কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
كتاب السنن للإمام ابن ماجة
২৩. হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
হাদীস নং: ২৮৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৮৯৮
হজ্ব - উমরার অধ্যায়
অভিভাবক ব্যতীত মহিলাদের হজ্জ করা
২৮৯৮। আলী ইব্ন মুহাম্মাদ (রাহঃ)...... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কোন মহিলা যেন তিন দিন বা তার অধিক দূরত্বের পথ সাথে তার পিতা, ভাই, ছেলে, স্বামী অথবা কোন মুহরিম পুরুষ ব্যতীত সফর না করে।
كتاب المناسك
بَاب الْمَرْأَةِ تَحُجُّ بِغَيْرِ وَلِيٍّ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " لاَ تُسَافِرُ الْمَرْأَةُ سَفَرَ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ فَصَاعِدًا إِلاَّ مَعَ أَبِيهَا أَوْ أَخِيهَا أَوِ ابْنِهَا أَوْ زَوْجِهَا أَوْ ذِي مَحْرَمٍ " .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২৮৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৮৯৯
হজ্ব - উমরার অধ্যায়
অভিভাবক ব্যতীত মহিলাদের হজ্জ করা
২৮৯৯। আবু বাকর ইবন আবু শায়রা (রাহঃ)...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) বলেছেনঃ যে মহিলা আল্লাহ ও আখিরাতের দিনে উপর ঈমান রাখে–সাথে কোন মুহরিম পুরুষ ব্যতীত তার পক্ষে এক দিনের পরিমাণ দূরত্বের পথ সফর করা বৈধ নয়।
كتاب المناسك
بَاب الْمَرْأَةِ تَحُجُّ بِغَيْرِ وَلِيٍّ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ تُسَافِرَ مَسِيرَةَ يَوْمٍ وَاحِدٍ لَيْسَ لَهَا ذُو حُرْمَةٍ " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯০০
আন্তর্জাতিক নং: ২৯০০
হজ্ব - উমরার অধ্যায়
অভিভাবক ব্যতীত মহিলাদের হজ্জ করা
২৯০০। হিশাম ইবন আম্মার (রাহঃ)...... ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক বেদুঈন নবী (ﷺ)-এর নিকট এসে বলল, অমুক অমুক যুদ্ধে যোগদানের জন্য আমার নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এবং আমার স্ত্রী হজ্জে যাওয়ার সংকল্প করেছে। নবী (ﷺ) বলেনঃ তুমি ফিরে গিয়ে তার সাথে হজ্জে যাও।[১]
[১] উল্লেখিত হাদীসসমূহ থেকে জানা যায় যে, মুহরিম সফরসঙ্গী ছাড়া কোন মহিলার পক্ষে একাকি সফর করা সাধারণত জায়েয নয়। জমহুরের মতে স্বামী বা কোন মুহরিম পুরুষ (যাদের সাথে চিরকালের জন্য বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন নিষিদ্ধ) সাথে না থাকলে কোন মহিলা জন্য হজ্জের সফরে বের হওয়া জায়েয নয়। ইমাম আযম আবু হানীফা (রহ)-এর মতে কোন মহিলার উপর হজ্জ ফরয হওয়ার জন্য তার সাথে তার মুহরিম থাকা শর্ত নয়। সে একাই হজ্জের সফরে বের হতে পারে। একদল মুহাদ্দিস তাঁর এই মত সমর্থন করেছেন। হাসান বসরী এবং ইবরাহীম নাখঈরও এই মত।
ইমাম মালিক, শাফিঈ (প্রসিদ্ধ মত), আওযাঈ, আতা, সাঈদ ইবন জুবায়র ও ইবন সীরীনের মতে হজ্জ ফরয হওয়ার জন্য কোন মহিলার সাথে তার মুহরিম থাকা শর্ত নয়, বরং নিজের জীবনের নিরাপত্তা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া আবশ্যক। ইমাম শাফিঈর মতে তিনটি জিনিসের মাধ্যমে নিরাপত্তা লাভ হয়ঃ ১. স্বামী ২. অন্য কোন মুহরিম পরুষ ৩. একদল বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য মহিলা। এই তিনটির কোন একটির অভাবে কোন মহিলার উপর হজ্জ ফরয হয় না।
[১] উল্লেখিত হাদীসসমূহ থেকে জানা যায় যে, মুহরিম সফরসঙ্গী ছাড়া কোন মহিলার পক্ষে একাকি সফর করা সাধারণত জায়েয নয়। জমহুরের মতে স্বামী বা কোন মুহরিম পুরুষ (যাদের সাথে চিরকালের জন্য বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন নিষিদ্ধ) সাথে না থাকলে কোন মহিলা জন্য হজ্জের সফরে বের হওয়া জায়েয নয়। ইমাম আযম আবু হানীফা (রহ)-এর মতে কোন মহিলার উপর হজ্জ ফরয হওয়ার জন্য তার সাথে তার মুহরিম থাকা শর্ত নয়। সে একাই হজ্জের সফরে বের হতে পারে। একদল মুহাদ্দিস তাঁর এই মত সমর্থন করেছেন। হাসান বসরী এবং ইবরাহীম নাখঈরও এই মত।
ইমাম মালিক, শাফিঈ (প্রসিদ্ধ মত), আওযাঈ, আতা, সাঈদ ইবন জুবায়র ও ইবন সীরীনের মতে হজ্জ ফরয হওয়ার জন্য কোন মহিলার সাথে তার মুহরিম থাকা শর্ত নয়, বরং নিজের জীবনের নিরাপত্তা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া আবশ্যক। ইমাম শাফিঈর মতে তিনটি জিনিসের মাধ্যমে নিরাপত্তা লাভ হয়ঃ ১. স্বামী ২. অন্য কোন মুহরিম পরুষ ৩. একদল বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য মহিলা। এই তিনটির কোন একটির অভাবে কোন মহিলার উপর হজ্জ ফরয হয় না।
كتاب المناسك
بَاب الْمَرْأَةِ تَحُجُّ بِغَيْرِ وَلِيٍّ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا مَعْبَدٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ إِنِّي اكْتُتِبْتُ فِي غَزْوَةِ كَذَا وَكَذَا وَامْرَأَتِي حَاجَّةٌ . قَالَ " فَارْجِعْ مَعَهَا " .
তাহকীক: