৭৯। মুহাম্মাদ ইবন 'আলা হামদানী (রাহঃ) …… আবু সা'য়ীদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা কি আমাদের রবকে দেখব? তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমরা কি দুপুরে মেঘমুক্ত আকাশে সূর্য দেখতে কোন অসুবিধা বোধ কর? আমরা বললামঃ না। তিনি আবার জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমাদের কি পূর্ণিমার রাতে মেঘমুক্ত আকাশে চাঁদ দেখতে কোন অসুবিধা হয়? তারা বললেনঃ না। তিনি বললেনঃ (কিয়ামতের দিন) তাঁকে দেখতে তোমাদের কোন অসুবিধা হবে না, যেমন তোমরা চাঁদ-সূর্য দেখতে অসুবিধা বোধ কর না।
أبواب السنة أو افتتاح الكتاب في الإيمان وفضائل الصحابة والعلم
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَرَى رَبَّنَا قَالَ " تَضَامُّونَ فِي رُؤْيَةِ الشَّمْسِ فِي الظَّهِيرَةِ فِي غَيْرِ سَحَابٍ " . قُلْنَا لاَ . قَالَ " فَتَضَارُّونَ فِي رُؤْيَةِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ فِي غَيْرِ سَحَابٍ " . قَالُوا لاَ . قَالَ " إِنَّكُمْ لاَ تَضَارُّونَ فِي رُؤْيَتِهِ إِلاَّ كَمَا تَضَارُّونَ فِي رُؤْيَتِهِمَا " .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১৮০
আন্তর্জাতিক নং: ১৮০
ভূমিকা অধ্যায় (ইত্তেবায়ে সুন্নাহ,ইলম ও সাহাবা রাঃ এর মর্যাদা সংশ্লিষ্ট)
জাহমিয়া সম্প্রদায় যা অস্বীকার করে, সে প্রসঙ্গে
১৮০। আবু বকর ইবন আবু শায়বা (রাহঃ) ....... আবু রাযীন (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা কি কিয়ামতের দিন আল্লাহকে দেখতে পাব? এবং তাঁর সৃষ্টির মাঝে এর নিদর্শন কি? তিনি বললেনঃ হে আবু রায়ীন! তোমাদের সকলে কি চাঁদকে একান্তে দেখতে পাও না? তিনি বলেন, আমি বললামঃ অবশ্যই। তিনি বললেনঃ আল্লাহ্ সর্বাপেক্ষা মহান এবং এ হলো নিদর্শন তাঁর সৃষ্টির মাঝে।
أبواب السنة أو افتتاح الكتاب في الإيمان وفضائل الصحابة والعلم
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ وَكِيعِ بْنِ حُدُسٍ، عَنْ عَمِّهِ أَبِي رَزِينٍ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَكُلُّنَا يَرَى اللَّهَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَا آيَةُ ذَلِكَ فِي خَلْقِهِ قَالَ " يَا أَبَا رَزِينٍ أَلَيْسَ كُلُّكُمْ يَرَى الْقَمَرَ مُخْلِيًا بِهِ " . قَالَ قُلْتُ بَلَى . قَالَ " فَاللَّهُ أَعْظَمُ وَذَلِكَ آيَتُهُ فِي خَلْقِهِ " .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১৮১
আন্তর্জাতিক নং: ১৮১
ভূমিকা অধ্যায় (ইত্তেবায়ে সুন্নাহ,ইলম ও সাহাবা রাঃ এর মর্যাদা সংশ্লিষ্ট)
জাহমিয়া সম্প্রদায় যা অস্বীকার করে, সে প্রসঙ্গে
১৮১। আবু বকর ইবন আবু শায়বা (রাহঃ) .......আবু রাযীন (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ আমাদের রব সে সময় হাসেন, যখন তাঁর বান্দা নিরাশ হয় এবং গায়রুল্লাহর নৈকট্য প্রার্থনা করে। রাবী বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ্! রব কি হাসেন। তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। আমি বললামঃ আমরা কখনো পুণ্যের কাজ ছাড়বো না, যাতে রব হাসতে পারেন।
أبواب السنة أو افتتاح الكتاب في الإيمان وفضائل الصحابة والعلم
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ وَكِيعِ بْنِ حُدُسٍ، عَنْ عَمِّهِ أَبِي رَزِينٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " ضَحِكَ رَبُّنَا مِنْ قُنُوطِ عِبَادِهِ وَقُرْبِ غِيَرِهِ " . قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَوَ يَضْحَكُ الرَّبُّ قَالَ " نَعَمْ " . قُلْتُ لَنْ نَعْدِمَ مِنْ رَبٍّ يَضْحَكُ خَيْرًا .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১৮২
আন্তর্জাতিক নং: ১৮২
ভূমিকা অধ্যায় (ইত্তেবায়ে সুন্নাহ,ইলম ও সাহাবা রাঃ এর মর্যাদা সংশ্লিষ্ট)
জাহমিয়া সম্প্রদায় যা অস্বীকার করে, সে প্রসঙ্গে
১৮২। আবু বকর ইবন আবু শায়বা ও মুহাম্মাদ ইবন সাব্বাহ (রাহঃ) …... আবু রাযীন (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! মাখলূক সৃষ্টি করার পূর্বে আমাদের রব কোথায় ছিলেন ? তিনি বললেন, একটি মেঘের মধ্যে, যার নীচে বায়ু ছিল এবং উপরেও বায়ু ছিল। এরপর তিনি মাখলুক সৃষ্টি করেন এবং তাঁর আরশ ছিল পানির উপর।
أبواب السنة أو افتتاح الكتاب في الإيمان وفضائل الصحابة والعلم
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ وَكِيعِ بْنِ حُدُسٍ، عَنْ عَمِّهِ أَبِي رَزِينٍ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيْنَ كَانَ رَبُّنَا قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ خَلْقَهُ قَالَ " كَانَ فِي عَمَاءٍ مَا تَحْتَهُ هَوَاءٌ وَمَا فَوْقَهُ هَوَاءٌ ثُمَّ خَلَقَ الْعَرْشَ عَلَى الْمَاءِ " .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৩
ভূমিকা অধ্যায় (ইত্তেবায়ে সুন্নাহ,ইলম ও সাহাবা রাঃ এর মর্যাদা সংশ্লিষ্ট)
জাহমিয়া সম্প্রদায় যা অস্বীকার করে, সে প্রসঙ্গে
১৮৩। হুমায়দ ইবন মাস'আদাহ (রাহঃ) …… সাফওয়ান ইবন মুহরিয মাযিনী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একবার আমরা 'আব্দুল্লাহ ইবন 'উমর (রাযিঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি তখন বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করছিলেন। তখন এক ব্যক্তি তাঁর কাছে এসে বললোঃ হে ইবন 'উমর! আপনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে সেই হাদীস কিভাবে শুনেছেন, যা তিনি গোপন আলাপ সম্পর্কে বলেছেন? তিনি বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে, কিয়ামতের দিন ঈমানদার ব্যক্তি তার পরওয়ারদিগারের খুব নিকটবর্তী হবে, এমন কি আল্লাহ্ তা'আলা তার উপর থেকে পর্দা তুলে নেবেন। এরপর তিনি তার গুনাহগুলি তার সামনে তুলে ধরবেন এবং বলবেনঃ তুমি কি এগুলো জান? তখন সে বলবেঃ হে আমার রব! হ্যাঁ। আমি তা জানি। শেষ পর্যন্ত যতখানি আল্লাহর মঞ্জুর হবে, সে স্বীকার করে নেবে। তিনি বলবেনঃ আমি এগুলো তোমার থেকে দুনিয়াতে গোপন রেখেছিলাম এবং আজ আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম। রাবী বলেনঃ তারপর তার ডান হাতে নেক আমলের একটি দপ্তর প্রদান করা হবে। রাবী বলেনঃ কাফির অথবা মুনাফিকদের বিষয়ে সমস্ত মানুষের সামনে ঘোষণা দেওয়া হবে যে, هؤلاء الذين كذبوا على ربهم ألا لعنة الله على الظالمين "এরাই সে সব লোক, যারা তাদের রবের উপর মিথ্যা আরোপ করেছে। জেনে রাখ! সীমালংঘনকারীদের উপর আল্লাহর লানত বর্ষিত হবে।" (১১ঃ১৮)
أبواب السنة أو افتتاح الكتاب في الإيمان وفضائل الصحابة والعلم
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ مُحْرِزٍ الْمَازِنِيِّ، قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَهُوَ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ إِذْ عَرَضَ لَهُ رَجُلٌ فَقَالَ يَا ابْنَ عُمَرَ كَيْفَ سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَذْكُرُ فِي النَّجْوَى قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " يُدْنَى الْمُؤْمِنُ مِنْ رَبِّهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ حَتَّى يَضَعَ عَلَيْهِ كَنَفَهُ ثُمَّ يُقَرِّرُهُ بِذُنُوبِهِ فَيَقُولُ هَلْ تَعْرِفُ فَيَقُولُ يَا رَبِّ أَعْرِفُ . حَتَّى إِذَا بَلَغَ مِنْهُ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَبْلُغَ قَالَ إِنِّي سَتَرْتُهَا عَلَيْكَ فِي الدُّنْيَا وَأَنَا أَغْفِرُهَا لَكَ الْيَوْمَ . قَالَ ثُمَّ يُعْطَى صَحِيفَةَ حَسَنَاتِهِ أَوْ كِتَابَهُ بِيَمِينِهِ . قَالَ وَأَمَّا الْكَافِرُ أَوِ الْمُنَافِقُ فَيُنَادَى عَلَى رُءُوسِ الأَشْهَادِ " . قَالَ خَالِدٌ فِي " الأَشْهَادِ " . شَىْءٌ مِنِ انْقِطَاعٍ . (هَؤُلاَءِ الَّذِينَ كَذَبُوا عَلَى رَبِّهِمْ أَلاَ لَعْنَةُ اللَّهِ عَلَى الظَّالِمِينَ) .
হাদীস নং: ১৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৪
ভূমিকা অধ্যায় (ইত্তেবায়ে সুন্নাহ,ইলম ও সাহাবা রাঃ এর মর্যাদা সংশ্লিষ্ট)
জাহমিয়া সম্প্রদায় যা অস্বীকার করে, সে প্রসঙ্গে
১৮৪। মুহাম্মাদ ইবন 'আব্দুল মালিক ইবন আবু শাওয়ারিব (রাহঃ) ….. জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ জান্নাতীরা তাদের নিয়ামত সামগ্রীর স্বাদ আস্বাদনে মশগুল থাকবে, হঠাৎ তাদের সামনে একটি নূর চমকিয়ে উঠবে। তখন তারা তাদের মাথা উঠাবে এবং দেখতে পাবে যে, তাদের রব তাদের উপর দিক থেকে আবির্ভূত এবং তিনি বলছেনঃ “السلام عليكم ” হে জান্নাতবাসী!(তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক)। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ এটাই হলো আল্লাহর বাণী, “سلم قولا من رب رحيم ” (পরম দয়ালু পরওয়ারদিগারের পক্ষ হতে তাদের বলা হবে সালাম, শাস্তি) (৩৬ঃ ৫৮)-এর তাৎপর্য। তিনি বলেনঃ এরপর আল্লাহ তা'আলা তাদের প্রতি তাকাবেন এবং তারাও তাঁর প্রতি তাকাবে। অতঃপর জান্নাতীরা জান্নাতের অন্য কোন নিয়ামত সামগ্রীর দিকে ফিরে তাকাবে না, যতক্ষণ তারা আল্লাহর দীদারে মশগুল থাকবে। অবশেষে তাদের মাঝে পর্দা পড়ে যাবে এবং তাঁর নূর ও বরকত তাদের প্রতি তাদের আবাসস্থলে অবশিষ্ট থাকবে।
أبواب السنة أو افتتاح الكتاب في الإيمان وفضائل الصحابة والعلم
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ الْعَبَّادَانِيُّ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ الرَّقَاشِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " بَيْنَا أَهْلُ الْجَنَّةِ فِي نَعِيمِهِمْ إِذْ سَطَعَ لَهُمْ نُورٌ فَرَفَعُوا رُءُوسَهُمْ فَإِذَا الرَّبُّ قَدْ أَشْرَفَ عَلَيْهِمْ مِنْ فَوْقِهِمْ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ يَا أَهْلَ الْجَنَّةِ . قَالَ وَذَلِكَ قَوْلُ اللَّهِ (سَلاَمٌ قَوْلاً مِنْ رَبٍّ رَحِيمٍ) قَالَ فَيَنْظُرُ إِلَيْهِمْ وَيَنْظُرُونَ إِلَيْهِ فَلاَ يَلْتَفِتُونَ إِلَى شَىْءٍ مِنَ النَّعِيمِ مَا دَامُوا يَنْظُرُونَ إِلَيْهِ حَتَّى يَحْتَجِبَ عَنْهُمْ وَيَبْقَى نُورُهُ وَبَرَكَتُهُ عَلَيْهِمْ فِي دِيَارِهِمْ " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৫
ভূমিকা অধ্যায় (ইত্তেবায়ে সুন্নাহ,ইলম ও সাহাবা রাঃ এর মর্যাদা সংশ্লিষ্ট)
জাহমিয়া সম্প্রদায় যা অস্বীকার করে, সে প্রসঙ্গে
১৮৫। 'আলী ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ) ....... 'আদী ইবন হাতিম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের মাঝে এমন কেউ থাকবে না, যার সামনে তার রব কথা বলবেন না। সে এবং তাঁর মাঝখানে কোন অনুবাদকারী থাকবে না। বান্দা তার ডানদিকে তাকালে তার আমল ব্যতিরেকে কিছুই দেখতে পাবে না। এরপর সে তার বামদিকে তাকালে তখনও তার আমল ব্যতীত কিছুই দেখতে পাবে না। অতঃপর সে তার সম্মুখভাগে নজর করলে জাহান্নাম তাকে অভ্যর্থনা জানাবে। সুতরাং তোমাদের প্রত্যেকেই সাধ্যমত যেন জাহান্নাম থেকে বিরত থাকে; যদিও একটি খুরমা-খেজুর সদকা করেও হয়, তাহলে যেন সে তা করে।
أبواب السنة أو افتتاح الكتاب في الإيمان وفضائل الصحابة والعلم
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ خَيْثَمَةَ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إِلاَّ سَيُكَلِّمُهُ رَبُّهُ لَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ تَرْجُمَانٌ فَيَنْظُرُ عَنْ أَيْمَنَ مِنْهُ فَلاَ يَرَى إِلاَّ شَيْئًا قَدَّمَهُ ثُمَّ يَنْظُرُ عَنْ أَيْسَرَ مِنْهُ فَلاَ يَرَى إِلاَّ شَيْئًا قَدَّمَهُ ثُمَّ يَنْظُرُ أَمَامَهُ فَتَسْتَقْبِلُهُ النَّارُ فَمَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يَتَّقِيَ النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ فَلْيَفْعَلْ " .
হাদীস নং: ১৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৬
ভূমিকা অধ্যায় (ইত্তেবায়ে সুন্নাহ,ইলম ও সাহাবা রাঃ এর মর্যাদা সংশ্লিষ্ট)
জাহমিয়া সম্প্রদায় যা অস্বীকার করে, সে প্রসঙ্গে
১৮৬। মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রাহঃ) ........ 'আব্দুল্লাহ ইবন কায়স আশ'আরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ দুটি জান্নাত হবে রূপার তৈরী, তার পান পাত্রসমূহ ও তার মাঝের সব বস্তু সামগ্রীও হবে রূপার তৈরী। আর দুটি জান্নাত সোনার, তার পানপাত্রসমূহ ও তার মাঝের অন্যান্য জিনিস হবে সোনার তৈরী। সেদিন লোকদের, আল্লাহ্ তা'আলার দীদার লাভের একমাত্র তাঁর চেহারার উপর কিবরিয়ার (বড়ত্বের) চাদরই প্রতিবন্ধক হবে। আর এই দীদার পর্ব অনুষ্ঠিত হবে আদন নামক জান্নাতে।
أبواب السنة أو افتتاح الكتاب في الإيمان وفضائل الصحابة والعلم
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الصَّمَدِ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا أَبُو عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ الأَشْعَرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " جَنَّتَانِ مِنْ فِضَّةٍ آنِيَتُهُمَا وَمَا فِيهِمَا وَجَنَّتَانِ مِنْ ذَهَبٍ آنِيَتُهُمَا وَمَا فِيهِمَا وَمَا بَيْنَ الْقَوْمِ وَبَيْنَ أَنْ يَنْظُرُوا إِلَى رَبِّهِمْ تَبَارَكَ وَتَعَالَى إِلاَّ رِدَاءُ الْكِبْرِيَاءِ عَلَى وَجْهِهِ فِي جَنَّةِ عَدْنٍ " .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৭
ভূমিকা অধ্যায় (ইত্তেবায়ে সুন্নাহ,ইলম ও সাহাবা রাঃ এর মর্যাদা সংশ্লিষ্ট)
জাহমিয়া সম্প্রদায় যা অস্বীকার করে, সে প্রসঙ্গে
১৮৭। আব্দুল কুদ্দুস ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ) ….. সুহায়ব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এ আয়াত তিলাওয়াত করেনঃ للذين أحسنوا الحسنى وزيادة “যারা কল্যাণকর কাজ করে, তাদের জন্য রয়েছে কল্যাণ এবং আরো অধিক" (১০ঃ২৬)। আর নবী (ﷺ) বলেনঃ যখন জান্নাতীরা জান্নাতে এবং জাহান্নামীরা জাহান্নামে প্রবেশ করবে, তখন এক ঘোষণাকারী বলবেঃ হে জান্নাতের অধিবাসীরা! নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য আল্লাহর একটি ওয়াদা যা তিনি পূরণ করবেন। তখন তারা বলবেঃ সেটি কি? আল্লাহ কি আমাদের (নেকীর) পাল্লা ভারী করেন নি? আমাদের চেহারাগুলো আলোকিত করেন নি? তিনি কি আমাদের জান্নাতে দাখিল করেন নি এবং জাহান্নাম থেকে নাজাত দেন নি? [রাসুলুল্লাহ (ﷺ)] বলেনঃ তখন আল্লাহ পর্দা তুলে নেবেন এবং তারা আল্লাহর প্রতি তাকাবে। আল্লাহর কসম! আল্লাহ তাদেরকে তাঁর দীদারের চাইতে অধিক প্রিয় বস্তু কিছু দান করেননি এবং কোন জিনিস দীদার লাভের চাইতে অধিকতর নয়ন প্রীতিকর হবে না।
أبواب السنة أو افتتاح الكتاب في الإيمان وفضائل الصحابة والعلم
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْقُدُّوسِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ صُهَيْبٍ، قَالَ تَلاَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ هَذِهِ الآيَةَ (لِلَّذِينَ أَحْسَنُوا الْحُسْنَى وَزِيَادَةٌ) وَقَالَ " إِذَا دَخَلَ أَهْلُ الْجَنَّةِ الْجَنَّةَ وَأَهْلُ النَّارِ النَّارَ نَادَى مُنَادٍ يَا أَهْلَ الْجَنَّةِ إِنَّ لَكُمْ عِنْدَ اللَّهِ مَوْعِدًا يُرِيدُ أَنْ يُنْجِزَكُمُوهُ . فَيَقُولُونَ وَمَا هُوَ أَلَمْ يُثَقِّلِ اللَّهُ مَوَازِينَنَا وَيُبَيِّضْ وُجُوهَنَا وَيُدْخِلْنَا الْجَنَّةَ وَيُنْجِنَا مِنَ النَّارِ قَالَ فَيَكْشِفُ الْحِجَابَ فَيَنْظُرُونَ إِلَيْهِ فَوَاللَّهِ مَا أَعْطَاهُمُ اللَّهُ شَيْئًا أَحَبَّ إِلَيْهِمْ مِنَ النَّظَرِ إِلَيْهِ وَلاَ أَقَرَّ لأَعْيُنِهِمْ " .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৮
ভূমিকা অধ্যায় (ইত্তেবায়ে সুন্নাহ,ইলম ও সাহাবা রাঃ এর মর্যাদা সংশ্লিষ্ট)
জাহমিয়া সম্প্রদায় যা অস্বীকার করে, সে প্রসঙ্গে
১৮৮। আলী ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ) ....আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর قد سمع জন্য, যিনি সব রকম আওয়াজ শুনেন। একবার জনৈকা অভিযোগকারী মহিলা নবী (ﷺ)-এর কাছে এলো আর আমি ছিলাম তখন ঘরের এক কোণে। সে তার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করছিল এবং সে যা বলছিল তা আমি শুনতে পাচ্ছিলাম না। তখন আল্লাহ নাযিল করেন "হে রাসূল! আল্লাহ সে মহিলার কথা শুনেছেন, যে তার স্বামীর বিষয়ে আপনার সাথে। বাদানুবাদ করছে। (৫৮১১)
أبواب السنة أو افتتاح الكتاب في الإيمان وفضائل الصحابة والعلم
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ تَمِيمِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتِ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي وَسِعَ سَمْعُهُ الأَصْوَاتَ، لَقَدْ جَاءَتِ الْمُجَادِلَةُ إِلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَأَنَا فِي نَاحِيَةِ الْبَيْتِ تَشْكُو زَوْجَهَا وَمَا أَسْمَعُ مَا تَقُولُ فَأَنْزَلَ اللَّهُ (قَدْ سَمِعَ اللَّهُ قَوْلَ الَّتِي تُجَادِلُكَ فِي زَوْجِهَا) .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৯
ভূমিকা অধ্যায় (ইত্তেবায়ে সুন্নাহ,ইলম ও সাহাবা রাঃ এর মর্যাদা সংশ্লিষ্ট)
জাহমিয়া সম্প্রদায় যা অস্বীকার করে, সে প্রসঙ্গে
১৮৯ মুহাম্মাদ ইবন ইয়াহইয়া (রাহঃ) . আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন ও তোমাদের রব মাখলূক সৃষ্টির পূর্বে তাঁর কুদরতী হাতে নিজে এরূপ লিখেন যে, আমার রহমত আমার গযবের উপর অগ্রগামী।
أبواب السنة أو افتتاح الكتاب في الإيمان وفضائل الصحابة والعلم
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ عِيسَى، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " كَتَبَ رَبُّكُمْ عَلَى نَفْسِهِ بِيَدِهِ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ الْخَلْقَ رَحْمَتِي سَبَقَتْ غَضَبِي " .
হাদীস নং: ১৯০
আন্তর্জাতিক নং: ১৯০
ভূমিকা অধ্যায় (ইত্তেবায়ে সুন্নাহ,ইলম ও সাহাবা রাঃ এর মর্যাদা সংশ্লিষ্ট)
জাহমিয়া সম্প্রদায় যা অস্বীকার করে, সে প্রসঙ্গে
১৯০ ইবরাহীম ইবন মুনযির হিযামী ও ইয়াহইয়া ইবন হাবীব ইবন 'আরাবী (রাহঃ) খিরাশ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ যখন উহুদের যুদ্ধে 'আব্দুল্লাহ ইবন 'আমর ইবন হাযম (রাযিঃ) শহীদ হন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সঙ্গে আমার দেখা হয়। তিনি বললেনঃ হে জাবির! আমি কি তোমাকে সে কথা অবহিত করব না, যা আল্লাহ তোমার পিতা সম্পর্কে বলেছেন? ইয়াহইয়া (রাহঃ) তাঁর হাদীসে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ হে জাবির! আমি তোমাকে ব্যথিত দেখছি কেন? তিনি বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! আমার পিতাকে শহীদ করা হয়েছে এবং তিনি অনেক সন্তান-সন্ততি ও ঋণ রেখে গেছেন। তিনি (ﷺ) বললেনঃ আমি কি তোমাকে সে সু- সংবাদ দেব না যে আচরণ আল্লাহ তোমার পিতার সঙ্গে করেছেন তিনি বললেনঃ অবশ্যই, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)। তিনি (ﷺ) বললেনঃ আল্লাহ কখনো পর্দার অন্তরাল ছাড়া কারো সাথে কথা বলেননি। কিন্তু তোমার পিতার সঙ্গে তিনি পর্দা ব্যতিরেকে সরাসরি কথা বলেছেন। আল্লাহ বলেছেনঃ হে আমার বান্দা! তুমি আমার কাছে চাও, আমি তোমাকে দান করব। তিনি বলেনঃ হে আমার রব! আপনি আমাকে পুনরায় জীবিত করে দিন, যাতে আপনার রাস্তায় দ্বিতীয়বার শহীদ হতে পারি। তখন মহান ও পবিত্র রব বললেনঃ আমি তো আগেই লিপিবদ্ধ করে দিয়েছি যে, লোকেরা (মৃত্যুর পর) আর পৃথিবীতে ফিরে যাবে না। তিনি বললেনঃ হে আমার রব! তাহলে আপনি আমার পশ্চাৎবর্তীদের কাছে এ খবর পৌছিয়ে দিন। রাবী বলেন, তখন আল্লাহ এ আয়াত নাযিল করেন ولا تحسبن الذين قتلوا في سبيل الله أمواتا بل أحياء عند ربهم يرزقون “যারা আল্লাহর পথে শহীদ হয়েছে, তাদের কখনো মৃত মনে করো না, বরং তারা জীবিত এবং তাদের রবের নিকট হতে তারা জীবিকাপ্রাপ্ত”। (৩ঃ১৬৯)
أبواب السنة أو افتتاح الكتاب في الإيمان وفضائل الصحابة والعلم
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ، وَيَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ كَثِيرٍ الأَنْصَارِيُّ الْحَرَامِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ طَلْحَةَ بْنَ خِرَاشٍ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ لَمَّا قُتِلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ حَرَامٍ يَوْمَ أُحُدٍ لَقِيَنِي رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ " يَا جَابِرُ أَلاَ أُخْبِرُكَ مَا قَالَ اللَّهُ لأَبِيكَ " . وَقَالَ يَحْيَى فِي حَدِيثِهِ فَقَالَ " يَا جَابِرُ مَالِي أَرَاكَ مُنْكَسِرًا " . قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ اسْتُشْهِدَ أَبِي وَتَرَكَ عِيَالاً وَدَيْنًا . قَالَ " أَفَلاَ أُبَشِّرُكَ بِمَا لَقِيَ اللَّهُ بِهِ أَبَاكَ " . قَالَ بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " مَا كَلَّمَ اللَّهُ أَحَدًا قَطُّ إِلاَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ وَكَلَّمَ أَبَاكَ كِفَاحًا . فَقَالَ يَا عَبْدِي تَمَنَّ عَلَىَّ أُعْطِكَ . قَالَ يَا رَبِّ تُحْيِينِي فَأُقْتَلُ فِيكَ ثَانِيَةً . فَقَالَ الرَّبُّ سُبْحَانَهُ إِنَّهُ سَبَقَ مِنِّي أَنَّهُمْ إِلَيْهَا لاَ يَرْجِعُونَ . قَالَ يَا رَبِّ فَأَبْلِغْ مَنْ وَرَائِي . قَالَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى (وَلاَ تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا بَلْ أَحْيَاءٌ عِنْدَ رَبِّهِمْ يُرْزَقُونَ) " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯১
আন্তর্জাতিক নং: ১৯১
ভূমিকা অধ্যায় (ইত্তেবায়ে সুন্নাহ,ইলম ও সাহাবা রাঃ এর মর্যাদা সংশ্লিষ্ট)
জাহমিয়া সম্প্রদায় যা অস্বীকার করে, সে প্রসঙ্গে
১৯১। আবু বকর ইবন আবু শায়বা (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ তা'আলা দু' ব্যক্তির প্রতি লক্ষ্য করে হাসবেন, যাদের একজন অন্যজনকে কতল করেছিল। তারা উভয়ই জান্নাতে প্রবেশ করবে। এক ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে শহীদ হয়। এরপর আল্লাহ তা'আলা হত্যাকারীর তাওবা কবূল করেন। আর সে ইসলাম কবূল করে। এরপর আল্লাহ রাস্তায় জিহাদ করে সেও শহীদ হয়।
أبواب السنة أو افتتاح الكتاب في الإيمان وفضائل الصحابة والعلم
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِنَّ اللَّهَ يَضْحَكُ إِلَى رَجُلَيْنِ يَقْتُلُ أَحَدُهُمَا الآخَرَ كِلاَهُمَا دَخَلَ الْجَنَّةَ يُقَاتِلُ هَذَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَيُسْتَشْهَدُ ثُمَّ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَى قَاتِلِهِ فَيُسْلِمُ فَيُقَاتِلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَيُسْتَشْهَدُ " .
হাদীস নং: ১৯২
আন্তর্জাতিক নং: ১৯২
ভূমিকা অধ্যায় (ইত্তেবায়ে সুন্নাহ,ইলম ও সাহাবা রাঃ এর মর্যাদা সংশ্লিষ্ট)
জাহমিয়া সম্প্রদায় যা অস্বীকার করে, সে প্রসঙ্গে
১৯২। হারমালা ইবন ইয়াহইয়া ও ইউনুস ইবন 'আব্দুল আ'লা (রাহঃ) ...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ কিয়ামতের দিন যমীন ও আসমানকে গুটিয়ে তাঁর ডান হাতে নেবেন। এরপর তিনি বলবেনঃ আমিই শাহানশাহ, যমীনের বাদশাহরা (আজ) কোথায়?
أبواب السنة أو افتتاح الكتاب في الإيمان وفضائل الصحابة والعلم
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، وَيُونُسُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، كَانَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " يَقْبِضُ اللَّهُ الأَرْضَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَيَطْوِي السَّمَاءَ بِيَمِينِهِ ثُمَّ يَقُولُ أَنَا الْمَلِكُ أَيْنَ مُلُوكُ الأَرْضِ " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৩
ভূমিকা অধ্যায় (ইত্তেবায়ে সুন্নাহ,ইলম ও সাহাবা রাঃ এর মর্যাদা সংশ্লিষ্ট)
জাহমিয়া সম্প্রদায় যা অস্বীকার করে, সে প্রসঙ্গে
১৯৩। মুহাম্মাদ ইবন ইয়াহইয়া (রাহঃ) ....... 'আব্বাস ইবন আব্দুল মুত্তালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি বাতহা নামক স্থানে একটি দলের সাথে ছিলাম এবং তাদের মাঝে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও ছিলেন। তখন তাঁর কাছে একখণ্ড মেঘ আসে। তিনি এর দিকে দৃষ্টিপাত করে বলেনঃ তোমরা এটাকে কি নামে অভিহিত করে থাক? তারা বললেনঃ মেঘ। তিনি বললেনঃ এবং বৃষ্টিও, তারা বললেনঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ 'আনান অর্থাৎ কালো মেঘও। আবু বকর (রাযিঃ) বলেন, তারা বললেনঃ 'আনানও বটে। তিনি বললেনঃ তোমাদের এবং আসমানের মাঝে দূরত্ব কত বলে মনে কর? তারা বললেনঃ আমরা জানি না। তিনি বললেনঃ তোমাদের এবং আসমানের মাঝে ৭১ অথবা ৭২ অথবা ৭৩ বছরের দূরত্ব রয়েছে। অনুরূপভাবে উর্ধ্ব আসমানের দূরত্ব। এভাবে তিনি সাত আসমানের সংখ্যা গণনা করেন। অতঃপর সপ্তম আসমানের উপরে একটি সমুদ্র রয়েছে যার শীর্ষভাগ ও নিম্নভাগের ব্যবধান এক আসমান থেকে অন্য আসমানের দূরত্বের সমান। এরপর তার উপরে রয়েছে আটজন ফিরিশতা, যাঁদের গোঁড়ালি ও হাঁটুর ব্যবধান এক আসমান থেকে অন্য আসমানের দূরত্বের সমান। এরপর তাঁদের পিঠে অবস্থিত আছে 'আরশ, যার উপর ও নীচের ব্যবধান হচ্ছে এক আসমান থেকে অপর আসমানের দূরত্বে সমান। এর উপরে রয়েছেন আল্লাহ তাবারক ওয়া তা'আলা।
أبواب السنة أو افتتاح الكتاب في الإيمان وفضائل الصحابة والعلم
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ أَبِي ثَوْرٍ الْهَمْدَانِيُّ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمِيرَةَ، عَنِ الأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ، عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، قَالَ كُنْتُ بِالْبَطْحَاءِ فِي عِصَابَةٍ وَفِيهِمْ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَمَرَّتْ بِهِ سَحَابَةٌ فَنَظَرَ إِلَيْهَا فَقَالَ " مَا تُسَمُّونَ هَذِهِ " . قَالُوا السَّحَابُ . قَالَ " وَالْمُزْنُ " . قَالُوا وَالْمُزْنُ . قَالَ " وَالْعَنَانُ " . قَالَ أَبُو بَكْرٍ قَالُوا وَالْعَنَانُ . قَالَ " كَمْ تَرَوْنَ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ السَّمَاءِ " . قَالُوا لاَ نَدْرِي . قَالَ " فَإِنَّ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهَا إِمَّا وَاحِدًا أَوِ اثْنَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا وَسَبْعِينَ سَنَةً وَالسَّمَاءُ فَوْقَهَا كَذَلِكَ " . حَتَّى عَدَّ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ " ثُمَّ فَوْقَ السَّمَاءِ السَّابِعَةِ بَحْرٌ بَيْنَ أَعْلاَهُ وَأَسْفَلِهِ كَمَا بَيْنَ سَمَاءٍ إِلَى سَمَاءٍ ثُمَّ فَوْقَ ذَلِكَ ثَمَانِيَةُ أَوْعَالٍ بَيْنَ أَظْلاَفِهِنَّ وَرُكَبِهِنَّ كَمَا بَيْنَ سَمَاءٍ إِلَى سَمَاءٍ ثُمَّ عَلَى ظُهُورِهِنَّ الْعَرْشُ بَيْنَ أَعْلاَهُ وَأَسْفَلِهِ كَمَا بَيْنَ سَمَاءٍ إِلَى سَمَاءٍ ثُمَّ اللَّهُ فَوْقَ ذَلِكَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৪
ভূমিকা অধ্যায় (ইত্তেবায়ে সুন্নাহ,ইলম ও সাহাবা রাঃ এর মর্যাদা সংশ্লিষ্ট)
জাহমিয়া সম্প্রদায় যা অস্বীকার করে, সে প্রসঙ্গে
১৯৪। ইয়া'কূূব ইবন হুমায়দ ইবন কাসির (রাহঃ) ........আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ যখন আল্লাহ তা'আলা আসমানে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, তখন ফিরিশতারা বিনয়াবনত হয়ে তাঁদের পাখাসমূহ বিস্তার করেন। যাতে এমন একটি আওয়াজের সৃষ্টি হয়, যেন তা পাথরের উপর শিকল মারার মত। যখন তাঁদের অন্তর থেকে ভয়-ভীতি দূরীভূত হয়, তখন তাঁরা পরস্পরে বলাবলি করেন যে, তোমাদের রব কি বলেছেন? তাঁরা বলেনঃ قالوا الحق وهو العلى الكبير তিনি সত্যই বলেছেন, তিনি সর্বোচ্চ, মহান। (৩৪ঃ২৩) রাবী বলেনঃ তাঁদের পারস্পরিক আলোচনা শয়তান ওঁৎপেতে শুনে থাকে এবং ভূ-পৃষ্ঠে অবস্থানকারীদের কাছে তা পৌঁছে দেয়। কখনো কখনো নিম্নে অবস্থানকারীদের কাছে পৌঁছানোর পূর্বে তাদের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ জ্বালিয়ে দেয় এবং কখনো বা তারা যমীনে এসে গণক অথবা যাদুকরের জিহবায় নিক্ষেপ করে। আবার কোন কোন সময় তারা তা শুনতে পায় না, বরং (নিজেদের পক্ষ থেকে) তা গণক ও যাদুকরের জিহ্বায় নিক্ষেপ করে এবং সে এ কথার সাথে শত মিথ্যা মিলিয়ে দেয়। সত্য কথা সেটি, যা আসমান থেকে শোনা হয়েছে।
أبواب السنة أو افتتاح الكتاب في الإيمان وفضائل الصحابة والعلم
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " إِذَا قَضَى اللَّهُ أَمْرًا فِي السَّمَاءِ ضَرَبَتِ الْمَلاَئِكَةُ أَجْنِحَتَهَا خِضْعَانًا لِقَوْلِهِ كَأَنَّهُ سِلْسِلَةٌ عَلَى صَفْوَانٍ فَإِذَا فُزِّعَ عَنْ قُلُوبِهِمْ قَالُوا مَاذَا قَالَ رَبُّكُمْ قَالُوا الْحَقَّ وَهُوَ الْعَلِيُّ الْكَبِيرُ قَالَ فَيَسْمَعُهَا مُسْتَرِقُو السَّمْعِ بَعْضُهُمْ فَوْقَ بَعْضٍ فَيَسْمَعُ الْكَلِمَةَ فَيُلْقِيهَا إِلَى مَنْ تَحْتَهُ فَرُبَّمَا أَدْرَكَهُ الشِّهَابُ قَبْلَ أَنْ يُلْقِيَهَا إِلَى الَّذِي تَحْتَهُ فَيُلْقِيهَا عَلَى لِسَانِ الْكَاهِنِ أَوِ السَّاحِرِ فَرُبَّمَا لَمْ يُدْرَكْ حَتَّى يُلْقِيَهَا فَيَكْذِبُ مَعَهَا مِائَةَ كَذْبَةٍ فَتَصْدُقُ تِلْكَ الْكَلِمَةُ الَّتِي سُمِعَتْ مِنَ السَّمَاءِ " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৫
ভূমিকা অধ্যায় (ইত্তেবায়ে সুন্নাহ,ইলম ও সাহাবা রাঃ এর মর্যাদা সংশ্লিষ্ট)
জাহমিয়া সম্প্রদায় যা অস্বীকার করে, সে প্রসঙ্গে
১৯৫। 'আলী ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ) ….. আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের মাঝে দাঁড়িয়ে পাঁচটি বিষয়ে খুতবা দেন। তিনি বলেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ নিদ্রা যান না এবং নিদ্রা যাওয়া তাঁর মর্যাদার পরিপন্থি। তিনি মিযান (পাল্লা) নীচু করেন এবং তা উপরে উঠান। রাতের আমল তাঁর নিকট দিনের আমলের পূর্বেই পৌঁছানো হয় এবং দিনের আমল রাতের আমলের আগেই। তাঁর পর্দা হচ্ছে নূর (জ্যোতি)। যদি তিনি তাঁর পর্দা উঠিয়ে নেন, তাহলে তাঁর চেহারার জ্যোতি সব কিছুকে ভস্মীভূত করে দেবে— তাঁর সৃষ্টির যতদূর দৃষ্টি যায় ।
أبواب السنة أو افتتاح الكتاب في الإيمان وفضائل الصحابة والعلم
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ قَامَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِخَمْسِ كَلِمَاتٍ فَقَالَ " إِنَّ اللَّهَ لاَ يَنَامُ وَلاَ يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَنَامَ يَخْفِضُ الْقِسْطَ وَيَرْفَعُهُ يُرْفَعُ إِلَيْهِ عَمَلُ اللَّيْلِ قَبْلَ عَمَلِ النَّهَارِ وَعَمَلُ النَّهَارِ قَبْلَ عَمَلِ اللَّيْلِ حِجَابُهُ النُّورُ لَوْ كَشَفَهُ لأَحْرَقَتْ سُبُحَاتُ وَجْهِهِ مَا انْتَهَى إِلَيْهِ بَصَرُهُ مِنْ خَلْقِهِ " .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৬
ভূমিকা অধ্যায় (ইত্তেবায়ে সুন্নাহ,ইলম ও সাহাবা রাঃ এর মর্যাদা সংশ্লিষ্ট)
জাহমিয়া সম্প্রদায় যা অস্বীকার করে, সে প্রসঙ্গে
১৯৬। 'আলী ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ) …… আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ নিদ্রা যান না এবং নিদ্রা যাওয়া তাঁর মর্যাদার পরি- পস্থি, তিনি দাঁড়িপাল্লা নীচু করেন এবং তা উপরে উঠান। তাঁর পর্দা হলো নূর। যদি তিনি তাঁর পর্দা উঠিয়ে নেন, তবে তাঁর চেহারার জ্যোতি সম্মুখস্থ যাবতীয় কিছু জ্বালিয়ে দেবে, যতদূর দৃষ্টি যাবে। অতঃপর আবু উবায়দা (রাযিঃ) এ আয়াত তিলাওয়াত করেনঃ أن بورك من في النار ومن حولها وسبحان الله رب العالمين "ধন্য সে ব্যক্তি যে আছে এ আগুনের মাঝে এবং যারা আছে এর চারপাশে। জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ পবিত্র ও মহিমান্বিত।" (২৭ঃ৮ )
أبواب السنة أو افتتاح الكتاب في الإيمان وفضائل الصحابة والعلم
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الْمَسْعُودِيُّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِنَّ اللَّهَ لاَ يَنَامُ وَلاَ يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَنَامَ يَخْفِضُ الْقِسْطَ وَيَرْفَعُهُ حِجَابُهُ النُّورُ لَوْ كَشَفَهَا لأَحْرَقَتْ سُبُحَاتُ وَجْهِهِ كُلَّ شَىْءٍ أَدْرَكَهُ بَصَرُهُ " . ثُمَّ قَرَأَ أَبُو عُبَيْدَةَ (أَنْ بُورِكَ مَنْ فِي النَّارِ وَمَنْ حَوْلَهَا وَسُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ) .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী: