কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ

كتاب السنن للإمام ابن ماجة

১৬. বন্ধক রাখার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ২৪৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৭৯
বন্ধক রাখার অধ্যায়
উদ্বৃত্ত পানি ব্যবহারে নিষেধ করা, যার ফলে চতুষ্পদ জন্তুর ঘাস খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়
২৪৭৯। 'আব্দুল্লাহ ইবন সা'ঈদ (রাহঃ).... 'আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ উদ্বৃত্ত পানি ব্যবহারে কাউকে নিষেধ করা যাবে না এবং কূপ খননের ব্যাপারে মানা করা যাবে না।
كتاب الرهون
بَاب النَّهْيِ عَنْ مَنْعِ فَضْلِ الْمَاءِ لِيَمْنَعَ بِهِ الْكَلَأَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ حَارِثَةَ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لاَ يُمْنَعُ فَضْلُ الْمَاءِ وَلاَ يُمْنَعُ نَقْعُ الْبِئْرِ ‏"‏ ‏.‏
হাদীস নং: ২৪৮০
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৮০
বন্ধক রাখার অধ্যায়
উদ্বৃত্ত পানি ব্যবহারে নিষেধ করা, যার ফলে চতুষ্পদ জন্তুর ঘাস খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়
২৪৮০। মুহাম্মাদ ইবন রুমহ (রাহঃ) .... 'আব্দুল্লাহ ইবন যুবায়র (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক আনসারী যুবায়র (রাযিঃ) এর বিরুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) র কাছে নালিশ করলো 'হাবরা নামক স্থানের জলাশয় সম্পর্কে, যা থেকে তারা খেজুর বাগানে পানি দিত। আনসারী লোকটি (যুবায়রকে) বলেছিলঃ পানি ছেড়ে দাও। তা প্রবাহিত হোক। যুবায়র (রাযিঃ) তাতে অস্বীকৃতি জানায়। অতঃপর তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এর বিচার নিয়ে আসে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ হে যুবায়র! তুমি তোমার ক্ষেতে পানি দেয়ার পর, তোমার প্রতিবেশীর ক্ষেতের পানি ছেড়ে দিবে। আনসারী লোকটি রাগান্বিত হয়ে বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! সে আপনার ফুফুর ছেলে বলে এরূপ বিচার করলেন। এতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর চেহারা বিবর্ণ হয়ে যায়। অতঃপর তিনি বললেন, হে যুবায়র! তুমি তোমার ক্ষেতে পানি সেচ কর, তারপর পানি আটকে রাখ, যতক্ষণ না তা দেয়াল পর্যন্ত উঠে যায়। রাবী আব্দুল্লাহ ইবন যুবায়র বলেন যে, যুবায়র (রাযিঃ) বলেছেনঃ আল্লাহর কসম! আমি মনে করি এই আয়াত সম্পর্কে নাযিল হয়েছেঃفَلاَ وَرَبِّكَ لاَ يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لاَ يَجِدُوا فِي أَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيمًا

“কিন্তু না, তোমার প্রতিপালকের শপথ! তারা মুমিন হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের নিজেদের বিবাদ বিসবাদের বিচার ভার তোমার ওপর অর্পণ না করে, অতঃপর তোমার সিদ্ধান্ত সম্বন্ধে তাদের মনে কোন দ্বিধা না থাকে এবং সর্বান্তকারণে তা মেনে নেয়” (৪:৬৫)।
كتاب الرهون
بَاب الشُّرْبِ مِنْ الْأَوْدِيَةِ وَمِقْدَارِ حَبْسِ الْمَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ رَجُلاً، مِنَ الأَنْصَارِ خَاصَمَ الزُّبَيْرَ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي شِرَاجِ الْحَرَّةِ الَّتِي يَسْقُونَ بِهَا النَّخْلَ فَقَالَ الأَنْصَارِيُّ سَرِّحِ الْمَاءَ يَمُرَّ ‏.‏ فَأَبَى عَلَيْهِ فَاخْتَصَمَا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اسْقِ يَا زُبَيْرُ ثُمَّ أَرْسِلِ الْمَاءَ إِلَى جَارِكَ ‏"‏ ‏.‏ فَغَضِبَ الأَنْصَارِيُّ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنْ كَانَ ابْنَ عَمَّتِكَ فَتَلَوَّنَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ ‏"‏ يَا زُبَيْرُ اسْقِ ثُمَّ احْبِسِ الْمَاءَ حَتَّى يَرْجِعَ إِلَى الْجَدْرِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ الزُّبَيْرُ وَاللَّهِ إِنِّي لأَحْسَبُ هَذِهِ الآيَةَ أُنْزِلَتْ فِي ذَلِكَ ‏(‏فَلاَ وَرَبِّكَ لاَ يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لاَ يَجِدُوا فِي أَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيمًا‏)‏‏.‏
হাদীস নং: ২৪৮১
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৮১
বন্ধক রাখার অধ্যায়
উদ্বৃত্ত পানি ব্যবহারে নিষেধ করা, যার ফলে চতুষ্পদ জন্তুর ঘাস খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়
২৪৮১। ইবরাহীম ইবন মুনযির হিযামী (রাহঃ).... ছা'লাবা ইবন আবু মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মাহযূর নামক জলাশয় সম্পর্কে এই ফয়সালা দিয়েছেন যে, উঁচু ভূমি নীচু ভূমির ওপর অগ্রাধিকার পাবে। উঁচু ভূমিতে পানি সেচ করে তা পায়ের গিরা পর্যন্ত হয়ে গেলে, তার পর তা নীচু ভূমির দিকে ছেড়ে দেবে।
كتاب الرهون
بَاب الشُّرْبِ مِنْ الْأَوْدِيَةِ وَمِقْدَارِ حَبْسِ الْمَاءِ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ مَنْظُورِ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ أَبِي مَالِكٍ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عُقْبَةَ بْنِ أَبِي مَالِكٍ، عَنْ عَمِّهِ، ثَعْلَبَةَ بْنِ أَبِي مَالِكٍ قَالَ قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَيْلِ مَهْزُورٍ الأَعْلَى فَوْقَ الأَسْفَلِ يَسْقِي الأَعْلَى إِلَى الْكَعْبَيْنِ ثُمَّ يُرْسِلُ إِلَى مَنْ هُوَ أَسْفَلُ مِنْهُ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৮২
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৮২
বন্ধক রাখার অধ্যায়
উদ্বৃত্ত পানি ব্যবহারে নিষেধ করা, যার ফলে চতুষ্পদ জন্তুর ঘাস খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়
২৪৮২। আহমাদ ইবন 'আব্দা (রাহঃ) .... 'আমর ইবন শুআয়েবের দাদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মাহযূর জলশায় সম্পর্কে ফয়সালা দিয়েছেন যে, পানি পায়ের গিরা সমান হওয়া পর্যন্ত তা আটকে রেখে তারপর পানি ছেড়ে দিতে হবে।
كتاب الرهون
بَاب الشُّرْبِ مِنْ الْأَوْدِيَةِ وَمِقْدَارِ حَبْسِ الْمَاءِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، أَنْبَأَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَضَى فِي سَيْلِ مَهْزُورٍ أَنْ يُمْسِكَ حَتَّى يَبْلُغَ الْكَعْبَيْنِ ثُمَّ يُرْسِلَ الْمَاءَ ‏.‏
হাদীস নং: ২৪৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৮৩
বন্ধক রাখার অধ্যায়
উদ্বৃত্ত পানি ব্যবহারে নিষেধ করা, যার ফলে চতুষ্পদ জন্তুর ঘাস খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়
২৪৮৩। আবুল মুগাল্লিস (রাহঃ) ….. উবাদা ইবন সামিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জলাশয় থেকে খেজুর বাগানে পানি সেচ করার ব্যাপারে এই ফয়সালা দিয়েছেন যে, উচুঁ ভূমি অগ্রাধিকার পাবে। নিম্নভূমির পূর্বেই তাতে সেচ করা হবে এবং পানি পায়ের গিরা সমান হওয়া পর্যন্ত তা ধরে রাখা হবে। তারপর তার সংলগ্ন নীচু ভূমির দিকে সে পানি ছেড়ে দিতে হবে। এমনি ভাবেই চলতে থাকবে, যতক্ষণ না সে বাগানসমূহ শেষ হয়ে যায়, অথবা পানি ফুরিয়ে যায়।
كتاب الرهون
بَاب الشُّرْبِ مِنْ الْأَوْدِيَةِ وَمِقْدَارِ حَبْسِ الْمَاءِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغَلِّسِ، حَدَّثَنَا فُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ يَحْيَى بْنِ الْوَلِيدِ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَضَى فِي شُرْبِ النَّخْلِ مِنَ السَّيْلِ أَنَّ الأَعْلَى فَالأَعْلَى يَشْرَبُ قَبْلَ الأَسْفَلِ وَيُتْرَكُ الْمَاءُ إِلَى الْكَعْبَيْنِ ثُمَّ يُرْسَلُ الْمَاءُ إِلَى الأَسْفَلِ الَّذِي يَلِيهِ وَكَذَلِكَ حَتَّى تَنْقَضِيَ الْحَوَائِطُ أَوْ يَفْنَى الْمَاءُ ‏.‏