কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
كتاب السنن للإمام ابن ماجة
৩৫. যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
হাদীস নং: ৪১৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৬৯
যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা
হিকমত
৪১৬৯। আব্দুর রহমান ইবন আব্দুল ওহ্হাব (রাহঃ)....আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ হিতমত পূর্ণ বাক্য মু'মিনদের হারানো সম্পদ। যেখানে সে তা পাবে, সে তার অধিকতর হকদার।
كتاب الزهد
بَاب الْحِكْمَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْفَضْلِ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " الْكَلِمَةُ الْحِكْمَةُ ضَالَّةُ الْمُؤْمِنِ حَيْثُمَا وَجَدَهَا فَهُوَ أَحَقُّ بِهَا " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১৭০
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৭০
যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা
হিকমত
৪১৭০। আব্বাস ইব্ন আব্দুল আযীম আম্বারী (রাহঃ)...... ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ দু'টো নি'আমত এমন রয়েছে, যার প্রতি (ভ্রক্ষেপ না করার কাণে) এতে অধিকাংশ লোক ক্ষতিগ্রস্থ হয়ঃ একটি হচ্ছে সুস্থতা, অপরটি অবকাশ ও দুশ্চিন্তামুক্ত হওয়া ।
كتاب الزهد
بَاب الْحِكْمَةِ
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ عِيسَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " نِعْمَتَانِ مَغْبُونٌ فِيهِمَا كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ الصِّحَّةُ وَالْفَرَاغُ " .
হাদীস নং: ৪১৭১
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৭১
যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা
হিকমত
৪১৭১। মুহাম্মাদ ইব্ন যিয়াদ (রাহঃ)....... আবু আইউব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (ﷺ) এর নিকট এসে বললোঃ হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমাকে কিছু শিখিয়ে দিন, যা আমি সহজে আদায় করতে পারি। তিনি বললেনঃ যখন তুমি তোমার সালাতে দাঁড়াবে, তখন এমনভাবে সালাত আদায় করবে, যেন তুমি বিদায়ী সালাত আদায় করছো এবং এমন কোন কথা মুখে উচ্চারণ করবে না, যার জন্য পরে ওযর পেশ করতে হয়। আর মানুষের হাতে যা কিছু আছে তা থেকে নিরাশ হয়ে যাও। (তাদের কাছে কিছু চাইবে না)।
كتاب الزهد
بَاب الْحِكْمَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا الْفُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ، حَدَّثَنِي عُثْمَانُ بْنُ جُبَيْرٍ، - مَوْلَى أَبِي أَيُّوبَ - عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ عَلِّمْنِي وَأَوْجِزْ . قَالَ " إِذَا قُمْتَ فِي صَلاَتِكَ فَصَلِّ صَلاَةَ مُوَدِّعٍ وَلاَ تَكَلَّمْ بِكَلاَمٍ تَعْتَذِرُ مِنْهُ وَأَجْمِعِ الْيَأْسَ عَمَّا فِي أَيْدِي النَّاسِ " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১৭২
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৭২
যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা
হিকমত
৪১৭২। আবু বাকর ইব্ন আবু শায়বা (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ ঐ ব্যক্তির উদাহরণ যে, কোন মজলিসে বসে হিকমতপূর্ণ কথাবার্তা শুনে এরপর সে তার সাথীর কাছে যা মন্দ শুনেছে তা-ই বর্ণনা করে। তার উপমা সেই ব্যক্তির মত, যে কোন রাখালের কাছে গিয়ে বলে, হে রাখাল। তোমার পাল থেকে আমাকে একটি বকরী দাও। সে বলেঃ তুমি যাও, এবং এর উত্তমটির কান ধরে নিয়ে নাও। তখন সে গেল এবং বকরী পালের (পাহাড়ার) কুকুরের কান ধরে নিয়ে চললো।
আবুল হাসান ইব্ন সালামা (রাহঃ) ....সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। আর তিনি তার বর্ণনায় (তার উত্তমের কান ধরে) এর স্থলে (তন্মমধ্যে উত্তম বকরীর কান ধরে) কথাটির উল্লেখ রয়েছে।
আবুল হাসান ইব্ন সালামা (রাহঃ) ....সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। আর তিনি তার বর্ণনায় (তার উত্তমের কান ধরে) এর স্থলে (তন্মমধ্যে উত্তম বকরীর কান ধরে) কথাটির উল্লেখ রয়েছে।
كتاب الزهد
بَاب الْحِكْمَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَوْسِ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَثَلُ الَّذِي يَجْلِسُ يَسْمَعُ الْحِكْمَةَ ثُمَّ لاَ يُحَدِّثُ عَنْ صَاحِبِهِ إِلاَّ بِشَرِّ مَا يَسْمَعُ كَمَثَلِ رَجُلٍ أَتَى رَاعِيًا فَقَالَ يَا رَاعِي أَجْزِرْنِي شَاةً مِنْ غَنَمِكَ . قَالَ اذْهَبْ فَخُذْ بِأُذُنِ خَيْرِهَا . فَذَهَبَ فَأَخَذَ بِأُذُنِ كَلْبِ الْغَنَمِ " .
قَالَ أَبُو الْحَسَنِ بْنُ سَلَمَةَ حَدَّثَنَاهُ إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا مُوسَى، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ وَقَالَ فِيهِ " بِأُذُنِ خَيْرِهَا شَاةً " .
قَالَ أَبُو الْحَسَنِ بْنُ سَلَمَةَ حَدَّثَنَاهُ إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا مُوسَى، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ وَقَالَ فِيهِ " بِأُذُنِ خَيْرِهَا شَاةً " .
তাহকীক: