কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
كتاب السنن للإمام ابن ماجة
৩৫. যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
হাদীস নং: ৪১৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৮৬
যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা
সহনশীলতা প্রসঙ্গে
৪১৮৬। হারমালা ইবন ইয়াহইয়া (রাহঃ) ......... মু'আয ইবন আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রতিশোধ নেওয়ার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তার ক্রোধ প্রশমিত করবে, আল্লাহ তা'আলা তাঁকে কিয়ামতের দিনে মানুষের সামনে ডেকে আনবেন এবং তাকে তার হচ্ছে মাফিক হুর গ্রহণ করার ইখতিয়ার দিবেন।
كتاب الزهد
بَاب الْحِلْمِ
حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي مَرْحُومٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " مَنْ كَظَمَ غَيْظًا وَهُوَ قَادِرٌ عَلَى أَنْ يُنْفِذَهُ دَعَاهُ اللَّهُ عَلَى رُءُوسِ الْخَلاَئِقِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ حَتَّى يُخَيِّرَهُ فِي أَىِّ الْحُورِ شَاءَ " .
হাদীস নং: ৪১৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৮৭
যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা
সহনশীলতা প্রসঙ্গে
৪১৮৭। আবু কুরায়ব মুহাম্মাদ ইব্ন আলী আল-হামদানী (রাহঃ)....... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট বসা ছিলাম। তখন তিনি বললেনঃ তোমাদের কাছে আব্দুল কায়স গোত্রের প্রতিনিধিবর্গ এসেছেন, অথচ আমাদের কেউ দেখছিল না। আমরা এ অবস্থায় ছিলাম, হঠাৎ তারা এসে পৌঁছলেন, এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট হাযির হলেন। তবে আশাজ্জ আসরী নামক জনৈক ব্যক্তি অবশিষ্ট ছিলেন, পরে তিনিও এসে একটি নির্দিষ্ট স্থানে অবতরণ করে তার উষ্ট্রী বাঁধলেন। নিজের কাপড় চোপড় এক পার্শ্বে রাখলেন। এরপর তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর নিকট হাযির হলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে বললেন, হে আশাজ্জ! তোমার মধ্যে দু'টো ভাল অভ্যাস রয়েছে, যা আল্লাহ তা'আলা খুবই পছন্দ করেন। একটি সহনশীলতা, অপরটি আত্মসম্মানবোধ। তিনি বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! এই জিনিসটি কি জন্মগতভাবেই আমার মধ্যে রয়েছে, না নতুন করে সংযোজিত হয়েছে? তিনি বললেন, না, নতুন করে নয় বরং সৃষ্টিগতভাবেই তোমার মধ্যে বিদ্যমান।
كتاب الزهد
بَاب الْحِلْمِ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ الْهَمْدَانِيُّ حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ دِينَارٍ الشَّيْبَانِيُّ، عَنْ عُمَارَةَ الْعَبْدِيِّ، حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ، قَالَ كُنَّا جُلُوسًا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ " أَتَتْكُمْ وُفُودُ عَبْدِ الْقَيْسِ " . وَمَا يَرَى أَحَدٌ فَبَيْنَا نَحْنُ كَذَلِكَ إِذْ جَاءُوا فَنَزَلُوا فَأَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَبَقِيَ الأَشَجُّ الْعَصَرِيُّ فَجَاءَ بَعْدُ فَنَزَلَ مَنْزِلاً فَأَنَاخَ رَاحِلَتَهُ وَوَضَعَ ثِيَابَهُ جَانِبًا ثُمَّ جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " يَا أَشَجُّ إِنَّ فِيكَ لَخَصْلَتَيْنِ يُحِبُّهُمَا اللَّهُ الْحِلْمَ وَالتُّؤَدَةَ " . قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَشَىْءٌ جُبِلْتُ عَلَيْهِ أَمْ شَىْءٌ حَدَثَ لِي قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " بَلَ شَىْءٌ جُبِلْتَ عَلَيْهِ " .
হাদীস নং: ৪১৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৮৮
যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা
সহনশীলতা প্রসঙ্গে
৪১৮৮। আবু ইসহাক হারবী (রাহঃ)...... ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) আশাজ্জ আসরীকে বললেনঃ নিশ্চয়ই তোমার মধ্যে দু'টো চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান রয়েছে, যা আল্লাহ তা'আলা পছন্দ করেনঃ একটি সহনশীলতা, অপরটি লজ্জাশীলতা।
كتاب الزهد
بَاب الْحِلْمِ
حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الْهَرَوِيُّ، حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ الْفَضْلِ الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا قُرَّةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو جَمْرَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لِلأَشَجِّ الْعَصَرِيِّ " إِنَّ فِيكَ خَصْلَتَيْنِ يُحِبُّهُمَا اللَّهُ الْحِلْمَ وَالْحَيَاءَ " .
হাদীস নং: ৪১৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৮৯
যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা
সহনশীলতা প্রসঙ্গে
৪১৮৯। যায়িদ ইবন আখযাম (রাহঃ)...... ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ ক্রোধান্বিত অবস্থায় কোন বান্দা শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এক চুমুক ক্রোধ প্রশমণ করার চাইতে, আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম চুমুক আর নেই। (অর্থাৎ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ক্রোধ থেকে বিরত থাকা সর্বোত্তম কাজ)।
كتاب الزهد
بَاب الْحِلْمِ
حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَخْزَمَ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَا مِنْ جُرْعَةٍ أَعْظَمُ أَجْرًا عِنْدَ اللَّهِ مِنْ جُرْعَةِ غَيْظٍ كَظَمَهَا عَبْدٌ ابْتِغَاءَ وَجْهِ اللَّهِ " .
তাহকীক: