আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

৬. রমযানের নামায - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ২৪৩
রমযানের নামায
২. কিয়াম-এ-রমযান বা তারাবীহর নামাযের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৩. আব্দুর রহমান ইবনে আব্দিল কারিয়্যু (রাহঃ) বলিয়াছেনঃ আমি মাহে রমযানে উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-এর সাথে মসজিদের দিকে গমন করিয়াছি, (সেখানে গিয়া) দেখি লোকজন বিভিন্ন দলে বিভক্ত। কেউ একা নামায পড়িতেছেন, আবার কেউ-বা নামায পড়িতেছেন এবং তাহার ইমামতিতে একদল লোকও নামায আদায় করিতেছেন। (এই দৃশ্য দেখিয়া) উমর (রাযিঃ) বলিলেনঃ আমি মনে করি যে, (কত ভালই না হইত) যদি এই মুসল্লীগণকে একজন কারীর সহিত একত্র করিয়া দেওয়া হইত। অতঃপর তিনি উৰাই ইবনে কা’ব (রাযিঃ)-এর ইমামতিতে একত্র করিয়া দিলেন। (আব্দুর রহমান) বলেনঃ দ্বিতীয় রাত্রেও আমি তাহার সহিত (মসজিদে) গমন করিলাম। তখন লোকজন তাহাদের কারীর ইক্তিদায় নামায পড়িতেছিলেন। উমর (রাযিঃ) (ইহা অবলোকন করিয়া) বলিলেনঃ (نِعْمَتِ الْبِدْعَةُ هَذِهِ) ইহা অতি চমৎকার নূতন পদ্ধতি। আর যে নামায হইতে তাহারা ঘুমাইয়া থাকে তাহা উত্তম ঐ নামায হইতে, যে নামাযের জন্য তাহারা জাগ্রত হয়, অর্থাৎ শেষ রাতের নামাযই উত্তম। উমর (রাযিঃ) ইহা এইজন্যই বলিয়াছিলেন, অনেক লোকের অবস্থা (এই ছিল) রাত্রের শুরু ভাগে তাহারা নামায পড়িয়া লইতেন। কেউ কেউ শেষ রাত্রে তারাবীহ পড়া উত্তম মনে করিতেন।
كتاب الصلاة فى رمضان
بَاب مَا جَاءَ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدٍ الْقَارِيِّ أَنَّهُ قَالَ خَرَجْتُ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فِي رَمَضَانَ إِلَى الْمَسْجِدِ فَإِذَا النَّاسُ أَوْزَاعٌ مُتَفَرِّقُونَ يُصَلِّي الرَّجُلُ لِنَفْسِهِ وَيُصَلِّي الرَّجُلُ فَيُصَلِّي بِصَلَاتِهِ الرَّهْطُ فَقَالَ عُمَرُ وَاللَّهِ إِنِّي لَأَرَانِي لَوْ جَمَعْتُ هَؤُلَاءِ عَلَى قَارِئٍ وَاحِدٍ لَكَانَ أَمْثَلَ فَجَمَعَهُمْ عَلَى أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ قَالَ ثُمَّ خَرَجْتُ مَعَهُ لَيْلَةً أُخْرَى وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ بِصَلَاةِ قَارِئِهِمْ فَقَالَ عُمَرُ نِعْمَتِ الْبِدْعَةُ هَذِهِ وَالَّتِي تَنَامُونَ عَنْهَا أَفْضَلُ مِنْ الَّتِي تَقُومُونَ يَعْنِي آخِرَ اللَّيْلِ وَكَانَ النَّاسُ يَقُومُونَ أَوَّلَهُ
হাদীস নং: ২৪৪
রমযানের নামায
২. কিয়াম-এ-রমযান বা তারাবীহর নামাযের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৪. সায়িব ইবনে ইয়াযিদ (রাহঃ) বলিয়াছেনঃ উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) উবাই ইবনে কা’ব এবং তামীমদারী (রাযিঃ)-কে লোকজনের (মুসল্লীগণের) জন্য এগার রাক'আত (তারাবীহ) কায়েম করিতে (পড়াইতে) নির্দেশ দিয়াছিলেন। কারী একশত আয়াতবিশিষ্ট সূরা পাঠ করিতেন, আর (আমাদের অবস্থা এই ছিল) আমরা নামযে দীর্ঘ সময় দাঁড়াইতে দাঁড়াইতে (ক্লান্ত) হইয়া পড়িলে সাহায্য গ্রহণ করিতাম অর্থাৎ লাঠির উপর ভর দিতাম। (এইভাবে নামায পড়িতে পড়িতে রাত শেষ হইত)। আমরা ভোর হওয়ার কিছু পূর্বে ঘরে প্রত্যাবর্তন করিতাম।
كتاب الصلاة فى رمضان
بَاب مَا جَاءَ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ عَنْ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ أَنَّهُ قَالَ أَمَرَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أُبَيَّ بْنَ كَعْبٍ وَتَمِيمًا الدَّارِيَّ أَنْ يَقُومَا لِلنَّاسِ بِإِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً قَالَ وَقَدْ كَانَ الْقَارِئُ يَقْرَأُ بِالْمِئِينَ حَتَّى كُنَّا نَعْتَمِدُ عَلَى الْعِصِيِّ مِنْ طُولِ الْقِيَامِ وَمَا كُنَّا نَنْصَرِفُ إِلَّا فِي فُرُوعِ الْفَجْرِ
হাদীস নং: ২৪৫
রমযানের নামায
২. কিয়াম-এ-রমযান বা তারাবীহর নামাযের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৫. মালিক (রাহঃ) ইয়াযিদ ইবনে রুমান (রাহঃ) হইতে বর্ণনা করেন- তিনি বলিয়াছেনঃ লোকজন উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-এর খিলাফতকালে রমযানে তেইশ রাক’আত তারাবীহ পড়িতেন- তিন রাক'আত বিতর এবং বিশ রাক'আত তারাবীহ।
كتاب الصلاة فى رمضان
بَاب مَا جَاءَ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَزِيدَ بْنِ رُومَانَ أَنَّهُ قَالَ كَانَ النَّاسُ يَقُومُونَ فِي زَمَانِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فِي رَمَضَانَ بِثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ رَكْعَةً
হাদীস নং: ২৪৬
রমযানের নামায
২. কিয়াম-এ-রমযান বা তারাবীহর নামাযের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৬. মালিক (রাহঃ) দাউদ ইবনে হুসায়ন (রাহঃ) হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি আ’রাজ (রাহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছেনঃ লোকজন রমযানের বিতর (وتر) নামাযে কাফিরদের প্রতি অভিশাপ প্রেরণ করিতেন। আর কারী অর্থাৎ ইমাম আট রাক'আতে সূরা বাকারা পাঠ করিতেন। কোন সময় উক্ত সূরা বার রাক'আতে পাঠ করিলে লোকেরা মনে করিতেন যে, কারী (ইমাম) নামায হালকা পড়িয়াছেন।
كتاب الصلاة فى رمضان
بَاب مَا جَاءَ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ أَنَّهُ سَمِعَ الْأَعْرَجَ يَقُولُ مَا أَدْرَكْتُ النَّاسَ إِلَّا وَهُمْ يَلْعَنُونَ الْكَفَرَةَ فِي رَمَضَانَ قَالَ وَكَانَ الْقَارِئُ يَقْرَأُ سُورَةَ الْبَقَرَةِ فِي ثَمَانِ رَكَعَاتٍ فَإِذَا قَامَ بِهَا فِي اثْنَتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً رَأَى النَّاسُ أَنَّهُ قَدْ خَفَّفَ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৪৭
রমযানের নামায
২. কিয়াম-এ-রমযান বা তারাবীহর নামাযের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৭. মালিক (রাহঃ) আব্দুল্লাহ্ ইবনে আবু বকর (রাহঃ) হইতে বর্ণনা করেন- তিনি বলিয়াছেনঃ (মসজিদে রাত কাটাইয়া) আমরা রমযানে (গৃহে) প্রত্যাবর্তন করিতাম, তখন ভোর হওয়ার আশঙ্কায় খাদেমগণকে (খানা প্রস্তুতির) কাজে লাগাইতাম । উরওয়াহ্ (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, যাকওয়ান আবু আমর (রাহঃ) নবী করীম (ﷺ) এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাযিঃ)-এর ক্রীতদাস ছিলেন। আয়েশা (রাযিঃ)-এর ওফাতের পর যাকওয়ান মুক্তিপ্রাপ্ত হইবেন বলিয়া ঘোষণা ছিল । (উক্ত যাকওয়ান) রমযান মাসে তারাবীহর নামায পড়িতেন এবং আয়েশা (রাযিঃ) তাহার পিছনে (অন্যদের সঙ্গে) মুক্তাদী হইয়া নামায পড়িতেন অথবা আয়েশা (রাযিঃ) তাহার কুরআন পাঠ শুনিতেন।
كتاب الصلاة فى رمضان
بَاب مَا جَاءَ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ، كُنَّا نَنْصَرِفُ فِي رَمَضَانَ فَنَسْتَعْجِلُ الْخَدَمَ بِالطَّعَامِ مَخَافَةَ الْفَجْرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ ذَكْوَانَ أَبَا عَمْرٍو وَكَانَ عَبْدًا لِعَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَعْتَقَتْهُ عَنْ دُبُرٍ مِنْهَا كَانَ يَقُومُ يَقْرَأُ لَهَا فِي رَمَضَانَ
tahqiq

তাহকীক: