আশ-শামাঈলুল মুহাম্মাদিয়্যাহ- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الشمائل المحمدية للإمام الترمذي

শামাইলে নববীর পরিচ্ছেদসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১২ টি

হাদীস নং: ৩৩১
শামাইলে নববীর পরিচ্ছেদসমূহ
রাসূলুল্লাহ্ -এর বিনয়ের বিবরণ
৩৩১। 'আলী ইবন হুজুর (রাহঃ)... আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, কোন এক মহিলা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর কাছে উপস্থিত হন এবং বলেন, আপনার কাছে আমার কিছু প্রয়োজন আছে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, মদীনার কোন রাস্তায় গিয়ে বসো। আমি তোমার সঙ্গে সেখানে গিয়ে কথা বলব।
أبواب الشمائل المحمدية والخصائل المصطفوية
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ قَالَ : حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ ، عَنْ حُمَيْدٍ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، أَنَّ امْرَأَةً جَاءَتْ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ لَهُ : إِنَّ لِي إِلَيْكَ حَاجَةً ، فَقَالَ : اجْلِسِي فِي أَيِّ طَرِيقِ الْمَدِينَةِ شِئْتِ أَجْلِسْ إِلَيْكِ.
হাদীস নং: ৩৩২
শামাইলে নববীর পরিচ্ছেদসমূহ
রাসূলুল্লাহ্ -এর বিনয়ের বিবরণ
৩৩২। আলী ইবন হুজুর (রাহঃ)... আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) রোগীর শুশ্রুষা করতেন, জানাযায় উপস্থিত থাকতেন, গাধা! আরোহণ করতেন, দাসদের দাওয়াত কবূল করতেন। বানূ কুরায়যার যুদ্ধের দিন তিনি একটি গাধায় আরোহণ করেছিলেন। এর লাগাম ছিল খেজুর গাছের আঁশের এবং তাতে কাঁটাও ছিল।
أبواب الشمائل المحمدية والخصائل المصطفوية
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ قَالَ : حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ ، عَنْ مُسْلِمٍ الأَعْوَرِ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ : كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُودُ الْمَرِيضَ ، وَيَشْهَدُ الْجَنَائِزَ ، وَيَرْكَبُ الْحِمَارَ ، وَيُجِيبُ دَعْوَةَ الْعَبْدِ ، وَكَانَ يَوْمَ بَنِي قُرَيْظَةَ عَلَى حِمَارٍ مَخْطُومٍ بَحَبْلٍ مِنْ لِيفٍ وَعَلَيْهِ إِكَافٌ مِنْ لِيفٍ.
হাদীস নং: ৩৩৩
শামাইলে নববীর পরিচ্ছেদসমূহ
রাসূলুল্লাহ্ -এর বিনয়ের বিবরণ
৩৩৩। ওয়াসিল ইবন 'আব্দুল আ'লা আল-কূফী (রাহঃ)... আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে যবের রুটি এবং কয়েক ঈনের পুরনো চর্বির তরকারী খাওয়ার দাওয়াত করলেও তিনি তা গ্রহণ করতেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর একটি বর্ম এক য়াহূদীর নিকট বন্ধক ছিল। শেষ জীবন পর্যন্ত তা ছাড়ানোর মত পয়সা তাঁর হাতে ছিল না ।
أبواب الشمائل المحمدية والخصائل المصطفوية
حَدَّثَنَا وَاصِلُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الْكُوفِيُّ قَالَ : حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ ، عَنِ الأَعْمَشِ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ : كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُدْعَى إِلَى خُبْزِ الشَّعِيرِ وَالإِهَالَةِ السَّنِخَةِ فَيُجِيبُ.
وَلَقَدْ كَانَ لَهُ دِرْعٌ عِنْدَ يَهُودِيٍّ فَمَا وَجَدَ مَا يَفُكُّهَا حَتَّى مَاتَ.
হাদীস নং: ৩৩৪
শামাইলে নববীর পরিচ্ছেদসমূহ
রাসূলুল্লাহ্ -এর বিনয়ের বিবরণ
৩৩৪। মাহমুদ ইবন গায়লান (রাহঃ)... আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একটি পুরনো আসনে বসে হজ্জ পালন করেন। তাঁর আসনের উপর একটি কাপড় ছিল, যা চার দিরহাম মূল্যমানেরও ছিল না। অতঃপর তিনি বললেন, হে আল্লাহ্! তুমি এই হজ্জকে লৌকিকতা ও প্রচার বিলাস থেকে মুক্ত কর।
أبواب الشمائل المحمدية والخصائل المصطفوية
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ ، عَنْ سُفْيَانَ ، عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ صَبِيحٍ ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبَانَ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ : حَجَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى رَحْلٍ رَثٍّ وَعَلَيْهِ قَطِيفَةٌ لاَ تُسَاوِي أَرْبَعَةَ دَرَاهِمَ فَقَالَ : اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ حَجًّا لاَ رِيَاءَ فِيهِ وَلاَ سُمْعَةَ.
হাদীস নং: ৩৩৫
শামাইলে নববীর পরিচ্ছেদসমূহ
রাসূলুল্লাহ্ -এর বিনয়ের বিবরণ
৩৩৫। আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুর রহমান (রাহঃ)... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন : সাহাবীদের কাছে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর চাইতে প্রিয় কোন ব্যক্তিত্ব এই পৃথিবীতে ছিলেন না। তা সত্ত্বেও তাঁরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -কে দেখে দাঁড়াতেন না। কেননা তাঁকে দেখে দাঁড়ানো তিনি পসন্দ করতেন না।
أبواب الشمائل المحمدية والخصائل المصطفوية
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ : حَدَّثَنَا عَفَّانُ قَالَ : حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ ، عَنْ حُمَيْدٍ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ : لَمْ يَكُنْ شَخْصٌ أَحَبَّ إِلَيْهِمْ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : وَكَانُوا إِذَا رَأَوْهُ لَمْ يَقُومُوا ، لِمَا يَعْلَمُونَ مِنْ كَرَاهَتِهِ لِذَلِكَ.
হাদীস নং: ৩৩৬
শামাইলে নববীর পরিচ্ছেদসমূহ
রাসূলুল্লাহ্ -এর বিনয়ের বিবরণ
৩৩৬। সুফয়ান ইবন ওয়াকি' (রাহঃ)... হাসান ইবন 'আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন : আমি আমার মামা হিন্দ ইবন আবু হালা-কে, যিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর অবস্থা অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে বর্ণনা করতেন - রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর অবস্থা জানার আগ্রহে তাঁকে জিঞ্জেস করলাম। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর দেহাকৃতি ছিল উচ্চ ও মর্যাদা সম্পন্ন। তাঁর চেহারা ছিল পূর্ণিমার রাতের চাঁদের ন্যায় উজ্জ্বল । অতঃপর পূর্ণ বিবরণ পেশ করেন। হাসান (রাযিঃ) বলেন, এই হাদীছ হুসায়ন (রাযিঃ)-এর কাছে বেশ কিছুকাল বর্ণনা করা হয়নি। পরে বলা হলে জানা গেল যে, তিনি আমার আগেই এই হাদীসটি শুনেছেন। শুধু তাই নয় যে, তিনি কেবল মামার কাছ থেকে এই হাদীসটি এনেছেন। উপরন্তু পিতা আলী (রাযিঃ)-এর কাছ থেকেও তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর ঘরে প্রবেশ করা, বাইরে যাওয়া ও অন্যান্য রীতিনীতি জানতে পেরেছেন। হুসায়ন (রাযিঃ) বলেন, আমি আমার পিতা আলী (রাযিঃ)-কে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর গৃহে প্রবেশ করার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন গৃহে প্রবেশ করতেন, তখন তাঁর গৃহে অবস্থানকে তিনটি ভাগে ভাগ করতেন। এক ভাগ আল্লাহর ইবাদতের জন্য, এক ভাগ পরিবার-পরিজনদের জন্য এবং এক ভাগ নিজের কাজকর্মের জন্য। এই কাজকর্মের সময়কেও তিনি দুই ভাগে বিভক্ত করেন। এক ভাগে নেহায়েতই নিজের জন্য এবং এক ভাগ অন্য লোকদের জন্য। এই সময়ে বিশেষ বিশেষ সাহাবীগণ তাঁর কাছে আসতেন। তাদের দ্বারা তিনি তাঁর বাণী সর্বসাধারণের মধ্যে প্রচার করতেন। তাদের কাছে কোন কিছুই অব্যক্ত থাকত না। এই সকল লোকের মধ্যে আলিমগণ প্রথমে আসার অনুমতি পেতেন। তাদের ধর্মীয় মর্যাদার বিচারে তাদেরকে সময় দিতেন। কেউ এক কেউ বা দুই আবার কেউ বা ততোধিক প্রয়োজন নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর কাছে আসতেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সকলের প্রয়োজন মিটিয়ে দিতেন এবং তাদেরকে এমন কাজের নির্দেশ দিতেন, যা তাদের নিজেদের এবং পুরো উম্মতের উপকারে আসে। এই সময় তিনি সমবেতদের লক্ষ্য করে বলতেন, তোমরা যারা এখানে উপস্থিত আছ, তারা আমার বাণী অনুপস্থিতদের কাছে পৌছিয়ে দেবে। যারা কোন কারণে আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করতে পারেনি, তোমরা তাদের জিজ্ঞাস্য আমার কাছ থেকে জেনে নিয়ে তাদেরকে জানিয়ে দেবে। কেননা যে ব্যক্তি এমন কোন লোকের নিবেদন বাদশাহের কাছে পৌঁছায়। এ যে বাদশাহ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না, আল্লাহ্ তা'আলা কিয়ামতের দিন তাকে দৃঢ়পদ রাখবেন। তোমরা এ ব্যাপারে সতর্ক থেকো। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর মজলিসে কেবল এইসব আলোচনাই চলত। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সাহাবীদের কাছ থেকে এইসব আলাপ-আলোচনাই শুনতেন। সেখানে কোন প্রকার বাহুল্য কথাবার্তা হতো না। সাহাবীরা ধর্মীয় জ্ঞান আহরণের আগ্রহ নিয়ে আসতেন এবং মঙ্গলজনক অবস্থায় ফিরে যেতেন।

হুসায়ন (রাযিঃ) বলেন, আমি আমার পিতাকে জিজ্ঞেস করলাম, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বাইরে যাওয়ার সময় কিরূপ করতেন? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) অহেতুক কথাবার্তা থেকে স্বীয় রসনাকে সংযত রাখতেন। আগন্তুকদের আন্তরিকতার সঙ্গে মনোরঞ্জন করতেন। তাদেরকে কোনভাবেই ভগ্নোৎসাহ করতেন না। সকল গোত্রের সম্মানিত ব্যক্তিদের সম্মান করতেন এবং তাদের মধ্য থেকে তাদের নেতা মনোনীত করতেন। লোকদের আল্লাহর শাস্তির ভয় দেখাতেন। তাঁর আচার-আচরণে যাতে কারো কোন ক্ষতি না হয়, তিনি নিজেও এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতেন। স্বীয় সঙ্গীদের খোঁজ-খবর রাখতেন এবং লোকদের পারস্পরিক সম্পর্ক অনুসন্ধান করে (কোনপ্রকার জটিলতা থাকলে) তা সংশোধন করে দিতেন। ভালকে সুসমন্বিত করে তাকে শক্তিশালী করতেন এবং খারাপকে খারাপ বলে প্রতিহত করতেন। কোনপ্রকার মতবিরোধ সৃষ্টি না করে সবকিছুতেই মধ্য পন্থা অনুসরণ করতেন। লোকদের সংশোধন করতে কোনপ্রকার অলসতা করতেন না। অজ্ঞতাবশতঃ লোকেরা যেন অলস হয়ে না পড়ে, তিনি সেই দিকেও