আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

২০. হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৯০৯
হজ্ব - উমরার অধ্যায়
৭১. কংকর নিক্ষেপ করা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ২১৪. মালিক (রাহঃ) জ্ঞাত হইয়াছেন, জামরা-ই-উলার (প্রথম কংকর নিক্ষেপের স্থান) ও জামরা-ই-বুসতার (মধ্যবর্তী কংকর নিক্ষেপের স্থান) নিকট উমর (রাযিঃ) (দুআর জন্য) এতক্ষণ দাঁড়াইয়া থাকিতেন যে, দণ্ডায়মান অন্য লোকজন বিরক্ত হইয়া যাইত।
كتاب الحج
بَاب رَمْيِ الْجِمَارِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ كَانَ يَقِفُ عِنْدَ الْجَمْرَتَيْنِ الْأُولَيَيْنِ وُقُوفًا طَوِيلًا حَتَّى يَمَلَّ الْقَائِمُ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯১০
হজ্ব - উমরার অধ্যায়
৭১. কংকর নিক্ষেপ করা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ২১৫. নাফি’ (রাহঃ) বর্ণনা করেন, আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ) দীর্ঘক্ষণ জামরা-ই-উলা এবং জামরা-ই-বুসতার নিকট দাঁড়াইয়া থাকিতেন। তাকবীর-এ-তাশরীক ও হামদ পড়িতেন এবং দুআ করিতে থাকিতেন। জামরা-ই-আকাবা শেষ কংকর নিক্ষেপের নিকট তিনি দাঁড়াইতেন না।
كتاب الحج
بَاب رَمْيِ الْجِمَارِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقِفُ عِنْدَ الْجَمْرَتَيْنِ الْأُولَيَيْنِ وُقُوفًا طَوِيلًا يُكَبِّرُ اللَّهَ وَيُسَبِّحُهُ وَيَحْمَدُهُ وَيَدْعُو اللَّهَ وَلَا يَقِفُ عِنْدَ جَمْرَةِ الْعَقَبَةِ
tahqiq

তাহকীক:

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৯১১
হজ্ব - উমরার অধ্যায়
৭১. কংকর নিক্ষেপ করা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ২১৬. নাফি’ (রাহঃ) বর্ণনা করেন, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) প্রতিটি কংকর নিক্ষেপের সময় আল্লাহু আকবার’ বলিতেন।
كتاب الحج
بَاب رَمْيِ الْجِمَارِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يُكَبِّرُ عِنْدَ رَمْيِ الْجَمْرَةِ كُلَّمَا رَمَى بِحَصَاةٍ
tahqiq

তাহকীক:

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৯১২
হজ্ব - উমরার অধ্যায়
৭১. কংকর নিক্ষেপ করা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ২১৭. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ কোন কোন আহলে-ইলমের নিকট তিনি শুনিয়াছেন যে, কংকর এত ছোট হওয়া উচিত যাহাতে দুই আঙুল দ্বারা নিক্ষেপ করা যায়। মালিক (রাহঃ) বলেন, আমার মতে উহা হইতে কংকর সামান্য বড় হওয়া উচিত।

নাফি (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেনঃ ১২ তারিখের সূর্যস্ত পর্যন্ত যে ব্যক্তি মিনায় অবস্থান করিবে ১৩ তারিখে কংকর নিক্ষেপ না করা পর্যন্ত সে যেন ফিরিয়া না যায়।
كتاب الحج
بَاب رَمْيِ الْجِمَارِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَمِعَ بَعْضَ أَهْلِ الْعِلْمِ يَقُولُ الْحَصَى الَّتِي يُرْمَى بِهَا الْجِمَارُ مِثْلُ حَصَى الْخَذْفِ قَالَ مَالِك وَأَكْبَرُ مِنْ ذَلِكَ قَلِيلًا أَعْجَبُ إِلَيَّ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُولُ مَنْ غَرَبَتْ لَهُ الشَّمْسُ مِنْ أَوْسَطِ أَيَّامِ التَّشْرِيقِ وَهُوَ بِمِنًى فَلَا يَنْفِرَنَّ حَتَّى يَرْمِيَ الْجِمَارَ مِنْ الْغَدِ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯১৩
হজ্ব - উমরার অধ্যায়
৭১. কংকর নিক্ষেপ করা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ২১৮. আব্দুর রহমান ইবনে কাসিম (রাহঃ) তাহার পিতা হইতে বর্ণনা করেন, কংকর নিক্ষেপের জন্য সাধারণত পায়ে হাটিয়া লোকজন আসা-যাওয়া করিত। সর্বপ্রথম মুআবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান (রাযিঃ) আরোহী অবস্থায় নিক্ষেপ করেন।
كتاب الحج
بَاب رَمْيِ الْجِمَارِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ النَّاسَ كَانُوا إِذَا رَمَوْا الْجِمَارَ مَشَوْا ذَاهِبِينَ وَرَاجِعِينَ وَأَوَّلُ مَنْ رَكِبَ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ
tahqiq

তাহকীক:

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৯১৪
হজ্ব - উমরার অধ্যায়
৭১. কংকর নিক্ষেপ করা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ২১৯. আব্দুর রহমান ইবনে কাসিম (রাহঃ)-এর নিকট মালিক (রাহঃ) জিজ্ঞাসা করিয়াদিলেনঃ কাসিম ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) কোথা হইতে জামরা-ই-আকাবার কংকর নিক্ষেপ করিতেন। তিনি বলিলেনঃ যে স্থান হইতে সুবিধা এবং সহজ হইত সেই স্থান হইতেই তিনি উক্ত সময় কংকর নিক্ষেপ করিতেন।

মালিক (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইয়াছিলঃ অসুস্থ ও শিশুদের তরফ হইতে কংকর নিক্ষেপ করা যায় কিনা? উত্তরে তিনি বলিলেনঃ হ্যাঁ, ইহা জায়েয। তবে অসুস্থ ব্যক্তি কংকর নিক্ষেপের সময় অনুমান করিয়া স্বীয় স্থানে থাকিয়াই আল্লাহু আকবার’ বলিবে এবং একটি কুরবানী করিবে। আইয়্যামে তাশরীকের মধ্যে যদি সুস্থ হইয়া পড়ে তবে নিজে কংকর নিক্ষেপ করিবে এবং একটি কুরবানী দিবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ওযু ব্যতীত কংকর নিক্ষেপ করিলে বা সায়ী করিলে উহা পুনরায় আদায় করিতে হইবে না বটে কিন্তু জানিয়া-শুনিয়া এইরূপ করা উচিত নহে।
كتاب الحج
بَاب رَمْيِ الْجِمَارِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَأَلَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الْقَاسِمِ مِنْ أَيْنَ كَانَ الْقَاسِمُ يَرْمِي جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ فَقَالَ مِنْ حَيْثُ تَيَسَّرَ
قَالَ يَحْيَى سُئِلَ مَالِك هَلْ يُرْمَى عَنْ الصَّبِيِّ وَالْمَرِيضِ فَقَالَ نَعَمْ وَيَتَحَرَّى الْمَرِيضُ حِينَ يُرْمَى عَنْهُ فَيُكَبِّرُ وَهُوَ فِي مَنْزِلِهِ وَيُهَرِيقُ دَمًا فَإِنْ صَحَّ الْمَرِيضُ فِي أَيَّامِ التَّشْرِيقِ رَمَى الَّذِي رُمِيَ عَنْهُ وَأَهْدَى وُجُوبًا قَالَ مَالِك لَا أَرَى عَلَى الَّذِي يَرْمِي الْجِمَارَ أَوْ يَسْعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَهُوَ غَيْرُ مُتَوَضٍّ إِعَادَةً وَلَكِنْ لَا يَتَعَمَّدُ ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৯১৫
হজ্ব - উমরার অধ্যায়
৭১. কংকর নিক্ষেপ করা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ২২০. নাফি (রাহঃ) বর্ণনা করেন, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলিতেনঃ তিন দিনের প্রত্যেক দিনই সূর্য হেলিয়া পড়ার পর কংকর নিক্ষেপ করা উচিত।
كتاب الحج
بَاب رَمْيِ الْجِمَارِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُولُ لَا تُرْمَى الْجِمَارُ فِي الْأَيَّامِ الثَّلَاثَةِ حَتَّى تَزُولَ الشَّمْسُ
tahqiq

তাহকীক:

rabi
বর্ণনাকারী: