আশ-শামাঈলুল মুহাম্মাদিয়্যাহ- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الشمائل المحمدية للإمام الترمذي

শামাইলে নববীর পরিচ্ছেদসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ২২৭
শামাইলে নববীর পরিচ্ছেদসমূহ
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর হাসির বর্ণনা
২২৭।কুতায়বা ইবন সাঈদ (রাহঃ)... 'আব্দুল্লাহ ইবন হারিস ইবন জায (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর চাইতে অধিক মুচকি হাস্যকারী ব্যক্তি আর কাউকে দেখিনি।
أبواب الشمائل المحمدية والخصائل المصطفوية
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ : أَخْبَرَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُغِيرَةِ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ جَزْءٍ ، أَنَّهُ قَالَ : مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَكْثَرَ تَبَسُّمًا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২২৮
শামাইলে নববীর পরিচ্ছেদসমূহ
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর হাসির বর্ণনা
২২৮।আহমদ ইবন খালিদ আল খাল্লাল (রাহঃ)... 'আব্দুল্লাহ ইবন হারিস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর হাসি মুচকি হাসিই ছিল। ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসখানি লায়ছ ইবন সা'দ (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসের
চাইতে বিশুদ্ধতার দিক দিয়ে গারীব।
أبواب الشمائل المحمدية والخصائل المصطفوية
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ الْخَلَّالُ قَالَ : حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ إِسْحَاقَ السَّيْلَحَانِيُّ قَالَ : حَدَّثَنَا لَيْثُ بْنُ سَعْدٍ ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ قَالَ : مَا كَانَ ضَحِكُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا تَبَسُّمًا.
قَالَ أَبُو عِيسَى : هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ لَيْثِ بْنِ سَعْدٍ.
হাদীস নং: ২২৯
শামাইলে নববীর পরিচ্ছেদসমূহ
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর হাসির বর্ণনা
২২৯।আবু আম্মার হুসায়ন ইবন হুরায়স (রাহঃ)... আবু যার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, নিশ্চয়ই আমি সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশকারী ব্যক্তিকে ভালভাবে জানি। আর যে ব্যক্তি সর্বশেষে জাহান্নাম থেকে নাজাত পাবে, তাকেও জানি। কিয়ামতের দিনে এক ব্যক্তিকে (আল্লাহর এজলাসে উপস্থিত করে) বলা হবে এর সগীরা গুনাহগুলো উপস্থাপন কর এবং কবীরা গুনাহগুলো গোপন করে রাখ। এরপর তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে, তুমি অমুক অমুক দিনে এই এই গুনাহ করেছ। তখন সে ব্যক্তি স্বীকার করবে- একটিও প্রত্যাখান করবে না। এরপর সে তার কবীরা গুনাহসমূহ সম্পর্কে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়বে। তখন ঘোষণা দেওয়া হবে যে, তার প্রতিটি মন্দ কাজের বিনিময়ে একটি করে নেকী লিপিবদ্ধ কর। এরপর সে বলবে, নিশ্চয়ই এখনও আমার অনেক গুনাহ বাকী আছে যা সে দেখতে পাচ্ছে না। আবু যার (রাযিঃ) বলেন তখন আমি দেখলাম, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মুচকি হাসছেন এমনকি তাঁর শুভ্র দন্তরাজি দেখা যাচ্ছিল।
أبواب الشمائل المحمدية والخصائل المصطفوية
حَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ قَالَ : حَدَّثَنَا وَكِيعٌ قَالَ : حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ ، عَنِ الْمَعْرُورِ بْنِ سُوَيْدٍ ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : إِنِّي لَأَعْلَمُ أَوَّلَ رَجُلٍ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ وَآخَرَ رَجُلٍ يَخْرُجُ مِنَ النَّارِ ، يُؤْتَى بِالرَّجُلِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيُقَالُ : اعْرِضُوا عَلَيْهِ صِغَارَ ذُنُوبِهِ وَيُخَبَّأُ عَنْهُ كِبَارُهَا ، فَيُقَالُ لَهُ : عَمِلْتَ يَوْمَ كَذَا وَكَذَا كَذَا ، وَهُوَ مُقِرٌّ لاَ يُنْكِرُ ، وَهُوَ مُشْفِقٌ مِنْ كِبَارِهَا فَيُقَالُ : أَعْطُوهُ مَكَانَ كُلِّ سَيِّئَةٍ عَمِلَهَا حَسَنَةً ، فَيَقُولُ : إِنَّ لِي ذُنُوبًا مَا أَرَاهَا هَهُنَا.
قَالَ أَبُو ذَرٍّ : فَلَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ضَحِكَ حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ.
হাদীস নং: ২৩০
শামাইলে নববীর পরিচ্ছেদসমূহ
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর হাসির বর্ণনা
২৩০। আহমদ ইবন মানী' (রাহঃ)... জারীর ইবন 'আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমার ইসলাম গ্রহণের পর থেকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে (তাঁর কাছে আসতে) বাধা দেননি । আর আমাকে দেখামাত্রই তিনি হাসতেন।
أبواب الشمائل المحمدية والخصائل المصطفوية
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ قَالَ : حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو قَالَ : حَدَّثَنَا زَائِدَةُ ، عَنْ بَيَانٍ ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ : مَا حَجَبَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُنْذُ أَسْلَمْتُ وَلاَ رَآنِي إِلَّا ضَحِكَ.
হাদীস নং: ২৩১
শামাইলে নববীর পরিচ্ছেদসমূহ
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর হাসির বর্ণনা
২৩১।আহমদ ইবন মানী' (রাহঃ)... জারীর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমার ইসলাম গ্রহণের পর থেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে (তাঁর দরবারে আসতে বাধা দেননি। আর আমাকে দেখলে তিনি মুচকি হাসি দিতেন।
أبواب الشمائل المحمدية والخصائل المصطفوية
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ قَالَ : حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو قَالَ : حَدَّثَنَا زَائِدَةُ ، عَنِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ ، عَنْ قَيْسٍ ، عَنْ جَرِيرٍ قَالَ : مَا حَجَبَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلاَ رَآنِي مُنْذُ أَسْلَمْتُ إِلَّا تَبَسَّمَ.
হাদীস নং: ২৩২
শামাইলে নববীর পরিচ্ছেদসমূহ
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর হাসির বর্ণনা
২৩২।হান্নাদ ইবন সাররী (রাহঃ)... 'আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সর্বশেষে জাহান্নাম থেকে নাজাত পেয়ে বেরিয়ে আসবে, আমি তাকে চিনি। সে হামাগুড়ি দিয়ে জাহান্নাম থেকে বেরিয়ে আসবে। এরপর তাকে বলা হবে, এসো। জান্নাতে প্রবেশ কর। ঘোষণা মুতাবিক সে (জান্নাতের দিকে) যাবে এবং সেখানে প্রবেশ করে দেখতে পাবে কোথাও ঠাঁই নেই। লোকেরা সকল স্থান অধিকার করে আছে। সে বিফল হয়ে ফিরে আসবে এবং বলবে, হে আমার প্রতিপালক! লোকেরা তো সকল স্থানই দখল করে আছে। তখন তাকে বলা হবে, তোমার সে কালের (পৃথিবীর) কথা স্মরণ আছে কি যেখানে তুমি অবস্থান করেছিলে? সে বলবে, জি হ্যাঁ। সবই আমার মনে পড়ে। তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, তখন তাকে বলা হবে, তোমার মনে যা চায়, তা আকাঙ্ক্ষা কর। তিনি বলেন, তখন সে আকাঙ্ক্ষা করবে। এরপর তাকে বলা হবে, তুমি যে ইচ্ছা পোষণ করলে তাই তোমার জন্য মঞ্জুর করা হল এবং তোমাকে দশ দুনিয়ার সমান স্থান দেওয়া হবে। তিনি বলেনঃ তখন সে (বান্দা) বলবে, আপনি কি আমার সঙ্গে তামাশা করছেন অথচ আপনি আমার মালিক- সারে জাহানের বাদশাহ। তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, নিশ্চয়ই আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -কে মুচকি হাসি দিতে দেখলাম এমনকি তাঁর দন্ত মুবারক দৃশ্যমান হল।
أبواب الشمائل المحمدية والخصائل المصطفوية
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ ، عَنِ الأَعْمَشِ ، عَنِ إِبْرَاهِيمَ ، عَنْ عَبِيدَةَ السَّلْمَانِيِّ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : إِنِّي لَأَعْرفُ آخِرَ أَهْلِ النَّارِ خُرُوجًا ، رَجُلٌ يَخْرُجُ مِنْهَا زَحْفًا ، فَيُقَالُ لَهُ : انْطَلِقْ فَادْخُلِ الْجَنَّةَ قَالَ : فَيَذْهَبُ لِيَدْخُلَ الْجَنَّةَ ، فَيَجِدُ النَّاسَ قَدْ أَخَذُوا الْمَنَازِلَ ، فَيَرْجِعُ فَيَقُولُ : يَا رَبِّ ، قَدْ أَخَذَ النَّاسُ الْمَنَازِلَ ، فَيُقَالُ لَهُ : أَتَذْكُرُ الزَّمَانَ الَّذِي كُنْتَ فِيهِ ، فَيَقُولُ : نَعَمْ قَالَ : فَيُقَالُ لَهُ : تَمَنَّ قَالَ : فَيَتَمَنَّى ، فَيُقَالُ لَهُ : فَإِنَّ لَكَ الَّذِي تَمَنَّيْتَ وَعَشَرَةَ أَضْعَافِ الدُّنْيَا ‍" قَالَ : فَيَقُولُ : تَسْخَرُ بِي وَأَنْتَ الْمَلِكُ قَالَ : فَلَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ضَحِكَ حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ.
হাদীস নং: ২৩৩
শামাইলে নববীর পরিচ্ছেদসমূহ
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর হাসির বর্ণনা
২৩৩।কুতায়বা ইবন সাঈদ (রাহঃ)... 'আলী ইবন রবী'আ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমাকে আলী (রাযিঃ)-এর সামনে হাযির করা হল। তখন একটি জানোয়ারের পিঠে আরোহণের জন্য সেটি আনা হলো। যখন তিনি সে পশুটির রেকাবে পা রাখলেন তখন বললেনঃ

سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ

সেই মহান সত্তার পবিত্রতা জ্ঞাপন করছি যিনি আমাদের জন্য একে বশীভূত করেছেন। এরপর তিনি তিনবার الحمد لله (যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য নিবেদিত) এবং তিনবার الله اكبر (আল্লাহ্ সর্বশ্রেষ্ঠ) পাঠ করলেন। এরপর এই দু'আ পড়লেনঃ

سُبْحَانَكَ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ، فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ

আল্লাহ্ পবিত্র! নিশ্চয়ই আমি আমার নিজের উপর সীমা লংঘন করেছি। অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। কেননা আপনি ছাড়া গুনাহ মাফকারী আর কেউ নেই ।

এরপর তিনি হাসলেন। তখন আমি তাঁকে বললাম, হে আমীরুল মুমিনীন! কীসে আপনার হাসি পেল? তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে এমনভাবে দেখেছি যেভাবে আমি এইমাত্র কথা ও কাজ সম্পন্ন করলাম। এরপর তিনি মুচকি হাসি দিলেন। তখন আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! কোন্ জিনিস আপনাকে হাসালো? তিনি বললেনঃ তোমার প্রতিপালক তাঁর বান্দার এই কথা খুবই পসন্দ করেন যখন সে বলে, হে আমার প্রতিপালক! আমার গুনাহগুলো ক্ষমা করে দাও। এই বিশ্বাস রাখেন যে, আমি ব্যতীত অন্য কেউ গুনাহ মাফ করতে পারে না ।
أبواب الشمائل المحمدية والخصائل المصطفوية
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ رَبِيعَةَ قَالَ : شَهِدْتُ عَلِيًّا ، أُتِيَ بِدَابَّةٍ لِيَرْكَبَهَا فَلَمَّا وَضَعَ رِجْلَهُ فِي الرِّكَابِ قَالَ : بِسْمِ اللَّهِ ، فَلَمَّا اسْتَوَى عَلَى ظَهْرِهَا قَالَ : الْحَمْدُ لِلَّهِ ، ثُمَّ قَالَ : { سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ } [الزخرف : ] { وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ } [الزخرف : ] . ثُمَّ قَالَ : الْحَمْدُ لِلَّهِ ثَلاَثًا ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ ثَلاَثًا ، سُبْحَانَكَ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ، فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ ، ثُمَّ ضَحِكَ . فَقُلْتُ لَهُ : مِنْ أَيِّ شَيْءٍ ضَحِكْتَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ ؟ قَالَ : رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَنَعَ كَمَا صَنَعْتُ ثُمَّ ضَحِكَ فَقُلْتُ : مِنْ أَيِّ شَيْءٍ ضَحِكْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ؟ قَالَ : إِنَّ رَبَّكَ لَيَعْجَبُ مِنْ عَبْدِهِ إِذَا قَالَ : رَبِّ اغْفِرْ لِي ذُنُوبِي ، إِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ غَيْرُكَ.
হাদীস নং: ২৩৪
শামাইলে নববীর পরিচ্ছেদসমূহ
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর হাসির বর্ণনা
২৩৪।মুহাম্মাদ ইবন বাশ্শার (রাহঃ)... 'আমর ইবন সা'দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ সা'দ (রাযিঃ) বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে খন্দকের যুদ্ধের দিন মুচকি হাসতে দেখেছি। তখন তাঁর পবিত্র দত্তরাজি দেখা যাচ্ছিল। তিনি বলেন, আমি বললাম, আপনার হাসার কারণ কি? তিনি বললেনঃ এক ব্যক্তিকে দেখে যার কাছে একটি কাকের ঢাল রয়েছে। সা'দ (রাযিঃ) ছিলেন একজন দক্ষ তীরন্দায়। আর তিনি একটি কাকের ঢাল নিয়ে বলছিলেন, এই এই। তিনি তার ঢালটি দিয়ে তার কপাল আবৃত করে রেখেছিলেন। সা'দ তার তীর (বর্শাফলক) বের করে সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। যখন সে তার মাথা উঁচু করলো তখন তিনি তাকে লক্ষ্য করে তীর নিক্ষেপ করলেন। ফলে সে তার কপালে (ললাটদেশ) আঘাত পেল এবং মাটিতে ঢলে পড়ল। আর তার পা উপরের দিকে উঠল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মুচকি হাসি দিলেন। এমনকি তাঁর শুভ্র মুখের কিনারার দত্তরাজি দেখা যাচ্ছিল। তিনি ('আমর ইবন সা'দ) বলেন, আমি বললাম, কী সে আপনাকে হাসাল? তিনি বললেনঃ এই ব্যক্তির সঙ্গে তার সুনিপুণ কর্মের জন্য।
أبواب الشمائل المحمدية والخصائل المصطفوية
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ : حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيُّ قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَوْنٍ ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الأَسْوَدِ ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ : قَالَ سَعْدٌ : لَقَدْ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ضَحِكَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ . قَالَ : قُلْتُ : كَيْفَ كَانَ ؟ قَالَ : كَانَ رَجُلٌ مَعَهُ تُرْسٌ ، وَكَانَ سَعْدٌ رَامِيًا ، وَكَانَ يَقُولُ كَذَا وَكَذَا بِالتُّرْسِ يُغَطِّي جَبْهَتَهُ ، فَنَزَعَ لَهُ سَعْدٌ بِسَهْمٍ ، فَلَمَّا رَفَعَ رَأْسَهُ رَمَاهُ فَلَمْ يُخْطِئْ هَذِهِ مِنْهُ - يَعْنِي جَبْهَتَهُ - وَانْقَلَبَ الرَّجُلُ ، وَشَالَ بِرِجْلِهِ : فَضَحِكَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ.
قَالَ : قُلْتُ : مِنْ أَيِّ شَيْءٍ ضَحِكَ ؟ قَالَ : مِنْ فِعْلِهِ بِالرَّجُلِ