আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
২০. হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
হাদীস নং: ৭৬৩
 হজ্ব - উমরার অধ্যায়
২১. উমরা সম্পৰ্কীয় বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ৬৮. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ এক উমরা আরেক উমরার মধ্যবর্তী গুনাহসমূহের জন্য কাফফারাস্বরূপ। জান্নাতই মকবুল হজ্জের প্রতিদান।
كتاب الحج
بَاب جَامِعِ مَا جَاءَ فِي الْعُمْرَةِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ سُمَيٍّ مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْعُمْرَةُ إِلَى الْعُمْرَةِ كَفَّارَةٌ لِمَا بَيْنَهُمَا وَالْحَجُّ الْمَبْرُورُ لَيْسَ لَهُ جَزَاءٌ إِلَّا الْجَنَّةُ

তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৬৪
 হজ্ব - উমরার অধ্যায়
২১. উমরা সম্পৰ্কীয় বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ৬৯. সুমাই (রাহঃ) আবু বকর ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছেন, এক মহিলা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খিদমতে আসিয়া আরয করিলঃ হজ্জের সমস্ত প্রস্তুতি শেষ করা সত্ত্বেও একটি বাধার দরুন আমি হজ্জ করিতে পারি নাই, এখন কি করিব। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেনঃ রমযান মাসে উমরা করিয়া নাও। রমযান মাসের উমরাতে হজ্জের সমান সওয়াব রহিয়াছে।
كتاب الحج
بَاب جَامِعِ مَا جَاءَ فِي الْعُمْرَةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ سُمَيٍّ مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا بَكْرِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ يَقُولُ جَاءَتْ امْرَأَةٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ إِنِّي قَدْ كُنْتُ تَجَهَّزْتُ لِلْحَجِّ فَاعْتَرَضَ لِي فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اعْتَمِرِي فِي رَمَضَانَ فَإِنَّ عُمْرَةً فِيهِ كَحِجَّةٍ

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৭৬৫
 হজ্ব - উমরার অধ্যায়
২১. উমরা সম্পৰ্কীয় বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ৭০. আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) বলিয়াছেনঃ হজ্জ ও উমরার মাসে তোমরা ব্যবধান রাখিও যাহাতে হজ্জ ও উমরা উভয়ই সম্পূর্ণরূপে আদায় হইতে পারে। ইহার উপায় হইল, হজ্জের মাসে তোমরা উমরা করিও না
كتاب الحج
بَاب جَامِعِ مَا جَاءَ فِي الْعُمْرَةِ 
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ افْصِلُوا بَيْنَ حَجِّكُمْ وَعُمْرَتِكُمْ فَإِنَّ ذَلِكَ أَتَمُّ لِحَجِّ أَحَدِكُمْ وَأَتَمُّ لِعُمْرَتِهِ أَنْ يَعْتَمِرَ فِي غَيْرِ أَشْهُرِ الْحَجِّ 

তাহকীক:
হাদীস নং: ৭৬৬
 হজ্ব - উমরার অধ্যায়
২১. উমরা সম্পৰ্কীয় বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ৭১. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) যখন উমরা করিতেন, মদীনায় ফিরিয়া না যাওয়া পর্যন্ত উট হইতে অবতরণ করিতেন না।
মালিক (রাহঃ) বলেন, উমরা করা সুন্নত। এমন কোন মুসলমান দেখা যায় নাই যিনি ইহা পরিত্যাগ করার অনুমতি দেন।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ একই বৎসরে একাধিক উমরা করা জায়েয নহে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ উমরার ইহরাম বাধিয়া স্ত্রী সহবাস করিলে উমরা বিনষ্ট হইয়া যাইবে এবং তাহার উপর আরেকটি উমরা কাযা ও একটি কুরবানী করা ওয়াজিব হইবে। তাই সত্বর তাহাকে উহার কাযা আদায় করিয়া নেওয়া উচিত। যে স্থান হইতে প্রথম উমরার ইহরাম বাঁধিয়াছিল সেই স্থান হইতেই তাছাকে এই কাযা উমরার ইহরাম বাধিতে হইবে, তবে প্রথম উমরার ইহরাম নির্দিষ্ট মীকাতের পূর্বে বাঁধিয়া থাকিলে কাযা উমরার মীকাত হইতে বাঁধিবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ উমরার ইহরাম বাঁধিয়া কোন ব্যক্তি মক্কায় আসিল এবং জানাবত (গোসল ফরয হওয়া) অবস্থায় বা ওযু ব্যতিরেকে সে তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার সায়ী করিল। পরে ভুলবশত স্ত্রীসহবাস করিল। অতঃপর উমরার কথা তাহার মনে পড়িল। তখন সে গোসল বা ওযু করিয়া পুনরায় তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার সায়ী করিবে এবং তদস্থলে অন্য একটি উমরা কাযা করিবে ও একটি কুরবানী দিবে। মহিলাও ইহরামরত
অবস্থায় তদ্রূপ কিছু করিলে তাহাকেও (পুরুষদের মত) আমল করিতে হইবে।
তান’য়ীম নামক স্থান হইতে উমরার ইহরাম বাঁধার ব্যাপারে মালিক (রাহঃ) বলেনঃ হারম শরীফ হইতে বাহির হইয়া যে কোন স্থান হইতে উমরার ইহরাম বাঁধিতে পারবে। আল্লাহর ইচ্ছায় এই ইহরামই মুহরিমের জন্য যথেষ্ট। তবে মীকাত হইতে ইহরাম বাঁধা উত্তম। কারণ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কর্তৃক নির্ধারিত স্থান হইতে ইহরাম বাঁধা নিঃসন্দেহে উত্তম এবং তান’য়ীম হইতে দূরে অবস্থিত।
মালিক (রাহঃ) বলেন, উমরা করা সুন্নত। এমন কোন মুসলমান দেখা যায় নাই যিনি ইহা পরিত্যাগ করার অনুমতি দেন।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ একই বৎসরে একাধিক উমরা করা জায়েয নহে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ উমরার ইহরাম বাধিয়া স্ত্রী সহবাস করিলে উমরা বিনষ্ট হইয়া যাইবে এবং তাহার উপর আরেকটি উমরা কাযা ও একটি কুরবানী করা ওয়াজিব হইবে। তাই সত্বর তাহাকে উহার কাযা আদায় করিয়া নেওয়া উচিত। যে স্থান হইতে প্রথম উমরার ইহরাম বাঁধিয়াছিল সেই স্থান হইতেই তাছাকে এই কাযা উমরার ইহরাম বাধিতে হইবে, তবে প্রথম উমরার ইহরাম নির্দিষ্ট মীকাতের পূর্বে বাঁধিয়া থাকিলে কাযা উমরার মীকাত হইতে বাঁধিবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ উমরার ইহরাম বাঁধিয়া কোন ব্যক্তি মক্কায় আসিল এবং জানাবত (গোসল ফরয হওয়া) অবস্থায় বা ওযু ব্যতিরেকে সে তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার সায়ী করিল। পরে ভুলবশত স্ত্রীসহবাস করিল। অতঃপর উমরার কথা তাহার মনে পড়িল। তখন সে গোসল বা ওযু করিয়া পুনরায় তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার সায়ী করিবে এবং তদস্থলে অন্য একটি উমরা কাযা করিবে ও একটি কুরবানী দিবে। মহিলাও ইহরামরত
অবস্থায় তদ্রূপ কিছু করিলে তাহাকেও (পুরুষদের মত) আমল করিতে হইবে।
তান’য়ীম নামক স্থান হইতে উমরার ইহরাম বাঁধার ব্যাপারে মালিক (রাহঃ) বলেনঃ হারম শরীফ হইতে বাহির হইয়া যে কোন স্থান হইতে উমরার ইহরাম বাঁধিতে পারবে। আল্লাহর ইচ্ছায় এই ইহরামই মুহরিমের জন্য যথেষ্ট। তবে মীকাত হইতে ইহরাম বাঁধা উত্তম। কারণ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কর্তৃক নির্ধারিত স্থান হইতে ইহরাম বাঁধা নিঃসন্দেহে উত্তম এবং তান’য়ীম হইতে দূরে অবস্থিত।
كتاب الحج
بَاب جَامِعِ مَا جَاءَ فِي الْعُمْرَةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ كَانَ إِذَا اعْتَمَرَ رُبَّمَا لَمْ يَحْطُطْ عَنْ رَاحِلَتِهِ حَتَّى يَرْجِعَ قَالَ مَالِك الْعُمْرَةُ سُنَّةٌ وَلَا نَعْلَمُ أَحَدًا مِنْ الْمُسْلِمِينَ أَرْخَصَ فِي تَرْكِهَا قَالَ مَالِك وَلَا أَرَى لِأَحَدٍ أَنْ يَعْتَمِرَ فِي السَّنَةِ مِرَارًا قَالَ مَالِك فِي الْمُعْتَمِرِ يَقَعُ بِأَهْلِهِ إِنَّ عَلَيْهِ فِي ذَلِكَ الْهَدْيَ وَعُمْرَةً أُخْرَى يَبْتَدِئُ بِهَا بَعْدَ إِتْمَامِهِ الَّتِي أَفْسَدَهَا وَيُحْرِمُ مِنْ حَيْثُ أَحْرَمَ بِعُمْرَتِهِ الَّتِي أَفْسَدَهَا إِلَّا أَنْ يَكُونَ أَحْرَمَ مِنْ مَكَانٍ أَبْعَدَ مِنْ مِيقَاتِهِ فَلَيْسَ عَلَيْهِ أَنْ يُحْرِمَ إِلَّا مِنْ مِيقَاتِهِ قَالَ مَالِك وَمَنْ دَخَلَ مَكَّةَ بِعُمْرَةٍ فَطَافَ بِالْبَيْتِ وَسَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَهُوَ جُنُبٌ أَوْ عَلَى غَيْرِ وُضُوءٍ ثُمَّ وَقَعَ بِأَهْلِهِ ثُمَّ ذَكَرَ قَالَ يَغْتَسِلُ أَوْ يَتَوَضَّأُ ثُمَّ يَعُودُ فَيَطُوفُ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَيَعْتَمِرُ عُمْرَةً أُخْرَى وَيُهْدِي وَعَلَى الْمَرْأَةِ إِذَا أَصَابَهَا زَوْجُهَا وَهِيَ مُحْرِمَةٌ مِثْلُ ذَلِكَ قَالَ مَالِك فَأَمَّا الْعُمْرَةُ مِنْ التَّنْعِيمِ فَإِنَّهُ مَنْ شَاءَ أَنْ يَخْرُجَ مِنْ الْحَرَمِ ثُمَّ يُحْرِمَ فَإِنَّ ذَلِكَ مُجْزِئٌ عَنْهُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ وَلَكِنْ الْفَضْلُ أَنْ يُهِلَّ مِنْ الْمِيقَاتِ الَّذِي وَقَّتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْ مَا هُوَ أَبْعَدُ مِنْ التَّنْعِيمِ

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৭৬৭
 হজ্ব - উমরার অধ্যায়
২১. উমরা সম্পৰ্কীয় বিবিধ আহকাম
রেওয়ায়ত ৭২. সুলায়মান ইবনে ইয়াসার (রাহঃ) বর্ণনা করেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাহার আযাদকৃত গোলাম আবু রাফি এবং জনৈক আনসারী ব্যক্তিকে পাঠাইলেন। তাহারা দুইজনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পক্ষে মায়মুনা বিনতে হারিসের নিকট বিবাহের পয়গাম দিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন মদীনা হইতে মক্কার পথে যাত্রা করেন নাই।
كتاب الحج
بَاب جَامِعِ مَا جَاءَ فِي الْعُمْرَةِ 
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ أَبَا رَافِعٍ وَرَجُلًا مِنْ الْأَنْصَارِ فَزَوَّجَاهُ مَيْمُونَةَ بِنْتَ الْحَارِثِ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ قَبْلَ أَنْ يَخْرُجَ 

তাহকীক:

বর্ণনাকারী: