আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

২০. হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৮৫৬
হজ্ব - উমরার অধ্যায়
৫১. সামর্থ্যানুসারে কুরবানী করা
রেওয়ায়ত ১৬১. জাফর ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) তাহার পিতা হইতে বর্ণনা করেন- আলী ইবনে আবি তালিব (রাযিঃ) বলতেনঃ (مَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْى) অর্থাৎ, তবে সহজলভ্য কুরবানী করিও। (বাকারাঃ ১৯৬) এই কথার অর্থ হইল, অন্তত একটি বকর কুরবানী করা।
كتاب الحج
بَاب مَا اسْتَيْسَرَ مِنْ الْهَدْيِ
وَحَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ كَانَ يَقُولُ مَا اسْتَيْسَرَ مِنْ الْهَدْيِ شَاةٌ
হাদীস নং: ৮৫৭
হজ্ব - উমরার অধ্যায়
৫১. সামর্থ্যানুসারে কুরবানী করা
রেওয়ায়ত ১৬২. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলিয়াছেনঃ (مَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْى) এর অর্থ হইল, অন্তত একটি বকরী কুরবানী করা।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এই বর্ণনাটি আমার নিকট খুবই প্রিয়। কেননা কুরআনুল করীমে আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করেনঃ হে মু’মিনগণ, তোমরা যখন ইহরাম অবস্থায় থাক তখন তোমরা কোন প্রাণী বধ করিও না। কেউ যদি কোনকিছু ইচ্ছাকৃতভাবে বধ করে তবে যে ধরনের পশু সে বধ করিয়াছে সেই ধরনের কোন পশু তাহাকে প্রতিদান (জরিমানা) দিতে হইবে। তোমাদের দুইজন ন্যায়নিষ্ঠ লোক ইহার ফয়সালা করিয়া দিবে। এই প্রতিদান বায়তুল্লাহতে প্রেরিত হাদয়ী হইবে অথবা কাফফারা হিসাবে হইবে যাহা মিসকীনদেরকে আহার করানো হইবে অথবা তাহাকে তৎপরিমাণ রোযা রাখিতে হইবে যাহাতে সে তাহার কৃতকর্মের শাস্তি ভোগ করিয়া নেয়। যাহা হউক, শিকারকৃত পশুর পরিবর্তে কোন সময়ে বকরীও ওয়াজিব হইতে পারে। উক্ত আয়াতে উহাকেও হাদয়ী বলিয়া উল্লেখ করা হইয়াছে। এই কথায় একজন কি করিয়া সন্দেহ করিতে পারে? কারণ যে পশু উট বা গরুর সমতুল্য নহে উহার প্রতিদানে (জরিমানা) একটি বকরীই ওয়াজিব হইতে পারে। একটি বকরীর সমতুল্যও যেখানে হইবে না সেখানে কাফফারা ওয়াজিব হইবে। সে রোযার মাধ্যমে উহা আদায় করুক বা মিসকীনদেরকে আহার করাইয়া তাহা আদায় করুক, উভয় অবস্থায় ইহা কাফফারা হিসাবেই গণ্য হইবে।
كتاب الحج
بَاب مَا اسْتَيْسَرَ مِنْ الْهَدْيِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ كَانَ يَقُولُ مَا اسْتَيْسَرَ مِنْ الْهَدْيِ شَاةٌ قَالَ مَالِك وَذَلِكَ أَحَبُّ مَا سَمِعْتُ إِلَيَّ فِي ذَلِكَ لِأَنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى يَقُولُ فِي كِتَابِهِ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَقْتُلُوا الصَّيْدَ وَأَنْتُمْ حُرُمٌ وَمَنْ قَتَلَهُ مِنْكُمْ مُتَعَمِّدًا فَجَزَاءٌ مِثْلُ مَا قَتَلَ مِنْ النَّعَمِ يَحْكُمُ بِهِ ذَوَا عَدْلٍ مِنْكُمْ هَدْيًا بَالِغَ الْكَعْبَةِ أَوْ كَفَّارَةٌ طَعَامُ مَسَاكِينَ أَوْ عَدْلُ ذَلِكَ صِيَامًا فَمِمَّا يُحْكَمُ بِهِ فِي الْهَدْيِ شَاةٌ وَقَدْ سَمَّاهَا اللَّهُ هَدْيًا وَذَلِكَ الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ عِنْدَنَا وَكَيْفَ يَشُكُّ أَحَدٌ فِي ذَلِكَ وَكُلُّ شَيْءٍ لَا يَبْلُغُ أَنْ يُحْكَمَ فِيهِ بِبَعِيرٍ أَوْ بَقَرَةٍ فَالْحُكْمُ فِيهِ شَاةٌ وَمَا لَا يَبْلُغُ أَنْ يُحْكَمَ فِيهِ بِشَاةٍ فَهُوَ كَفَّارَةٌ مِنْ صِيَامٍ أَوْ إِطْعَامِ مَسَاكِينَ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৫৮
হজ্ব - উমরার অধ্যায়
৫১. সামর্থ্যানুসারে কুরবানী করা
রেওয়ায়ত ১৬৩. নাফি (রাহঃ) বর্ণনা করেন- আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলতেনঃ (مَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْى) আয়াতটির অর্থ হইল- অন্ততপক্ষে একটি বকরী বা গাভী কুরবানী করিতে হইবে।
كتاب الحج
بَاب مَا اسْتَيْسَرَ مِنْ الْهَدْيِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُولُ مَا اسْتَيْسَرَ مِنْ الْهَدْيِ بَدَنَةٌ أَوْ بَقَرَةٌ
tahqiq

তাহকীক:

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৮৫৯
হজ্ব - উমরার অধ্যায়
৫১. সামর্থ্যানুসারে কুরবানী করা
রেওয়ায়ত ১৬৪. আব্দুল্লাহ ইবনে আবু বকর (রাহঃ) বর্ণনা করেন, আমরাহ বিনতে আব্দুর রহমানের আযাদকৃত দাসী রুকাইয়া (রাহঃ) খবর দিয়েছেন- তিনি একবার আমরাহ বিনতে আব্দুর রহমানের সঙ্গে মক্কা অভিমুখে রওয়ানা হন। তিনি বলেনঃ যিলহজ্জ মাসের অষ্টম তারিখে তিনি (আমরাহ) মক্কায় গিয়া উপনীত হন। আমি তাহার সঙ্গে সঙ্গেই ছিলাম। তিনি কাবার তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার সায়ী করিয়া মসজিদে গেলেন। আমাকে বললেনঃ তোমার নিকট কাঁচি আছে কি? আমি বলিলামঃ নাই। তিনি বলিলেনঃ তালাশ করিয়া একটি কাঁচি লইয়া আস। আমি তাহাই করিলাম। তিনি উহা দ্বারা তাঁহার চুলের কিছু অংশ কাটিলেন। পরে কুরবানীর দিন (ইয়াওমুননাহরে) তিনি একটি বকরী যবেহ করিলেন।
كتاب الحج
بَاب مَا اسْتَيْسَرَ مِنْ الْهَدْيِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ أَنَّ مَوْلَاةً لِعَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ يُقَالُ لَهَا رُقَيَّةُ أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا خَرَجَتْ مَعَ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِلَى مَكَّةَ قَالَتْ فَدَخَلَتْ عَمْرَةُ مَكَّةَ يَوْمَ التَّرْوِيَةِ وَأَنَا مَعَهَا فَطَافَتْ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ دَخَلَتْ صُفَّةَ الْمَسْجِدِ فَقَالَتْ أَمَعَكِ مِقَصَّانِ فَقُلْتُ لَا فَقَالَتْ فَالْتَمِسِيهِ لِي فَالْتَمَسْتُهُ حَتَّى جِئْتُ بِهِ فَأَخَذَتْ مِنْ قُرُونِ رَأْسِهَا فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ ذَبَحَتْ شَاةً
tahqiq

তাহকীক:

rabi
বর্ণনাকারী: