কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ

كتاب السنن للإمام ابن ماجة

৩৫. যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৪২৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৭৩
যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা
পুনরুত্থানের আলোচনা
৪২৭৩। আবু বাকর ইবন আবু শায়বা (রাহঃ)...... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ সিংগাধারী দু'জন ফিরিশতা তাদের দু'হাতে দু'টো শিংগা নিয়ে অপেক্ষা করছেন যে, কখন তাদের (সিংগা ফুৎকারের) নির্দেশ দেওয়া হবে।
كتاب الزهد
بَاب ذِكْرِ الْبَعْثِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ، عَنْ حَجَّاجٍ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ إِنَّ صَاحِبَىِ الصُّورِ بِأَيْدِيهِمَا - أَوْ فِي أَيْدِيهِمَا - قَرْنَانِ يُلاَحِظَانِ النَّظَرَ مَتَى يُؤْمَرَانِ ‏"‏ ‏.‏
হাদীস নং: ৪২৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৭৪
যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা
পুনরুত্থানের আলোচনা
৪২৭৪। আবু বাকর ইব্‌ন আবু শায়বা (রাহঃ).......আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা মদীনার বাজারে জনৈক ইয়াহুদী বলেছিলঃ সেই মহান সত্তার শপথ! যিনি মুসা (আ) সমগ্র মানব জাতির উপরে মর্যাদা দান করেছেন। এ কথা শুনে একজন আনসারী তার হাতে উঠিয়ে তাকে এক ছড় দিল এবং বললোঃ তুমি এরূপ বলছো? অথচ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদের মাঝে রয়েছেন? তখন ব্যাপারটি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর নিকট পেশ করা হলো। তিনি বললেনঃ মহান আল্লাহ বলেছেনঃ

وَنُفِخَ فِي الصُّورِ فَصَعِقَ مَنْ فِي السَّمَوَاتِ وَمَنْ فِي الأَرْضِ إِلاَّ مَنْ شَاءَ اللَّهُ ثُمَّ نُفِخَ فِيهِ أُخْرَى فَإِذَا هُمْ قِيَامٌ يَنْظُرُونَ

“এবং সিংগা ফুঁকার হবে। ফলে যাদের আল্লাহ চান তারা ব্যতীত আসমানের ও যমীনের সকলে জ্ঞানহারা হয়ে পড়বে। অতঃপর আবার সিংগায় ফুৎকার দেওয়া হবে, তখন তারা দাঁড়িয়ে তাকাতে থাকবে।" (৩৯ঃ ৬৮)।
তিনি (ﷺ) বলেন)ঃ এরপর আমিই হব প্রথম ব্যক্তি, যে তার মাথা উঠাবে। তখন আমি মুসা (আ)-কে আরশের একটি পায়া ধরে রাখা অবস্থায় দেখতে পাব। আমি জানতে পারব না, তিনি আমার আগে তার মাথা উঠিয়েছেন, অথবা তিনি সে সবলোকদের একজন হবেন কিনা, যাদের আল্লাহ তা'আলা আলাদাভাবে রক্ষা করেছেন। আর যে ব্যক্তি বলে যে, আমি ইউনুস ইব্‌ন মাত্তা (আ)-এর চাইতে উত্তম, সে মিথ্যা বলল।
كتاب الزهد
بَاب ذِكْرِ الْبَعْثِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَجُلٌ مِنَ الْيَهُودِ بِسُوقِ الْمَدِينَةِ وَالَّذِي اصْطَفَى مُوسَى عَلَى الْبَشَرِ ‏.‏ فَرَفَعَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ يَدَهُ فَلَطَمَهُ قَالَ تَقُولُ هَذَا وَفِينَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَذُكِرَ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ ‏"‏ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏(وَنُفِخَ فِي الصُّورِ فَصَعِقَ مَنْ فِي السَّمَوَاتِ وَمَنْ فِي الأَرْضِ إِلاَّ مَنْ شَاءَ اللَّهُ ثُمَّ نُفِخَ فِيهِ أُخْرَى فَإِذَا هُمْ قِيَامٌ يَنْظُرُونَ)‏ فَأَكُونُ أَوَّلَ مَنْ رَفَعَ رَأْسَهُ فَإِذَا أَنَا بِمُوسَى آخِذٌ بِقَائِمَةٍ مِنْ قَوَائِمِ الْعَرْشِ فَلاَ أَدْرِي أَرَفَعَ رَأْسَهُ قَبْلِي أَوْ كَانَ مِمَّنِ اسْتَثْنَى اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏.‏ وَمَنْ قَالَ أَنَا خَيْرٌ مِنْ يُونُسَ بْنِ مَتَّى فَقَدْ كَذَبَ ‏"‏ ‏.‏
হাদীস নং: ৪২৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৭৫
যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা
পুনরুত্থানের আলোচনা
৪২৭৫। হিশাম ইব্‌ন আম্মার ও মুহাম্মাদ ইবন সাব্বাহ (রাহঃ)...... আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে মিম্বরের উপরে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ মহান আল্লাহ তাঁর আসমান ও যমীনকে আপন হাতের মুঠোয় পুরে নিবেন এবং নিজ হাতে তাকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। তিনি (যমীন ও আসমান) সংকুচিত করবেন এবং ছড়িয়ে দিবেন। অতঃপর ঘোষণা করবেনঃ আমি মহাপ্রতাপশালী, নিরংকুশ প্রভুত্বের অধিকারী, দন্তকারী রাজা বাদশাহরা কোথায়? অহংকারীরা কোথায়? আব্দুল্লাহ ইবন উমরা (রাযিঃ) বলেনঃ এই কথা বলতে বলতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ডানে বামে ঝুঁকছিলেন। এমনকি আমি দেখতে পেলাম মিম্বরের নীচের কিছু অংশ দুলছিল। অবশেষে আমি বলছিঃ মিম্বর কি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে নীচে ফেলে দিবে?
كتاب الزهد
بَاب ذِكْرِ الْبَعْثِ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مِقْسَمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ يَقُولُ ‏ "‏ يَأْخُذُ الْجَبَّارُ سَمَوَاتِهِ وَأَرَضِيهِ بِيَدِهِ - وَقَبَضَ يَدَهُ فَجَعَلَ يَقْبِضُهَا وَيَبْسُطُهَا - ثُمَّ يَقُولُ أَنَا الْجَبَّارُ أَنَا الْمَلِكُ أَيْنَ الْجَبَّارُونَ أَيْنَ الْمُتَكَبِّرُونَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَيَتَمَايَلُ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ حَتَّى نَظَرْتُ إِلَى الْمِنْبَرِ يَتَحَرَّكُ مِنْ أَسْفَلِ شَىْءٍ مِنْهُ حَتَّى إِنِّي لأَقُولُ أَسَاقِطٌ هُوَ بِرَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ
হাদীস নং: ৪২৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৭৬
যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা
পুনরুত্থানের আলোচনা
৪২৭৬। আবু বাকর ইবন আবু শায়বা (রাহঃ)....আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন; একদা আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! মানুষকে কিয়ামতের দিন হাশরের ময়দানে কিভাবে একত্রিত করা হবে? তিনি বললেনঃ খালি পায়ে, উলঙ্গ শরীরে। আমি বললামঃ মহিলারাও (কি উলঙ্গ হয়ে উঠবে)? তিনি বললেনঃ নারীরাও । আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! এতে কি লজ্জাবোধ হবে না? তিনি বললেনঃ হে আয়েশা! তখনকার অবস্থা এমন কঠিন হবে যে, কেউ কারুর প্রতি তাকানোর অবকাশ পাবে না। (নিজের চিন্তায় বিভোর থাকবে- দৃষ্টির সুযোগ কোথায়?)।
كتاب الزهد
بَاب ذِكْرِ الْبَعْثِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ حَاتِمِ بْنِ أَبِي صَغِيرَةَ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ الْقَاسِمِ، قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ يُحْشَرُ النَّاسُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ قَالَ ‏"‏ حُفَاةً عُرَاةً ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ وَالنِّسَاءُ قَالَ ‏"‏ وَالنِّسَاءُ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَمَا يُسْتَحْيَى قَالَ ‏"‏ يَا عَائِشَةُ الأَمْرُ أَشَدُّ مِنْ أَنْ يَنْظُرَ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ ‏"‏ ‏.‏
হাদীস নং: ৪২৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৭৭
যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা
পুনরুত্থানের আলোচনা
৪২৭৭। আবু বাকর (রাহঃ)...... আবু মুসা আশ'আরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন মানুষকে তিনবার হাযির করা হবে। প্রথম দুইবারে ঝগড়া-বিবাদ ও ওযর-আপত্তি পেশ করা হবে। (কেউ বলবে, আমার কাছে কোন পয়গম্বর আসেন নি, কেউ বলবে, এই দিনের হাকীকত আমার কাছে স্পষ্ট ছিল না, কেউ বা পাপরাশির স্বীকারোক্তি পূর্বক ওযরখাহি করবে)। অবশেষে তৃতীয় দফায় আমলনামা উড়ে এসে হাতে পৌঁছবে। কেউ তা ডান হাতে গ্রহণ করবে, আর কেউ বাম হাতে নিবে।
كتاب الزهد
بَاب ذِكْرِ الْبَعْثِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَلِيِّ بْنِ رِفَاعَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ يُعْرَضُ النَّاسُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ثَلاَثَ عَرَضَاتٍ فَأَمَّا عَرْضَتَانِ فَجِدَالٌ وَمَعَاذِيرُ وَأَمَّا الثَّالِثَةُ فَعِنْدَ ذَلِكَ تَطِيرُ الصُّحُفُ فِي الأَيْدِي فَآخِذٌ بِيَمِينِهِ وَآخِذٌ بِشِمَالِهِ ‏"‏ ‏.‏
হাদীস নং: ৪২৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৭৮
যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা
পুনরুত্থানের আলোচনা
৪২৭৮। আবু বাকর ইবন আবু শায়বা (রাহঃ)...... ইবন উমর (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত যে, আল্লাহর বাণীঃ يَوْمَ يَقُومُ النَّاسُ لِرَبِّ الْعَالَمِينَ যেদিন মানুষ সারা জাহানের রবের সামনে দাঁড়াবে (৮৩ঃ ৬ ); এ আয়াত প্রসঙ্গে তিনি বলেছেনঃ (সেদিন) তাদের একজন তার দু'কান বরাবর, নিজের শরীর নিঃসৃত ঘামের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকবে।
كتاب الزهد
بَاب ذِكْرِ الْبَعْثِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، وَأَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏(يَوْمَ يَقُومُ النَّاسُ لِرَبِّ الْعَالَمِينَ)‏ قَالَ ‏"‏ يَقُومُ أَحَدُهُمْ فِي رَشْحِهِ إِلَى أَنْصَافِ أُذُنَيْهِ ‏"‏ ‏.‏
হাদীস নং: ৪২৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৭৯
যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা
পুনরুত্থানের আলোচনা
৪২৭৯। আবু বাকর ইবন আবু শায়বা (রাহঃ) ….. আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে এই আয়াতের মর্মবাণী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম-

يَوْمَ تُبَدَّلُ الأَرْضُ غَيْرَ الأَرْضِ وَالسَّمَوَاتُ
“যেদিন এ পৃথিবী পরিবর্তিত হয়ে অন্য পৃথিবী হবে এবং আকাশমণ্ডলীও, "(১৪ঃ ৪৮); সেদিন মানুষেরা কোথায় অবস্থান করবে?" তিনি বললেনঃ পুলসিরাতের উপরে থাকবে।
كتاب الزهد
بَاب ذِكْرِ الْبَعْثِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ دَاوُدَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنْ قَوْلِهِ ‏(يَوْمَ تُبَدَّلُ الأَرْضُ غَيْرَ الأَرْضِ وَالسَّمَوَاتُ ‏)‏ فَأَيْنَ تَكُونُ النَّاسُ يَوْمَئِذٍ قَالَ ‏"‏ عَلَى الصِّرَاطِ ‏"‏ ‏.‏
হাদীস নং: ৪২৮০
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৮০
যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা
পুনরুত্থানের আলোচনা
৪২৮০। আবু বাকর (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ পুলসিরাত জাহান্নামের দুই তীরে সংশ্লিষ্ট করে রাখা হবে (যেমন নদীর পেতু দুই তীর ঘেঁষে হয়ে থাকে)। তার উপরে থাকবে সা'দানের কাঁটার মত কাঁটাসমূহ। অতঃপর লোকেরা এর উপর দিয়ে পারাপার শুরু করবে। তখন কতক নাজাত পাবে নিরাপদে, আর কতক কাঁটার আঁচড়সহ। আর কতক কাঁটায় আটকে থাকার পর নাজাত পাবে এবং কতক মুখ থুবড়ে জাহান্নামের তলদেশে পতিত হবে।
كتاب الزهد
بَاب ذِكْرِ الْبَعْثِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَبْدٍ الْعُتْوَارِيِّ، أَحَدِ بَنِي لَيْثٍ - قَالَ - وَكَانَ فِي حَجْرِ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُهُ - يَعْنِي أَبَا سَعِيدٍ، - يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ "‏ يُوضَعُ الصِّرَاطُ بَيْنَ ظَهْرَانَىْ جَهَنَّمَ عَلَى حَسَكٍ كَحَسَكِ السَّعْدَانِ ثُمَّ يَسْتَجِيزُ النَّاسُ فَنَاجٍ مُسَلَّمٌ وَمَخْدُوجٌ بِهِ ثُمَّ نَاجٍ وَمُحْتَبَسٌ بِهِ وَمَنْكُوسٌ فِيهَا ‏"‏ ‏.‏
হাদীস নং: ৪২৮১
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৮১
যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা
পুনরুত্থানের আলোচনা
৪২৮১। আবু বাকর ইব্‌ন আবু শায়বা (রাহঃ)......হাফ্সা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ আমি অবশ্যই আশা করছি যে, আল্লাহ চাহেত যারা বদর যুদ্ধে ও হুদায়বিয়া প্রান্তরে হাযির হয়েছিলেন তাদের কেউ জাহান্নামে যাবে না। রাবী (হাফসা) বলেনঃ আমি জিজ্ঞাসা করলামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ তা'আলা কি একথা বলেননিঃ وَإِنْ مِنْكُمْ إِلاَّ وَارِدُهَا كَانَ عَلَى رَبِّكَ حَتْمًا مَقْضِيًّا তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যে, উহা (জাহান্নাম) অতিক্রম করবে না, এ তোমার রবের অনিবার্য সিদ্ধান্ত (১৯ঃ ৭১। তিনি বললেনঃ (হে হাফসা)! তুমি কি শোননি যে, মহান আল্লাহ বলেছেনঃ

ثُمَّ نُنَجِّي الَّذِينَ اتَّقَوْا وَنَذَرُ الظَّالِمِينَ فِيهَا جِثِيًّا

এরপর আমি মুত্তাকীদের নাজাত দেব এবং যালিমদের সেখানে নতজানু অবস্থায় রেখে দেব। (১৯ঃ ৭২)।
كتاب الزهد
بَاب ذِكْرِ الْبَعْثِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ أُمِّ مُبَشِّرٍ، عَنْ حَفْصَةَ، قَالَتْ قَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ إِنِّي لأَرْجُو أَلاَّ يَدْخُلَ النَّارَ أَحَدٌ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا وَالْحُدَيْبِيَةَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَيْسَ قَدْ قَالَ اللَّهُ ‏(وَإِنْ مِنْكُمْ إِلاَّ وَارِدُهَا كَانَ عَلَى رَبِّكَ حَتْمًا مَقْضِيًّا)‏ قَالَ ‏"‏ أَلَمْ تَسْمَعِيهِ يَقُولُ ‏(ثُمَّ نُنَجِّي الَّذِينَ اتَّقَوْا وَنَذَرُ الظَّالِمِينَ فِيهَا جِثِيًّا)‏ ‏.‏