খেয়াল রাখতেন। প্রত্যেক কাজের জন্য তাঁর কাছে বিশেষ ব্যবস্থা থাকত। সত্যের ব্যাপারে কোনপ্রকার সংকীর্ণতা ছিল না, সীমা অতিক্রম করা হতো না। যে সমস্ত লোক তাঁর কাছে আসত, তারা উৎকৃষ্ট লোকে পরিণত হত। যে ব্যক্তি অপরের মঙ্গল কামনা করত, সে-ই তাঁর নিকট উত্তম ব্যক্তিরূপে সম্মানিত হত এবং সে-ই ব্যক্তিই তাঁর কাছে মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিরূপে প্রতিভাত হত- যে অন্যান্যদের প্রতি সহমর্মিতা ও সহযোগিতায় অতি উৎসাহী ছিল। হুসায়ন (রাযিঃ) বলেন, আমি আমার মামার কাছে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর মজলিস সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) উঠা-বসায় সর্বাবস্থায় আল্লাহর যিকরে মশগুল থাকতেন। যখন কোথাও যেতেন, যেখানেই তাঁকে বসতে দিত, তিনি সেখানেই বসতেন। অন্যদেরকেও অনুরূপ করার নির্দেশ দিতেন। তিনি লোকের মাথা ডিঙ্গিয়ে যেতে নিষেধ করেন। এ কথা সত্য যে, তিনি যে আসনেই বসতেন, তা-ই সভাণতির আসনে পরিণত হতো। তিনি উপস্থিত সকলেরই কথা শুনতেন। উপস্থিত সকলেই মনে করত রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে অধিক মর্যাদা দিচ্ছেন। তাঁর কাছে কেউ বসলে সে নিজে উঠে না যাওয়া পর্যন্ত তিনি উঠতেন না। কেউ তাঁর কাছে কিছু চাইলে তা না দিয়ে তিনি তাকে ফিরিয়ে দিতেন না। না থাকলে নম্রভাবে বুঝিয়ে বলতেন। তাঁর দান সবার জন্যেই অবারিত ছিল। মায়া-মমতায় তিনি সকলের পিতা স্বরূপ ছিলেন। ন্যায় বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর নিকট সবাই সমান ছিল। তাঁর মজলিস ছিল জ্ঞান, লজ্জা, ধৈর্য ও আমানতের। সেখানে কোনপ্রকার হট্টগোল হতো না, না কারো মান-সম্ভ্রমের ক্ষতি হতো। সকলেই সমান মর্যাদা পেতেন। তবে তাকওয়ার বিচারে একে অন্যের উপর মর্যাদাসম্পন্ন হতেন। একে অন্যের সঙ্গে বিনম্র ব্যবহার করতেন। বড়কে শ্রদ্ধা ও ছোটকে স্নেহ করতেন। প্রয়োজনধারীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হতো এবং পরদেশীকে হেফাযত করা হতো।
أبواب الشمائل المحمدية والخصائل المصطفوية
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ قَالَ : حَدَّثَنَا جُمَيْعُ بْنُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْعِجْلِيُّ قَالَ : أَنْبَأَنَا رَجُلٌ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ مِنْ وَلَدِ أَبِي هَالَةَ زَوْجِ خَدِيجَةَ يُكْنَى أَبَا عَبْدِ اللَّهِ ، عَنِ ابْنٍ لِأَبِي هَالَةَ ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ قَالَ : سَأَلْتُ خَالِي هِنْدَ بْنَ أَبِي هَالَةَ ، وَكَانَ وَصَّافًا عَنْ حِلْيَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، وَأَنَا أَشْتَهِي أَنْ يَصِفَ لِي مِنْهَا شَيْئًا ، فَقَالَ : كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخْمًا مُفَخَّمًا ، يَتَلَأْلَأُ وَجْهُهُ تَلَأْلُؤَ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ بِطُولِهِ قَالَ الْحَسَنُ : فَكَتَّمْتُهَا الْحُسَيْنَ زَمَانًا ، ثُمَّ حَدَّثْتُهُ فَوَجَدْتُهُ قَدْ سَبَقَنِي إِلَيْهِ . فَسَأَلَهُ عَمَّا سَأَلْتُهُ عَنْهُ وَوَجَدْتُهُ قَدْ سَأَلَ أَبَاهَا عَنْ مَدْخَلِهِ وَمَخْرَجِهِ وَشَكْلِهِ فَلَمْ يَدَعْ مِنْهُ شَيْئًا.
قَالَ الْحُسَيْنُ : فَسَأَلْتُ أَبِي ، عَنْ دُخُولِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ : كَانَ إِذَا أَوَى إِلَى مَنْزلِهِ جَزَّأَ دُخُولَهُ ثَلاَثَةَ أَجْزَاءٍ ، جُزْءًا لِلَّهِ ، وَجُزْءًا لِأَهْلِهِ ، وَجُزْءًا لِنَفْسِهِ ، ثُمَّ جَزَّأَ جُزْأَهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ النَّاسِ ، فَيَرُدُّ ذَلِكَ بِالْخَاصَّةِ عَلَى الْعَامَّةِ ، وَلاَ يَدَّخِرُ عَنْهُمْ شَيْئًا ، وَكَانَ مِنْ سِيرَتِهِ فِي جُزْءِ الْأُمَّةِ إِيثَارُ أَهْلِ الْفَضْلِ بِإِذْنِهِ وَقَسْمِهِ عَلَى قَدْرِ فَضْلِهِمْ فِي الدِّينِ ، فَمِنْهُمْ ذُو الْحَاجَةِ ، وَمِنْهُمْ ذُو الْحَاجَتَيْنِ ، وَمِنْهُمْ ذُو الْحَوَائِجِ ، فَيَتَشَاغَلُ بِهِمْ وَيَشْغَلُهُمْ فِيمَا يُصْلِحُهُمْ وَالْأُمَّةَ مِنْ مُسَاءَلَتِهِمْ عَنْهُ وَإِخْبَارِهِمْ بِالَّذِي يَنْبَغِي لَهُمْ وَيَقُولُ : لِيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ مِنْكُمُ الْغَائِبَ ، وَأَبْلِغُونِي حَاجَةَ مَنْ لاَ يَسْتَطِيعُ إِبْلاَغَهَا ، فَإِنَّهُ مَنْ أَبْلَغَ سُلطَانًا حَاجَةَ مَنْ لاَ يَسْتَطِيعُ إِبْلاَغَهَا ثَبَّتَ اللَّهُ قَدمَيْهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ، لاَ يُذْكَرُ عِنْدَهُ إِلاَ ذَلِكَ ، وَلاَ يُقْبَلُ مِنْ أَحَدٍ غَيْرِهِ ، يَدْخُلُونَ رُوَّادًا وَلاَ يَفْتَرِقُونَ إِلاَ عَنْ ذَوَاقٍ ، وَيُخْرِجُونَ أَدِلَّةً يَعْنِي عَلَى الْخَيْرِ.
قَالَ : فَسَأَلْتُهُ عَنْ مَخْرَجِهِ كَيْفَ يَصْنَعُ فِيهِ ؟ قَالَ : كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْرِنُ لِسَانُهُ إِلاَ فِيمَا يَعْنِيهِ ، وَيُؤَلِّفُهُمْ وَلاَ يُنَفِّرُهُمْ ، وَيُكْرِمُ كَرَيمَ كُلِّ قَوْمٍ وَيُوَلِّيهِ عَلَيْهِمْ ، وَيُحَذِّرُ النَّاسَ وَيَحْتَرِسُ مِنْهُمْ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَطْوِيَ عَنْ أَحَدٍ مِنْهُمْ بِشْرَهُ وَخُلُقَهُ ، وَيَتَفَقَّدُ أَصْحَابَهُ ، وَيَسْأَلُ النَّاسَ عَمَّا فِي النَّاسِ ، وَيُحَسِّنُ الْحَسَنَ وَيُقَوِّيهِ ، وَيُقَبِّحُ الْقَبِيحَ وَيُوَهِّيهِ ، مُعْتَدِلُ الأَمْرِ غَيْرُ مُخْتَلِفٍ ، لاَ يَغْفُلُ مَخَافَةَ أَنْ يَغْفُلُوا أَوْ يَمِيلُوا ، لِكُلِّ حَالٍ عِنْدَهُ عَتَادٌ ، لاَ يُقَصِّرُ عَنِ الْحَقِّ وَلاَ يُجَاوِزُهُ . الَّذِينَ يَلُونَهُ مِنَ النَّاسِ خِيَارُهُمْ ، أَفْضَلُهُمْ عِنْدَهُ أَعَمُّهُمْ نَصِيحَةً ، وَأَعْظَمُهُمْ عِنْدَهُ مَنْزِلَةً أَحْسَنُهُمْ مُوَاسَاةً وَمُؤَازَرَةً.
قَالَ : فَسَأَلْتُهُ عَنْ مَجْلِسِهِ ، فَقَالَ : كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لاَ يَقُومُ وَلاَ يَجَلِسُ إِلاَ عَلَى ذِكْرٍ ، وَإِذَا انْتَهَى إِلَى قَوْمٍ جَلَسَ حَيْثُ يَنْتَهِي بِهِ الْمَجْلِسُ وَيَأْمُرُ بِذَلِكَ ، يُعْطِي كُلَّ جُلَسَائِهِ بِنَصِيبِهِ ، لاَ يَحْسَبُ جَلِيسُهُ أَنَّ أَحَدًا أَكْرَمُ عَلَيْهِ مِنْهُ ، مَنْ جَالَسَهُ أَوْ فَاوَضَهُ فِي حَاجَةٍ صَابَرَهُ حَتَّى يَكُونَ هُوَ الْمُنْصَرِفُ عَنْهُ ، وَمَنْ سَأَلَهُ حَاجَةً لَمْ يَرُدَّهُ إِلاَ بِهَا أَوْ بِمَيْسُورٍ مِنَ الْقَوْلِ ، قَدْ وَسِعَ النَّاسَ بَسْطُهُ وَخُلُقُهُ ، فَصَارَ لَهُمْ أَبًا وَصَارُوا عِنْدَهُ فِي الْحَقِّ سَوَاءً ، مَجْلِسُهُ مَجْلِسُ عِلْمٍ وَحِلْمٍ وَحَيَاءٍ وَأَمَانَةٍ وَصَبْرٍ ، لاَ تُرْفَعُ فِيهِ الأَصْوَاتُ وَلاَ تُؤْبَنُ فِيهِ الْحُرَمُ ، وَلاَ تُثَنَّى فَلَتَاتُهُ مُتَعَادِلِينَ ، بَلْ كَانُوا يَتَفَاضَلُونَ فِيهِ بِالتَّقْوَى ، مُتَوَاضِعِينَ يُوقِّرُونَ فِيهِ الْكَبِيرَ وَيَرْحَمُونَ فِيهِ الصَّغِيرَ ، وَيُؤْثِرُونَ ذَا الْحَاجَةِ وَيَحْفَظُونَ الْغَرِيبَ.
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৩৭
শামাইলে নববীর পরিচ্ছেদসমূহ
রাসূলুল্লাহ্ -এর বিনয়ের বিবরণ
৩৩৭। মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন বাযী' (রাহঃ)... আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, আমাকে যদি ছাগলের একটি পা-ও দান করা হয়, তাহলেও আমি অবশ্যই তা গ্রহণ করব। আমাকে যদি এতে দাওয়াত করা হয়, তবে আমি দাওয়াত গ্রহণ করব।
أبواب الشمائل المحمدية والخصائل المصطفوية
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَزِيعٍ قَالَ : حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ قَالَ : حَدَّثَنَا سَعِيدٌ ، عَنْ قَتَادَةَ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : لوْ أُهْدِيَ إِلَيَّ كُرَاعٌ لَقَبِلتُ ، وَلوْ دُعِيتُ عَلَيْهِ لَأَجَبْتُ.
হাদীস নং: ৩৩৮
শামাইলে নববীর পরিচ্ছেদসমূহ
রাসূলুল্লাহ্ -এর বিনয়ের বিবরণ
৩৩৮। মুহাম্মাদ ইবন বাশ্শার (রাহঃ)... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার কাছে আসলেন; কিন্তু তিনি খচ্চর বা তুর্কি অশ্বের উপর আরোহীত ছিলেন না।
أبواب الشمائل المحمدية والخصائل المصطفوية
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ قَالَ : حَدَّثَنَا سُفْيَانُ ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ : جَاءَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْسَ برَاكِبِ بَغْلٍ وَلاَ بِرْذَوْنٍ.
হাদীস নং: ৩৩৯
শামাইলে নববীর পরিচ্ছেদসমূহ
রাসূলুল্লাহ্ -এর বিনয়ের বিবরণ
৩৩৯। 'আব্দুল্লাহ ইবন 'আব্দুর রহমান (রাহঃ)... য়ূসুফ ইবন 'আব্দুল্লাহ ইবন সালাম (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার নাম রাখেন য়ুসুফ। অতঃপর তিনি আমাকে কোলে তুলে নেন এবং মাথার উপর হাত রাখেন।
أبواب الشمائل المحمدية والخصائل المصطفوية
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ قَالَ : أَنْبَأَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي الْهَيْثَمِ الْعَطَّارُ قَالَ : سَمِعْتُ يُوسُفَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَّامٍ قَالَ : سَمَّانِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُوسُفَ وَأَقْعَدَنِي فِي حِجْرِهِ وَمَسَحَ عَلَى رَأْسِي.
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪০
শামাইলে নববীর পরিচ্ছেদসমূহ
রাসূলুল্লাহ্ -এর বিনয়ের বিবরণ
৩৪০। ইসহাক ইবন মনসুর (রাহঃ)... আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বলেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) উটের পালানে বসে হজ্জ পালন করেন। এর উপর এক টুকরা কাপড় ছিল আমাদের মতে এর মূল্য চার দিরহামের বেশী হবে না। পালানে উপবিষ্ট অবস্থায় তিনি দু'আ করছিলেন, হে প্রভু! আমি হজ্জে তোমার দরবারে হাজির হয়েছি। তুমি একে লৌকিকতা ও প্রচারণা থেকে মুক্ত রাখ।
أبواب الشمائل المحمدية والخصائل المصطفوية
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ قَالَ : حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ وَهُوَ ابْنُ صَبِيحٍ قَالَ : حَدَّثَنَا يَزِيدُ الرَّقَاشِيُّ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَجَّ عَلَى رَحْلٍ رَثٍّ وَقَطِيفَةٍ ، كُنَّا نَرَى ثَمَنَهَا أَرْبَعَةَ دَرَاهِمَ ، فَلَمَّا اسْتَوَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ قَالَ : لَبَّيْكَ بِحَجَّةٍ لاَ سُمْعَةَ فِيهَا وَلاَ رِيَاءَ.
হাদীস নং: ৩৪১
শামাইলে নববীর পরিচ্ছেদসমূহ
রাসূলুল্লাহ্ -এর বিনয়ের বিবরণ
৩৪১। ইসহাক ইবন মনসুর (রাহঃ)...... আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, এক দরজী রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে দাওয়াত করে। তাঁর আহার্যের জন্য লাউ মিশ্রিত সরীদ উপস্থিত করা হয়। লাউ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর খুব প্রিয় খাদ্য ছিল। এইজন্য তিনি লাউ খেতে শুরু করেন। ছাবিত বলেন, আমি আনাস (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি, এর পর থেকে আমার জন্য যে তরকারী রাঁধা হতো, তাতে লাউ দেয়া হতো, যদি তা সম্ভবপর হতো।
أبواب الشمائل المحمدية والخصائل المصطفوية
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ قَالَ : حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ ، وَعَاصِمٍ الأَحْوَلِ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، أَنَّ رَجُلاً خَيَّاطًا دَعَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَرَّبَ مِنْهُ ثَرِيدًا عَلَيْهِ دُبَّاءُ قَالَ : فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْخُذُ الدُّبَّاءَ وَكَانَ يُحِبُّ الدُّبَّاءَ.
قَالَ ثَابِتٌ : فَسَمِعْتُ أَنَسًا يَقُولُ : فَمَا صُنِعَ لِي طَعَامٌ أَقْدَرُ عَلَى أَنْ يُصْنَعَ فِيهِ دُبَّاءُ إِلاَ صُنِعَ.
হাদীস নং: ৩৪২
শামাইলে নববীর পরিচ্ছেদসমূহ
রাসূলুল্লাহ্ -এর বিনয়ের বিবরণ
৩৪২। মুহাম্মাদ ইবন ইসমাঈল (রাহঃ)... উমরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন : 'আয়িশা (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ঘরে অবস্থানকালে কি করতেন? জবাবে তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ছিলেন মানুষের মধ্যে একজন মানুষ। পোশাকের মধ্যে তিনি উকুন তালাশ করতেন, ছাগ দোহন করতেন এবং নিজের কাজ নিজেই সম্পন্ন করতেন।
أبواب الشمائل المحمدية والخصائل المصطفوية
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ قَالَ : حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ ، عَنْ عَمْرَةَ ، قَالَتْ : قِيلَ لِعَائِشَةَ : مَاذَا كَانَ يَعْمَلُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَيْتِهِ ؟ قَالَتْ : كَانَ بَشَرًا مِنَ الْبَشَرِ ، يَفْلِي ثَوْبَهُ ، وَيَحْلُبُ شَاتَهُ ، وَيَخْدُمُ نَفْسَهُ.