আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

২০. হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৮১৫
হজ্ব - উমরার অধ্যায়
৩৮. ফজর ও আসরের পর তাওয়াফের নামায আদায় করা
রেওয়ায়ত ১২০. আব্দুর রহমান ইবনে আব্দ আল-করিয়্যে* (রাহঃ) ফজরের নামাযের পর উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-এর সঙ্গে বায়তুল্লাহর তওয়াফ করেন। আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) যখন তাওয়াফ শেষ করেন তখনও সূর্যোদয় হয় নাই। তিনি উটে আরোহণ করিয়া বাহিরে গেলেন এবং মী-তুয়া নামক স্থানে পৌছিয়া উট হইতে অবতরণ করিয়া দুই রাক'আত নামায আদায় করেন।

* খুযায়া গোত্রের একটি শাখার নাম আলকারা’। সেই দিকে সম্পর্কিত বলিয়া “আল-করিয়্যে” বলা হইয়াছে।
كتاب الحج
بَاب الصَّلَاةِ بَعْدَ الصُّبْحِ وَالْعَصْرِ فِي الطَّوَافِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَبْدٍ الْقَارِيَّ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ طَافَ بِالْبَيْتِ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ بَعْدَ صَلَاةِ الصُّبْحِ فَلَمَّا قَضَى عُمَرُ طَوَافَهُ نَظَرَ فَلَمْ يَرَ الشَّمْسَ طَلَعَتْ فَرَكِبَ حَتَّى أَنَاخَ بِذِي طُوًى فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ
হাদীস নং: ৮১৬
হজ্ব - উমরার অধ্যায়
৩৮. ফজর ও আসরের পর তাওয়াফের নামায আদায় করা
রেওয়ায়ত ১২১. আবুয যুবায়র মক্কী (রাহঃ) বলেনঃ আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-কে আসরের পর তাওয়াফ করিতে দেখিতে পাইলাম। তাওয়াফের পর হুজরায় চলিয়া গেলেন। জানি না সেখানে তিনি কি করিয়াছিলেন।*

* হুজরায় প্রবেশ করিয়া সেই সময় তাওয়াফের দুই রাকাআত নামায পড়িয়াছিলেন, না সূর্যাস্তের পরে পড়িয়াছিলেন তাহা জানা নাই।
كتاب الحج
بَاب الصَّلَاةِ بَعْدَ الصُّبْحِ وَالْعَصْرِ فِي الطَّوَافِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ الْمَكِّيِّ أَنَّهُ قَالَ لَقَدْ رَأَيْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ يَطُوفُ بَعْدَ صَلَاةِ الْعَصْرِ ثُمَّ يَدْخُلُ حُجْرَتَهُ فَلَا أَدْرِي مَا يَصْنَعُ
tahqiq

তাহকীক:

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৮১৭
হজ্ব - উমরার অধ্যায়
৩৮. ফজর ও আসরের পর তাওয়াফের নামায আদায় করা
রেওয়ায়ত ১২২. আবুয যুবায়র মক্কী (রাহঃ) বর্ণনা করেন, আমি দেখিয়াছি আসর ও ফজরের পর বায়তুল্লাহ খালি হইয়া পড়িত। ঐ সময় কোন তাওয়াফকারী থাকিত না।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তাওয়াফ শুরু করার পর ফজর বা আসরের জামাতের তাকবীর শুরু হইলে ইহা ত্যাগ করিয়া ইমামের সহিত নামাযে শামিল হওয়া উচিত।

নামায পড়ার পর অবশিষ্ট তাওয়াফ পুরা করিবে। কিন্তু তাওয়াফের দুই রাক'আত নামায ফজরের সময় সূর্যোদয় এবং আসরের সময় সূর্য অস্ত না যাওয়া পর্যন্ত পড়িবে না। মাগরিবের পর যদি উহা পড়ে তবে উহাতেও কোন দোষ নাই। মালিক (রাহঃ) বলেনঃ সাত চক্করের উপর বৃদ্ধি না করিয়া যদি কোন ব্যক্তি ফজর ও আসরের পর তাওয়াফ করে এবং তাওয়াফের দুই রাক'আত নামায সূর্যোদয়ের পর পড়িয়া নেয়, যেরূপ উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) করিয়াছিলেন, ইহাতে কোন দোষ নাই।

আর যদি আসরের পর তাওয়াফ করিয়া থাকে তবে সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্বে তাওয়াফের নামায পড়িবে না। সূর্যাস্তের পর ইচ্ছা করিলে তাওয়াফের দুই রাক'আত নামায পড়িয়া লইবে অথবা ইচ্ছা করিলে মাগরিবের নামায সমাপ্ত করার পর পড়িবে, ইহাতে কোন ক্ষতি নাই।
كتاب الحج
بَاب الصَّلَاةِ بَعْدَ الصُّبْحِ وَالْعَصْرِ فِي الطَّوَافِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ الْمَكِّيِّ أَنَّهُ قَالَ لَقَدْ رَأَيْتُ الْبَيْتَ يَخْلُو بَعْدَ صَلَاةِ الصُّبْحِ وَبَعْدَ صَلَاةِ الْعَصْرِ مَا يَطُوفُ بِهِ أَحَدٌ
قَالَ مَالِك وَمَنْ طَافَ بِالْبَيْتِ بَعْضَ أُسْبُوعِهِ ثُمَّ أُقِيمَتْ صَلَاةُ الصُّبْحِ أَوْ صَلَاةُ الْعَصْرِ فَإِنَّهُ يُصَلِّي مَعَ الْإِمَامِ ثُمَّ يَبْنِي عَلَى مَا طَافَ حَتَّى يُكْمِلَ سُبْعًا ثُمَّ لَا يُصَلِّي حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ أَوْ تَغْرُبَ قَالَ وَإِنْ أَخَّرَهُمَا حَتَّى يُصَلِّيَ الْمَغْرِبَ فَلَا بَأْسَ بِذَلِكَ قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ أَنْ يَطُوفَ الرَّجُلُ طَوَافًا وَاحِدًا بَعْدَ الصُّبْحِ وَبَعْدَ الْعَصْرِ لَا يَزِيدُ عَلَى سُبْعٍ وَاحِدٍ وَيُؤَخِّرُ الرَّكْعَتَيْنِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ كَمَا صَنَعَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَيُؤَخِّرُهُمَا بَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ فَإِذَا غَرَبَتْ الشَّمْسُ صَلَّاهُمَا إِنْ شَاءَ وَإِنْ شَاءَ أَخَّرَهُمَا حَتَّى يُصَلِّيَ الْمَغْرِبَ لَا بَأْسَ بِذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

rabi
বর্ণনাকারী: