আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
১৮. রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
হাদীস নং: ৬২৭
 রোযার অধ্যায়
৪. যে ব্যক্তির জানাবত (গোসল ফরয হওয়া) অবস্থায় ফজর হয় সেই ব্যক্তির রোযা
রেওয়ায়ত ৯. আয়েশা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলিলঃ তখন তিনি দরজায় দণ্ডায়মান ছিলেন, আর আমি শুনিতেছিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! জানাবত অবস্থায় আমার ফজর হয় অথচ আমি রোযা রাখিতে ইচ্ছা করি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেনঃ আমারও জানাবত অবস্থায় ফজর হয়, অথচ আমি রোযা রাখিবার ইচ্ছা করি। তাই আমি গোসল করি এবং রোযা রাখি। তখন লোকটি তাহার নিকট আরয করিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি অবশ্য আমাদের মত নহেন। আল্লাহ্ আপনার অতীত ও ভবিষ্যত ক্রটিসমূহ মার্জনা করিয়াছেন। ইহাতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) রাগান্বিত হইলেন এবং বলিলেনঃ আল্লাহর কসম, আমি তোমাদের তুলনায় আল্লাহকে অধিক ভয় করি আর আমি তাকওয়ার বিষয়ে তোমাদের অপেক্ষা অধিক জ্ঞাত।
كتاب الصيام
بَاب مَا جَاءَ فِي صِيَامِ الَّذِي يُصْبِحُ جُنُبًا فِي رَمَضَانَ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَعْمَرٍ الْأَنْصَارِيِّ عَنْ أَبِي يُونُسَ مَوْلَى عَائِشَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَجُلًا قَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ وَاقِفٌ عَلَى الْبَابِ وَأَنَا أَسْمَعُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُصْبِحُ جُنُبًا وَأَنَا أُرِيدُ الصِّيَامَ فَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا أُصْبِحُ جُنُبًا وَأَنَا أُرِيدُ الصِّيَامَ فَأَغْتَسِلُ وَأَصُومُ فَقَالَ لَهُ الرَّجُلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّكَ لَسْتَ مِثْلَنَا قَدْ غَفَرَ اللَّهُ لَكَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا تَأَخَّرَ فَغَضِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ وَاللَّهِ إِنِّي لَأَرْجُو أَنْ أَكُونَ أَخْشَاكُمْ لِلَّهِ وَأَعْلَمَكُمْ بِمَا أَتَّقِي

তাহকীক:
হাদীস নং: ৬২৮
 রোযার অধ্যায়
৪. যে ব্যক্তির জানাবত (গোসল ফরয হওয়া) অবস্থায় ফজর হয় সেই ব্যক্তির রোযা
রেওয়ায়ত ১০. নবী করীম (ﷺ) এর সহধর্মিণী আয়েশা ও উম্মে সালামা (রাযিঃ) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর স্বপ্নদোষে নহে স্ত্রী সহবাসের কারণে রমযানে জানাবত অবস্থায় ফজর হইত, অতঃপর তিনি রোযা রাখিতেন।
كتاب الصيام
بَاب مَا جَاءَ فِي صِيَامِ الَّذِي يُصْبِحُ جُنُبًا فِي رَمَضَانَ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ بْنِ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ عَنْ عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ زَوْجَيْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُمَا قَالَتَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصْبِحُ جُنُبًا مِنْ جِمَاعٍ غَيْرِ احْتِلَامٍ فِي رَمَضَانَ ثُمَّ يَصُومُ

তাহকীক:
হাদীস নং: ৬২৯
 রোযার অধ্যায়
৪. যে ব্যক্তির জানাবত (গোসল ফরয হওয়া) অবস্থায় ফজর হয় সেই ব্যক্তির রোযা
রেওয়ায়ত ১১. আবু বকর ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) বলেনঃ আমি ও আমার পিতা মারওয়ানের নিকট ছিলাম, মারওয়ান তখন মদীনার শাসনকর্তা। তাহার নিকট উল্লেখ করা হয় যে, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন- যে ব্যক্তির জানাবত অবস্থায় ফজর হয়, তাহার সেই দিনের রোযা নষ্ট হইয়াছে। মারওয়ান বলিলেন, হে আব্দুর রহমান! আমি তোমাদের কসম দিতেছি যে, তুমি অবশ্যই উম্মুল মু'মিনীনদ্বয় আয়েশা (রাযিঃ) ও উম্মে সালামা (রাযিঃ)-এর নিকট গমন কর এবং এ বিষয়ে উভয়কে প্রশ্ন কর। 
অতঃপর আব্দুর রহমান গেলেন, আমিও সঙ্গে ছিলাম। আব্দুর রহমান তাহাকে সালাম জানাইলেন এবং বলিলেনঃ হে উম্মুল মু'মিনীন! আমরা মারওয়ান ইবনে হাকামের নিকট ছিলাম, তাহার নিকট আলোচিত হয় যে, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলিয়াছেন- যে ব্যক্তির জানাবত অবস্থায় ফজর হইয়াছে সে সেই দিনের রোযা ভঙ্গ করিয়াছে। আয়েশা (রাযিঃ) বলিলেনঃ আবু হুরায়রা যেমন বলিয়াছেন, (মাসআলা) তেমন নহে। হে আব্দুর রহমান! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যাহা করিয়াছেন তুমি কি উহা হইতে বিমুখ হইতে চাও? আব্দুর রহমান বলিলেনঃ না, আল্লাহর কসম, (তা হয় না)।
আয়েশা (রাযিঃ) বলিলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ব্যাপারে সাক্ষ্য দিতেছি যে, তিনি স্বপ্লদোষে নহে, সহবাসের কারণে জানাবত অবস্থায় ফজর করিতেন। অতঃপর সেই দিনের রোযা রাখতেন। (রাবী) বলেনঃ তারপর আমরা আয়েশা (রাযিঃ)-এর নিকট হইতে বাহির হইলাম এবং উম্মে সালামা (রাযিঃ)-এর নিকট গেলাম এবং এই বিষয়ে তাহাকে প্রশ্ন করিলাম। আয়েশা (রাযিঃ) যেমন বলিয়াছেন তিনিও তেমন বলিলেন।
অতঃপর আমরা প্রস্থান করিলাম এবং মারওয়ান ইবনে হাকামের নিকট উপস্থিত হইলাম। তাহারা উভয়ে যাহা বর্ণনা করিয়াছেন আব্দুর রহমান মারওয়ানের নিকট তাহা উল্লেখ করিলেন। অতঃপর মারওয়ান বলিলেনঃ আমি তোমাকে কসম দিতেছি, হে আবু মুহাম্মাদ, আমার সওয়ার দরজায় (উপস্থিত) রহিয়াছে, তুমি উহার উপর সওয়ার হইয়া অবশ্যই আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর নিকট গমন কর। তিনি তাহার (নিজস্ব) ভূমিতে আকীক নামক স্থানে অবস্থান করিতেছেন। নিশ্চয়ই এই খবরটি তাহাকে পৌছাইয়া দাও। আব্দুর রহমান সওয়ার হইলেন, আমি তাহার সহিত আরোহণ করিলাম।
অতঃপর আমরা আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর নিকট আসিলাম। আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর সহিত আব্দুর রহমান কিছুক্ষণ কথা বললেন। তারপর এই বিষয়ে তাহার সহিত আলোচনা করিলেন। ইহার পর আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলিলেনঃ এই বিষয়ে আমার জানা নাই, আমাকে খবরদাতা খবর দিয়াছেন।
অতঃপর আব্দুর রহমান গেলেন, আমিও সঙ্গে ছিলাম। আব্দুর রহমান তাহাকে সালাম জানাইলেন এবং বলিলেনঃ হে উম্মুল মু'মিনীন! আমরা মারওয়ান ইবনে হাকামের নিকট ছিলাম, তাহার নিকট আলোচিত হয় যে, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলিয়াছেন- যে ব্যক্তির জানাবত অবস্থায় ফজর হইয়াছে সে সেই দিনের রোযা ভঙ্গ করিয়াছে। আয়েশা (রাযিঃ) বলিলেনঃ আবু হুরায়রা যেমন বলিয়াছেন, (মাসআলা) তেমন নহে। হে আব্দুর রহমান! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যাহা করিয়াছেন তুমি কি উহা হইতে বিমুখ হইতে চাও? আব্দুর রহমান বলিলেনঃ না, আল্লাহর কসম, (তা হয় না)।
আয়েশা (রাযিঃ) বলিলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ব্যাপারে সাক্ষ্য দিতেছি যে, তিনি স্বপ্লদোষে নহে, সহবাসের কারণে জানাবত অবস্থায় ফজর করিতেন। অতঃপর সেই দিনের রোযা রাখতেন। (রাবী) বলেনঃ তারপর আমরা আয়েশা (রাযিঃ)-এর নিকট হইতে বাহির হইলাম এবং উম্মে সালামা (রাযিঃ)-এর নিকট গেলাম এবং এই বিষয়ে তাহাকে প্রশ্ন করিলাম। আয়েশা (রাযিঃ) যেমন বলিয়াছেন তিনিও তেমন বলিলেন।
অতঃপর আমরা প্রস্থান করিলাম এবং মারওয়ান ইবনে হাকামের নিকট উপস্থিত হইলাম। তাহারা উভয়ে যাহা বর্ণনা করিয়াছেন আব্দুর রহমান মারওয়ানের নিকট তাহা উল্লেখ করিলেন। অতঃপর মারওয়ান বলিলেনঃ আমি তোমাকে কসম দিতেছি, হে আবু মুহাম্মাদ, আমার সওয়ার দরজায় (উপস্থিত) রহিয়াছে, তুমি উহার উপর সওয়ার হইয়া অবশ্যই আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর নিকট গমন কর। তিনি তাহার (নিজস্ব) ভূমিতে আকীক নামক স্থানে অবস্থান করিতেছেন। নিশ্চয়ই এই খবরটি তাহাকে পৌছাইয়া দাও। আব্দুর রহমান সওয়ার হইলেন, আমি তাহার সহিত আরোহণ করিলাম।
অতঃপর আমরা আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর নিকট আসিলাম। আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর সহিত আব্দুর রহমান কিছুক্ষণ কথা বললেন। তারপর এই বিষয়ে তাহার সহিত আলোচনা করিলেন। ইহার পর আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলিলেনঃ এই বিষয়ে আমার জানা নাই, আমাকে খবরদাতা খবর দিয়াছেন।
كتاب الصيام
بَاب مَا جَاءَ فِي صِيَامِ الَّذِي يُصْبِحُ جُنُبًا فِي رَمَضَانَ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ سُمَيٍّ مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا بَكْرِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ يَقُولُ كُنْتُ أَنَا وَأَبِي عِنْدَ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ وَهُوَ أَمِيرُ الْمَدِينَةِ فَذُكِرَ لَهُ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ مَنْ أَصْبَحَ جُنُبًا أَفْطَرَ ذَلِكَ الْيَوْمَ فَقَالَ مَرْوَانُ أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ لَتَذْهَبَنَّ إِلَى أُمَّيْ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ فَلْتَسْأَلَنَّهُمَا عَنْ ذَلِكَ فَذَهَبَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَذَهَبْتُ مَعَهُ حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى عَائِشَةَ فَسَلَّمَ عَلَيْهَا ثُمَّ قَالَ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ إِنَّا كُنَّا عِنْدَ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ فَذُكِرَ لَهُ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ مَنْ أَصْبَحَ جُنُبًا أَفْطَرَ ذَلِكَ الْيَوْمَ قَالَتْ عَائِشَةُ لَيْسَ كَمَا قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ أَتَرْغَبُ عَمَّا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصْنَعُ فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ لَا وَاللَّهِ قَالَتْ عَائِشَةُ فَأَشْهَدُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ كَانَ يُصْبِحُ جُنُبًا مِنْ جِمَاعٍ غَيْرِ احْتِلَامٍ ثُمَّ يَصُومُ ذَلِكَ الْيَوْمَ قَالَ ثُمَّ خَرَجْنَا حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى أُمِّ سَلَمَةَ فَسَأَلَهَا عَنْ ذَلِكَ فَقَالَتْ مِثْلَ مَا قَالَتْ عَائِشَةُ قَالَ فَخَرَجْنَا حَتَّى جِئْنَا مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ فَذَكَرَ لَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ مَا قَالَتَا فَقَالَ مَرْوَانُ أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ يَا أَبَا مُحَمَّدٍ لَتَرْكَبَنَّ دَابَّتِي فَإِنَّهَا بِالْبَابِ فَلْتَذْهَبَنَّ إِلَى أَبِي هُرَيْرَةَ فَإِنَّهُ بِأَرْضِهِ بِالْعَقِيقِ فَلْتُخْبِرَنَّهُ ذَلِكَ فَرَكِبَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَرَكِبْتُ مَعَهُ حَتَّى أَتَيْنَا أَبَا هُرَيْرَةَ فَتَحَدَّثَ مَعَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ سَاعَةً ثُمَّ ذَكَرَ لَهُ ذَلِكَ فَقَالَ لَهُ أَبُو هُرَيْرَةَ لَا عِلْمَ لِي بِذَاكَ إِنَّمَا أَخْبَرَنِيهِ مُخْبِرٌ

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬৩০
 রোযার অধ্যায়
৪. যে ব্যক্তির জানাবত (গোসল ফরয হওয়া) অবস্থায় ফজর হয় সেই ব্যক্তির রোযা
রেওয়ায়ত ১২. নবী করীম (ﷺ) এর সহধর্মিণী আয়েশা ও উম্মে সালামা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর স্বপ্নদোষ ব্যতীত সহবাসের কারণে জানাবত অবস্থায় ফজর হইত, অতঃপর তিনি রোযা রাখতেন।
كتاب الصيام
بَاب مَا جَاءَ فِي صِيَامِ الَّذِي يُصْبِحُ جُنُبًا فِي رَمَضَانَ 
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ سُمَيٍّ مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ زَوْجَيْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُمَا قَالَتَا إِنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيُصْبِحُ جُنُبًا مِنْ جِمَاعٍ غَيْرِ احْتِلَامٍ ثُمَّ يَصُومُ 

তাহকীক: