আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

৩. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ১৮৮
নামাযের অধ্যায়
১০. যাহরী নামাযে ইমামের পিছনে কিরাআত পড়া হইতে বিরত থাকা
রেওয়ায়ত ৪৩. নাফি’ (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ)-কে প্রশ্ন করা হইত, ইমামের পিছনে কেউ কুরআন পাঠ করিবে কি? তিনি বলিতেনঃ তোমাদের কেউ যখন ইমামের পিছনে নামায পড়ে তখন ইমামের কিরাআতই তাহার জন্য যথেষ্ট। আর একা নামায পড়িলে অবশ্য কুরআন পাঠ করিবে। আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) নিজেও ইমামের পিছনে কুরআন পাঠ করিতেন না।

ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেনঃ আমি মালিক (রাহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছিঃ আমার মতে যেসব নামাযে ইমাম সরবে কুরআন পাঠ করেন সেসব নামাযে মুক্তাদীগণ কিরাআত হইতে বিরত থাকিবেন। আর যেসব নামাযে ইমাম নীরবে কুরআন পাঠ করেন সেসব নামাযে তাহারা কুরআন পাঠ করিবেন।*

*যেসব নামাযে সরবে কুরআন পাঠ করা হয়, যেমন ফজর মাগরিব, ইশা, জুমুআ ইত্যাদি, সেসব নামাযকে ‘যাহরী’ নামায বলা হয়। আর যে সকল নামাযে নীরবে কিরাআত পড়া হয় সে সকল নামাযকে ‘সিররী’ নামায বলা হয়।
كتاب الصلاة
بَاب تَرْكِ الْقِرَاءَةِ خَلْفَ الْإِمَامِ فِيمَا جَهَرَ فِيهِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى، عَنْ مالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا سُئِلَ: هَلْ يَقْرَأُ أَحَدٌ خَلْفَ الْإِمَامِ؟ قَالَ: «إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ خَلْفَ الْإِمَامِ فَحَسْبُهُ قِرَاءَةُ الْإِمَامِ، وَإِذَا صَلَّى وَحْدَهُ فَلْيَقْرَأْ» ، قَالَ: وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ «لَا يَقْرَأُ خَلْفَ الْإِمَامِ» قَالَ يَحْيَى: سَمِعْتُ مَالِكًا يَقُولُ: «الْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنْ يَقْرَأَ الرَّجُلُ وَرَاءَ الْإِمَامِ، فِيمَا لَا يَجْهَرُ فِيهِ الْإِمَامُ بِالْقِرَاءَةِ، وَيَتْرُكُ الْقِرَاءَةَ فِيمَا يَجْهَرُ فِيهِ الْإِمَامُ بِالْقِرَاءَةِ»
tahqiq

তাহকীক:

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১৮৯
নামাযের অধ্যায়
১০. যাহরী নামাযে ইমামের পিছনে কিরাআত পড়া হইতে বিরত থাকা
রেওয়ায়ত ৪৪. ইবনে উকায়মা লায়সী (রাহঃ) আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হইতে বর্ণনা করিয়াছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সরবে কুরআন পাঠ করা হইয়াছে এমন একটি নামায সমাপ্ত করিলেন। অতঃপর বললেনঃ তোমাদের কেউ এখন (নামাযে) আমার সাথে কুরআন পড়িয়াছ কি? উত্তরে এক ব্যক্তি বলিলঃ হ্যাঁ, আমি পড়িয়াছিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলিলেনঃ ইহার পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেনঃ আমি (মনে মনে) বলিতেছিলাম, আমার কী হইল, কুরআন পাঠে আমার সাথে মুকাবিলা করা হইতেছে কেন! ইহা শুনিয়া লোকেরা (নামাযে ইমামের পিছনে) কুরআন পড়া হইতে বিরত হইলেন। যে নামাযে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সরবে কুরআন পাঠ করিয়াছিলেন, সেইরূপ নামাযেই তিনি (কোন সাহাবী কর্তৃক কুরআন পড়িতে) শুনিয়াছিলেন।
كتاب الصلاة
بَاب تَرْكِ الْقِرَاءَةِ خَلْفَ الْإِمَامِ فِيمَا جَهَرَ فِيهِ
وَحَدَّثَنِي يَحْيَى، عَنْ مالِكٍ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ ابْنِ أُكَيْمَةَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْصَرَفَ مِنْ صَلَاةٍ جَهَرَ فِيهَا بِالْقِرَاءَةِ، فَقَالَ: «هَلْ قَرَأَ مَعِي مِنْكُمْ أَحَدٌ آنِفًا» ؟ فَقَالَ رَجُلٌ: نَعَمْ. أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنِّي أَقُولُ مَا لِي أُنَازَعُ الْقُرْآنَ» ، فَانْتَهَى النَّاسُ عَنِ الْقِرَاءَةِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِيمَا جَهَرَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْقِرَاءَةِ، حِينَ سَمِعُوا ذَلِكَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